অর্থনৈতিক নিরাপত্তার গুরুত্বপূর্ণ সূচক হলো বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ। এটি বৈদেশিক বাণিজ্য, ঋণপ্রাপ্যতা এবং মুদ্রানীতি পরিচালনায় কেন্দ্রীয় ভূমিকা রাখে। গত এক বছরে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঘোষিত রিজার্ভে ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি দেখা গেছে। আইএমএফের সুপারিশকৃত (ইচগ৬) পদ্ধতিতে গণনায়ও রিজার্ভের স্তর উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ কারণে বেড়েছে এবং এই প্রবৃদ্ধি টেকসই কি না সেটিই বিবেচ্য।
বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ মূলত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে রক্ষিত বৈদেশিক মুদ্রা, সোনার মজুদ ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা। দেশের অর্থনীতিকে ঢেউয়ের বিরুদ্ধে রক্ষা করতে এগুলো ব্যবহার করা যায়। বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ দেশীয় হিসাবের ভিত্তি এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে (আইএমএফের পদ্ধতি) গণনা করলে কিছুটা ভিন্নতা দেখা দেয়। জুলাই ২০২৫-এ বাংলাদেশ ব্যাংকের মাসিক রিপোর্ট অনুযায়ী, মোট রিজার্ভ প্রায় ২৯ দশমিক ৮ বিলিয়ন এবং আইএমএফের পদ্ধতি অনুযায়ী প্রায় ২৪ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। বছরের সেপ্টেম্বরে গ্রস রিজার্ভ প্রায় ৩১ বিলিয়ন ডলার হয়েছে; যদিও আইএমএফের ইচগ৬ পদ্ধতিতে ২৬ বিলিয়ন ডলার। পদ্ধতিগত পার্থক্য ও সাম্প্রতিক লেনদেন-সংক্রান্ত সমন্বয়ের কারণে এই ভিন্নতা।
গত এক দশকে দেশের ফরেন রিজার্ভ অস্থিরতা দেখিয়েছে, যেমন ২০১৯-২১ সময়ে রিজার্ভ বাড়তে থাকলেও ২০২১ সালের পর করোনার প্রভাব, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিরতা এবং জ্বালানি ও খাদ্যমূল্য বৃদ্ধির প্রভাবে রিজার্ভে ওঠানামা হয়েছে। পরবর্তীতে, ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ সালের কিছু মৌসুমে আয় ও রেমিট্যান্স হ্রাস ও আন্তর্জাতিক ঋণ-ইস্যু মিলিয়ে রিজার্ভ কমে যায়। কিন্তু ২০২৪-২৫ থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কৌশলগত পদক্ষেপ, রেমিট্যান্স প্রবাহের পুনরায় ঘুরে দাঁড়ানো এবং রফতানির ধারাবাহিক বৃদ্ধির প্রভাবে সামগ্রিকভাবে রিজার্ভে সুসংহত অবস্থান গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে।
গত সরকারের শেষ সময়ে রিজার্ভ বেশ খারাপ অবস্থায় পৌঁছে। নির্বাচন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে আমদানি ও বিনিয়োগে চাপ পড়ে। আমদানি হ্রাস ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন শর্ত আরোপ করে রিজার্ভ রক্ষার চেষ্টা করা হয়েছিল। অন্তর্বর্তী সরকারের শুরুতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও সরকারি ব্যবস্থাপনা মিলে কিস্তিভিত্তিক বকেয়া পরিশোধ, আকুর পাওনা পরিশোধ ও হুন্ডি কমিয়ে এবং পাচারকারীদের মোকাবেলা করে মুদ্রাবাজারে স্থিতিশীলতা আনার কাজ শুরু করে; সেই প্রেক্ষাপটে রিজার্ভ ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেলো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষে এবং ২০২৫ সালের মধ্যভাগে গ্রস রিজার্ভে ধারাবাহিক ওঠানামা দেখা গেলেও সা¤প্রতিক (জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০২৫) সময়ে তা আবার ৩১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত কয়েক মাসে মাসিক আমদানির পরিমাণ অনুযায়ী এই রিজার্ভ প্রায় পাঁচ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব, যা স্বল্পমেয়াদি সম্ভাব্য আঘাত মোকাবেলা করার জন্য আদর্শ বলে বিবেচিত। ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২০২৫-২৬ জুনের মধ্যে রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার টার্গেট নিয়েছে।
রেমিট্যান্স বাংলাদেশের অর্থনীতির এক শক্ত নিয়ামক। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিপোর্ট অনুসারে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রেমিট্যান্স রেকর্ড স্তরে পৌঁছেছে। রিপোর্ট বলছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে জুন পর্যন্ত মোট রেমিট্যান্স ছিল প্রায় ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার, যা নতুন রেকর্ড। ২০২৫ সালের জুলাই ও আগস্টে রেমিট্যান্সে তীব্র ঘাটতি দেখা না দিয়ে বরং প্রায় ২ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন এবং আগস্টেও উচ্চ প্রবাহ হয়েছে। রেমিট্যান্স বৃদ্ধির বেশ কিছু কারণের মধ্যে অন্যতম, মধ্যপ্রাচ্য ও মালয়েশিয়াসহ ট্রেড-লেবার মার্কেটে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, নতুন মাইগ্র্যান্ট ভিসা অনুমোদন এবং অনলাইন ও আনুষ্ঠানিক রেমিট্যান্স চ্যানেল শক্তিশালী করার জন্য ব্যাংকিং প্রণোদনা।
রফতানি আয়ও মোট রিজার্ভ বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ। ইপিবির চূড়ান্ত তথ্য অনুযায়ী, ২৪-২৫ অর্থবছরে রফতানি ছিল প্রায় ৪৮ দশমিক ২৮ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের ৪৪ দশমিক ৪৭ বিলিয়নের তুলনায় প্রায় ৮ দশমিক ৬ শতাংশ বৃদ্ধি। রফতানির ধারাবাহিকতা, বিশেষত তৈরি পণ্যের (আরএমজি) পুনরুদ্ধার এবং কিছু নতুন সেক্টরের (জুতা, চামড়া, সিরামিক) আয় বৃদ্ধিও রিজার্ভে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
এফডিআই সরাসরি রিজার্ভ বৃদ্ধির বড় চালিকাশক্তি নয়, তবে তা দেশের দীর্ঘমেয়াদি মুদ্রাপ্রবাহ ও বিনিয়োগ-পরিবেশে আস্থা বাড়ায়। গত কয়েক বছর ধরে এফডিআই প্রবাহ অনেকটা কমে গিয়েছিল। বিশ্ব বিনিয়োগ প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে নেট এফডিআই ছিল প্রায় ১ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২৩-এর এফডিআইয়ের তুলনায় কম। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০২৫-এর প্রথম ত্রৈমাসিক তথ্য অনুযায়ী, নেট এফডিআই এসেছে ৮৬৪ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। এই এফডিআই অর্থনীতিতে বিনিয়োগ-চাহিদা ও প্রজেক্ট-ফাইন্যান্সিংয়ে সরাসরি কাজ করে এবং ছোটখাটো মুদ্রা মজুদেও সহায়তা করে। এফডিআইয়ের প্রধান ভূমিকা হলো ‘সাংবিধানিক’ মুদ্রাপ্রবাহ আনা তবে তা এখনো রেমিট্যান্স বা রফতানির মতো স্বল্পমেয়াদে বড় অর্থপ্রবাহ সৃষ্টি করে না, তবে ভবিষ্যতে রফতানি-উন্নয়ন, প্রযুক্তি ও কর্মসংস্থান বাড়িয়ে রফতানি আয়কে শক্ত করবে।
রিজার্ভ বাড়ার একটি উপায় হলো আমদানি সঙ্কোচন। প্রকৃতপক্ষে কিছু সময়ে আমদানির শৃঙ্খল, বিশেষত অপ্রয়োজনীয় বা কম প্রয়োজনীয় আমদানি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ রক্ষা করে। গত বছরগুলোতে বাংলাদেশ বিশ্ব পণ্য সরবরাহকারীদের কিছু বিল বকেয়া রেখে বা কিস্তিতে পরিশোধ করে রিজার্ভ বাঁচানোর চেষ্টা করেছে। পাশাপাশি হুন্ডি-চ্যানেল কমানোর উদ্যোগ, আকুর বিল পরিশোধের পরিমাণ রিজার্ভে সরাসরি প্রভাব ফেলেছে। তবে এগুলো অস্থায়ী উপায়। সুতরাং দীর্ঘমেয়াদে বরাবরের মতোই রফতানি ও রেমিট্যান্সেই স্থায়িত্ব আনা জরুরি।
গত এক বছরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি ঘিরে এমন প্রশ্ন তৈরি হয়েছে, রিজার্ভ কি আমদানি কমিয়ে বাড়ানো হয়েছে, নাকি রফতানি আয় ও রেমিট্যান্স প্রবাহের কারণে। পরিসংখ্যান বলছে, গত অর্থবছরে বাংলাদেশের রফতানি আয় প্রায় ৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা আগের বছরের তুলনায় কিছুটা বৃদ্ধি। একই সাথে রেমিট্যান্স প্রবাহও আগের রেকর্ড ভেঙেছে। অন্যদিকে আমদানি ব্যয় দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬৪ বিলিয়ন ডলারে, যা মোট অর্থনীতির চাহিদার তুলনায় কম নয়। তবে নীতিগত কারণে কিছু সময়ে আমদানির ওপর চাপ তৈরি হয়েছে, যেমন হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ ও ঋণ সঙ্কটের প্রভাবে কিছু মাসে মূলধনী ও ভোগ্যপণ্যের আমদানি সীমিত হয়েছিল। অর্থাৎ, রিজার্ভ বৃদ্ধির পেছনে এককভাবে আমদানি কমানোর ভূমিকা নেই; বরং রফতানি ও রেমিট্যান্স বৃদ্ধিই এখানে মুখ্য ভূমিকা রেখেছে।
দেশের অর্থনীতিতে রিজার্ভ বৃদ্ধির ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুটো দিকই রয়েছে। রিজার্ভ বৃদ্ধির ফলে মুদ্রা বাজারে কিছুটা স্থিতি এসেছে, টাকার ওপর চাপ কমেছে এবং প্রায় পাঁচ মাসের আমদানির খরচ মেটানোর সক্ষমতা তৈরি হয়েছে। এতে বৈদেশিক লেনদেনে আস্থা বাড়ছে। তবে আশঙ্কাও আছে। রিজার্ভের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা যদি রেমিট্যান্স ও পোশাক রফতানির মতো সীমিত উৎসে থাকে, তাহলে বৈশ্বিক মন্দা, বাজার সঙ্কোচন বা শ্রমবাজারে ধাক্কা এলে প্রবৃদ্ধি হুমকির মুখে পড়তে পারে। একইভাবে, দীর্ঘমেয়াদে কৃত্রিমভাবে আমদানি সীমিত করা হলে বিনিয়োগ ও উৎপাদন খাতে ঘাটতি দেখা দিতে পারে, যাতে ভবিষ্যতে প্রবৃদ্ধি দুর্বল হতে পারে। গত এক বছরের প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক হলেও দীর্ঘমেয়াদে তা টেকসই করতে হলে রফতানি খাতে বৈচিত্র্য আনা, বৈধ রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ানো এবং প্রয়োজনীয় মূলধনী আমদানি অব্যাহত রাখা জরুরি। না হলে স্বল্পমেয়াদি সাফল্যের পরও অর্থনীতি চাপে পড়তে পারে।
কখনো কখনো দেশের রিজার্ভের স্তরে বিদেশী সাহায্য, যেমন আইএমএফ বা অন্যান্য বহুজাতিক ঋণ বা অনুদান সংযুক্ত হলে তা রিজার্ভ বাড়ায়। কিছু ক্ষেত্রে সরকার বকেয়া বিল মেটাতে ঋণ নিয়ে রিজার্ভ সাময়িকভাবে বাড়াতে পারে। বাংলাদেশ অবশ্য সা¤প্রতিক সময়ে কিছু বকেয়া ঋণ মিটিয়েছে। তার পরেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে। তবে ঋণভিত্তিক রিজার্ভ বাড়ানো টেকসই নয় যদি তা উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ না হয়।
সব কারণ মিলিয়ে দেখা যায়, রেমিট্যান্স ও রফতানি আয় এই দু’টি একযোগে রিজার্ভ বৃদ্ধির প্রধান চালক হিসেবে কাজ করেছে, যেখানে এফডিআইয়ের অবদান তুলনামূলকভাবে ছোট কিন্তু উন্নয়নমুখী। সাম্প্রতিক রিজার্ভ বৃদ্ধি মূলত রেমিট্যান্সের দ্রুত বৃদ্ধি, রফতানি-উপার্জন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি এবং একই সময়ে নীতিগত উদ্যোগ ও সরকারি বকেয়া পরিশোধও সহায়ক ভূমিকা রেখেছে; কেবল আমদানি বা বিনিয়োগ কমিয়ে নয়।
উৎপাদনশীল বিনিয়োগ না করলে বিদেশী ও অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ দাতাদের মধ্যে আস্থাহীনতা বাড়তে পারে, এফডিআই, প্রাইভেট ও সরকারি ক্ষেত্রে প্রভাব পড়তে পারে, অবকাঠামোগত ব্যয়ের ধীরতায় উৎপাদন খরচ বাড়তে পারে। ফলে রফতানি-পণ্য কম প্রতিযোগী হবে; দরিদ্র ও মাঝারি শ্রেণীর ওপর আগামীকালে চাপ পড়লে সামাজিক নিরাপত্তা চাহিদা বাড়বে- এতে দীর্ঘমেয়াদে সরকারের ব্যয় আরো বাড়তে পারে। স্বল্পমেয়াদে রিজার্ভ বাড়লে অর্থনৈতিক ধাক্কা প্রতিহত করার সামর্থ্য বাড়ে কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে উৎপাদনশীল বিনিয়োগ কাটা হলে প্রবৃদ্ধি ও আয়-উৎপাদন কমতে পারে, ফলে রেমিট্যান্স ও রফতানি ধারাও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই কেবল রিজার্ভ বাড়ানোর জন্য বিনিয়োগ কাটা কার্যকর নীতি নয়।
সুতরাং, রিজার্ভ বাড়ানোর লক্ষ্য ও আর্থিক বৃদ্ধির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার ব্যবস্থাগুলো অব্যাহত রাখতে হবে। আরএমজির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে জুতা, চামড়া, সামুদ্রিক খাদ্য ও প্রযুক্তিভিত্তিক রফতানি বাড়াতে নীতিগত সহায়তা, স্পেশাল-ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগ আনার চেষ্টা, রাজস্ব ও ট্যাক্স রিবেট প্রবর্তন এবং ল্যান্ড এবং ইনফ্রা-প্যাকেজিংয়ের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি মূলধনপ্রবাহ বাড়াতে হবে। অনুৎপাদনশীল ব্যয় বন্ধ করে প্রকল্প নির্বাচন ও প্রবৃদ্ধিসহায়ক বিনিয়োগ অক্ষুণ্ণ রাখতে হবে। সর্বোপরি, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ টার্গেট স্পষ্টভাবে ঘোষণা করে, সমন্বিত আর্থিক কৌশল নিতে হবে। শেষ পর্যন্ত যে নীতিই নেয়া হবে সেটি ‘স্বল্পমেয়াদি আর্থিক নিরাপত্তা’ এবং ‘দীর্ঘমেয়াদি অর্থবৃদ্ধি’র মধ্যে ভারসাম্য বিবেচনায় নিয়ে মূল্যায়ন করা দরকার।
লেখক : অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও কলামিস্ট