বছরের ৩৬৫ দিনের মধ্যে ১৫ সেপ্টেম্বরকে বিশ্ব গণতন্ত্র দিবস হিসাবে কেন বেছে নেয়া হলো অগণতান্ত্রিক এই স্থানকালপাত্রে, পাবনার পলা মিয়ার তা কিছুতেই মাথায় ঢোকে না। তার বন্ধু-বান্ধবরা এ নিয়ে বিস্তর হাসাহাসি করে। হেমায়েতপুরের কাছে বাসাবাড়ি পলারের। পাগলা গারদে গণতন্ত্রের চাচাত মামাত ভাইরা যে কালেভদ্রে কেউ আসে নাই, তা তো নয়। কিন্তু হেমায়েতপুরের পাশের গলির বাসিন্দা পলা সরকার বা পলা গভর্নমেন্ট গণতন্ত্র নিয়ে কেন এত মাথা ঘামায় ভূ-ভারতের কেউ তা বুঝতে পারে না। বছর চারেক আগে মার্কিন পার্লামেন্টে গণতন্ত্রের মোড়লিপনা নিয়ে সমসাময়িক বিশ্বের এক নেতা মার্কিনিদের বলে এসেছিলেন- গণতন্ত্রকে নিয়ে আমরা (ভারত) আর মামুরা (মানে মার্কিনিরা) যা বলব তাই হবে। মার্কিনিদের পূর্বপুরুষরা গণতন্ত্রের কুরসিনামায় যা বলেছিলেন (গভর্নমেন্ট অব দ্য পিপল, ফর দ্য পিপল অ্যান্ড বাই দ্য পিপল) তাতে আর চলে না- প্লেটো অ্যারিস্টটলসহ সব পণ্ডিতের ওপর কথা আমাদেরটাই থাকবে। গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ আর ভবিষ্যতের গণতন্ত্র নিয়ে নির্বাচনী ইশতেহারের মতো ভূ-রাজনীতির ভায়রাভাইদের নতুন বয়ান শুনল বিশ্ব, তবে ভালো শুনতে পায়নি শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ ও অতি সাম্প্রতিক নেপালিরা।
ভারতীয় নেতা আরো বললেন, ‘আমাদের আমলে আমরাই ঠিক, আপনারা মার্কিনিরা সাইজে বড় (গফরগাঁওয়ের বেগুনের মতো) আর আমরা উপমহাদেশীয়রা বয়সে প্রবীণ’- পুরান চালে ভাত বাড়ে। যদিও আশপাশের সংসারে নতুনদের দারুণ উত্থান, অনেক সংসারে ভাঙনের সুর শোনা যাচ্ছে, তথাপি অন্তত গলার জোরে (যেহেতু চোরের মার বড় গলা) আমরা বলতে পারি গণতন্ত্রের গলার হার খুলে নেয়ার আগ পর্যন্ত সচল থাক গণতন্ত্রের গলাবাজি।
পলা সরকার গণতন্ত্রকে নিয়ে গান কবিতা লেখেনি বটে, তবে গণতন্ত্রের কুরসিনামা রচনায় হাত দিয়েছিল। কিন্তু মতিহার চত্বরের সেই সুন্দরী রমণীর প্রেমে পড়ে শেষ পর্যন্ত পারেনি। কারণটিও অগণতান্ত্রিক। গণতন্ত্র নিয়ে ভাব-ভাবনার এখতিয়ার সবাইকে দেননি বিধাতা। এখন গণতন্ত্রকে নিয়ে কিছু বলতে হলে এনআইডি, পাসওয়ার্ড ও পিন নম্বর লাগবে। পলা সরকারের বয়স এখন ৭৫। তবে এনআইডিতে বাবা মার নামে ভুল; তাতে যদিও কিছু যায় আসে না- আবার আসে, তবে ৭৫ বছরের হিসাব মেলে না। জন্মতারিখ যখন লেখা হয় ১৫ সেপ্টেম্বর ১৯৫৩। ১৫ সেপ্টেম্বর যে বিশ্ব গণতন্ত্র দিবস সেটি মনে করার জন্য কিনা জানা যায়নি। প্রমত্তা পদ্মা-বিধৌত পাবনা আর যমুনা-বিধৌত সিরাজগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী মাটি ও মানুষের মধ্যে মেধার সম্মিলন ঘটেছে বারবার। জাদববাবুর পাটিগণিত এ এলাকার অহঙ্কার। যা হোক পলা সরকারের গণতন্ত্র চর্চা একটি কায়িক রূপ নিতে পারে, সে সুবাদে খোদ গণতন্ত্রের একটি শুনানি নিলে কেমন হয়?
‘আমি গণতন্ত্র, সবাই আমাকে বিতর্কিত করতে ভালোবাসে আবার প্রশংসাও করে। পড়–য়া পণ্ডিত আর ভালোমন্দ রাজনীতিবিদরা আমাকে পদ্ধতিগতভাবে নির্বাচনী এবং বিস্তৃতভাবে বস্তুগত ও সাামাজিক উভয়ভাবেই ব্যবহার করেন। সবাই ভাবেন জনগণই ক্ষমতার উৎস কিন্তু এখন গাদা বন্দুক নয়, সুপারসনিক মিসাইল বানিয়ে বেচাকেনা করে বিশ্বক্ষমতা দখলের উপায় নির্দিষ্ট হচ্ছে। সব কাজই যদিও হয় জনগণের দোহাই দিয়ে, সেই জনগণকে ঠিকই পাশ কাটিয়ে, মেরে শেষ করতে কসুর করে না গুটিকয়েক জনই জনগণ সেজে; তারা সাক্ষী বা গিনিপিগ বানিয়ে আমাকে প্রতিষ্ঠা করতে চান। জোসেফ শুম্পেটার (১৯৪২) তার ‘পুঁজিবাদ, সমাজতন্ত্র এবং গণতন্ত্র’ গ্রন্থে আমাকে ‘রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর জন্য প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা, জনগণের ভোটের জন্য প্রতিযোগিতামূলক সংগ্রামের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা অর্জন’ বলে সাফাই গেয়েছেন। কিন্তু রবার্ট ডাহল (১৯৭১) যদিও আমার জন্য ‘প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনে কার্যকর অংশগ্রহণ, ভোটদানের সমতা, আলোকিত বোধগম্যতা এবং অ্যাজেন্ডার নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন’ বলেছিলেন। খেয়াল করলে বোঝা যাবে ডাহল সাহেব বহুত্ব¡বাদ এবং প্রতিযোগিতার ওপর জোর দিয়েছিলেন। বেশি দিন আগে নয়, ২০১৩ সালে টমাস ক্রিশ্চিয়ানো আমাকে ‘একটি দলগত সিদ্ধান্ত গ্রহণের পদ্ধতি যা সম্মিলিত সিদ্ধান্ত গ্রহণের একটি অপরিহার্য পর্যায়ে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে এক ধরনের সমতা’ অর্থাৎ সবার সমান অংশগ্রহণ এবং ন্যায্যতার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেন। ওই বছরেই ভূগোলের এই অংশে একটি দেশে প্রত্যক্ষ করা গেল, সবাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও, ৩০০ সংসদীয় আসনের ১৫৪টিতে বিনা ভোটে প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছিলেন, অর্থাৎ ৫০ শতাংশের বেশি আসন পেয়ে নিজেরা নিজেরাই ‘সম্মিলিত সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার (সরকার গঠনের) অর্জন করেন। সে দেশের অ্যামিকাস কিউরিরা কী মতামত দিলেন হতভাগ্য ভোটাররা তা আজও জানতে পারেনি। তাহলে তখন আমার মান-সম্মান থাকল কোথায়! অথচ ল্যারি ডায়মন্ড (১৯৯৯) তার ডেভেলপিং ডেমোক্র্যাসি বইয়ে আমাকে এমন একটি ব্যবস্থা হিসেবে তুলে ধরেছিলেন ‘যেখানে নাগরিক স্বাধীনতা, আইনের শাসন এবং জবাবদিহির শর্তে প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারি নেতাদের নির্বাচিত করার’ কথা। ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনে সেই দেশেরই ছাত্র-জনতা সবাই বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে আমাকে সসম্মানে প্রতিষ্ঠার পুনঃঅধিকার অর্জন করে। ইকোনমিস্ট পত্রিকা ২০২৪ সালের সেরা অর্জনকারী দেশ হিসেবে সেই দেশকে নির্বাচন করে এবং বলে ‘বাংলাদেশ বিগিনস অ্যাগেইন’। আমার বুকটা ভরে উঠেছিল।
আমার বিবর্তনের ইতিহাসের দিকে যদি তাকান দেখবেন আমার শিকড় খ্রিষ্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দীতে প্রাচীন এথেন্সে প্রোথিত, যেখানে নাগরিকরা সরাসরি সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশগ্রহণ করত। নারী, দাস এবং বিদেশীদের বাদ দেয়া সত্তে¡ও, এথেনীয় গণতন্ত্র জনপ্রিয় সার্বভৌমত্বের ভিত্তি স্থাপন করেছিল। একইভাবে, রোমান প্রজাতন্ত্র (৫০৯-২৭ খ্রিষ্টপূর্ব) অভিজাত, রাজতান্ত্রিক এবং গণতান্ত্রিক উপাদানগুলোকে একত্রিত করেছিল, যা পরবর্তী সাংবিধানিক কাঠামোকে প্রভাবিত করেছিল। মধ্যযুগীয় ইউরোপে সমাবেশ এবং সনদের মাধ্যমে প্রতিনিধিত্বের প্রাথমিক রূপগুলো প্রবর্তন করা হয়েছিল, বিশেষ করে ম্যাগনা কার্টা (১২১৫), যা রাজকীয় কর্তৃত্বকে সীমিত করেছিল। আধুনিক যুগে আমি ১৮ শতকে আমেরিকান বিপ্লব (১৭৭৬) এবং ফরাসি বিপ্লবের (১৭৮৯) মাধ্যমে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ পাই, যা প্রতিনিধিত্বমূলক আমাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিল এবং মানবাধিকারকে সংহিতাবদ্ধ করেছিল। অতএব আমার মূলনীতি এবং প্রতিষ্ঠানগুলো এরূপ দাঁড়ায়, জনগণের সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করে যে কর্তৃত্ব তা আসে নাগরিকদের কাছ থেকে। আইনের শাসন সবার জন্য সমতা এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করে। রাজনৈতিক সমতা নিশ্চিত করে, প্রতিটি ভোটের সমান গুরুত্ব রয়েছে, অন্যদিকে জবাবদিহি এবং স্বচ্ছতা দাবি করে, সরকারগুলো তাদের নাগরিকদের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকবে। আপনারা সবাই জানেন ও মানেন যে, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে, আমি কর্তৃত্ববাদ রোধ করার জন্য নির্বাহী, আইনসভা এবং বিচার বিভাগের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ এবং ভারসাম্যের ওপর নির্ভরশীল। তাই বলে এখনো আমি সমালোচনা এবং চ্যালেঞ্জগুলো উপেক্ষা করতে পারি না। আপনারা জানেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে দার্শনিক এবং ব্যবহারিক সমালোচনারও শিকার হয়ে কালাতিপাত করছি। প্লেটো সাহেব তার ‘দ্য রিপাবলিক’ বইয়ে সতর্ক করেছিলেন, গণতন্ত্র জনতার শাসন এবং ডেমাগগদের উত্থানের দিকে পরিচালিত করতে পারে। পরবর্তীতে, জন স্টুয়ার্ট মিল (১৮৫৯) ‘সংখ্যাগরিষ্ঠের অত্যাচার’ এর বিপদ তুলে ধরেন, যেখানে সংখ্যালঘুদের কণ্ঠস্বর দমনের ঝুঁকি থাকে। তিনি উদারনৈতিক গণতন্ত্রের উত্থান চিহ্নিত করেছেন, রাষ্ট্রগুলো নির্বাচন পরিচালনা করে কিন্তু স্বাধীনতা এবং প্রতিষ্ঠানগুলোকে সীমাবদ্ধ করে, যার ফলে ‘নির্বাচনী কর্তৃত্ববাদ’ তৈরি হয়। একইভাবে, অর্থনৈতিক বৈষম্য গণতান্ত্রিক বৈধতাকে পূরণ করে, কারণ অভিজাতরা নীতিকে অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে প্রভাবিত করে। আমার পিছিয়ে পড়ার ঘটনাপঞ্জির দিকে যদি তাকান, দেখতে পাবেন যেখানে নির্বাচিত নেতাদের অধীনে প্রতিষ্ঠানগুলো ধীরে ধীরে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে অনবরত হুমকি তৈরি করে চলেছে। এই চ্যালেঞ্জগুলো জনপ্রিয়তা, দুর্নীতি এবং বিশ্বব্যাপী সঙ্কটের মুখে আমার সর্বনাশের ইঙ্গিত। যদি সময় পান ড্যারন এসিমগলু ও জেমস এ রবিনসনের ‘হোয়াই ন্যাশনস ফেল-দ্য অরিজিনস অব পাওয়ার, প্রোসপারিটি অ্যান্ড পোভারটি।’ (২০১২) বইটি পড়ে দেখতে পারেন।
তাহলে এখন আমার ভবিষ্যৎ কী? কী আছে আমার কপালে? আমার গলার হার খুলে নিতে বাকি? তবে হ্যাঁ, বিশ্বব্যাপী এবং প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়ায় আমি বিকশিত হচ্ছি মনে হচ্ছে। ডিজিটাল গণতন্ত্র ই-অংশগ্রহণ এবং অনলাইন পরামর্শকে সক্ষম করে কিন্তু ভুল তথ্য এবং নজরদারির ঝুঁকিও বাড়ায়; এটি বলে রাখলাম। পণ্ডিতরা বিশ্বব্যাপী বা বিশ্বজনীন আমার পক্ষে ওকালতি করেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং অভিবাসনের মতো বহুজাতিক সমস্যা মোকাবেলায় জাতি-রাষ্ট্রের বাইরে আমাকে বলশালী করার আহ্বান জানাচ্ছেন। অধিকন্তু, নাগরিক সমাবেশ এবং অংশগ্রহণমূলক বাজেটের মতো ইচ্ছাকৃত এবং অংশগ্রহণমূলক মডেলগুলো জনসাধারণের অংশগ্রহণের পথ প্রসারিত করছে। সরকারগুলো জলবায়ুু সঙ্কট মোকাবেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখিও হচ্ছে, যার ফলে আমার জন্য অন্তর্র্ভুক্তির সাথে জরুরি পদক্ষেপের ভারসাম্য বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তাও উঠে আসছে। তাই আমার ভালো ভবিষ্যৎ নির্ভর করতে পারে উদ্ভাবন, অন্তর্ভুক্তি এবং বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার ক্ষমতার ওপর।
সবার অবগতি ও অনুধাবনের জন্য আমার দার্শনিক ভিত্তি নির্মাণে যেসব মহামনীষী আই মিন, আমার প্রবক্তারা যা বলে গেছেন তা তুলে ধরি, যদি কিছু মনে না করেন। অ্যারিস্টটল তার পলিটিক্যাল ডিসকোর্সে আমাকে উল্লেখ করেছেন সংখ্যাগরিষ্ঠের শাসন হিসেবে, অভিজাততন্ত্র এবং রাজতন্ত্রের সাথে এর তুলনা করে। তিনি সদয় হয়ে আমাকে এমন একটি সরকার হিসেবে দেখেছিলেন যেখানে নাগরিকরা শাসন করে এবং পালাক্রমে শাসিত হয়। জ্যাঁ-জ্যাক রুশো (দ্য সোশ্যাল কন্ট্রাক্ট, ১৭৬২) বলেন, আমি মানে সম্মিলিত স্ব-শাসন। নাগরিকদের কেবল তাদের নিজস্ব নির্ধারিত আইন মেনে চলা উচিত। জন স্টুয়ার্ট মিল (অন লিবার্টি, ১৮৫৯; কনসিডারেশনস অন রিপ্রেজেন্টেটিভ গভর্নমেন্ট, ১৮৬১) আমাকে এমন একটি ব্যবস্থা হিসেবে সমর্থন করেন যা ব্যক্তি স্বাধীনতা এবং সম্মিলিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ উভয়ই নিশ্চিত করে, একই সাথে ‘সংখ্যাগরিষ্ঠের অত্যাচারের’ বিরুদ্ধে সতর্ক করে। জন ডিউই (১৯৩৯) আমাকে একটি নৈতিক আদর্শ এবং যোগাযোগ, সহযোগিতা এবং শিক্ষার ওপর ভিত্তি করে জীবনযাপনের একটি উপায় হিসেবে দেখেছিলেন। উইনস্টন চার্চিল (১৯৪৭, হাউজ অব কমন্সে) বলেন, ‘আমি হলাম সবচেয়ে খারাপ সরকারব্যবস্থা, অন্য সব রূপ ছাড়া যা পরীক্ষিত হয়েছে।’ তা তো তিনি বলবেনই। তার নোবেল পুরস্কার ফেরত নেয়া দরকার। তবে ভালো কথা আমার ত্রুটিগুলো স্বীকার করে, বিকল্পগুলোর তুলনায় শ্রেষ্ঠত্ব স্বীকার করে নেলসন ম্যান্ডেলা আমাকে সাম্য, মর্যাদা ও মানবাধিকারের সাথে অবিচ্ছেদ্য হিসেবে দেখেছিলেন। বিশেষ করে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে। অমর্ত্য সেন (১৯৯৯) মহাশয় লিখেছেন, আমি নাকি স্বাধীনতার জন্য অন্তর্নিহিতভাবে মূল্যবান ও উন্নয়নের সহায়ক। আমাকে মানব উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতির সাথে সংযুক্ত করেন তিনিই। যেমন মহাত্মা গান্ধীও- তিনি স্থানীয় স্বশাসনের (গ্রাম স্বরাজ) ভিত্তি করে একটি অংশগ্রহণমূলক ব্যবস্থা হিসেবে আমার পক্ষে ছিলেন, যেখানে নৈতিকতা, সত্য এবং অহিংসার উপর জোর দেয়া হয়।’
সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
লেখক : অনুচিন্তক