সাতচল্লিশের দেশ ভাগের অজানা কথা

তারা মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলগুলোকে নিয়ে একটি কনফেডারেসি গঠনের কথা বলেছিল, যাতে জিন্নাহ সাহেব ও লীগের চিন্তারই প্রতিফলন ছিল। সেটা হতে দেয়নি ব্রিটেন বা ভারতে ব্রিটিশদের কংগ্রেস।

বাংলাদেশের সীমান্ত সর্বনাশটা করে গেছেন ব্রিটেনের বাংলা বাউন্ডারি কমিশনের চেয়ারম্যান সিরিল র‌্যাডক্লিফ। ৫ সদস্যবিশিষ্ট বেঙ্গল-আসাম বাউন্ডারি কমিশনে অন্য যে চারজন ছিলেন (সিসি. বিশ্বাস, বিকে. মুখার্জি, আবু সালেহ মোহাম্মদ আকরম এবং এসএ রহমান), এদের র‌্যাডক্লিফ গোনায় ধরতেন না। তিনি ছিলেন কংগ্রেস নেতা কৃষ্ণ মেনন, বাল গঙ্গাধর তীলক, বল্লবভাই প্যাটেল এবং লালা লাজপত ও নেহরুর আশীর্বাদপুষ্ট, ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক ‘দালাল’! র‌্যাডক্লিফ না জানতেন বাংলাকে, না জানতেন আসাম-কাছাড় উপত্যকাকে, আর না জানতেন ১৯০৫ এর বঙ্গবিভাগের সীমানা এবং এর ঐতিহাসিক পটভূমি। তার প্রভু ছিলেন ভাইসরয় লর্ড মাউন্টব্যাটেন, আর্ল অব বার্মা। প্রচলিত রয়েছে, মাউন্টব্যাটেনের সুন্দরী স্ত্রী পামেলার সাথে কংগ্রেস নেতা নেহরুর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পামেলা ছিলেন মাউন্টব্যাটেনের প্রভাব কংগ্রেসের অনুকূলে রাখার চাবিকাঠি। এজন্যই ব্রিটিশ লেবার পার্টি মাত্র এক বছরের মধ্যে বড় লাট ওয়াভেলকে বিদায় করে মাউন্টব্যাটেনের মতো অনভিজ্ঞ ভাঁওরা দালাল রাজ-পুরুষকে ভারতে বড় লাট করে এনেছিল।

রামমনোহর লোহিয়ার এক বিখ্যাত বই আছে, গিল্টি মেন অব ইন্ডিয়ান’স পার্টিশন, তিনি ছিলেন একজন ভারতীয় কম্যুনিস্ট। তার বিবেকে দংশন ঘটে যেভাবে কুখ্যাত র‌্যাডক্লিফ বাউন্ডারি কমিশন এই বাংলা বিভাগের সীমানা আঁকে তা দেখে। পূর্ব বাংলার সব এলাকাকে ভাটিতে রেখে উজানে ভারতকে দিয়ে কুখ্যাত র‌্যাডক্লিভ বাউন্ডারি সাব্যস্ত করে, যার কাছে ভূপ্রকৃতি, স্বাভাবিক ভৌগোলিক বা টপোগ্রাফিক বাস্তবতা, উজান-ভাটি এবং লোকালয়ের অবিভাজ্যতা সামান্যতম বিবেচনা পায়নি। এলাহাবাদভিত্তিক কিতাবিস্তান লোহিয়ার এই বইটা ছাপে এবং আজ অবধি ভারত-বাংলাদেশের সীমান্ত সাব্যস্ত করার এই কুখ্যাত ‘র‌্যাডক্লিফ অ্যাওয়ার্ড’ নিয়ে প্রকাশিত যে কোনো প্রামাণ্য মোহাফেজে লোহিয়ার এই বইটাকে (গিল্টি মেন অব ইন্ডিয়ান’স পার্টিশন) অগ্রগণ্য দস্তাবেজ হিসাবে গণ্য করা হয়।

তবে ১৯৪৭ সালে বাংলা ও পাঞ্জাব এই দুই প্রদেশ ভাগ করা সাপেক্ষে ভারতের স্বাধীনতা প্রদানে বাধ্য করা হয় ঔপনিবেশিক দখলদারির প্রতীক ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ। ফলে ১৪ আগস্ট, ১৯৪৭ তারিখে আমাদের ২০০ বছরের গোলামি এবং এ দেশের হিন্দু জমিদার ও মাড়োয়ারি সুদখোর মহাজনী নিষ্পেষণের অবসান ঘটে। আমরা সরাসরি ব্রিটিশের গোলামি করিনি। কারণ ব্রিটেন কোম্পানি শাসন ও চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের মাধ্যমে আমাদের গোলাম করে রেখেছিল। এই নিষ্ঠুর করদ প্রথার প্রত্যক্ষ নিয়ন্তা ছিল প্রথমে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও পরে ‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত’ পাওয়া কলকাতাকেন্দ্রিক ও স্থানীয় হিন্দু জমিদার বাবু শ্রেণী। মোগল আমলে রাজকর দেবার বিধান ছিল ফসল দিয়ে। ব্রিটিশরা মুদ্রায় কর লুটত। নগদ টাকা তখন বাংলার রায়ত গৃহস্থ, এমনকি সচ্ছল প্রজাদের কাছেও ছিল না। এই মুদ্রা-রাজস্বের গ্যাঁড়াকলে ফেঁসে গিয়ে বাংলার-বিশেষ করে পূর্ব বাংলার মুসলমান গৃহস্থ মুসলিম কৃষি সমাজ একেবারে দীন হীন নিঃস্ব হয়ে পড়ে। ব্রিটিশ-জমিদারদের চালু করা ‘সূর্যাস্ত আইনে’ তথা দিন শেষ হওয়ার আগেই বকেয়া কর উসুল না হলে জমি ক্রোক করা হতো। সেই জমি পানির দামে রাজকর্মচারী-কালেক্টরদের কাছ থেকে কিনে নিত ওই নব্য ব্যবসায়ী সুদখোর হিন্দু ধনিক-বণিক চক্র। এই নিষ্ঠুর রাজস্ব নিষ্পেষণ সম্পর্কে উইলিয়াম হান্টার তার বিখ্যাত (দ্য ইন্ডিয়ান মুসলমানস) বইতে লিখে যান : ‘আজ থেকে একশত বছর আগে বাংলার কোনো মুসলমান দরিদ্র হতে পারে, এটা ভাবাই যেত না। আর আজ কোনো মুসলমান সচ্ছল হতে পারে এটাই ভাবা যায় না।’

অর্থাৎ আমাদের মুসলমানদের অবস্থা হয়ে পড়েছিল ঠিক মামলুক শাসনাধীন মিসরীয়দের মতো। প্রকৃত পক্ষে আমাদের ওপর ২০০ বছরের শোষণ-লুণ্ঠন-ভূমিদস্যুতা চালিয়েছে ব্রিটিশ অনুগত জমিদার শ্রেণী ও রাজকর আদায়ি গোমস্তা ও তাদের চামুণ্ডারা। কলকাতার বাবুরা পানির দামে জমিদারি কিনে ভূমি অধিপতি সেজে বসে এবং তাদের সন্তানেরা ইংরেজি ভাষা ও শিক্ষা একচ্ছত্রভাবে ভোগের ফলে ব্রিটিশ কেতাদুরস্ত তথাকথিত ‘রেনেসাঁর’ ভাবতরঙ্গের অনুঘটক সেজে বসে। এই বাবু শ্রেণীটি ছিল মূলত ব্রিটিশরাজ অনুগত এবং সাংস্কৃতিক লম্পট। তা না হলে ঔপনিবেশিক শক্তির দালালিকে কোনো বিবেকমান মানুষ ‘রেনেসাঁ’ বলতে পারে? তারা বিবেকের কণ্ঠস্বর বানিয়ে তোলে ঈশ্বরচন্দ্রকে। তিনি নাকি সতীদাহ প্রথা বন্ধ এবং বিধবা বিয়ে প্রবর্তন করেন। ইতিহাস সাক্ষী এদেশে সতীদাহ কুপ্রথা বন্ধ করেন মহামতি বাদশাহ আওরঙ্গজেব। তিনি নির্দেশ দেন দেশের কোথায় স্বামীর মৃত্যুর পর তার বিধবা স্ত্রীকে চিতায় তুলে সহমরণে ঝাঁপ দেবার আগে কোতোয়াল যেন সেখানে উপস্থিত থেকে কেবল তিনটি জিনিস নিশ্চিত হতো যে, ১. বিধবা স্বেচ্ছায় সহমরণে উদ্যত ২. নাকি শ্বশুরবাড়ির জমি থেকে তাকে বঞ্চিত করার জন্য জীবন্ত দাহ করতে পাঠানো হচ্ছে কি না; কিংবা ৩. তাকে কোনো মাদকদ্রব্য প্রয়োগে নেশাসক্ত করা হয়েছে কি না? বাদশাহ বললেন, তোমরা কেবল এই তিনটা জিনিস নিশ্চিত হবে; হিন্দুদের ধর্মীয় প্রথার বিরুদ্ধে যাবে না। কারণ, এটা হিন্দুদের ধর্মীয় বিধান। ব্যস, কোতোয়ালের স্রেফ উপস্থিতির কারণেই ভারতবর্ষে ৭০ শতাংশ সতীদাহ বন্ধ হয়ে গেল!

কোম্পানির শাসন যুগের শুরু থেকেই পূর্ববঙ্গের শোষণ-নির্যাতনের প্রত্যক্ষ দায়িত্ব দেয়া হয় জমিদার বাবুদের কাছে। কাজেই কলকাতাকেন্দ্রিক হিন্দু জমিদার বাবুরাই হয়ে দাঁড়ায় আমাদের ‘জনগণ মন অধিনায়ক জয় হে, জয় ভারত ভাগ্য বিধাতা। (দুঃখজনক যে, রাজা পঞ্চম এডওয়ার্ডকে প্রশান্তি স্তুতিতে লেখা এই গানখানিই ভারতের জাতীয় সঙ্গীত। এটাও লেখা রবীন্দ্রনাথেরই)। কলকাতায় কোনো পলাশীর ভাস্কর্য নেই; নারিকেলবাড়িয়ার স্মৃতি নেই; আছে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল আর ব্রিটিশ লুটেরা বড় লাটদের নামে উৎসর্গিত বড় বড় রাজপথ। ঔপনিবেশিক অভিশপ্ত নগরী এই কলকাতা। ব্রিটিশ দুঃশাসনের নির্মমতা যেখানে ঢাকা দিয়ে রাখা হয়েছে তাদের ব্রিটিশ রাজানুগত্য এবং লেজুরবৃত্তির প্রশস্তি কাব্যে। অথচ যেখানে লর্ড ক্লাইভের মূর্তি গড়া হয়েছে, ইংল্যান্ডের সেই কলঙ্কিত কাউন্টির জনগণ নিজেরাই আজ বিবেকের দংশন থেকে প্রস্তাব করছেন ওই মূর্তিটি তাদের কাউন্টি থেকে সরিয়ে অন্য কোথাও নিয়ে গিয়ে পুনঃস্থাপন কিংবা মূর্তিটি ভেঙে দিতে।

১৯৪৭ সালের দেশ বিভাগ করে ব্রিটেন ভারতবাসীর শাসনতান্ত্রিক সঙ্কটের ঔপনিবেশিক সমাধানের পথ অনুসরণ করেন। অথচ ভারতীয় তথ্যসন্ত্রাসী এবং তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা কংগ্রেসের পাঞ্জাব ও বাংলা ভাগ নিয়ে একটা কথাও বলে না। নিখিল ভারত মুসলিম লীগ কিংবা ভারতীয় মুসলমানদের অবিসংবাদিত নেতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ এক সময় ছিলেন ভারত বিভক্তির ঘোরবিরোধী। বাংলা বিভক্তির বিরুদ্ধে বঙ্গীয় মুসলিম লীগ এবং কংগ্রেসও ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নেয়। এ ব্যাপারে আবুল হাশিম ও শরৎ বসুর (নেতাজী সুভাষের বড় ভাই) মধ্যে চুক্তিও হয়। তারা কলকাতা থেকে গিয়ে একবার নেহরুকে বোঝানোর চেষ্টা করেন; একবার গান্ধীকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ভারতীয় বর্ণ হিন্দুরা বাংলাকে শেষ পর্যন্ত এক থাকতেই দেয়নি। জিন্নাহ বড় লাট মাউন্টব্যাটেনকে বলেন কেউ যদি বলে তোমায় গোটা ফ্রান্স দিয়ে দেব। কিন্তু প্যারিস আমরা রাখব। সে রকমই হাস্যকর বিনিময় ছিল পূর্ব বাংলাকে আসাম বাদ দিয়ে পাকিস্তানে নাও। কিন্তু কলকাতা হবে পশ্চিম বাংলা বা ভারতের।

১৭৫৭ সালে পলাশী যুদ্ধে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে হারিয়ে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলা হাতিয়ে নেয় অর্থাৎ গোটা ভারতে মোগল সাম্রাজ্যকে ধ্বংস করতে উঠে পড়ে লাগে। এক শ’ বছর ধরে একটি কোম্পানি এতবড় রাজ্য শাসন করে। ১৮৫৭ সালের প্রথম ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের পর কোম্পানি থেকে ভারত শাসনের দায়িত্ব নেয় স্বয়ং ব্রিটিশরাজ। ১৮৫৭ সালে ইংরেজ এবং উচ্চ বর্ণ হিন্দু জোট মিলে তৈরি করে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস (সংক্ষেপে কংগ্রেস)। ১৯০৫ সালে প্রশাসনিক সুবিধা বিবেচনা করে পূর্ব বাংলা ও আসাম নিয়ে প্রথম বঙ্গভঙ্গ ঘোষণা করেন বড় লাট কার্জন। ১৯০৬ সালে জন্ম নেয় সর্ব ভারতীয় মুসলিম এবং সেটা হয় এই ঢাকার নবাবদের বাড়ি এই বুড়িগঙ্গা বিধৌত নবাববাড়ী আহসানউল্লাহ মঞ্জিলে। বঙ্গভঙ্গের ফলে কলকাতা কেন্দ্রীয় হিন্দু জমিদারদের স্বর্গরাজ্য এই পূর্ব বাংলা হাতছাড়া হওয়ার বার্তা দেয়। অমনি শুরু হয়ে যায় হিন্দু বাবুদের দেশপ্রেম এবং বাংলাকে আবার এক করার চক্রান্ত। রাজা পঞ্চম এডওয়ার্ড আসেন ভারতে। তিনিই ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গকে ১৯১১ সালে রদ করেন এবং একই ফরমানে কেন্দ্রীয় রাজধানী কলকাতা থেকে নয়াদিল্লিতে সরিয়ে নেয়ার ঘোষণা আসে। ১৯১৪ থেকে ১৯১৮ পর্যন্ত সংঘটিত হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধ। এই যুদ্ধে বঙ্গীয় মুসলমান জাতি ব্রিটেনকে সমর্থন দেয় এ শর্তে যে ব্রিটেন কোনো অবস্থাতে তুর্কি অটোম্যান সাম্রাজ্য ভেঙে দেবে না। দেখুন আমাদের পূর্বপুরুষরা কতখানি জ্ঞানী এবং বিশ্বদৃষ্টিভঙ্গি সম্পন্ন ছিলেন। ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহেরও নেতৃত্ব দেন ভারতের মুসলমানরা। তখনকার দিনে ব্রিটিশ এনফিল্ড রাইফেলে যে কার্তুজ ব্যবহার করা হতো, তা মুখ দিয়ে ছিঁড়ে বন্দুকে ভরতে হতো। ওই কার্তুজের (কার্টিজ) মুখ লাগানো হতো শূকরের চর্বি দিয়ে। মুসলমান ও শিখদের জন্য শূকরের মাংস হারাম। তাই তারা বিদ্রোহ করে।

পূর্ব বাংলার অধিকাংশ মানুষ (তখনো এবং এখনো) মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ। এখানকার বীর যুবকরা যুগে যুগে বিদেশী হার্মাদ, বর্গি, মারাঠি, পর্তুগিজ, ডাচ, ফরাসি, ইংরেজ, এমনকি মোগল বাহিনীর বিরুদ্ধেও বুকের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই করে দেশের আজাদি সুনিশ্চিত করেছে। অথচ ১৯৪৭ সালে ব্রিটেন দেশ ভাগ করার কালে সেই পূর্ব বাংলা থেকে আসাম ও উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় সাত পাহাড়ি রাজ্য (সেভেন সিস্টার্স) কে কেড়ে নিয়ে এমনকি পাহাড়গুলোকে ভারতে রেখে ভাটির জলাভূমিকে পূর্ব বাংলায় দিয়ে রাখে। উদ্দেশ্যটা ছিল এই খণ্ডিত ‘পোকায় খাওয়া’ ভাটি অঞ্চল কিছু দিনের মধ্যেই যাতে ভারতে ফিরে আসতে বাধ্য হয়। ১৯৩৫ সালে ব্রিটিশ সংসদে ভারত শাসন আইন পাস হয়। ১৯৩৯ সালে শুরু হয় দুনিয়া কাঁপানো এবং দুনিয়া বদলানো দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ। ১৯৪০ সালে গৃহীত হয় লীগের লাহোর প্রস্তাব। এই প্রস্তাবে পশ্চিমে ও পূর্বে দু’টি স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র গঠনের প্রস্তাব রাখা হয়। ১৯৪৪ সালে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ শেষে ১৯৪৫ সালে রক্ষণশীলদের হটিয়ে ব্রিটেনে শ্রমিক দল ভোটে জিতে সরকার গঠন করে। এই লেবার দলের হাতেই সূচিত হয় মুসলমানদের বিরুদ্ধে ২০০ বছরের ব্রিটিশ বিপর্যয় এবং প্রতিরোধ যুদ্ধের যাবতীয় প্রতিশোধ। অথচ একটি রাষ্ট্রের কথা ব্রিটিশ কেবিনেট মিশনের প্রস্তাব ছিল না। তারা মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলগুলোকে নিয়ে একটি কনফেডারেসি গঠনের কথা বলেছিল, যাতে জিন্নাহ সাহেব ও লীগের চিন্তারই প্রতিফলন ছিল। সেটা হতে দেয়নি ব্রিটেন বা ভারতে ব্রিটিশদের কংগ্রেস।

লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক