ষষ্ঠ শতকের শেষভাগে পৃথিবীতে মহানবী সা:-এর আগমন ঘটে। সপ্তম শতকের প্রথমভাগে তাঁর উপর আল কুরআন অবতীর্ণ হয়। ওই শতকের প্রথম তিন দশকের মধ্যেই গোটা সৌদি আরব আল কুরআনের ছায়াতলে চলে আসে। আর এর সফল নেতৃত্ব দেন মহানবী মুহাম্মদ সা:। তাঁর তিরোধানের পর আরবের নেতৃত্বে সমাসীন হন আবুবকর রা:। এ সময় থেকে মুসলিম সাম্রাজ্য বিস্তৃত হতে থাকে। দেশে দেশে প্রতিষ্ঠিত হয় ইসলামী শাসন। আরবের আকাশপ্রাচীর ভেদ করে ইসলাম পৌঁছে যায় আফ্রিকা ও ইউরোপে। মিসর, বাইজেন্টাইন, ইরাক ও ইরান মুসলিম সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। আফগানিস্তান ও জেরুসালেমসহ মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ মুসলিম শাসনের অধীনে আসে। সাম্র্রাজ্য বিস্তারের শুভ সূচনাকারী ছিলেন সাহাবি খালিদ বিন ওয়ালিদ রা:। হজরত উমর রা: তখন ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা। তার আমলেই মিসর মদিনা রাষ্ট্রের একটি প্রদেশে পরিণত হয়। রাজ্যের ব্যাপক বিস্তৃতির কারণে মুসলিম শাসকরা নতুন নতুন অঞ্চল গড়ে তোলেন। আধুনিক কায়রোর নিকটবর্তী ফুসতাত নামক স্থানে নতুন রাজধানী প্রতিষ্ঠিত হয়। মিসর এ সময় উমাইয়া এবং আব্বাসীয় শাসনের অধীনে পরিচালিত ছিল। ৯৬৯ সালে মিসরে প্রতিষ্ঠিত হয় ফাতেমীয় শাসন। তারা ফুসতাতের পরিবর্তে কায়রোকে নতুন রাজধানী ঘোষণা করেন।
১০০০ শতাব্দী পর্যন্ত মুসলমানদের এ বিজয় অভিযান অব্যাহত ছিল। এ সময় ইসলামী শাসন দিগন্তজুড়ে প্রসারিত হয়। এশিয়ার আকাশ ভেদ করে এ বিজয় আছড়ে পড়ে সুদূর আফ্রিকা ও ইউরোপে। রাজ্য বিস্তারের পাশাপাশি মুসলিম শাসকরা শিক্ষা বিস্তারেও মনোযোগী হন। তারা মধ্যপ্রাচ্যের মতো বিজিত আফ্রিকা ও ইউরোপে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দেন। অন্ধকার আফ্রিকা ও ইউরোপ হয়ে ওঠে জ্ঞানের আলোয় আলোকিত। কুরআন, হাদিস, আকাইদ ও ফিকহ চর্চা ব্যাপকভাবে প্রসারিত হয়। সাহিত্য, কলা আর বিজ্ঞান চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয় আজকের আধুনিক ইউরোপ। ভূগোল, গণিত আর দর্শনের বিভিন্ন শাখারও প্রভূত উন্নতি সাধিত হয় এখানে। ফলে মুসলিমদের নেতৃত্বে ইউরোপ হয়ে ওঠে জ্ঞান-বিজ্ঞানের সূতিকাগার। সামরিক শক্তিতেও মুসলিমরা পিছিয়ে ছিল না।
এ সময় আফ্রিকা ও ইউরোপে মুসলিম সামরিক বাহিনী অজেয় শক্তি রূপে আত্মপ্রকাশ করে। রাজ্যজয়, রাজ্যশাসন ও সেনাবাহিনী গঠনে মুসলমানরা অসামান্য অবদান রাখে। মুসলিমদের বিজয় অভিযানে ইহুদি-খ্রিষ্টানরা একে একে রাজ্য হারিয়ে হতাশ হয়ে পড়ে। অবশ্য অনেক ইহুদি এবং খ্রিষ্টান ইসলাম গ্রহণ করে। আর যারা ইসলাম গ্রহণ করেনি, তারা কর প্রদানের মাধ্যমে মুসলিমদের বশ্যতা স্বীকার করে নেয়। কিন্তু তাদের ভূমিতে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় তারা ক্ষুব্ধ ও ক্রুদ্ধ হয়। ভেতরে ভেতরে তারা তিক্ত, বিরক্ত আর বিচলিত। হিংসা আর ক্রোধের আক্রোশে তারা বিস্ফোরণোন্মুখ হয়ে পড়ে। অন্তর্জ্বালায় তারা দগ্ধ হতে থাকে। ফলে গোটা ইউরোপ মুসলিম শাসনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে। তারা মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর মহাপরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামে। এ ক্ষেত্রে তারা মুসলিম জাতিকে ইসলামী শিক্ষাবিমুখ করার মহাপরিকল্পনা হাতে নেয়।
এ পরিকল্পনার উদ্দেশ্য ছিল পুরো মুসলিম জাতিকে সেক্যুলার তথা ধর্মহীন বানানো। প্রথমত, তারা ইসলামের বিরুদ্ধে প্রচার ও প্রোপাগান্ডা চালাতে শুরু করে। তারা সৃষ্টি করে শক্তিশালী এক গুপ্তচরবাহিনী। এ বাহিনীর নেটওয়ার্ক পুরো মুসলিম বিশ্বে ছড়িয়ে দেয়। অল্প সময়ের ব্যবধানে তারা ইসলামী দুনিয়াকে জালের মতো ছেয়ে ফেলে। তারা সেবার নামে মুসলিমদের ধর্মচ্যুতির এক মহা ফাঁদ আবিষ্কার করে। গরিব মুসলিমদেরকে শিক্ষা ও চিকিৎসার সুযোগ করে দেয়। সেবার নামে মুসলিম তরুণ-তরুণীদের কর্মের জোগান কর্মসূচি হাতে নেয়। নিজেদের দেশে মুসলিম শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও নাগরিকত্বের ব্যবস্থা করে দেয়। অবারিত সুযোগ দেয়ার মাধ্যমে মুসলিম তরুণ-তরুণীদের মগজ ধোলাই করে। এভাবেই খ্রিষ্টানরা মুসলিম জাতিসত্তার মূলে ধর্মহীনতার বীজ বপন করে। তারা মুসলিম তরুণ-তরুণীদের সামনে উন্নতি আর প্রগতির প্রতিচ্ছবি তুলে ধরে। ছলে, বলে, কৌশলে ও বেনামে ইসলামের নেতিবাচক বিভিন্ন দিক তুলে ধরতে থাকে। তাদের সৃষ্ট এ ধর্মহীনতা মুসলিম জাতির রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করে। ইসলামের মধ্যে তারা নকল ইসলাম তৈরি করে। কাদিয়ানিয়াহ, বাহাইয়াহ, মাসুনিয়াহসহ ইসলামের মতো অসংখ্য নকল ধর্ম মুসলিম সমাজে ছড়িয়ে দেয়। সৃষ্টি করে ইসলামের নামে ব্যক্তিপূজা, মাজারপূজাসহ বিভিন্ন পূজার কারখানা। তারা ব্যাপকহারে মদ, জুয়া ও নারীর অপ্রয়োজনীয় অবাধ অংশগ্রহণ বাড়িয়ে দেয়। খ্রিষ্টানরা এ কাজগুলো অত্যন্ত দক্ষতার সাথে বাস্তবায়ন করে।
অন্যদিকে, তারা প্রকাশ্যে সামরিক ক্রুসেডেরও প্রস্তুতি নিতে থাকে। এ ক্রুসেডের ব্যাপ্তি ছিল সর্বগ্রাসী, সর্বব্যাপী ও সর্বপ্লাবী। সশস্ত্র ক্রুসেডের পাশাপাশি তারা কূটনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্রুসেডেরও আয়োজন করে। তারা একদিকে তাদের সশস্ত্র হামলা পরিচালনা করতে থাকে। অন্য দিকে, চালাতে থাকে কুটিল সাংস্কৃতিক আগ্রাসন। এহেন ধ্বংসাত্মক মানবতাবিরোধী কর্মসূচি নিয়ে তারা নিরীহ মানবতার বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এ সময় খ্রিষ্টানদের পোপ ছিল দ্বিতীয় আরবান। তিনি ১০৯৫ সালে ফ্রান্সে খ্রিষ্টান রাজপরিবারদের নিয়ে এক সম্মেলন করেন। এ সম্মেলনে তিনি মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য খ্রিষ্টান বিশ্বকে ক্ষেপিয়ে তোলেন। খ্রিষ্টানরা এ যুদ্ধকে ধর্মযুদ্ধ বা ক্রুসেড বলে থাকে। ১০৯৯ সালে জেরুসালেম দখলের মধ্য দিয়ে তারা আনুষ্ঠানিক ক্রুসেড শুরু করে এবং ১২৯১ সালে আক্রার পতনের মধ্য দিয়ে ক্রুসেডের চূড়ান্ত পরিণতি ঘটে।
১০৯৯ সালের ৭ জুন। জেরুসালেমের ইতিহাসে এক দুঃখের দিন। খ্রিষ্টান ক্রুসেডাররা ৪০ দিন ধরে জেরুসালেম অবরোধ করে রাখে। এত দিনের অবরোধে ক্রুসেডাররা রক্ত তৃষ্ণায় কাতর হয়ে পড়ে। ঝাঁপিয়ে পড়ে তারা সাধারণ মানুষের ওপর। হামলা চালায় রাস্তায়, বাজারে, বাড়িতে ও পার্কে। যাকে সামনে পায় তাকেই কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলে। মানবতাকে তারা ধুলায় মিশিয়ে দেয়। জেরুসালেমে নৃশংসতার একজন প্রত্যক্ষদর্শীর নাম রেমন্ড দ্য এজিলেস। তিনি ক্রুসেডারদের নৃশংসতার ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছেন এভাবে ‘মসজিদের বারান্দায় মানুষের হাঁটু পরিমাণ রক্ত জমে গিয়েছিল। আর ঘোড়ার লাগাম পর্যন্ত রক্ত প্রবাহিত হচ্ছিল।’
১০৯৯ সালের ১৫ জুলাই। ক্রুসেডারদের হাতে বায়তুল মুকাদ্দাস চূড়ান্ত পদানত হলো। খ্রিষ্টানরা বায়তুল মুকাদ্দাসে প্রবেশ করল। তারা মসজিদকে গির্জায় পরিণত করল। এভাবেই মুসলিম শাসনের গৌরবময় ৫০০ বছরের পতন ঘটল। এই যখন অবস্থা ঠিক তখন মুসলিম বিশ্বের খলিফারা বিলাসিতায় মত্ত ছিলেন। তারা অন্তঃপুরে নারী আর মদ নিয়ে ফূর্তিতে ব্যস্ত সময় পার করছিলেন। জেরুসালেম রক্ষায় কোনো মুসলিম শাসক তখন এগিয়ে আসেননি। তবে এ সময় মুসলিম জাতিকে উদ্ধার করতে আগমন ঘটে এক মহাবীরের। নাম তার আবু-নাসির সালাহউদ্দিন ইউসুফ ইবনে আইয়ুবী রহ:। তার নেতৃত্বেই মুসলিমরা বায়তুল মুকাদ্দাস উদ্ধার করে ছিলেন। আর জেরুসালেমকে মুক্ত ও স্বাধীন করেছিলেন।
১০৯৫ থেকে ১৩৯৯ সাল। সুদীর্ঘ এই ৩০০ বছর ধরে চলে খ্রিষ্টানদের সশস্ত্র ১০টি ক্রুসেড। ১০৯৫ সালে অনুষ্ঠিত হয় প্রথম ক্রুসেড। দ্বিতীয় ক্রুসেড শুরু হয় ১১৪৫, আর শেষ হয় ১১৪৯ সালে। তৃতীয় ক্রুসেড চলেছিল ১১৮৯ থেকে ১১৯২ সাল পর্যন্ত। চতুর্থ ক্রুসেডের সময়সীমা ছিল ১২০১ থেকে ১২০৪ সাল পর্যন্ত। পঞ্চম ক্রুসেডের মেয়াদ ছিল ১২১৭ থেকে ১২২১ সাল পর্যন্ত। ষষ্ঠ ক্রুসেড শুরু হয় ১২২৮ সালে। সপ্তম ক্রুসেড অনুষ্ঠিত হয় ১২৪৮ সালে আর শেষ হয় ১২৫৪ সালে। অষ্টম ক্রুসেড চালানো হয় ১২৭০ সালে। নবম ক্রুসেড সংঘটিত হয় ১২৭১-৭২ সালে। দশম ক্রুসেড পরিচালিত হয় ১২৮১ সালে। আর শেষ হয় ১২৯১ সালে।
প্রতিটি ক্রুসেডে খ্রিষ্টানরা মুসলিম ও ইহুদিদের উপর চালায় বেপরোয়া নিষ্পেষণ ও নিপীড়ন। চালায় মুসলিমদের উপর অকথ্য নির্যাতন ও অত্যাচার। ক্রুসেডের ব্যয় নির্বাহ করতে তাদের প্রয়োজন হয় ব্যাপক অর্থের। এ অর্থ সংগ্রহে তারা ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে প্রচারিত প্রোপাগান্ডাকে বিনিয়োগ হিসেবে কাজে লাগায়। বোকা আর মগজ ধোলাইকৃত তথাকথিত শিক্ষিত মুসলিমরা এ বিনিয়োগের পণ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। মাথামোটা, লোভী মুসলিম শাসকরা পরিণত হয় তাদের বিনিয়োগের লাভজনক মার্কেট হিসেবে। ফলে মধ্যপ্রাচ্যসহ মুসলিম বিশ্ব ইউরোপীয়দের একনিষ্ঠ ভৃত্যে পরিণত হয়। খ্রিষ্টান বিশ্ব পেয়ে যায় একনিষ্ঠ গোলাম সহচর। অন্য দিকে, উলামাখ্যাত কিছু ব্যক্তি ব্যস্ত থাকেন ফতোয়াবাজি নিয়ে। আর কিছু অংশ ব্যস্ত হয়ে পড়েন রাজনীতি হারাম সেøাগান নিয়ে। অনেকে মগ্ন হয়ে পড়েন অতি অন্ধ আধ্যাত্মিকতার ধ্যানে। একটি শ্রেণী তাবিজ তুমারি পেশা বেশ জমিয়ে তোলেন। আলেমরা একে অপরের শত্রুতে পরিণত হয়ে পড়েন। শত্রুতার এ ধারা মুসলিম দুনিয়ায় এখনো চলমান। এসব আলেম শ্রেণী ইসলামের উন্নত জ্ঞান-গবেষণা থেকেও নিজেদেরকে গুটিয়ে নেন। জ্ঞান-গবেষণা আর আবিষ্কারের দায়িত্ব তারা দিয়ে দেন খ্রিষ্টানদের হাতে। ফলে তারা গবেষণাবিমুখ পরনির্ভর জাতিতে পরিণত হয়। সংখ্যাগত দিক থেকে বর্তমান বিশ্বে মুসলিমরা দ্বিতীয় বৃহত্তম জনগোষ্ঠী। দেশের সংখ্যা ৫৭। প্রাকৃতিক সম্পদেও তারা পিছিয়ে নেই। কিন্তু তাদের মধ্যে সময়োপযোগী জ্ঞান-দর্শন ও ঐক্য অনুপস্থিত। মিডিয়া সন্ত্রাসে জর্জরিত গোটা মুসলিম দুনিয়া। মিডিয়ার বয়ানে প্র্যাকটিসিং মুসলিম মানেই হলো জঙ্গি, চরমপন্থী, মৌলবাদী ও সন্ত্রাসী। এগুলো ডিফেন্ড করতে করতে মুসলিমরা আজ ক্লান্ত। নিজেদের মানচিত্র রক্ষা আর নিজেকে অসা¤প্রদায়িক প্রমাণ করতেই মুসলিমদের সময় শেষ। যার সবচেয়ে বড় সাক্ষী বাংলাদেশ। সাদিক কায়েম আর ফরহাদরা মিডিয়ার জবাব দিতে দিতে এক বছর পার করল। কিন্তু এই প্রোপাগান্ডার যেন শেষ নেই। এ সবই উল্লিøখিত ক্রুসেডারদের প্রজেক্ট। যা বুঝে বা না বুঝেই বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে তথাকথিত মুসলিম নামধারী মিডিয়াম্যান। একদিকে মিডিয়া আগ্রাসনের শিকার মুসলিম বিশ্ব। অন্যদিকে সমরাস্ত্রের ভয়ে ভীত মুসলিম দুনিয়া। উল্লেখযোগ্য কোনো ডিফেন্সিভ মিডিয়া ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মুসলিমদের নেই। সব জাতি-গোষ্ঠীর পারমাণবিক বোমা বানানোর অধিকার থাকলেও মুসলিমদের সেটি নেই! তাই বলা যায়- ত্রয়োদশ শতাব্দীতে ক্রুসেডের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটলেও অনানুষ্ঠানিক ক্রুসেডের সমাপ্তি এখনো ঘটেনি। ক্রুসেডীয় চেতনা থেকে খ্রিষ্টীয় ইউরোপ আজো ফিরে আসতে পারেনি। খ্রিষ্টান বিশ্বের মগজ ও মানসিকতা ক্রুসেডীয় আচরণে এখনো পরিপূর্ণ। এর বাস্তব প্রমাণ ইসরাইল কর্তৃক ফিলিস্তিনে নির্মম ও অমানবিক ঔদ্ধত্যপূর্ণ নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞ। বিশ্বকে বৃদ্ধাঙ্গুল প্রদর্শন করে ক্রমাগত নিরস্ত্র নিরীহ ফিলিস্তিনিদেরকে তারা হত্যা করে যাচ্ছে। এটিকে তারা ক্রুসেডই মনে করে।
লেখক : অধ্যাপক, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া