দেশের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা

আমাদের আকাশে নিরাপত্তা হুমকির কালো মেঘের ঘনঘটা থাকলেও তা তেমন ক্ষতি করতে পারবে না, যদি আমরা জাতি হিসেবে ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারি।

ড. এ কে এম মাকসুদুল হক
ড. এ কে এম মাকসুদুল হক

ষোলো বছরের আধিপত্যবাদ এবং একনায়কত্বের অবসানের পর আমরা একটি ঘটনাবহুল বছর অতিক্রম করেছি। দেশ ও জাতিকে নিরাপদ করতে ফ্যাসিস্ট হটাও আন্দোলনে দেড় হাজারের বেশি ছাত্র-জনতা জীবন দিয়েছেন, বিশ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন, অঙ্গহারা হয়েছেন। কিন্তু সেই নিরাপত্তা কী আমরা অর্জন করতে পেরেছি? দেশের নিরাপত্তা হুমকিগুলো দূর করতে না পারলে হাজারো শহীদের রক্তে অর্জিত এ মুক্তি আবারো অমানিশায় হারিয়ে যাবে। আধিপত্যবাদের অক্টোপাস আবারো জাতির টুঁটি চেপে ধরবে। কাজেই এ মুহূর্তে দেশের নিরাপত্তা হুমকিগুলো চিহ্নিত করে সেগুলো নিষ্ক্রিয় করা জাতির প্রধান কাজ হওয়া উচিত।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : একটি দেশের নিরাপত্তার প্রাথমিক প্রতিরক্ষা হলো সে দেশের অভ্যন্তরীণ উন্নত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। আমাদের দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করলে দুর্বল চিত্র ফুটে ওঠে। ‘হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি’ (এইচআরএসএস) সম্প্রতি একটি প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে, গত জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে ৬৯২টি রাজনৈতিক সঙ্ঘাতে ১০৭ জন নিহত এবং পাঁচ হাজার ৫৭৯ জন আহত হয়েছেন। এসব সঙ্ঘাতের বেশির ভাগ হয়েছে মূলত রাজনৈতিক আধিপত্য ও আনুগত্য বিতর্ক ও কোন্দল, কমিটি গঠন, চাঁদাবাজি এবং বিভিন্ন স্থাপনা দখল ঘিরে। এসব নিহতের ৭১ জন বিএনপি, ২৩ জন আওয়ামী লীগের, তিনজন জামায়াতের ও ছয়জন ‘ইউপিডিএফের’ নেতাকর্মী। একই সময়ে ২০৯টি মব সন্ত্রাসের ঘটনায় ১০৩ জন নিহত এবং ২১২ জন আহত হয় (ডেইলি স্টার : ১০/১০/২০২৫)। গত বছরের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের সময় পুলিশি ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছিল। সেখান থেকে এখনো পুলিশ পুরোপুরি ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। এ অভ্যুত্থানে নৈতিকভাবে ভেঙে পড়ার পাশাপাশি প্রায় ৪৪ পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছিলেন। গত ১৯ জুলাই আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, ‘পুলিশ বাহিনী এখনো পুরোপুরি দক্ষতা ফিরে পায়নি’ (ডেইলি স্টার : ১৬/০৮/২০২৫)। অভ্যুত্থানের পর কমপক্ষে ৫০ পুলিশ অফিসারকে ২৫ বছর চাকরি সমাপান্তে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। কমপক্ষে ২৩২ জন এএসপি এবং তদূর্ধ্ব পদবীয় অফিসার গ্রেফতার হয়েছেন। এএসপি থেকে অতিরিক্ত ডিআইজি পদবির মোট ৫৭ জন অফিসার ৬০ দিনের বেশি সময় ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন বা পলাতক রয়েছেন। আরো প্রায় ১১৯ জন এসপি, অতিরিক্ত ডিআইজি এবং ডিআইজি ‘ওএসডি’ হয়ে আছেন। বর্তমানে যারা কর্মরত আছেন, তাদের মধ্যেও নানাবিধ ভয়-শঙ্কা কাজ করছে। অনেকের মধ্যে রয়েছে স্থবিরতা বা দ্বিধাদ্ব›দ্ব কারা ক্ষমতায় আসছেন, কাদের কথা শুনবেন বা কাদের বিরাগভাজন হতে পারেন ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের স্থিতিজড়তা। উচ্ছৃঙ্খল জনতা বা ‘মব’ দেখে পুলিশ ভয় পাচ্ছে। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে এ বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মব সৃষ্টি করে পুলিশের ওপর অন্তত ২২৫টি হামলার ঘটনা ঘটেছে (প্রথম আলো : ১৬/০৮/২০২৫)।

অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার একটি বড় হুমকি হলো অভ্যুত্থানের সময় থানা-পুলিশ থেকে লুট হওয়া বা খোয়া যাওয়া আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদগুলো। সেই সময় পাঁচ হাজার ৭৫৩টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৬,৫১,৬০৯ রাউন্ড গোলাবারুদ থানা-পুলিশ থেকে লুট হয়েছিল। গত ৩ আগস্ট পর্যন্ত এক হাজার ৩৭৫টি অস্ত্র এবং ২,৫৭,৮৪৯ রাউন্ড তাজাগুলি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এখন পর্যন্ত উদ্ধার না হওয়া অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে চাইনিজ রাইফেল, এসএমজি, এলএমজি, ৭.৬২ এমএম পিস্তল, ৭ এম এম পিস্তল প্রভৃতি (ডেইলি স্টার : ১৬/০৮/২০২৫)। সবচেয়ে ভয়ানক হলো আওয়ামী সন্ত্রাসীরা যেকোনো মুহূর্তে এসব অস্ত্র ও গেলাবারুদ ব্যবহার করতে পারে দেশকে অস্থিতিশীল করতে। তাদের হাতে সেই পরিমাণ টাকাও রয়েছে এসব অস্ত্র ক্রয় করতে।

ফ্যাসিস্টদের গুপ্ত দোসর : বর্তমানে দেশের নিরাপত্তার একটি বড় হুমকি সমাজে ও সরকারে মিশে থাকা পতিত হাসিনা সরকারের দোসররা। ষোলো বছরের একনায়কত্বের শাসনে হাসিনা পেশাজীবী, প্রশাসন, পুলিশ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিচার বিভাগসহ সব ক্ষেত্রে সুবিধাভোগী একটি আওয়ামী হার্ডকোর গোষ্ঠী প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন। তাদের অধিকাংশ বর্তমানে দেশ ও সমাজের সব অবস্থানে রয়ে গেছে এবং বিভিন্নভাবে দেশ ও জাতির অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করতে প্রাণপণ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা কুকৌশলে অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করতে সদা তৎপর রয়েছে। যেকোনো সময় আধিপত্যবাদী রাষ্ট্র এবং তাদের সহযোগিতায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা করলে ওই সব সার্ভিসের গুপ্ত আওয়ামী লীগাররা ভেতর থেকে দেশকে বিপদে ফেলার অচেষ্টা চালাবে।

গোয়েন্দা সংস্থার বিজাতীয়করণ : বিভিন্ন সূত্রের তথ্যমতে, আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার প্রথম সারির পাহারাদার গোয়েন্দা সংস্থাগুলোয় ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা প্রবেশ করার অবাধ সুযোগ গ্রহণ করেছে গত ষোলো বছর ধরে। দেশের জাতীয় নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করে মূলত ‘এনএসআই’ ও ‘ডিজিএফআই’। একটি জাতীয় পত্রিকার প্রতিবেদনে জানা যায়, এনএসআইয়ের অভ্যন্তরে ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক তৈরি হয়েছে (আমার দেশ : ১৯/০৮/২০০৫)। ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর গত পনেরো বছরে এনএসআই বলতে গেলে প্রায় পুরোপুরি ‘র’-এর নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। মূলত আওয়ামী অনুগত ও সুযোগ সন্ধানী সেনাকর্মকর্তাদের মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ দান, ‘এনএসআই’তে রিক্রুটিং প্রক্রিয়ায় ‘র’-এর হস্তক্ষেপ এবং কর্মকর্তাদের ‘র’ দ্বারা ভারতে প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে সংস্থাটির ভেতর ‘র’-এর অনুপ্রবেশ সম্পন্ন করা হয়।

অন্য দিকে প্রচারণা রয়েছে ডিজিএফআই সদর দফতরের একটি ফ্লোরে ‘র’-এর স্বতন্ত্র কার্যালয় ছিল গত পনেরো বছর ধরে। যাই থাকুক না কেন, ২০২১ সালের একটি ঘটনা দেশবাসীর সামনে আসে আশ্চর্যজনকভাবে। আবু তোয়াহা আদনান নামের একজন ইসলামী বক্তা একটি মসজিদে খুতবা দেয়ার সময় প্রসঙ্গক্রমে বলেন, এ দেশ এখন ভারতের ‘র’ চালাচ্ছে। এর এক দিন পর তিনি রংপুর এলাকা থেকে ঢাকা ফেরার পথে অপহরণের শিকার হন। অপহৃত হওয়ার পর দেশে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এ সময় কানাডা থেকে ‘ফেস দ্য পিপুল’ নামের ইউটিউব চ্যানেলের পরিচালক সাইফুর সাগর এক পোস্টে জানান, ঢাকা সেনানিবাসের কচুক্ষেত এলাকায় আদনানের সেলফোনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। জায়গাটিতে ‘ডিজিএফআই’-এর সদর দফতর অবস্থিত। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার এক দিন পর আদনানকে কে বা কারা তার রংপুরের বাসায় পৌঁছে দেয়। ফলে ‘ডিজিএফআই’-এর সাথে ‘র’-এর বন্ধনের প্রচারণা জাতির কাছে আরো স্পষ্ট হয়ে পড়েছিল। সর্বোপরি এসব অভিযোগ ও প্রচারণা যদি সত্য হয়; তবে তা অবশ্যই জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ভয়াবহ হুমকিস্বরূপ। এ ছাড়া পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এবং ‘সিটিটিসি’ নামক জঙ্গিবাদ দমনের সংস্থায় ‘র’-এর প্রশিক্ষণ, হস্তক্ষেপ প্রভৃতি অবাধ ছিল বলে জনধারণা রয়েছে। কাজেই সব সংস্থা থেকে দেশবিরোধী উপাদান চিহ্নিত করে সংস্থাগুলো পরিশুদ্ধ করতে হবে।

পাহাড়ে ষড়যন্ত্র : দেশের পাহাড়ি অঞ্চল নিয়ে ষড়যন্ত্র সাম্প্রতিককালে জোরালোভাবে চলছে। বিশেষ করে গণ-অভ্যুত্থানের পর এ ষড়যন্ত্রের আগুনে ঘি ঢালা হচ্ছে। এর আগে ভারতের দ্বারা সৃষ্ট শান্তিবাহিনী নামক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে ভারত প্রশিক্ষণ, অস্ত্র ও লজিস্টিক সাপোর্ট দিয়ে দীর্ঘদিন চট্টগ্রামের পাহাড়ে আমাদের রক্ত ঝরিয়েছে। দেশের অনেক সেনা কর্মকর্তা এবং সৈনিক শান্তিবাহিনীর হাতে নিহত হয়েছেন। ১৯৯৭ সালের তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রণয়ন করা চুক্তিনামার মাধ্যমে চুক্তি সম্পাদিত করেছিলেন। সে সময় চুক্তির বিরোধিতা করে পাহাড়ে ‘জেএসএস’-এর বিরুদ্ধে ‘ইউপিডিএফ’ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তৈরি হয়েছিল। ‘জেএসএস’-এর সশস্ত্র গোষ্ঠী শান্তিবাহিনী কর্তৃক দীর্ঘ ২৫ বছরের রক্তক্ষরণের পর ১৯৯৮ সাল থেকে ‘ইউপিডিএফ’ সন্ত্রাসের মাধ্যমে পাহাড়ে রক্ত ঝরাতে থাকে। গত ২৩ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি শহরে এক পাহাড়ি কিশোরীকে ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ তুলে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ‘জেএসএস’ আন্দোলন শুরু করে। তারা শহরে অরাজকতা সৃষ্টি করে পুরো পাহাড়ে উত্তেজনা ছড়ানোর অপচেষ্টা চালায়। ‘জেএসএসের’ এ আন্দোলনে তাদের বিরোধী গোষ্ঠী ‘ইউপিডিএফ’ একাত্মতা ঘোষণা করে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে নামে। জানা যায়, দিল্লির মধ্যস্থতায় বিবদমান এ দুই সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে ঐক্যের সমঝোতা হয়। আমাদের পাহাড় অশান্ত করার ষড়যন্ত্র করা হয় (আমার দেশ : ২১/০৯/২০২৫)। ইতোমধ্যে ‘ইউপিডিএফের’ গ্রেফতার হওয়া সদস্যরা জানায়, ভারতের মিজোরামে ছয়টি ক্যাম্পে তাদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে (আমার দেশ : ৩০/০৯/২০২৫)। পার্বত্য অঞ্চল বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্র রুখে দিতে দুর্গম এলাকাগুলো দ্রুত সেনাক্যাম্প স্থাপন করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।

পতিত ফ্যাসিস্টদের ষড়যন্ত্র : গত এক বছরে পতিত ফ্যাসিস্ট নেতাকর্মীরা ভারতে পালিয়ে গিয়ে একত্রিত হচ্ছে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে যারা পালিয়ে গিয়েছিল তারাও দিল্লিতে আসা যাওয়া করছে। কলকাতায় আওয়ামী লীগের অফিস খোলা হয়েছে। সেখানে তারা সভা-সমাবেশ করে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার বিভিন্ন ষড়যন্ত্র ও ফন্দিফিকির করছে। এর মধ্যে মানিলন্ডারিংয়ের সরদার এবং পুরো ইসলামী ব্যাংক চুরি করে নেয়া পলাতক এস আলম দিল্লিতে এসে কয়েক হাজার কোটি টাকা পলাতক হাসিনার হাতে তুলে দিয়েছে। উদ্দেশ্য এ অর্থ দিয়ে বাংলাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করা। এর মধ্যে তারা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (আইসিটি) সাইবার হামলা চালিয়েছে। সম্প্রতি মিরপুর, চট্টগ্রাম ইপিজেড ও ঢাকা বিমানবন্দরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডকে অনেকে নাশকতার সন্দেহ করছেন।

প্রতিবেশী দেশের অন্যায় আচরণ : আমাদের দেশের জন্য সবচেয়ে মারাত্মক হুমকি হলো ভারতের বৈরী আচরণ। হাসিনার পতনকে মোদি সরকার নিজেদের পতন বলে বিবেচনা করছে। গত ষোলো বছর তিনটি নির্বাচনে হাসিনার একতরফা নির্বাচনে বিজয়ের পথে ভারত সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে নির্লজ্জভাবে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করতে ভারত সর্বাত্মক অপচেষ্টা চালাচ্ছে। ভারতের অসংখ্য সরকারি, প্রাইভেট এবং সামাজিক মিডিয়া অনবরত বাংলাদেশবিরোধী প্রোপাগান্ডা চালিয়ে যাচ্ছে।

সীমান্তে ‘বিএসএফ’ নির্বিচারে বাংলাদেশীদের হত্যা করছে। গত ষোলো বছরে সীমান্তে ‘বিএসএফ’ ৬১৭ বাংলাদেশীকে হত্যা করেছে। আহত করেছে আরো এক হাজার ১০০ জনকে। অন্য দিকে ভারতের দরিদ্র বাংলা ভাষাভাষী মুসলমান নাগরিকদের ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে জোর করে সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পুশ করছে। ভারত আমাদের দেশ থেকে পলাতক ফ্যাসিস্ট একনায়ক স্বৈরাচার হাসিনাকে প্রকাশ্যে আশ্রয় দিয়েছে। ভারতের আশ্রয়ে হাসিনা অনবরত বাংলাদেশবিরোধী তৎপরতা প্রকাশ্যে চালাচ্ছেন। প্রতিবেশীর এসব হুমকি মোকাবেলায় আমাদের অবশ্যই চীন ও পাকিস্তানের সাথে মজবুত কূটনৈতিক এবং গভীর সামরিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে।

আমাদের আকাশে নিরাপত্তা হুমকির কালো মেঘের ঘনঘটা থাকলেও তা তেমন ক্ষতি করতে পারবে না, যদি আমরা জাতি হিসেবে ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারি। আমরা সেই সক্ষমতা প্রদর্শন করেছি একাত্তরে ও চব্বিশে। কাজেই জাতির নিরাপত্তার স্বার্থে রাজনীতি, দল, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে সব ক্রান্তিকালে মতানৈক্য ভুলে এক হয়ে থাকতে হবে।

লেখক : নিরাপত্তা বিশ্লেষক