আলজাজিরার ‘অল দ্য প্রাইমমিনিস্টিার মেন’ প্রথম দেখায় বাংলাদেশ হাসিনার কর্তৃত্বে একটি অপরাধী চক্রের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। তার প্রধান সহযোগী তখনকার সামরিক বাহিনী প্রধান আজিজ। এই ইনভেস্টিগেটিভ প্রতিবেদনে আজিজের ভাইকে বলতে শোনা যায়, পুলিশ-র্যাব সব তার নির্দেশে কাজ করে। আজিজের সব ভাই দণ্ডিত সাজাপ্রাপ্ত আসামি। পুরো পরিবার খুনি ক্রিমিনাল। হাসিনা আজিজকে পছন্দ করে নিয়েছে তার পরিবারের কুখ্যাতির জন্য। সে দেশের সামরিক বাহিনীর সর্বনাশ করে দিয়েছে, দেশের বারোটা বাজিয়ে শেষে পালিয়ে গেছে। অন্য দিকে হাসিনা তার সহায়তায় আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীগুলোকে মাফিয়া সদস্য হিসেবে ব্যবহার করেছে। এই চক্রে ছিল হাসিনার আত্মীয়স্বজন, দলের পছন্দের লোকেরা ও নিরাপত্তা বাহিনীর বাছাই করা সদস্যরা।
হাসিনার এই মাফিয়া গোষ্ঠীর জগত গুটিয়ে আসছে। ৫ আগস্ট একবার তারা বিভিন্ন গর্তে লুকানোর সাময়িক নিরাপদ জায়গা পায়। হাসিনার নিয়োগ করা সামরিক প্রশাসন তাদের আশ্রয় দেয়ায় সেটা সম্ভব হয়েছিল। এর পর তাদের ভারতে পাচারেও সহায়তা করা হয়। কেউ কেউ ইউরোপ আমেরিকা চলে গেলেও অনেকে ভারত রয়ে গেছে। এদের সবাই এখন বিভিন্ন দেশের সরকার ও পুলিশি ব্যবস্থার নিশানা হতে শুরু করেছে। ঢাকায় বিচার প্রক্রিয়া যত অগ্রসর হবে তাদের ওপর তত ঘোর অমানিশা নেমে আসবে। কৃত অপরাধ যত প্রদীপের আলোয় আসবে তাদের পৃথিবী তত ছোট হতে থাকবে। একটু নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে তাদের হন্যে হয়ে ঘুরতে হবে। তাদের আশ্রয়দাতা সামরিক ব্যক্তিরা যেমন নেই, ভারতও হাসিনার মাফিয়া গোষ্ঠীকে আগলে রাখবে সেই সামর্থ্য হারাচ্ছে। দেশের ১৮ কোটি মানুষের জীবন নিয়ে খেলার পরিণতি এখন তারা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে।
হাসিনা ও তার মাফিয়া সদস্যদের আশ্রয় দেয়ায় ভারতের শাসকদের বিরুদ্ধে চাপ সৃষ্টি হয়েছে। মিডিয়ার এলোপাতাড়ি বয়ান দিয়ে হাসিনা ও তার মাফিয়া সদস্যদের কিছু সময় ভিক্টিম দেখানো গেলেও আসল খবর প্রকাশ হতে শুরু করেছে ভারতীয় জনগণের কাছে। ভারতীয় মিডিয়া বিশেষ করে গোদি মিডিয়া দেশের মানুষের সামনে সবসময় ঘোর তৈরি করতে চায়। পাকিস্তান আক্রমণ নিয়ে তাদের তৈরি বানোয়াট খবরে সে দেশের জনগণ প্রতারিত হওয়ার বিষয়টি গোপন রাখা যায়নি। গোদি মিডিয়া খবর দিয়েছিল পাকিস্তান পরাস্ত হয়েছে। দেশটির সব জঙ্গি আস্তানা উড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ভারতীয় মিডিয়া এতটা অপেশাদার যে, দেশটিতে রটিয়ে দেয়া গেছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী প্রধান ও প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করা হয়েছে। কোটি কোটি বিজেপি কর্মী-সমর্থক এগুলো গোগ্রাসে গিলেছে। মূল ধারার সংবাদমাধ্যম এ ধরনের গুজব রোধে কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি। এর কারণ মূল ধারার সংবাদমাধ্যম একপেশে প্রচারণা চালাতে গিয়ে আগেই বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে।
যখন খবর স্পষ্ট হলো ভারত উল্টো এই যুদ্ধে পরাস্ত হয়েছে। আক্রমণকারী রাফালসহ ছয়টি বিমান পাকিস্তানে ভূপাতিত হয়েছে। ভারতের সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি করা হয়েছে এবং প্রাণ গেছে বহু ভারতীয় সেনাসদস্যের। ডোনাল্ড ট্রাম্প এই সুযোগে ভারতকে চাপে ফেলেছে। যুদ্ধ জয়ের পুরস্কার হিসেবে ট্রাম্প পাকিস্তানি সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে দাওয়াত দিয়ে হোয়াইট হাউজে নিয়ে গিয়ে আতিথেয়তা করেছেন। তার আগেই পাকিস্তান মুনিরকে ফিল্ড মার্শাল ঘোষণা করেছে। আসল খবর প্রকাশ হওয়ায় ভারতবাসী মুষড়ে পড়েছে। বাংলাদেশের হাসিনার ইস্যুটি নিয়েও ভারতীয়রা তাদের মিডিয়ার দ্বারা প্রতারিত হওয়ার খবর পেতে শুরু করেছে। স¤প্রতি বিবিসির একটি ইনভেস্টিগেটিভ রিপোর্ট ভারতীয়দের সামনে পরিষ্কার করেছে যে হাসিনা একজন খুনি। ড. ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালানো চ্যানেলগুলো ইতোমধ্যে আমতা আমতা করা শুরু করেছে। তারাই প্রশ্ন উঠাচ্ছে হাসিনাকে আর আশ্রয় দেয়া সম্ভব কি না। হাসিনাকে তারাই দেশ ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার পরামর্শ দিচ্ছে। কোন দেশে তিনি সটকে পড়তে পারেন সেই পরামর্শও তারা দিচ্ছে। হাসিনার প্রতি মোদি সরকারের এত বেশি দায় রয়েছে যে, মুখ ফুটে তাকে চলে যেতে বলতে পারবেন না। তাই হাসিনাকে স্বপ্রণোদিত হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিতে উৎসাহিত করছে দেশটির মিডিয়া।
হাসিনার বিচার চেয়ে স্টেটসম্যানের সম্পাদকীয়
ভারতীয় প্রভাবশালী পত্রিকা স্টেটসম্যান এক সম্পাদকীয়তে লিখেছে, যাচাই করা অডিও রেকর্ড এবং ফরেনসিক বিশ্লেষণে প্রমাণিত হয়েছে যে, হাসিনা নিজেই বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন। স্টেটসম্যান একটি সর্বভারতীয় পত্রিকা হলেও পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তর-পূর্ব ভারতে বেশি জনপ্রিয়। ইংরেজি ভাষার দৈনিকটি দিল্লি, কলকাতা, শিলিগুড়ি ও ভুবেনেশ্বর থেকে প্রকাশিত হয়। ভারতের অন্যতম প্রাচীন এই পত্রিকার প্রচার সংখ্যা প্রায় আড়াই লাখ। ভারতের বড় বড় মিডিয়া আউটলেটগুলো বাংলাদেশীদের ওপর চালানো হাসিনার মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে চুপ ছিল। স্টেটসম্যান সম্পাদকীয় প্রকাশের পর ওইসব মিডিয়া আউটলেটগুলোর ওপর চাপ বাড়বে হাসিনার অপকর্ম নিয়ে খবর প্রকাশে।
স্টেটসম্যান সম্পাদকীয়তে আরো লিখেছে, কোটাব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শিগগির জাতীয় অভ্যুত্থানে রূপ নেয়, যা বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থার গভীর অসঙ্গতিগুলো উন্মোচন করে দিয়েছে। তার পর চালানো অতিমাত্রায় দমন-পীড়ন, সেটা প্রশাসনের স্বেচ্ছায় নেয়া কোনো পদক্ষেপ ছিল না; বরং এটি ছিল সমন্বিত এবং উপরের দিক থেকে পরিচালিত রাষ্ট্রীয় সহিংসতা। ৫ আগস্টের গণহত্যা সম্ভবত আন্দোলনের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ দিন, যা বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা ছিল না; এটি ছিল গণতন্ত্রের আড়ালে বছরের পর বছর ধরে চলা স্বৈরতন্ত্রের চূড়ান্ত পরিণতি। পত্রিকাটি মন্তব্য করেছে, গত বছরের এই হত্যাযজ্ঞ এখনো বাংলাদেশের তরুণদের মনে দগদগে ক্ষত হয়ে আছে। যাদের অনেকেই তাদের বন্ধুদের প্রকাশ্যে দিবালোকে গুলিবিদ্ধ হতে দেখেছেন শুধু ন্যায্যতা, মর্যাদা এবং গণতান্ত্রিক জবাবদিহি চাওয়ার কারণে। পত্রিকাটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হাসিনার অপরাধের প্রমাণ থাকার বিষয় উল্লেখ করে বলে, সামরিক গ্রেডের অস্ত্র হাতে পুলিশ বাহিনী নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালায়, মানুষ হত্যাসহ অধিকার হরণের জন্য দেয়া আদেশের অডিও যাচাই করে সত্যতা পাওয়া গেছে। স্টেটসম্যান এই অপরাধের বিচারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে লেখে, প্রতিশোধের জন্য নয়; বরং ভবিষ্যতে কোনো নেতা যেন ক্ষমতার অপব্যবহার করতে না পারেন।
হাসিনার পাশে কেউ থাকছে না
ভারতের মিডিয়া নিজেদের স্বার্থে বাংলাদেশীদের বিরুদ্ধে হাসিনার করা গণহত্যা মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ অন্যান্য ভয়াবহ খবর ছাপতে বাধ্য হবে। এমনকি যেসব মিডিয়া হাসিনার এসব অবৈধ কর্মকাণ্ডের বৈধতা দিয়েছে তারাও পাঠকের কাছে নিজেদের বিশ্বাসযোগ্যতা রক্ষার জন্য এটা করতে বাধ্য হবে। ক্ষমতায় থাকা বিজেপি নেতারা এমনকি অন্য ভারতীয় নেতারাও হাসিনার পক্ষে সমর্থন প্রত্যাহার করবে সেই সময় আসছে। আদালতে একের পর এক তার বিরুদ্ধে রায় হলে সেগুলো আন্তর্জাতিক মিডিয়া যখন ফলাও করে প্রচার করবে এই চাপ আরো বাড়তে থাকবে।
একসময় হাসিনার কথা বলার জন্য হাজার হাজার মুখ হা হয়ে থাকত। পরিস্থিতি এখন এতটাই বদলেছে, সেই মুখগুলো এখন তার বিরুদ্ধে বলছে। তাই বাধ্য হয়ে হাসিনা নিজেকে নিজের পক্ষে সমর্থন করে গুপ্ত স্থান থেকে অডিও বার্তা দিতে হচ্ছে। একে একে সত্য যখন বেরিয়ে পড়ছে তার ওইসব মিথ্যা বড়ই বেসুরো ঠেকছে। বিবিসি তার প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের আদেশের ফরেনসিক প্রমাণ হাজির করার পর হাসিনা আর তার ছেলে মিলে একে ডিফেন্ড করতে হয়েছে। বাংলাদেশের শত শত মিডিয়া, তাদের প্রপাগান্ডা মেশিন সিআরআই আর তাদের পাশে নেই। ওই খবরের প্রতিবাদ করতে গিয়ে জয় লেজেগোবরে করে ফেলেছেন। প্রথমে বলেছেন, ওই অডিওটি হোলে আর্টিজান হামলার সময়ে। তার কথায় এই স্বীকৃতি পাওয়া গেল যে কণ্ঠস্বর তার মায়ের। পরে আবার ভুল স্বীকার করে দোষ চাপালেন আদালতের প্রসিকিউশন টিমের ওপর। অডিও ফাঁস করার কারণে বিচারের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে জয় প্রশ্ন তোলেন। যেখানে তার মা এই আদালতকে স্বীকারই করেননি। এই দুরবস্থার মধ্যে মা ও ছেলে নিজেদের অপরাধ ঢাকতে গিয়ে সাক্ষ্য প্রমাণকে আরো জোরালো করছেন। এ দিকে তার পুলিশ প্রধান মামুন এখন তার বিরুদ্ধে রাজ সাক্ষী হিসেবে হাজির হয়েছেন।
পুতুলকে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার লাল নোটিশ
রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকে ব্যক্তিগত লাভের জন্য ব্যবহারের নিকৃষ্ট উদাহরণ তৈরি করেছেন হাসিনা। তার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার পরিচালক পদে নিয়োগ দিতে সর্বশক্তি নিয়োগ করেন। শুধু এই লক্ষ্যে কয়েক ডজন লবিস্ট নিয়ে বিভিন্ন দেশে ঘুরছিলেন। সরকারি কোষাগারের অর্থ দেদার বিলিয়েছেন। সাথে ভারতীয় প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে যোগ্য দক্ষ প্রার্থীদের বঞ্চিত করে নিজের মেয়েকে বৈশ্বিক সংস্থাটির পরিচালক নিয়োগ করতে এক প্রকার বাধ্য করেছিলেন। তখনই তার অযোগ্যতা নিয়ে আন্তর্জাতিক সায়েন্স সাময়িকী ল্যানসেট নিবন্ধ ছাপিয়েছিল, তার পরও পুতুলের নিয়োগ ঠেকিয়ে রাখা যায়নি।
এই অপকর্মের দায় এখন সবার ঘাড়ে চেপেছে। দুদুক তার সনদ যাচাই করে দেখতে পায় এগুলো ভুয়া। তিনি কোনো ধরনের একাডেমিক ও পেশাগত প্রাতিষ্ঠানিক যোগ্যতা অর্জন না করেই কেবল সরকারি প্রভাব খাটিয়ে সনদ নিয়ে নিয়েছেন। এ দিকে মায়ের পদের প্রভাব খাটিয়ে বিপুল স্থাবর-অস্থাবর সম্পদও অর্জন করেছেন। ইতোমধ্যে দুদক তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির দুটি মামলা করেছে। এ দিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় পুতুলের সাথে কাজ করতে অস্বস্তির কথা জানিয়ে রেখেছিল ড. ইউনূসের সরকার। সেই সূত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পুতুলকে অনির্দিষ্টকালের জন্য তার পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানে এতবড় সম্মানজনক পদে এ ধরনের অযোগ্য লোকদের নিয়োগ পাওয়ার যেমন নজির নেই, একইভাবে পদচ্যুতির ঘটনাও দেখা যায়নি। এ দিকে তার বিরুদ্ধে দ্বৈত নাগরিকত্বের প্রমাণ পাওয়া গেছে, যা তিনি গোপন করেছেন। আদালত তাকে বিচারের মুখোমুখি হওয়ার জন্য আহ্বান জানালেও মায়ের মতোই তিনি পলাতক। এত দিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিচালক থাকার কারণে ভারতে একটি সম্মানজনক অবস্থানে ছিলেন। এখন তিনি একজন ফেরারি আসামি।
টিউলিপের হম্বিতম্বির বেলুন ফুটো হয়ে গেল
হাসিনার ক্ষমতার দাপট ও অবৈধ অর্থের জোরে তার বোনের মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকী যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে শক্ত অবস্থান তৈরি করে নেন। তার পার্টির শীর্ষ নেতৃত্বকেও তিনি বাগিয়ে নিতে সমর্থ হন। ফলে তার বিরুদ্ধে সরাসরি দুর্নীতির সম্পর্ক পাওয়ার পরও তাকে দল থেকে পদচ্যুত করা যায়নি। আওয়ামী লীগের নেতাদের থেকে তিনি যুক্তরাজ্যে ফ্ল্যাট বাগিয়ে নিয়েছেন। গুলশানে অভিজাত এলাকায় ফ্ল্যাট নেয়ার বিনিময়ে দুর্নীতিবাজদের সুবিধা দিয়েছেন। গাজীপুরে তার বিপুল সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেছে। এত সম্পত্তি কিভাবে তিনি উপার্জন করেছেন তার কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই। তাকে যখন যুক্তরাজ্যের কোনো বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, তিনি বাংলাদেশের নাগরিক বলে পরিচয় দিতেন। যাতে বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যেতে পারেন। আবার যখন তাকে হাসিনার অপরাধের বিষয়ে ধরা হয় তখন তিনি বলেন তিনি যুক্তরাজ্যের নাগরিক। ৫ আগস্টের পর তিনি বলে যাচ্ছেন হাসিনার সাথে কোনো সম্পর্কই তার নেই। ইরানের মানবাধিকার নিয়ে কথা বলায় সাংবাদিকরা তাকে বাংলাদেশে গুম হওয়া ব্যক্তিদের বিষয়ে সহায়তার আহ্বান জানান, তখন তিনি বেজায় চটে যান। হাসিনার দুঃশাসনের সময় আহমেদ বিন কাশেম আরমানের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে সাথে সাথে বাংলাদেশে তার বাড়িতে র্যাব অভিযান চালায়। এই দুর্নীতিবাজ টিউলিপ যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিবিষয়ক মিনিস্টার (ইকোনমিক সেক্রেটারি) হিসেবে দেশটির আর্থিক খাতে দুর্নীতি বন্ধের দায়িত্বে ছিলেন। বিষয়টি শিয়ালের কাছে মুরগি বর্গা দেয়ার মতো। অবশেষে লেবার পার্টি তাকে পদচ্যুত করে তার ভালো সেজে থাকার বেলুন ফুটো করে দিয়েছে।