গত ১৯ জুলাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। সমাবেশটি অনেককেই হতচকিত করে দিয়েছে। বিশেষ করে জামায়াতবিরোধীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। তাদের কেউ অবাক হয়েছেন কেউবা অন্তরে পুড়েছেন। আর জামায়াতের সমর্থকরা তৃপ্ত হয়ে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেছেন। জনমনে প্রতিক্রিয়া যাই হোক না কেন, সমাবেশটি সত্যিকারার্থে মহাসমাবেশ হিসেবে সফল হয়েছে। এই সমাবেশ জাতির রাজনীতির সংস্কৃতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
যতদূর মনে পড়ে, জামায়াত এ ধরনের বড় একটি সমাবেশ সর্বশেষ করতে পেরেছিল ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শেষ দিনটিতে। তবে সেই সমাবেশের অভিজ্ঞতা ছিল বড়ই করুণ ও মর্মান্তিক। বায়তুল মোকাররমের বহিরাঙ্গনে হওয়া সেই সমাবেশে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে লগি-বৈঠাসহ আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে মানুষ হত্যা করে তার ওপর নৃত্য করেছিল। এরও আগেও আশির দশকে এরশাদবিরোধী আন্দোলনে বিএনপির নেতৃত্বে সাত দল ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৫ দলের পাশাপাশি জামায়াতও ঢাকায় কয়েকটি বড় সমাবেশ করেছিল। তবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতের ইতিহাসের প্রথম সমাবেশ এটি।
বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর ২০১০ সালে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে একে একে গ্রেফতার করে। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মিথ্যা অপবাদ, অভিযোগ ও প্রশিক্ষিত মিথ্যা সাক্ষীর সাক্ষ্যের ভিত্তিতে শীর্ষ নেতাদেরকে ফাঁসি দিয়ে বিচারিক হত্যা চালায়। তখনই বুঝা যাচ্ছিল এবং এখন বিভিন্ন সূত্রের তথ্য মারফত জানা যায়, পার্শ্ববর্তী একটি রাষ্ট্রের বুদ্ধি, পরামর্শ এবং পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় জামায়াতকে চিরতরে পঙ্গু করে দেয়ার জন্যই এই আয়োজন করা হয়েছিল। এমনকি দেশের দু-একটি সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসব বিচারের দিকনির্দেশনা-সংক্রান্ত পার্শ্ববর্তী দেশের ওহি নিয়ে এসে বিচারালয়ে নাজিল করতেন এবং সেখানে বসেই মনিটর করতেন। আওয়ামী গোষ্ঠী ও হাসিনার ক্ষমতা চিরস্থায়ী করা এবং আধিপত্যবাদীদের প্রভাব নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যেই এখানে মুখ্য ছিল। এভাবে ইসলামী ছাত্রশিবির ও জামায়াতের নেতাকর্মীদেরকে গত ১৫ বছর হত্যা, গুম, খুন, জেল-জরিমানা করে বিপর্যস্ত করে রাখা হয়েছিল। তাদের কার্যালয়কে ১৫ বছর তালাবদ্ধ করে রেখেছিল। তাদের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হসপিটাল- সবই কেড়ে নিয়েছিল। জামায়াতের নিবন্ধন ও নির্বাচনের মার্কা ‘দাড়িপাল্লা’ বাতিল করে পুরোপুরি মারজিনালাইজড করে ফেলা হয়েছিল। তিনজন জামায়াত বা শিবিরকর্মী একসাথে বসলে তাদের নাশকতা ও রাষ্ট্রদ্রোহী মামলায় গ্রেফতার করা হতো। তাদের এসব কাজের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিল এক শ্রেণীর চিহ্নিত মিডিয়া ও বুদ্ধিজীবী গোষ্ঠী।
এমন সময় কোটাবিরোধী আন্দোলনের সুযোগ হাতছানি দেয়। সুযোগকে জামায়াত-শিবির পুরোপুরি কাজে লাগিয়ে ফেলে। শিবির এই আন্দোলনে ছায়া কাঠামো প্রসারিত করে। আর জামায়াত তার কর্মী বাহিনীকে হাসিনা হঠাও আন্দোলনে নামিয়ে দেয়। এ সময় বিএনপির কাছেও একমাত্র বিকল্প ছিল হাসিনার পতন। ফলে দেশব্যাপী ছাত্র-জনতা হাসিনা হঠাও আন্দোলনে নেমে পড়ে এবং হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়।
৫ আগস্ট অভ্যুত্থান-পরবর্তী লণ্ডভণ্ড বাংলাদেশ গঠনের কাজ শুরু হয়। শুরু হয় নতুন পরিবেশে নতুন রাজনীতি। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশে জামায়াত অত্যন্ত সুশৃঙ্খল ও পরিপক্ব রাজনীতি শুরু করে। ফিনিক্স পাখির মতো ধ্বংসাবশেষ থেকে তারা গাঝাড়া দিয়ে ওঠে। শুরু করে অত্যন্ত পরিশীলিত গঠনমূলক রাজনীতি। হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ও জান-মাল রক্ষা থেকে শুরু করে বিধ্বস্ত থানায় নিরাপত্তা ও পুলিশ মোতায়েন প্রক্রিয়ায় মনোবল ফিরিয়ে আনা এবং ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ পর্যন্ত সব সামাজিক কাজে যোগ দেয় পূর্ণোদ্যমে। অভ্যুত্থানে শহীদদের বাড়ি বাড়ি যায় সহানুভূতির পরশ নিয়ে, আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। একই সময়ে ফেনীর ভয়াবহ বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর মাধ্যমে জনগণের হৃদয়ে স্থান করে নেয়। জনতুষ্টিমূলক ব্যাপক কার্যক্রমের পাশাপাশি তারা দ্রুত দল গুছিয়ে নেয়। দেশব্যাপী বড় বড় কর্মী সমাবেশ সফলতার সাথে সম্পন্ন করে। জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে ৩০০ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে নেতাকর্মীদের মাঠে-ময়দানে নেমে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। একই সাথে জামায়াত জাতীয় রাজনীতিতে গভীরভাবে যুক্ত হয়। জাতীয় ঐক্য কমিশনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে থাকে। এরমধ্যে কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতির ঘটনাও ঘটেছে। মানুষের সংগঠন কখনো সম্পূর্ণ ত্রুটিমুক্ত থাকা সম্ভব নয়। জামায়াতের এমন রাজনৈতিক উত্থানে বিএনপির একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠে জামায়াত। ফলে কখনো কখনো এই রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা সঙ্ঘাত ও তিক্ততায় রূপ নেয়।
এমন একটি প্রেক্ষাপটে জামায়াত তার ‘সাত দফা’ দাবিকে জনপ্রিয় করার উদ্দেশ্যে জাতীয় সমাবেশের আয়োজন করে। প্রায় মাসব্যাপী প্রস্তুতি নিয়ে একটি সফল জাতীয় সমাবেশের আয়োজন করে। সারা দেশ থেকে কর্মী-সমর্থকরা এতে যোগ দেন। ১৮ জুলাই রাতেই সমাবেশস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পরিপূর্ণ হয়ে যায়। তারা চিড়া-মুড়ি শুকনো খাবার নিয়ে এক দিন আগেই চলে আসেন। কেন্দ্রীয় সংগঠন সরকারের কাছে আবেদন করে চারজোড়া অর্থাৎ আটটি রেলগাড়ি যথাযথ অর্থ পরিশোধের মাধ্যমে ভাড়া নেয়, হাজার হাজার বাস ভাড়া করে সমাবেশে আগমনের জন্য। ১৯ জুলাই শনিবার সকাল থেকেই উদ্যান ছাপিয়ে চারদিকের রাস্তায় মানুষ সমবেত হতে থাকে। অসমর্থিত সূত্রে জানা যায়, সেদিন ঢাকা শহরে মোট ২৫ লাখ নতুন সিম প্রবেশ করেছিল। তবে বিভিন্ন পত্রিকার রিপোর্ট মোতাবেক কমবেশি ১০ লাখ লোকের সমাগম হয়েছিল সেদিনের সমাবেশে। জামায়াতের নিজস্ব কর্মী-সমর্থক ছাড়াও ব্যাপক জনতার আগমন ঘটেছিল বলে সূত্রে প্রকাশ।
সত্যিকারার্থে জামায়াতের এই সমাবেশ ছিল একটি অনন্য মহাসমাবেশ। এত মানুষের সমাগম যে সুশৃঙ্খল হতে পারে তা সেদিনের চিত্র না দেখলে বুঝা যাবে না। বাইরে থেকে আগত বাসগুলো ঢাকার আউটস্কার্টে রেখে কর্মী-সমর্থকরা হেঁটে ঢাকায় প্রবেশ করেছেন। বিভাগওয়ারী ঢাকায় প্রবেশের রাস্তা আগেই নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছিল। তারা প্রত্যেকেই রাজধানীতে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখার সাধ্যমতো চেষ্টা করেছেন। তদুপরি যতটুকুন যানজট হয়েছে তার জন্য জনগণের কাছে দুঃখও প্রকাশ করেছেন। পুরো সমাবেশস্থলে জামায়াতের যুবাকর্মীরা স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করেছেন। স্থানে স্থানে অস্থায়ী শৌচাগার, অজুর সুবিধা রেখেছেন। সরবরাহ করেছেন খাবার পানি। জোহর-আসর নামাজের সময় কেন্দ্রীয়ভাবে আজান দিয়ে খণ্ড খণ্ড জামাতে নামাজ আদায় করার দৃশ্য ছিল চক্ষুশীতলকারী। একজন কেন্দ্রীয় নেতাকে দরাজ কণ্ঠে আজান দিতেও দেখা গেছে। ময়দান পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়ার পর বাইরে যে যেখানে জায়গা পেয়েছেন বসে গেছেন। অসংখ্য মাইকের সাথে সাথে মোড়ে মোড়ে বড় পর্দার মাধ্যমে তারা সমাবেশের লাইভে যুক্ত থেকেছেন।
এই সমাবেশ অনন্য হওয়ার একটি বড় কারণ হলো- এখানে কোনো গ্রুপ বা দল নিজ নিজ স্থানীয় নেতার ছবি সংবলিত ব্যানার বা প্ল্যাকার্ড বহন করেননি বা কোনো স্থানীয় নেতার নামে কোনো স্লোগানও দেননি। সবার সেøাগান একই ছিল। সবচেয়ে সুন্দর ছিল মঞ্চের দৃশ্য! শহীদ পরিবারের প্রতিনিধি, কেন্দ্রীয় নেতা এবং অন্যান্য দলের জাতীয় নেতারা মঞ্চে বসে আছেন; নেই কোনো ধাক্কাধাক্কি বা বড় নেতার সাথে সেলফি তোলার হুড়োহুড়ি!
সবাই অল্প কথায় মূল বক্তব্য দিয়েছেন। মঞ্চের সামনে বসা কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে কোনো প্রতিযোগিতা বা আগে যাওয়ার বা বসার কোনো ধাক্কাধাক্কি ছিল না। ছিল না বিরানির প্যাকেট নিয়ে টানাটানি বা কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন; বরং সবাই অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে নেতাদের বক্তৃতা গলধঃকরণ করছিলেন এবং সাড়া দিচ্ছিলেন। একটি ভিন্ন রকম সমাবেশের আরো একটি কারণ ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক নাটিকা এবং গানের মাধ্যমে তারা ইসলামী সংস্কৃতির সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলেছেন। এর মধ্যে ফ্যাসিস্ট হাসিনার অপকর্মগুলো প্রতিফলিত হওয়ার পাশাপাশি অভ্যুত্থানের যোদ্ধা ও শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধার আবেগ স্থান পেয়েছিল।
জামায়াতের আমিরের বক্তব্য এই সমাবেশটিকে ঐতিহাসিক করে রেখেছে। এ ধরনের বক্তব্য প্রক্রিয়া দেশের ইতিহাসে তো নয়ই; বরং পৃথিবীর ইতিহাসে ঘটেছে কিনা জানি না। ভবিষ্যতের জন্যও এ ধরনের বক্তব্য একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। ডা: শফিকুর রহমান বক্তৃতা শুরু করলেন। সাত মিনিটের মাথায় তিনি হঠাৎ দাঁড়ানো থেকে অজ্ঞান হয়ে মঞ্চে পড়ে গেলেন। সমাবেশের মানুষগুলোর হৃদয় হাহাকার করে উঠল। প্রিয় নেতার জন্য সবাই কেঁদে উঠলেন। বড় পর্দায় সেই দৃশ্য স্পষ্ট দৃশ্যমান ছিল। পুরো সমাবেশস্থলে বিষাদের ছায়া নেমে এসেছিল। সমাবেশের মানুষগুলোর অন্তর ফেটে ছটফট করছিল। কিন্তু সবাই ছিল শান্ত, ধীরস্থির। তারা শুধু আল্লাহর কাছেই তাদের প্রিয় আমিরের সুস্থতার জন্য দোয়া করছিলেন। ঠিক ২ মিনিট পরই তিনি দাঁড়িয়ে আবার বক্তৃতা শুরু করলেন। অজ্ঞান হওয়ার আগে যেখানে শেষ করেছিলেন, জ্ঞান ফিরে পেয়ে সেখান থেকেই বক্তৃতা শুরু করলেন। কিন্তু ২ মিনিটের মাথায় আবার পড়ে যাওয়ার উপক্রম হলে অন্য নেতারা এবং ডাক্তাররা তাকে ধরে বসিয়ে দিলেন। পরবর্তী এক মিনিটের মাথায় তিনি আবার বসেই বক্তৃতা শুরু করলেন। এবারো দ্বিতীয়বার জ্ঞান হারানোর আগের বক্তব্যে ধারাবাহিকতা বজায় রাখলেন। উপস্থিত ডাক্তার এবং সুহৃদ নেতারা যখন তাকে বক্তৃতা না করার পরামর্শ দিচ্ছিলেন। তিনি এক ধমকে সবাইকে খামোশ করে দিলেন। আর বললেন, ‘আমার আল্লাহ যখন চাইবেন ঠিক সেই মুহূর্তেই আমাকে যেতে হবে, এর আগে নয়।’ সমাবেশস্থল পিন-পতন নীরব হয়ে গেল। জামায়াত আমির বসে বসে পা দুটো সামনে ছড়িয়ে রেখে তার সাবলীল তেজস্বী বক্তৃতা শেষ করলেন। তিনি ‘দুর্নীতি’ এবং ‘চাঁদাবাজি’র বিরুদ্ধে আরো একটি লড়াইয়ের জন্য জনগণকে প্রস্তুত হতে বললেন এবং নিজেও সেই লড়াইয়ে শহীদ হতে পারার সৌভাগ্য অর্জনের জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়ে বক্তৃতা শেষ করলেন। সবশেষে তিনি দাঁড়িয়ে স্বাভাবিক ভঙ্গিমায় দুই হাত নেড়ে সমবেত জনতাকে বিদায় জানান।
জামায়াতের জাতীয় সমাবেশের এই শেষ অংশটুকু পুরো ইসলামী আন্দোলনকেই মহৎ করে তুলছে। ইসলামী আন্দোলনে নেতৃত্ব কেমন হতে পারে তার একটি জীবন্ত উদাহরণ হয়ে থাকবে। মানুষ এমন নেতৃত্বই খুঁজে বেড়ায়। এমন নেতৃত্বের কাছেই মানুষ নিরাপত্তা ও আস্থা খুঁজে পায়। ইসলাম যে নেতৃত্ব শেখায় তাতে রয়েছে দৃঢ় মনোবল, আল্লাহর ওপর পরিপূর্ণ আস্থা, জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লক্ষ্যপানে অবিচল থাকা, অধীনস্থদের ভালোবাসা ও প্রয়োজনের সময় দৃঢ়চেতা থাকা এবং সর্বোপরি মহান রবের দরবারে কপাল ঠুকে ক্ষমা চাওয়া এবং শুকরিয়া আদায় করা।
এই সমাবেশের পরের অংশটুকুও মনে রাখার মতো হয়েছে। সমাবেশ শেষে জামায়াতে আমিরকে হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে সন্ধ্যার পরেই বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং সিনিয়র নেতা ড. মঈন খান জামায়াত নেতাকে দেখতে যান এবং তার শরীরিক খোঁজখবর নেন। বিএনপির এই ইতিবাচক পদক্ষেপ আমাদের রাজনীতির সংস্কৃতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আওয়ামী আমলের তৈরি করা রাজনীতির বিষবাষ্প থেকে দেশ ও জাতি মুক্ত হবে ইনশাল্লাহ্।
সমবেত জনসংখ্যা যাই হোক বলতে হবে- এটি একটি সফল জাতীয় সমাবেশ। তবে সমাবেশ ও ভোটের মাঠ কিন্তু এক নয়। ভোটের মাঠ সম্পূর্ণ ভিন্ন চরিত্রের। সেজন্য কৌশলগত যথাযথ প্রস্তুতিই এখন বড় লক্ষ্য হওয়া উচিত।
লেখক : নিরাপত্তা বিশ্লেষক
[email protected]