সামরিক বাহিনীর বিবৃতির পর গুম নিয়ে গুমোট ভাব কিছুটা কমেছে। দেশবাসী আশা করেছিল, হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরপরই গুম-খুনের সাথে সংশ্লিষ্ট বাহিনীগুলো জনগণের ওপর জুলুমের জন্য ক্ষমা চাইবে। কয়েকটি বাহিনীর কিছু সদস্য বিচ্ছিন্নভাবে ক্ষমা চাইলেও কোনো প্রতিষ্ঠান বা তাদের দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চায়নি।
নতুন বাংলাদেশের প্রধান উদ্বেগের বিষয় গুম ও খুনের সাথে জড়িতদের বিচার। বাহিনীগুলো স্বেচ্ছায় এ কাজে সহযোগিতা করলে বিষয়টি সহজ হতো। পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের প্রায় সবাই পালিয়ে গেছে। পুলিশপ্রধান রাজসাক্ষী হয়ে হাসিনার গুম-খুনের তদন্ত কাজে সহায়তা করছেন। নতুন করে পুলিশ বাহিনীকে সংগঠিত করতে সরকারকে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। এ অবস্থায় দেশের আইনশৃঙ্খলাসহ সার্বিক নিরাপত্তায় সামরিক বাহিনীর ওপর নির্ভর করতে হয়েছে। দেশবাসীও এই বাহিনীর দিকে তাকিয়ে আছে, তারা সহযোগিতা দিয়ে হাসিনার সব অপরাধের কলঙ্ক থেকে দেশকে মুক্ত করবে।
অন্তর্বর্তী সরকার শুরুতে গুম কমিশন গঠন করে। প্রবল প্রতিক‚লতার মধ্যে এই কমিশনকে কাজ করতে হয়েছে। গুম-খুন-নির্যাতনের জন্য হাসিনা দেশজুড়ে একটি কাঠামো গড়ে তুলেছিলেন। তার ছিল একটি খুনে নির্যাতক বাহিনী। এরা কমিশনের কাজে বাধা দিয়ে কাজটিকে কঠিন করে তুলেছিল। অনুসন্ধান করতে গিয়ে কমিশন প্রথম দিকে কোনো ক‚লকিনারা পায়নি। গুমের শিকার ব্যক্তিদের দেয়া তথ্যই ছিল একমাত্র অবলম্বন। তারা যেমন গুম চক্রের সদস্যদের শনাক্ত করতে পারছিল না, তেমনি নির্যাতনের গুপ্ত কারাগারও খুঁজে বের করতে পারছিল না। সরেজমিন অভিযান চালিয়ে কমিশন দেখতে পায়, বন্দীদের বিবরণের সাথে গুপ্ত কারাগারের মিল নেই।
হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার অশুভ চক্র বহাল তবিয়তে। তারা দ্রুতই সব আলামত নষ্ট করে। কমিশনের পক্ষ থেকে একটি ডকুমেন্টারি তৈরি করা হয়েছে, তাতে ৫ আগস্টের পরপরই বন্দিশালাগুলোর চরিত্র বদলে গুম-খুন ও বন্দীদের নির্যাতনের সব চিহ্ন মুছে দেয়ার উল্লেখ রয়েছে।
হাসিনা বাংলাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুরোপুরি কিছু অসাধু ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণে তুলে দেন। বিপ্লবের পরপর গুরুত্বপূর্ণ পদে বাহিনীর সৎ দেশপ্রেমিক অফিসারদের সংখ্যা ছিল কম। এটিই গুম-খুনের প্রমাণ লোপাটের কারণ। সে কারণে গুম নিয়ে একটি বিবৃতি দিতে সামরিক বাহিনীর এক বছরের বেশি সময় লেগেছে। এমন সময় তারা বাহিনীর অভিযুক্ত সদস্যদের নিয়ে মুখ খুললেন, যখন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিটিতে) তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।
সেনাবাহিনী একটি বড় প্রতিষ্ঠান। হাসিনার খুনেবাহিনীতে জড়িত অংশটি সেই তুলনায় নগণ্য। জুলাই বিপ্লবে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায়। ৯৯ শতাংশের বেশি কর্মকর্তা ও সেনাসদস্য ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। যাই হোক, সেনাসদরের পক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে মেজর জেনারেল হাকিমুজ্জামান দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ন্যায়বিচার ও ইনসাফের পক্ষে সেনাবাহিনীর অবস্থান তুলে ধরেন। যারা গুম-খুনের শিকার হয়েছেন তাদের প্রতি সমবেদনা জানান। এ ধরনের বিবৃতি ৫ আগস্টের পরপরই পাওয়া গেলে কাজ আরো সহজ হতো। মন্দ জিনিস ঢেকে রাখলে পচন ধরে। সেখান থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায়।
হাসিনার সময় ডিজিএফআইয়ের পাশাপাশি আইএসপিআরকেও কিছু অসৎ কর্মকর্তার হাতে তুলে দেয়া হয়। তারা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মিথ্যাচারের আশ্রয় নিতো। অন্যায় অপকর্ম ধামাচাপা দেয়ার জন্য গল্প ফাঁদতো। এ কারণে সরকারের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো সামরিক বাহিনীর ওপরও মানুষের আস্থা ক্ষুণœ হয়। এই আস্থা ফেরাতে সামরিক বাহিনীর স্বচ্ছতার নীতি গ্রহণ জরুরি। ব্রিফিংয়ে বলা হয়, আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা তারা আনুষ্ঠানিকভাবে পাননি। সামাজিক মাধ্যমে খবর দেখে সেনা কর্তৃপক্ষ নিজে থেকে ব্যবস্থা নিয়েছে। পরোয়ানা জারি করা কর্মকর্তাদের লগ এরিয়ায় হেফাজতে আনা হয়েছে। এ দিকে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক পত্রে দেখা যায়, সামরিক কর্তৃপক্ষ ৯ অক্টোবর আইসিটির পরোয়ানা-সংক্রান্ত আদেশটি গ্রহণ করেছে। তাতে কর্তৃপক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা স্বাক্ষর করেছেন। অন্য দিকে ১১ অক্টোবরের ব্রিফিংয়ে সেনা কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা আদেশটি পায়নি। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া আদেশের কপিটি সঠিক তা আমরা বলছি না। তবে বিষয়টি খোলাসা করতে হবে। সামরিক কর্তৃপক্ষকেই।
হাসিনার সময় বিভিন্ন বাহিনীর বিরুদ্ধে ওঠা গুরুতর অভিযোগ চুপ থেকে পাশ কাটানো হতো। বছরের পর বছর মানুষ এমনটি দেখেছে। এতে করে দ্বিধা-সন্দেহ-অবিশ্বাসের পাহাড় জমেছে। এখন হাসিনার অন্যায় চাপ নেই। বাহিনীগুলো এখন স্বাধীনভাবে সত্য প্রকাশ করতে পারে, যা সবার জন্য ভালো হবে।
গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর পদস্থ একজন কর্মকর্তার লাপাত্তা হয়ে যাওয়া লজ্জাজনক। এর আগেও শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা পালিয়ে গেছেন। হাসিনার কুকর্মে সহযোগী শীর্ষ দুই জেনারেল ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। এগুলো দেশের জন্য সম্মানের নয়। এখানে দেশের নিরাপত্তা উদ্বেগেরও বড় কারণ রয়েছে। সবচেয়ে ভালো হতো সামরিক বাহিনী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গুম-খুনের অভিযুক্তদের নিয়ে তদন্ত করলে। পালিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শক্ত প্রমাণ আপনা থেকে হাজির হয়। অপরাধ করে ফেললে সততার সাথে তার মোকাবেলা করা উত্তম। ভুলত্রুটি হতে পারে। মানুষ সাময়িক লোভ-লালসায় পড়তে পারে। দোষ শিকার করলে তা বিবেচনায় নেয়ার সুযোগ থাকে। বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীর নাম নেয়ার আগে ‘দেশপ্রেমিক’ শব্দবন্ধ ব্যবহার করা হতো। একটি স্বচ্ছ বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তারা আবার আগের সুনাম ফিরে পাওয়ার সুযোগ নিতে পারে।
গুম কমিশনের তৈরি ডকুমেন্টারি হাসিনার নিষ্ঠুর শাসনের স্বরূপ উন্মোচন করেছে। এক ঘণ্টার ওই ডকুমেন্টারি নজির হয়ে থাকবে, একজন নারী কতটা পিশাচ হতে পারে। তার খুনেবাহিনী কতটা নির্দয় নিষ্ঠুর জল্লাদ হতে পারে। সাথে সাথে হাসিনার একদল সমর্থকগোষ্ঠীও পাওয়া গেল। যারা গুম-খুন ও নারকীয় নির্যাতনের বৈধতা তৈরি করল। এ নিয়ে হাসিনার বিন্দুমাত্র অনুশোচনা নেই। তিনি কখনো শোধরাবেন বলে মনে হয় না। তবে বাকিদের যদি শোধরানো না যায় তা হলে বাংলাদেশে একটি মানবিক সমাজ তৈরি করা কঠিন হবে। বিভিন্ন বাহিনীর খুনে সদস্যদের পাশাপাশি বিচার প্রশাসনের কিছু লোক ও মিডিয়ার একাংশ এ অপরাধের অন্যতম সহযোগী। ডকুমেন্টারি সে দলিল প্রমাণ তুলে এনেছে।
কিছু বিচারক গুমের প্রক্রিয়ায় হাসিনার অশুভ চক্রের সহযোগী ছিলেন। গুমের সাথে জড়িত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এই ম্যাজিস্ট্রেটদের কাছেই তাদের মামলা নিয়ে আসতেন। ডকুমেন্টারিতে বর্ণিত আছে, একজন ভুক্তভোগীকে নিয়ে এসে ম্যাজিস্ট্রেটকে পুলিশ বলল, সে ১৬৪ ধারার জবানবন্দী দিতে চায় না। ম্যাজিস্ট্রেট বললেন, কেন সে জবাবন্দী দেয় না। সে তো এখনো সুস্থ দাঁড়িয়ে আছে। তিনি এজলাসে বসে পুলিশকে লক্ষ করে বললেন, জবানবন্দী দিতে হলে ‘কিছু মসলাপাতি খরচ করতে হবে না?’ তিনি সরাসরি পুলিশকে নির্যাতন করার জন্য উসকানি দিলেন, যাতে সে নির্যাতনের মুখে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিতে বাধ্য হয়। অথচ ওই মিথ্যা জবানবন্দী দিলে তার মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি হয়ে যাবে। আরেকজন গুমের ব্যক্তির ভাষ্য তুলে ধরা হয়। সে সাহস করে ম্যাজিস্ট্রেটকে বলে, আমাকে গুম করে রাখা হয়েছে। সাথে সাথে এজলাসে বসে থাকা বিচারক পুলিশ ডেকে তাদের জানান, দেখুন আসামি কী বলছে। তখন সিএমএম কোর্টের ৯ তলায় নিয়ে গিয়ে হাতকড়া লাগানো অবস্থায় তাকে পুলিশ নির্দয়ভাবে মারধর করে। এ সময় তার ভয়ার্ত চিৎকার শোনা যায়। গুম কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ডকুমেন্টারিতে বিচারকদের প্রতি আহŸান রাখেন, তারা যেন ইনসাফের পক্ষে থাকেন। এ জন্য তাদের মেরুদণ্ড সোজা রাখা ও ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান গ্রহণের পরামর্শ দেন। তিনি মন্তব্য করেন, দুর্বল ব্যক্তি বিচারক হওয়ার উপযুক্ত নন। নিরপেক্ষ ও কার্যকর বিচার করার নিয়ম ও সাহস বিচারকদের থাকতে হবে। বিচারপতি খায়রুল হক, বিচারপতি মানিক- এই ধরনের কুখ্যাত বিচারপতিদের কর্মকাণ্ড সবাই জানে। কিন্তু নিম্ন আদালতসহ পুরো বিচার বিভাগে বিচারকের নামে কিছু নিপীড়ক বসে আছেন, তাদের কেউ চেনে না। এদের চিহ্নিত করার প্রয়োজন রয়েছে।
ডকুমেন্টারিতে দীর্ঘ দেড় দশকের গুম-খুনের সহযোগী হিসেবে দেখানো হয় বাংলাদেশের মিডিয়াকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে গুম ও বিচারবহিভর্‚ত হত্যার বিষয়ে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হতো মিডিয়ায়। সেই একঘেয়ে সংবাদবিজ্ঞপ্তি ছেপে মিডিয়া শুধু অশুভ চক্রের পক্ষে সম্মতি উৎপাদন করে গেছে। একজন মানুষ কিভাবে মারা গেল কিংবা আটকের আগে দীর্ঘদিন কোথায় নিরুদ্দেশ ছিল, সেসব নিয়ে একটি প্রশ্নও তারা তোলেনি। গুম কমিশনে ১৮০০ গুমের অভিযোগ এসেছে। মিডিয়ায় একটি গুম নিয়েও কোনো প্রশ্ন তোলা হয়নি। গুপ্ত কারাগার আয়নাঘর নিয়ে একটি রিপোর্টও কোথাও প্রকাশিত হয়নি। দেশে শত শত জাতীয় পত্রিকা ও কয়েক ডজন টেলিভিশন। মিডিয়ার স্বাধীনতার কথা বলা হলেই ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা সংখ্যার কথা উল্লেখ করা হতো। মিডিয়া মালিক ও সম্পাদকরাও এ নিয়ে গদগদ ছিলেন।
আরো রহস্যের বিষয় ছিল, বিদেশী সংবাদমাধ্যমেও কোনো ধরনের অনুসন্ধান না থাকা। বিশেষ করে বিবিসি ও ডয়চেভ্যালে যারা বাংলাদেশে সংগঠিত টিম হিসেবে কাজ করে। পেশাদার সংবাদমাধ্যম হিসেবে তারা গুম ও বিচারবহিভর্‚ত হত্যা নিয়ে উল্লেখযোগ্য একটি প্রতিবেদনও প্রচার করেনি। বরং তারাও দেশীয় মিডিয়ার সুরে অনেক বেশি উৎসাহী ছিল জঙ্গিবাদ নিয়ে। পেশাদার সাংবাদিকতা চর্চার চেয়ে হাসিনা ও ভারতের অ্যাজেন্ডা ছিল এই ইস্যু। জঙ্গি দমনের নামে সরকারের অবৈধ সব কর্মকাণ্ডের সহযোগী হতে এসব বিদেশী মিডিয়াও অতি উৎসাহী ছিল।
দাড়ি-টুপিওয়ালা কাউকে ধরে কয়েকটি বই আর দা-ছুরি রেখে ফটোসেশন করার পর মিডিয়া তা নিয়ে ঢাউস প্রতিবেদন রচনা করেছে। তারা কখনো জিজ্ঞাসা করেনি জিহাদি বই কোনগুলো। নিত্য ব্যবহার্য দা-ছুরি কিভাবে মারণাস্ত্র হয়।
ডকুমেন্টারি শুরু হয় একজন ভুক্তভোগীর বক্তব্য দিয়ে। তাতে জানা যায়, গুমে জড়িত কর্মকর্তারা শুধু একটি পদোন্নতি পাওয়ার জন্য মানুষ হত্যা করেছে।
কুখ্যাত জিয়াউল আহসান হাসিনার ডান হাত হয়ে ওঠার কারণ তার গুম ও খুন করার সীমাহীন নির্দয়তা। জানা যাচ্ছে, তিনি একাই এক হাজার ৩০ জনকে হত্যা করেছেন। গুলির পর ছিটকে আসা মানুষের মগজ তার কাছে আনন্দদায়ক অনুভ‚তি তৈরি করত। জাতির জন্য ভীতি ও উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে জিয়ার অনুসারীরা। এই বীজ যদি আইনশৃঙ্খলা কাঠামোর কোথাও থেকে যায়, যেকোনো সময় দানব হয়ে ফিরে আসতে পারে। সে কারণে বাহিনীগুলো থেকে এই অপরাধীদের যেকোনো মূল্যে বাছাই করে বের করতে হবে। পাশাপাশি বিচারব্যবস্থা ও মিডিয়াকে সংশোধনের উদ্যোগ নিতে হবে। সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এসেছে। অসংখ্য ভুক্তভোগী মিডিয়ার অসততার কারণে ভয়াবহভাবে ভুগেছেন। এসব অভিযোগের সুরাহা হতে হবে। জাতিকে পরিশুদ্ধ করতে হলে সব সেক্টর থেকে ময়লা পরিষ্কার করতে হবে। অন্যথায় বিচারহীনতার যে কালিমা লেপে দিয়েছেন হাসিনা, তা থেকে জাতির মুক্তি মিলবে না।
লেখক : সহকারী সম্পাদক, দৈনিক নয়া দিগন্ত