আমরা রাজনীতিক নই। ‘রাজনীতি’ বুঝি কম, জানিও কম। তবে বিজ্ঞজনরা স্নেুহবশত কখনো আমাদেরকে সমাজের শিক্ষক বলে অভিহিত করেন। বুঝতে পারি না, এটা কতটা সত্য বা সত্য নয়। তাই শিক্ষক পরিচয়ে পরিচিত হতে যথেষ্ট সঙ্কোচ বোধ করি।
পেশাগত কারণে, প্রতিদিন আমাদের নতুন-পুরনো নানা বিষয় উল্টেপাল্টে দেখতে হয়। তখন সমাজ রাষ্ট্রের অনেক বিষয় নিয়ে সঙ্গতি ও অসঙ্গতি নজরে আসে এবং সমাজের বাস্তবতা টের পাই। ক্ষেত্রবিশেষে অনেক বিষয় সম্পর্কে খানিকটা ওয়াকিবহাল হতে হয় এবং কিছু অজানা তথ্য উন্মোচিত হয়, কিছু জ্ঞানও অর্জন হয়। সব দেখেশুনে কখনো খুশি হই, কখনো দুঃখ পাই বা বেজার হই। রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের চেহারা, সময়ের নানা কথাবার্তা এবং অঙ্গীকার ও শপথের হেরফের দেখে বিস্ময়ে বিমূঢ় হই। তখন এমনটি ভাবতে হয়, পদ-পদবির সাথে তাদের কথাবার্তা সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
যৌক্তিক কারণেই আমাদের বলা হয়, ‘জ্যাক অব অল ট্রেড’। সংবাদকর্মীদের সব কিছুই অল্পবিস্তর জানতে হয়। এ কথা অনস্বীকার্য যে, আমরা সবজান্তা নই। মজার বিষয়, যখন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনো মাস্টারের মতামত জানতে চাই, তখন অনেক ‘এক্সপার্ট’ মতামত দেন বটে, তবে অনেকেই নাম প্রকাশে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন। এটি নিছক ভয়জনিত।
তথাকথিত গণতান্ত্রিক সমাজের অসহিষ্ণুুতা কত গভীরে এটি তারই প্রতিফলন। অথচ রাষ্ট্রীয় বিধান আছে- সংবাদকর্মীদের তথ্য দিতে হবে। কিন্তু তথ্য দিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নানা টালবাহানা করেন। প্রয়োজনের সময় প্রায়শ যখন তথ্য পাওয়া যায় না, তখন সেটি আর তথ্য থাকে না। যেমন বরফ গলে পানি হলে সেটিকে বরফ বলা চলে না। পোকায় কাঁটা গণতন্ত্রের এমনই হাল, বিশেষ করে আওয়ামী জমানায়। শুধু গত ১৫ বছরই নয়, স্বাধীনতার ৫২ বছরের অধিকাংশ সময়ই দলটি এদেশকে শাসন-শোষণ আর গণতন্ত্র হরণ করেছে। আওয়ামী নামক এক অপশক্তির দুঃশাসনে শুধু গণতন্ত্র নয়, অনেক কিছুই হারাতে হয়।
‘গৌরচন্দ্রিকা’ আর বাড়াব না। আমরা কথা বলব সেটি হলো- নিজেদের হাতে তৈরি পবিত্র গ্রন্থ, যা দেশের সর্বোচ্চ আইনগ্রন্থ সেই সংবিধান নিয়ে। লীগ শাসনামলে বহু ব্যবচ্ছেদে সংবিধান এমন এক বিকৃত রূপ নিয়েছে, যেটিকে এখন ওয়েস্ট পেপার বলা চলে। এটি এখন আর কোনোভাবেই চলনসই নয়। এ ছাড়া ওই আমলে সংবিধানকে কতটা অবজ্ঞা-অবহেলা, উপেক্ষা করা হয়েছে তারও ইয়ত্তা নেই। সবাই জানেন, দেশে এখন ভোটের হাওয়া বইছে। অনেকের মনে কিছুটা সংশয় আছে; কিন্তু এই মুহূর্তে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। সুষ্ঠু ও সময়ের অনিবার্যতায় নির্বাচনের স্বার্থে সবাইকে একসাথে ও অভিন্ন উদ্যোগে শরিক থাকতে হবে। এক্ষেত্রে কোনোভাবেই লীগকে স্পেস দেয়ার অবকাশ নেই। নির্বাচনের পর ১৩তম জাতীয় সংসদ গঠন হবে। সংসদ গঠনের পর একটি নতুন সরকারকে দায়িত্ব নিতে হবে।
গত ১৫ বছর দেশে প্রকৃত অর্থে কোনো সংসদ ছিল না। যে কারণে অনেক জরুরি কাজ আগামী সংসদকে নিষ্পন্ন করতে হবে। বলা হয়েছে- এই সংবিধান এখন আর চলনসই নয়। ইতোমধ্যে জুলাই সনদ স্বাক্ষরিত হয়েছে, ২৫টি দল সংবিধান সংশোধনসহ আরো অনেক বিষয়ে সংস্কারে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছে। জুলাই সনদ নিয়ে আপাতত বিস্তারিত আলোচনায় যাচ্ছি না।
সংবিধান নিয়ে সূক্ষ্ম কোনো আলোচনার ধৃষ্টতা আমাদের নেই। শুধু অতীতে সংবিধানের কতটা ব্যত্যয় ঘটানো হয়েছে তাই নিয়ে ‘যৎকিঞ্চিৎ’ আলোচনা করব। সবাই জানেন, দেশের জন্য সংবিধান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এটি রাষ্ট্র পরিচারনার মৌলিক দলিল এবং রাষ্ট্রের আদর্শ ও লক্ষ্য নির্ধারণ করে। সংবিধান স্পষ্ট করে- সরকার কীভাবে নির্বাচিত হবে, আইন শাসন এবং বিচার বিভাগের ক্ষমতা ও কার্যকারিতা কী হবে, নাগরিকের অধিকার ও কর্তব্য কী এবং জনগণ ও সরকারের মধ্যে সম্পর্ক কেমন হবে। সংবিধান ছাড়া আধুনিক রাষ্ট্র সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হতে পারে না। এখন দেখা যেতে পারে আওয়ামী আমলে সংবিধানের গুরুত্ব কতটা বজায় ছিল।
সংবিধান নাগরিকদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করে এবং সেগুলো লঙ্ঘিত হলে প্রতিকারের বিধান দেয়। জনগণের মৌলিক মানবাধিকার, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য এবং স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সংবিধান অপরিহার্য। সংবিধান সরকার ও নাগরিকের মধ্যে ক্ষমতার একটি সুষম বণ্টন তৈরি করে। এটি নিশ্চিত করে, যেন কোনো একক সংস্থা বা ব্যক্তি অতিরিক্ত ক্ষমতা ব্যবহার করতে না পারে। একটি শক্তিশালী সংবিধান রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে সাহায্য করে। এটি সরকারের ক্ষমতা ও কার্যকারিতা সুনির্দিষ্ট করে এবং যেকোনো ধরনের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও স্বেচ্ছাচারিতা রোধ করে। সংবিধান একটি জাতির নৈতিক ও রাজনৈতিক ভিত্তি তৈরি করে এবং নাগরিকদের একত্রিত করে। এটি একটি দেশের জাতীয় আদর্শ, যেমন- জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র ইত্যাদি প্রতিষ্ঠিত করে। সংবিধান রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি সরবরাহ করে একটি সভ্য ও সুশৃঙ্খল সমাজ গঠনের পথ দেখায়।
যদি কোনো সরকার সংবিধান উপেক্ষা করে, তবে এতে আইনি শূন্যতা, গণতান্ত্রিক অধিকারের লঙ্ঘন এবং রাষ্ট্রের মৌলিক কাঠামোর ভেঙে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। এর ফলে সরকার একনায়কতন্ত্রের দিকে ঝুঁকতে পারে, যেখানে জনগণের মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ণ হয় এবং জবাবদিহি থাকে না। এ পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রের ক্ষমতা কাঠামো অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে এবং সাংবিধানিক সঙ্কট দেখা দেয়।
সংবিধান উপেক্ষা করলে সরকারের যেকোনো সিদ্ধান্ত বা আইন বেআইনি হয়ে যায়। যেমন- কোনো সরকার যদি সংবিধানের বাইরে কোনো অধ্যাদেশ জারি করে, তবে তা আইনের চোখে বৈধ থাকে না। যখন একটি সরকার সংবিধানের মধ্যেকার সমাধান খুঁজতে ব্যর্থ হয়, তখন রাষ্ট্রের ক্ষমতাকাঠামো অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে। যেমন- প্রেসিডেন্ট বা স্পিকারের মতো সাংবিধানিক পদগুলোর অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। সংবিধান হলো দেশের সর্বোচ্চ আইন।
এটিকে উপেক্ষা করা মানে আইনের শাসন ভেঙে ফেলা এবং স্বেচ্ছাচারী শাসনের পথ খুলে দেয়া। সংবিধান নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা দেয়। সরকার সংবিধান অবজ্ঞা করলে, তা নাগরিকদের মৌলিক অধিকার যেমন- বাক-স্বাধীনতা, চলাফেরার স্বাধীনতা এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে খর্ব করে। সংবিধান সরকারের ক্ষমতা সীমাবদ্ধ করে এবং জবাবদিহির মধ্যে রাখে। সংবিধান উপেক্ষা করলে সরকার কোনো জবাবদিহির মধ্যে থাকে না এবং এটি একনায়কতন্ত্রের দিকে পরিচালিত করে, স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পায়। যা আওয়ামী জমানায় প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।
সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সংবিধান উপেক্ষা করলে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ওপর আস্থা নষ্ট হয় এবং এটি একটি প্রহসনে পরিণত হয়। যখন সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী কাজ না করে সরকার নিজের মর্জিমাফিক চলে, তখন জনগণের মধ্যে রাষ্ট্র ও সরকারের প্রতি অনাস্থা তৈরি হয়। এসবই ঘটেছে পতিত আওয়ামী যুগে।
এটাই নিয়ম যে, কোনো সরকার দায়িত্ব বুঝে নেয়ার আগে যে শপথবাক্য উচ্চারণ করে, সেখানে তাদের সংবিধানকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দান ও সংবিধান সংরক্ষণের দৃঢ়অঙ্গীকার করতে হয়। অথচ বিগত লীগ সরকার উপরোক্ত শপথবাক্য পাঠ করেছে বটে; কিন্তু বহু ক্ষেত্রে সংবিধানে বর্ণিত নির্দেশনা অবলীলায় ভঙ্গ করেছে। তার সামান্য কিছু বিষয় নিয়ে এখন অনিবার্য কারণে আলোচনা করা যেতে পারে। বর্তমানে প্রায় ছিন্নপাতা হয়ে থাকা সংবিধানে যে প্রস্তাবনা সন্নিবেশিত রয়েছে, সেখানে পর্যন্ত দ্বিতীয় প্যারায় বলা হয়েছে- ‘আমরা আরো অঙ্গীকার করিতেছি যে, আমাদের রাষ্ট্রের অন্যতম মূল লক্ষ্য হইবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এমন এক শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠা, যেখানে সব নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত হইবে।’ প্রস্তাবনার এই অংশটুকু পাঠ করার পর সম্মানিত পাঠকদের কাছে অনুরোধ করব, বিগত ১৫-১৬ বছর তারা এই প্রস্তাবনার সাথে কতটা সামঞ্জস্যতা বজায় রেখে সরকার চালিয়েছল?
দৃষ্টি দিন সংবিধানের ৬(২)-এর দিকে। এ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে- ‘বাংলাদেশের জনগণ জাতি হিসেবে বাঙালি... বলিয়া পরিচিত হইবেন।’ এখন প্রশ্ন হলো- চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, মনিপুরি, গারো, শাওতাল, এই জনগোষ্ঠীকে সংবিধানের কোথায় স্থান দেয়া হয়েছে। অথচ তারা বাংলাদেশের নাগরিক। এটি ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর প্রতি চরম বৈষম্য নয় কি?
লক্ষ্য করুণ, ৭(১)-এর দিকে। সেখানে বলা আছে- ‘প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ’ কিন্তু গত ১৫-১৬ বছর জনগণ রাষ্ট্রের মালিক ছিল না অন্য কিছু ছিল? একবার ভেবে দেখুন সংবিধানের ৭(২) অনুচ্ছেদে রয়েছে- ‘জনগণের অভিপ্রায়ের পরম অভিব্যক্তিরূপে এই সংবিধান প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ আইন।’ কিন্তু প্রশ্ন হলো, গত ১৫-১৬ বছর লীগ সরকার কি সাংবিধানিক আইনের কোনো তোয়াক্কা করেছে?
এবার দেখা যাক, সংবিধানের ১১ নং ধারায় কী আছে এবং কোন প্রক্রিয়া তার চর্চা হয়েছে। ‘প্রজাতন্ত্র হইবে একটি গণতন্ত্র যেখানে মৌলিক মানবাধিকার ও স্বাধীনতা নিশ্চয়তা থাকিবে।’ আওয়ামী জমানায় গণতন্ত্রের হাল অবস্থা কেমন ছিল? গণতন্ত্রে সর্বোচ্চ অনুশীলন হচ্ছে নির্বাচন। গত ১৫-১৬ বছর দেশে যে তিন-তিনটি নির্বাচন করা হয়, প্রকৃত অর্থে সেগুলো নির্বাচনের নামে ছিল নিছক প্রহসন এবং একটি দলকে ক্ষমতায় বসানোর সব আয়োজন। আর মানবাধিকার ছিল, জেল-জুলুম, নির্যাতন ও জনগণের প্রতি পাখি শিকারের মতো গুলিবর্ষণের যত অনুশীলন। শত শত মানুষকে সে কারণে আত্মাহুতি দিতে হয়েছে। গায়েবি মামলায় অভিযুক্ত করে লাখ লাখ মানুষকে গারদে ঢোকানো হয়েছে।
সংবিধানের (১৫/২) অনুচ্ছেদে বলা আছে- ‘রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব হইবে, অন্ন, বস্ত্র, আশ্রয়, শিক্ষা ও চিকিৎসাসহ জীবন ধারণের মৌলিক উপকরণের’ ব্যবস্থা করা। অথচ গত ১৫-১৬ বছর লীগ আমলে এসব নিয়ে কারো কি কোনো মাথাব্যথা ছিল? জনজীবন ছিল দুর্বিপাকে, দুর্বিষহ ছিল বেঁচে থাকা।
এবার দেখা যাক, দেশের পরিবেশ নিয়ে সংবিধান কি বলেছে, সংবিধানের ১৮(ক) অনুচ্ছেদে বর্ণনা করা হয়েছে- ‘রাষ্ট্র বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নাগরিকদের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করিবেন এবং প্রাকৃতিক সম্পদ, জীববৈচিত্র্য, জলাভূমি, বন ও বন্যপ্রাণীর সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধান করিবেন।’ অথচ লীগ সংশ্লিষ্ট নেতা-পতিত ও কর্মীরা পাহাড় কেটেছে, নদীনালা, খালবিল, সব কিছু দখল করে ভরাট করে বাণিজ্য করেছে। ঢাকা শহরকে গ্যাস চেম্বারে পরিণত করেছে। পানিদূষণ, বায়ুদূষণের কারণে, নাগরিকদের গড় আয়ু ক্রমাগত হ্রাস পেতে চলেছে। সংবিধানে জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা সংক্রান্ত তৃতীয় ভাগে মৌলিকার অধিকার্য সম্পৃক্ত মাত্র তিন ধারা- ৩৭, ৩৮, ৩৯ নিয়ে কিছু বলব। ৩৭ ধারা সমাবেশে করার অধিকার-সংক্রান্ত। অথচ সরকারের প্রতিপক্ষদের সমাবেশগুলোতে বোমাবাজি, গুলিবর্ষণ ও নির্মমভাবে লাঠিপেটা করা হয়েছে। অনুচ্ছেদের ৩৮ ধারায় আছে- সংগঠন করার অধিকার নিশ্চিতকরণ। লীগ আমলে কত সংগঠনের লাখ লাখ নেতাকর্মীর ওপর হামলা-মামলা, জেল-জুলুম করা হয়েছে! ঢাকাসহ সারা দেশে তাদের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়েছে! ৩৯ ধারায় আছে- চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা দান করা হইবে। বিগত আমলে ছিল নিছক ফাঁকা বুলি। ৩৯(১) এ আছে- প্রত্যেক নাগরিকের বাকস্বাধীনতা ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতার দান। তবে এমন অধিকার ছিল, একমাত্র তাদের যারা ক্ষমতাসীনদের চাটুকারিতা, পদলেহন আর তাদের অপকর্মের প্রশংসা করেছে।
ক্ষমতাসীনদের অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করতে পেরেছে। সংবাদপত্রের স্বাধীনতার কথাও বলা আছে সেখানে। তবে নিরপেক্ষ সংবাদপত্রের ওপর যে দলন-পীড়ন ছিল সীমাহীন। সত্য কথা বলার কারণে সংবাদপত্র বন্ধও করা হয়েছে। এমনটিই ছিল লীগ আমলে স্বাধীনতার স্বরূপ। আগামীতে সংবাদমাধ্যম জনগণের চাহিদা পূরণ কতটা করতে পারে এবং কতটা ভালোবাসা পায় সেটাই দেখার জন্য সবাই অপেক্ষায় থাকবে।



