সুন্দরবনের সাথে অসুন্দর আচরণ নয়

সুন্দরবন তো তাদের সবার, সব বাঘ, বানর, কুমির, পশুপাখি, মাছ, শামুক, শালিকের। তাদের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ করা মানে সুন্দরবনের সাথে অসুন্দর আচরণ করা। আর এর অশুভ পরিণতি বলাই বাহুল্য।

বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে সুন্দরবনের বাঘ, কুমির ও শেয়াল মোর্চা অদ্ভুত আচরণে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে বলে মিডিয়ায় গেল দু’সপ্তাহে বেশ কিছু নিবন্ধ ও সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। পরিবেশবাদীরা আঁচ করছেন, মবোক্রেসি বা ‘মার্চ ফর খাবারদাবার’ কিংবা ‘নিরাপত্তাহীনতার প্রতিবাদে অবস্থান ধর্মঘট’ টাইপের কিছু করতে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যের মধ্যে তোড়জোড় শুরু হয়েছে, যা বেশ উদ্বেগজনক, খোদ সুন্দরবনে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ হওয়ার আগে। গত ১২ অক্টোবর দিবাগত রাত ২টার পর ঢাকার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শ্রীলঙ্কা থেকে আসা একটি বিমানের চাকার ভেতর একটি শেয়াল ঢুকে পড়ার ঘটনা চরম নাশকতার টেস্ট কেস বলে উড়িয়ে দেয়া যায় না।

শেয়ালের এ ধরনের কার্যকলাপে সুন্দরবনের বাঘ, বানর, হরিণ ও কুমির (বাবাহকু) পর্ষদ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। শেয়ালটির নাম জানা গেছে যে, সে বাবাহকু সংসদের অধ্যক্ষ শিয়ালেন্দু মামাইয়ার মাসতুতো ভাগ্নে হকুরা হাকাবান। সে বাবাহকুর বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের ঢাকাকেন্দ্রিক হুক্কাহুয়া সংগঠনের সদস্য। একসময় উত্তরপন্থী অনুশীলন চক্রের সদস্য ছিল। সুন্দরবনের সংসদ বনে জঙ্গলের অধ্যক্ষ শিয়ালেন্দু মামাইয়ার সাথে মাঝে মধ্যে তার উড়ো বাতাস বার্তার মাধ্যমে যোগাযোগ হতো। বাবাহকুর প্রেসিডিয়াম প্রধান বাঘ সম্প্রদায়ের বর্ষীয়ান নেতা সুন্দর মিয়া বিষয়টি জানেন। বিমানের চাকার ভেতর ঢুকে নাশকতার পরিকল্পনার জন্য সুন্দরবনের শেয়াল সম্প্রদায়ের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। শিয়ালেন্দু মামাইয়ার থেকে এ ব্যাপারে একটি বিবৃতি প্রত্যাশা করা হয়েছে। হকুরা হাকাবান খোদ ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে কেন বেছে নিলো- এ নিয়ে কঠোর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন সুন্দর মিয়া। কেননা, বাংলাদেশ বেসামরিক কর্তৃপক্ষের এয়ারপোর্ট ব্যবস্থাপনা যখন আন্তর্জাতিক সুনাম ও স্বীকৃতি অর্জন করতে যাচ্ছিল, তখন এ চক্রান্ত কেন? কেন বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড? এর সাথে বিশ্ব শান্তি পুরস্কার প্রাপ্তির এক দাবিদার ব্যক্তির বঞ্চনা বক্তব্যের কোনো যোগসূত্র আছে কিনা সেটি খতিয়ে দেখা দরকার মনে করেন শেয়াল সঙ্ঘের সভাপতি সুদানু সুদাইয়া। গতকাল কচিখালিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ধরনের পাল্টা অভিযোগের পরিবেশ সৃষ্টির পাঁয়তারা শনাক্ত করা দরকার বলে দাবি করা হয়েছে। বেবিচকের (বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ) বিবেচনায় এটি ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সুখ্যাতি অর্জনের পথে বাড়া ভাতে ছাই দেয়ার শামিল কিনা বুঝতে চাওয়া হয়েছে। বেবিচক ঢাকা বিমানবন্দরে পাখি, শেয়াল প্রভৃতির অনুপ্রবেশ ঠেকাতে অনেক ব্যবস্থা নিয়েছে। তিন স্তরের নিরাপত্তাবলয় ভেদ করে শেয়ালটির বিমানের চাকায় ঢুকে পড়ার ঘটনা বেবিচককে তাদের কর্মব্যবস্থাপনায় ব্যাপক সংস্কারের আই ওপেনকারী বলে যখন বলা হচ্ছে, তখনই কার্গো ভিলেজের ঘটনা ঘটল, নাকি ঘটানো হলো সেটিও খতিয়ে দেখা দরকার। এটি কি প্রকৃতির প্রতিবাদ হিসেবে দেখা হবে? সুন্দরবনের শেয়াল সংঘ মনে করে, তাদের সম্প্রদায় ‘পণ্ডিত শ্রেষ্ঠ’, ‘চালাক-চাতুর্য’ এবং ’ধূর্ত বাহাদুর’ তিন পর্যায়ে ডিপ্লোমা দেয়ার নিয়ম রয়েছে। পাণ্ডিত্যে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে ডিগ্রি পাওয়া শিয়ালেন্দু মামাইয়া আজ সুন্দরবন সংসদের অধ্যক্ষ।

সম্প্রতি কতিপয় কুমিরের আদিখ্যেতায় সুন্দরবনের কুমির কোটারি কর্তৃপক্ষ বেশ বিব্রত। লোকালয়ের একটি প্রভাবশালী পত্রিকার পরিবেশবিদ শিরোমণি এক আঁতেল কি মনে করে সুন্দরবনের করমজল এলাকার এক কাঁকড়া শিকারি কিভাবে কুমিরের পেটে গেল তার বিবরণ ছেপেছেন। এমন একটি হৃদয়বিদারক ঘটনার সাথে সরাসরি সংশ্লিষ্ট কুমিরের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে, কেন তার এই ভিমরতি। কাকুরা কুমিরা নামের কুমিরটি কর্তৃপক্ষের কাছে করজোড়ে মাফ চেয়ে জানিয়েছে, বেশ কিছু দিন যাবৎ করমজল এলাকায় খাবার সন্ধানে গিয়ে তাকে ব্যর্থ মনোরথ হয়ে ফিরতে হচ্ছিল। তার সংসারে সাত সন্তান আর শিয়ালেন্দু মামাইয়ার ১০ ছানা প্রশিক্ষণের জন্য পুষতে রাখা হয়েছে। এমপিওভুক্ত না হয়েও কাকুরা তার কৈফিয়তপত্রের উপান্তে এটিও উল্লেখ করেছে, একদিকে তারা না খেয়ে মারা যাচ্ছে, অন্যদিকে তাদের খাবার খাদ্য মাছ ও কাঁকড়া রফতানি করে পয়সা আয় করে পাচারের চেষ্টা চলছে। জলবায়ু উষ্ণতা আর লোনা জলের আকালে কুমিরদের দৈনন্দিন জীবনযাপন যেখানে দুর্বিষহ হয়ে উঠছে, তখন বিদেশ থেকে তহবিল এনে কৃত্রিম কুমির চাষ প্রকল্পের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। ক্লাইমেট ফান্ডের টাকা এভাবে নয়ছয় করার প্রতিবাদ হিসেবে করমজল এলাকার নিরীহ কাঁকড়া নিধনকারী সুখেনকে সে তার বন্ধুদের কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছিল। কাকুরা আরো উল্লেখ করেছে, ‘বেশ কিছু দিন সুখেনদেরকে আমরা টার্গেট করছি- কেননা, তারা এ এলাকার ছোটখাটো মাছ, কাঁকড়া সাবাড় করেই চলেছে। আমরা এসব খাদ্য খাবারের ওপর নির্ভরশীল। তাই সুখেনকে তার বন্ধুদের থেকে একটু হালকা দূরে পেয়েই তার পা ধরে দেই টান এবং সফল হই। তবে তাকে টেনে নিজের বাল বাচ্চাদের খাওয়াব- এ ইচ্ছা আদতে আমার ছিল না। কিন্তু আমি অসহায় অপারগ হয়েই এ কাজ করেছি। আমাদের খাদ্য বাজেটে লোকালয়ের চালাক চতুরদের খাবলা দেয়ার প্রতিবাদেই আমি এটা করেছি।’

হাড়বাড়িয়ার সুন্দরবনের প্রাণীদের জন্য একসময় একটি অভয়াশ্রম ছিল। বেশ কয়েক বছর ধরে সেখানে পর্যটন ও সুন্দরবন পর্যবেক্ষণের নামে বেদখলের পাঁয়তারা চলছে তো চলছেই। বানরদের সমিতি প্রধান বানরিয়া সংসদ ‘বনে-জঙ্গলে’র বিশেষ অধিবেশনে একটি বিবৃতিতে বলেছেন, হাড়বাড়িয়ার আশপাশে জায়গাজমি বেদখল হয়ে যাচ্ছে। এখানেই আমাদের শিশু বানরদের ক্যাডেট কলেজ জাতীয় প্রশিক্ষণ পরিবেশ গড়ে উঠছিল। এখন হাড়বাড়িয়া যারা আসে তারা প্রথমে আমাদের বানরশিশুদের উত্ত্যক্ত করে। বানরিয়ার এই বিবৃতি শুনে সুন্দর মিয়া বনের বাঘ সংঘের সদস্যদের বলেছেন, ‘তোমরা মাঝে মধ্যে হাড়বাড়িয়া টহলে যাইবা’। গত বছর নভেম্বর মাসে মনে হয় সুন্দরবন নিয়ে ভাবেন-লিখেন সেই পরম বন্ধুজন তার পরিবার-পরিজন সহকর্মী বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে মোংলা পোর্ট থেকে হাড়বাড়িয়ায় আসেন।

কোস্টগার্ডের বড় কর্মকর্তারাও সেদিন হাড়বাড়িয়ায় আসেন। সুন্দর মিয়ার গোয়েন্দা দফতরের আগাম তথ্যে ভুল ছিল- গোয়েন্দাদের হাজার হাজার ভুল ক্রিয়াকলাপের মাশুল দিতে হয়েছে অনেক ক্ষমতাধরকে। হাড়বাড়িয়ার ওই লেখক সুহৃদ ও কোস্টগার্ড কর্তৃপক্ষের আগমনের তারিখ এক দিন এগিয়ে ভুল সঙ্কেত দেয়া হয়। যার ভিত্তিতে একটি বুদ্ধিমান বাঘ (যার নিখিল সুন্দরবন ইনস্টিটিউট অব রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার্স থেকে অর্জিত ডিপ্লোমা ডিগ্রি আছে) হাড়বাড়িয়ায় পরিদর্শনে যান আগের দিন। সেখানে কিছু পায়ের ছাপ রেখে আসা ছাড়া তার আর কোনো উপায় ছিল না। সুহৃদ সাহেব ও তার সঙ্গীদেরকে হাড়বাড়িয়ার কর্মকর্তা ও তার চৌকিদাররা সেই পায়ের ছাপ দেখিয়ে বলেছিলেন, গতকালই বাঘটি এসেছিলেন কিন্তু স্যারকে না পেয়ে মন খারাপ করে চলে গেছেন। কিন্তু আশপাশে থাকতে পারেন এই ভয় দেখিয়ে ওই দিন বড় কর্মকর্তাদের বিশেষ সতর্কতা অন্বেষণের অবকাশ সৃষ্টি করেছিলেন। বাঘটি এসেছিলেন সুন্দর মিয়ার একটি বিবৃতি দিতে, যাতে সুন্দর মিয়া বাঘ সম্প্রদায়ের দুর্দিন-দুর্দশার কথা তুলে ধরেছিলেন। ঠিক এ ধরনের আরো একটি বার্তা পৌঁছানোর জন্য। গত ১২ অক্টোবর একটি সিনিয়র বাঘ (সংসদীয় কমিটির প্রধান প্রকৃতির, বাবাহকুর যুগ্ম সচিব পর্যায়ের) হাড়বাড়িয়ায় ভিজিটে আসেন। আজকাল মোবাইল ফোনেও ভিডিও ধারণ করা হয়, বাঘটি সরাসরি কাঠের পাটাতনের উপরে উঠে সামনের দিকে এগোতে চাইছিলেন- ‘বাঘ বাঘ, এই যা-যা’ খেদানো শব্দ উচ্চারণ করে এবং কয়েকটি বন্দুকের ফাঁকা গুলি খরচ করে তাকে ভাগিয়ে দেয়ার চেষ্টা চলে, ইউটিউবে যা দেখা গেছে। পরের দিন বাবাহকুর সদর দফতরের প্রেস উইং থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাঘটি, যার নাম ‘সুন্দরিয়া সনুনিয়া’ কিছুটা অপমান বোধ করে ফিরে এসেছেন। তিনি গিয়েছিলেন এ কথা বোঝাতে যে, তারা ইদানীং তেমন ভালো নেই। লোকালয়ে কবে সুদিন আসবে, তাদের আয় উন্নতি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার ভোল পাল্টাবে- এই অপেক্ষায় থাকতে থাকতে তাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। সুন্দরিয়া সনুনিয়ার এমন অপমানজনকভাবে ফিরে আসার বিষয়টি ইতোমধ্যে সুন্দর মিয়ার কাছে রিপোর্ট করা হয়েছে।

গতকাল সুবিদখালি অবকাশকেন্দ্র থেকে এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে সুন্দর মিয়া এ প্রসঙ্গে জানান, ‘নিজের টাকায় অনেক কিছু করার কথা শোনা যায় লোকালয়ে; কিন্তু সুন্দরবনের পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষার জন্য বিদেশী টাকা পেয়ে তা খরচের কোনো উপলক্ষ তো দেখি না, সবই বাহানা। কয়েক বছর আগে খোদ সুন্দরবনের শেওলা নদীতে তেলবাহী জাহাজ ফুটো হয়ে অনেক তেল ছড়ালে ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়েছিল বনের প্রাণিকুল। সে ব্যাপারে কেউ কোনো কথা রাখেনি। কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কঠিন শর্তে কয়লা আমদানি চলছে। তা আসবে সুন্দরবনের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া শিবসা, পশুর নদী দিয়ে। আকরম পয়েন্টের ওখানে যদি ডিপ সি পোর্টটা হতো তাহলে অন্তত সুন্দরবন অভ্যন্তরের নৌপথ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে রেহাই পেত। নানা সঙ্কট, পরিবেশ বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে ক্লাইমেট চেঞ্জে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া বাংলাদেশ অংশের সুন্দরবনের। আত্মঘাতী ব্যবস্থা আর কারে বলে। সুন্দর মিয়া মন্তব্য করেন, নামে কিবা এসে যায়। বার্মা এখন মিয়ানমার। বোম্বাই হয়েছে মুম্বাই। এমনকি এই সেদিন তুরস্ককে ‘তুর্কিয়ে’ বলে ডাকার কথা বলেছেন জনাব এরদোগান।

রায়মঙ্গল আর কালিন্দির মোহনায় ট্রলার মালিকরা এখন বেশ উদ্বিগ্ন। সমুদ্র উত্তাল। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস আজকাল তাদের শুনতে হয় না। দুই নদীর মোহনা দুদেশের সীমান্ত বাংলাদেশ ও ভারতের। এখান থেকে ঢাকা দিল্লির দূরত্ব অনেক। কিন্তু ট্রলার মাঝি সোবহান আর নরেন ব্যাপারটি দেখে অন্যভাবে। সোবহানের বাড়ি বাংলাদেশের শ্যামনগরের সাপখালি আর নরেনের বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের শমসের নগরের কাটাখালিতে। তাদের ট্রলারে বাংলাদেশের পতাকা যেমন আছে, তেমনি আছে ভারতের পতাকাও। এ রকম রাখার কারণ, তারা এমন জল সীমানায় মাছের সন্ধানে ফেরে যেখানে মাছেরা আন্তর্জাতিক, তাদের পাসপোর্ট, ভিসা চেক করার মতো বোকামির বিষয় আর নেই। একই নদীর দু’টি ধারা গঙ্গা-যমুনা যেমন, তেমনি সোবহান-নরেনের পেশার মধ্যে নেই তেমন ব্যবধান। এখানে ভারতীয় রুপি আর বাংলাদেশের টাকার পার্থক্য প্রযোজ্য নয়। এখানে মাছেরা মনে দুঃখ পাবে যদি তাদের ন্যাশনালিটি নিয়ে কেউ কোনো প্রশ্ন তোলে। ভারত না ইন্ডিয়া এখানকার মাছেরা এই তর্কাতর্কির কিছুই জানে না। যেমন তারা জানে সুন্দরবন, তা বাংলাদেশ ভাগের হোক আর ভারতের ভাগে হোক- সুন্দরবন তো তাদের সবার, সব বাঘ, বানর, কুমির, পশুপাখি, মাছ, শামুক, শালিকের। তাদের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ করা মানে সুন্দরবনের সাথে অসুন্দর আচরণ করা। আর এর অশুভ পরিণতি বলাই বাহুল্য।

লেখক : অনুচিন্তক