২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ৯টায় কক্সবাজার টেকনাফ মেরিনড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেক পয়েন্টে মেজর (অব:) সিনহার বুকে পয়েন্ট ব্ল্যাংক গুলি চালিয়ে হত্যা করেন বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের সাবেক পরিদর্শক লিয়াকত আলী। পরক্ষণেই টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ ঘটনাস্থলে আসেন। এ সময় গুলিবিদ্ধ সিনহা পানি চাইলে ওসি প্রদীপ পানি না দিয়ে বরং তার গলায় বুট দিয়ে পাড়া দিয়ে গালাগাল করেন এবং সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন। উল্লেখ্য, মেজর সিনহাকে চেকপোস্টে থামানো হলে তিনি গাড়ি থেকে নেমে এসে দুই হাত তুলে ‘হ্যান্ডস আপ’ করে দাঁড়িয়ে পুলিশের তল্লাশিতে সহযোগিতা করছিলেন। তিনি বিনা কারণে উত্তেজিত লিয়াকতকে শান্ত হওয়ার অনুরোধ করছিলেন। কিন্তু এরই মধ্যে লিয়াকত সিনহার বুকে গুলি চালালে তিনি লুটিয়ে পড়েন। এরপর উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা পাশের দোকান থেকে গাঁজা কিনে এনে মেজর সিনহার গাড়িতে রেখে দেয় এবং সিনহার সহযাত্রী সিফাতকে মাদকদ্রব্য আইনে মামলায় গ্রেফতার দেখায়।
মেজর (অব:) সিনহার বড় বোন শারমিন ৫ আগস্ট টেকনাফের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। এরপর ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। সেই বছর ৮ ফেব্রুয়ারি রায়ের ডেথ রেফারেন্স উচ্চ আদালতে পাঠানো হয়। আসামিরাও রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। উচ্চ আদালত এ বছর ২৩ এপ্রিল শুনানি শুরু করে মোট ২৪ দিন শুনানির পর গত ২ জুন নিম্ন আদালতের রায়কে বহাল রাখার ঘোষণা দেন।
হয়তো একদিন চূড়ান্ত রায় আসবে এবং এই আসামিদের যথাযথ বিচার সম্পন্ন হবে। কিন্তু অদৃশ্য আসামিদের বিচার কি হবে? সেটি না হলে ন্যায়বিচার নিভৃতে কাঁদবে। প্রদীপ, লিয়াকত এবং যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত অন্য ছয়জন তো ছিলেন ঘটনার ‘পদাতিক সৈনিক!’ হত্যা অভিযানের পরিকল্পনাকারীরা ছিলেন তাদের যার যার ‘কমান্ডপোস্টে!’ সেই আদেশদাতাদের বিচারের আওতায় না আনলে ন্যায়বিচার অসম্পন্নই থেকে যাবে। ফলে আমলা-রাজনীতিকদের দুর্বৃত্তপনার সংস্কৃতি আমাদের দেশে চলতেই থাকবে!
দ্রুত তদন্তকাজ শুরু এবং দেড় বছরের মধ্যে বিচারিক আদালতে রায় ঘোষণার পেছনে মূলত ছিল দেশবাসী ও সেনাবাহিনীকে শান্ত করার প্রয়াস এবং শুধু ‘ফুট সোলজারদের’ শাস্তি ঘোষণা দিয়ে আসল কুশীলবদের আড়াল করা বা একটি ‘কাট আউট’ স্থাপন করা। ১ জানুয়ারি নিম্ন আদালতের রায় ঘোষণার সাত দিনের মধ্যে অর্থাৎ- ২০২২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স পাঠিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু শুনানি শুরু হয় ২০২৫ সালের ২৩ এপ্রিল। কারণ, তৎকালীন জালিম সরকারের আজ্ঞাবহ উচ্চ আদালত সেই ডেথ রেফারেন্স ‘ডিপফ্রিজে’ তালাবদ্ধ করে রেখেছিলেন। নিম্ন আদালতে দ্রুত রায়ের মাধ্যমে দেশবাসীকে সান্ত্বনা দিয়ে উচ্চ আদালতের মাধ্যমে এক অসমাপ্ত দীর্ঘসূত্রতার মধ্যে এই বিচারটিকে নিখোঁজ করে দেয়ার প্রয়াস চলছিল। জাতির ভাগ্য ভালো, ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হওয়ায় বর্তমান উচ্চ আদালত সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে শুনানি সমাপ্ত করেছেন। হাইকোর্টের রায়ের পর বাদিপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার সারোয়ারের (অব: মেজর) ব্রিফিং থেকে জানা যায়, কক্সবাজারের তৎকালীন এসপি মাসুদকে পুলিশের হাইকমান্ড তথা সরকারের কঠোর নির্দেশে মামলার আসামি থেকে বাদ দিতে হয়েছিল। এমনকি ওই পুলিশ সুপার মাসুদের নাম মামলা থেকে বাদ না দিলে চার্জশিট দেয়া হবে না বলে পুলিশ হুমকি দিয়েছিল! পুলিশের এহেন অবস্থানই বলে দেয়, ওই হত্যাকাণ্ডে পুলিশ সুপারের ওপরও আরো অনেকেই জড়িত ছিল! স্বাভাবিকভাবে বিশ্লেষণ করলে কমান্ড চেইনে যারা ছিলেন তারাও এ হত্যা মামলায় যুক্ত হয়ে পড়েন। অর্থাৎ- ওসি প্রদীপ থেকে শুরু করে এসপি মাসুদ, ডিআইজি, আইজিপি বেনজীর ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এ আদেশ শিকলের মধ্যে ছিলেন। স্বাভাবিক হিসাব তাই বলে। নইলে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মাসুদকে কেন ‘কাটআউট’ হিসেবে ব্যবহার করা হলো? মাসুদের কাছে কি অনেক তথ্য ছিল? মাসুদ মামলায় জড়িত হয়ে পড়লে কি উপরের সংশ্লিষ্ট সবাইকেই জড়িত হয়ে পড়তে হতো? হত্যাকাণ্ড ঘটার পর ওসি প্রদীপের সাথে এসপি মাসুদের ভাইরাল হওয়া কথোপকথনে রহস্যময় বাক্য বিনিময় হয়েছিল! হত্যাকাণ্ডের পরপরই ইন্সপেক্টর লিয়াকত এবং ওসি প্রদীপ সেলফোনে এসপি মাসুদকে জানান, একজনকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর। তিনি গুলি করতে চেয়েছিলেন, তখন তাকে গুলি করলে তিনি নিহত হন। এসপি তখন পাল্টা মন্তব্য করেন, ‘তোমাকে গুলি করেছে, লাগে নাই, পরে তুমি গুলি করেছ সেটি লেগেছে!’ এসপি মাসুদের এই মন্তব্যে বোঝা যাচ্ছে, তিনি ওসি প্রদীপকে এই হত্যাকাণ্ডের একটি নেরেটিভ শিখিয়ে দিচ্ছেন!
ওসি প্রদীপ আগে অনৈতিক কার্যকলাপের দায়ে বিভিন্ন সময়ে বিভাগীয় সাজাপ্রাপ্ত হলেও তাকে টেকনাফ থানায় পদায়ন করা হয়েছিল। ওই এলাকাটি মূলত ‘ইয়াবা’ পাচারের স্বর্গরাজ্য। এখানে ফ্যাসিস্ট সরকারি দলের একজন নেতা ইতোমধ্যেই ইয়াবাসম্রাট উপাধি পেয়েছেন! সেই থানায় যোগদান করেই ওসি প্রদীপ শতকোটি টাকার ইয়াবা সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিলেন। একদিকে ছোটখাটো ইয়াবা বহনকারীদের ধরে বিভিন্ন নির্যাতন, ক্রসফায়ার- ইত্যাদির মাধ্যমে বিশাল গ্রেফতার বাণিজ্য এবং অন্যদিকে, ইয়াবা পাচারের মূল অপারেটর হিসেবে একক ইয়াবা রাজাধিরাজ বনে যান। তার বিগত দুই বছরের ওসির দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে ৪৮টি বন্দুকযুদ্ধে ৮৭ জন মানুষ নিহত হয়েছিল। এই প্রক্রিয়ায় প্রদীপ পুরো টেকনাফ এলাকায় ভয়ঙ্কর ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে ফেলেন। থানার দেয়ালে তার নিজের বিশাল ছবি সেঁটে দেন। নিজের ব্যক্তিগত অস্ত্র ব্যবহার করে সরকারি বুলেট খরচ করে একের পর এক ক্রসফায়ারে হতদরিদ্রদেরকে ইয়াবাবাহক সাজিয়ে হত্যা করতে থাকেন। কিন্তু এসপিসহ পুলিশ প্রশাসন নিশ্চুপ থাকেন। পুলিশের নিজস্ব গোয়েন্দাজাল এত দুর্বল নয় যে, প্রদীপের কার্যকলাপ কেউ জানত না! এতে স্পষ্ট হয়, এসপি থেকে শুরু করে পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সবার অনুমোদনে ও ছত্রছায়ায় চলছিল প্রদীপের এসব কর্মকাণ্ড। ফলে স্বাভাবিকভাবে এটি অনুমেয়, এই বিশাল বাণিজ্যের প্রবাহ জোয়ারের মতো উপরের দিকেও নিয়মিত বইয়ে চলত। এভাবেই ওসি প্রদীপ গং ‘আনচ্যালেঞ্জড’ হয়ে উঠেছিল।
টেকনাফের যখন এমনই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, যখন ওসি প্রদীপ সর্বেসর্বা হয়ে উঠেছেন তখন মেজর (অব:) সিনহা তার ভিডিও টিম নিয়ে মাসাধিককাল ধরে কক্সবাজার অবস্থান করেন। তিনি তরুণ বয়সে সেনাবাহিনী থেকে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেন। অবসরের আগে সিনহা কিছু দিন কক্সবাজার এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় তিনি এই ইয়াবা বাণিজ্যের অনেক রসায়ন বুঝতে পেরেছিলেন। অবসর নিয়ে সিনহা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যপিয়াসী তরুণ হিসেবে প্রিয় মাতৃভূমির পাহাড়-সমুদ্রের সৌন্দর্য ক্যামেরাবন্দী করে বিশ্বের দরবারে দেশের রূপ-লাবণ্য তুলে ধরার কাজে মনোনিবেশ করেন। মাসাধিককাল ধরে নিজ নেশা ও পেশার কাজ করতে করতে তিনি টেকনাফ সীমান্তে অন্ধকার ইয়াবা সাম্রাজ্যকে আবিষ্কার করে ফেলেন। তিনি ইতোমধ্যে কৌশলে ওসি প্রদীপের সাক্ষাৎকারও গ্রহণ করে নিয়েছেন। সম্ভবত এটিই সিনহার জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ওসি প্রদীপ পরে পরিস্থিতি অনুধাবন করতে পেরে সিনহাকে সতর্ক করেন এবং কক্সবাজার ছেড়ে চলে যেতে হুমকি দেন। অকুতোভয় সৈনিক সিনহা ওই ধমকিতে কর্ণপাত না করে নিজ পেশার কাজের ফাঁকে ফাঁকে টেকনাফের ইয়াবা বাণিজ্যের ডকুমেন্টারি তৈরি করার চেষ্টা করেন। সিনহার এই কার্যক্রমে প্রদীপ থেকে শুরু পুলিশের সর্বোচ্চ মহল পর্যন্ত ভড়কে যায়। বিশ্লেষকদের মতে, তখনই সিনহাকে হত্যার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বাকিটা ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতরা সুসম্পন্ন করে!
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দেশব্যাপী ব্যাপক প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। ফলে পুলিশ কর্তৃপক্ষ এবং উপরের মাস্টারমাইন্ডরা তড়িঘড়ি করে এসপি মাসুদকে বদলি করে রাজশাহী অঞ্চলে পাঠিয়ে দেয়। কক্সবাজারের ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের দিয়ে এসপি মাসুদের পক্ষে সাফাই গাওয়ার জন্য সংবাদ সম্মেলন করায়। অন্যদিকে মেজর (অব:) সিনহা এবং তার টিমের সদস্যদের চরিত্র হননের চেষ্টায় পুলিশের বিভিন্ন ব্যক্তি সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন অনাকাক্সিক্ষত পোস্ট দেয়। কিন্তু এগুলোর মোকাবেলায় এসপি মাসুদ ও ওসি প্রদীপের কথোপকথন এবং প্রদীপের সাথে তার আইনি উপদেষ্টা জনৈক পুলিশ কর্মকর্তা (অব:) আল্লাহ বক্সের কথোপকথন ব্যাপক ভাইরাল হয়। এতে জনমনে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। সরকার তড়িঘড়ি করে তদন্তের পদক্ষেপ নেয়। দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সেনাপ্রধান এবং আইজিপি কোনো ঘটনাস্থলে গিয়ে একসাথে সংবাদ সম্মেলন করেন। এদিকে তদন্ত শেষ হলে মামলা থেকে এসপি মাসুদের নাম বাদ না দিলে মামলার চার্জশিট দাখিল করা হবে না বলে পুলিশ কর্তৃপক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেয়া হয়। তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ এ সময় সেনা অফিসার হত্যার বিচার চাওয়ার চেয়ে সরকারের অন্ধ তাঁবেদারিকেই অগ্রাধিকার দেন। ফলে মূল আসামিদের মধ্য থেকে এসপি মাসুদকে বাদ দেয়া হয়। সেই সাথে উপরে থাকা নেপথ্যের কুশীলবরাও আড়াল পড়ে যায়।
সিনহা হত্যাকাণ্ডের সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়েছিল জাতির জীবনে। একজন তরতাজা দেশপ্রেমিক অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসারের হত্যাকাণ্ড জাতিকে ব্যাপকভাবে নাড়া দিয়েছিল।
পুরো জাতি এর বিচারের জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। সেই সময় থেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক এই হত্যাকাণ্ডের জন্য সরকারের প্রতি চরম বিদ্বেষ শুরু হয়েছিল। যার ঢেউ ২০২৪ সালে স্বৈরাচারের তখতে চরম আঘাত হেনেছিল। এ ঘটনায় পুলিশ-সেনাবাহিনীর মুখোমুখি হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। সেনাপ্রধান ও পুলিশ প্রধান ঘটনাস্থলে গিয়ে যে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করছিলেন তা সেনাবাহিনীতে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছিল। সংবাদ সম্মেলনে তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজের অপেশাদার অ্যাপ্রোচ ও প্রতিক্রিয়া এবং পুলিশপ্রধান বেনজীরের আত্মম্ভরিতা প্রসূত কথাবার্তা ও বডি ল্যাংগুয়েজ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আত্মসম্মানে আঘাত হেনেছিল। অন্যদিকে অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসারদের সংগঠন ‘রাওয়া’ ঐক্যবদ্ধভাবে বিচার দাবিতে সরকারের ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করেছিল। যাতে সরকার বিচারপ্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করতে বাধ্য হয়েছিল। কিন্তু অবাধ্য ‘রওয়া’কে বাগে আনার জন্য বা বাধ্যগত করার জন্য ফ্যাসিস্ট দোসর জেনারেল আজিজ সরাসরি হস্তক্ষেপ করেন। হাসিনাকে খুশি করতে সেনাপ্রধানের সরাসরি হস্তক্ষেপে ‘রাওয়ার’ সেই সময়কার ভোটে নির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদ বা কাঠামো ভেঙে দেয়া হয়েছিল। এমনকি ‘রাওয়ার’ গঠনতন্ত্রের খোলনলচে সম্পূর্ণ বদলে দিয়ে নির্বাচনের পরিবর্তে মনোনয়নের প্রথা চালু করা হয় এবং তাতে অনুগত জেনারেলদেরকে ‘রাওয়া’ পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। অবশ্য পরবর্তীতে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিদায়ের পর বর্তমানে ‘রাওয়া’ তার আগের নিজস্ব কাঠামো ও অবস্থানে ফিরে এসেছে।
বর্তমানে উচ্চ আদালতের রায় মোতাবেক চূড়ান্ত বিচার সম্পন্নের অপেক্ষায় রয়েছে। এই রায় কার্যকর হলেও ন্যায়বিচার অপূর্ণ থেকে যাবে। কারণ, উপরের সারির অন্য কুশীলবরা বিচারের বাইরেই রয়ে গেছে। এ জন্য আজ ন্যায়বিচারের দাবি হলো- সেই কুশীলবদের বিচারের আওতায় আনা এবং তার মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডের পেছনের মাস্টারমাইন্ডদের চেহারা উন্মোচন করে বিচার কার্যক্রম সুসম্পন্ন করা।
লেখক : নিরাপত্তা বিশ্লেষক
[email protected]