গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা অনুসৃত হয় এমন সব দেশে একটি নির্দিষ্ট মেয়াদান্তে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সচরাচর পৃথিবীর বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশে দুই ধরনের শাসনব্যবস্থা অনুসৃত হতে দেখা যায়। এর একটি- রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকারব্যবস্থা, অন্যটি সংসদীয় পদ্ধতির সরকারব্যবস্থা। রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকারব্যবস্থায় সরকারের নির্বাহী ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত, অন্য দিকে সংসদীয় পদ্ধতির সরকারব্যবস্থায় সরকারের নির্বাহী ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর ওপর ন্যস্ত। উভয় ব্যবস্থায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন। আমাদের দেশের বর্তমান সরকারব্যবস্থা সংসদীয় পদ্ধতির হলেও এ দেশের মানুষের উভয় পদ্ধতির সরকারব্যবস্থা দেখার সুযোগ হয়েছে।
যেকোনো দেশের জাতীয় নির্বাচন বিরাট কর্মযজ্ঞ। জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে হলে সরকারের বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত ব্যক্তিদের সাহায্য নিতে হয়। বিভিন্ন দেশে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশন পালন করলেও এর জনবল সীমিত হওয়ায় ইসি সরকারের অপরাপর কর্তৃপক্ষের সহায়তা নেয়। সরকারের বিভিন্ন কর্র্তৃপক্ষ জনবল ও সম্পদ দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করে থাকে।
সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের নিমিত্ত ইসির প্রাথমিক দায়িত্ব নির্ভুল ও সঠিক ভোটার তালিকা প্রস্তুত করা এবং নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ। ভোটার তালিকা প্রস্তুতেও নির্বাচন কমিশনকে অপরাপর কর্তৃপক্ষের অধীন কর্মরত ব্যক্তিদের সহায়তা নিতে হয়। সংসদীয় পদ্ধতির সরকারব্যবস্থায় সংসদের আসনসংখ্যা ও দেশের জনসংখ্যার ভিত্তিতে সংসদীয় এলাকার সীমানা নির্ধারণ করা হয়। ভোটার তালিকা প্রস্তুত-পরবর্তী এর হালনাগাদ একটি চলমান প্রক্রিয়া। সাধারণত প্রতিটি সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশন সংসদীয় এলাকার সীমানা নির্ধারণ-বিষয়ক কার্যক্রম হাতে নেয়। এতে দেখা যায়, কিছু নির্বাচনী এলাকার সীমানা আগের মতো একই থাকে, আবার কিছুর পুনর্বিন্যাস করা হয়।
জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে রক্ষিত জনগণ প্রদত্ত করের বিপুল অর্থ ব্যয় হয়। কোনো দেশে নির্দিষ্ট মেয়াদের আগে ঘন ঘন জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তা এক দিকে যেমন অর্থের অযাচিত ব্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়, অন্য দিকে সরকার ও দেশের স্থিতিশীলতায় বাধা হিসেবে দেখা দেয়। পৃথিবীর উন্নত ও উন্নয়নশীল গণতান্ত্রিক দেশে খুব কম নির্বাচনের সুষ্ঠুতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্নের উদয় হয়। জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে নির্বাচনকালীন সরকারকে যেমন নিরপেক্ষ হতে হয়, অনুরূপ নির্বাচন কমিশনকেও পক্ষপাতহীন হতে হয়।
আমাদের সংবিধানে বর্তমানে ‘নির্বাচনকালীন সরকার’ নামে কোনো ব্যবস্থার উল্লেখ নেই। ১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী দল বিএনপি ও তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগ সমঝোতায় উপনীত হয়ে সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনীর মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকারব্যবস্থা থেকে সংসদীয় পদ্ধতির সরকারব্যবস্থায় পরিবর্তন ঘটায়। এ ধরনের পরিবর্তনে সংসদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থন আবশ্যক। পঞ্চম সংসদে বিএনপির দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল না। সে সংসদে আওয়ামী লীগ আনীত সরকারব্যবস্থার পরিবর্তন-সংক্রান্ত বিলে বিএনপি সমর্থন দিয়ে তা আইনে রূপ দেয়।
পঞ্চম সংসদ পূর্ববর্তী চারটির কোনোটি মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেনি। প্রথম সংসদ নির্বাচন সংসদীয় পদ্ধতির সরকারব্যবস্থার অধীন অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম সংসদে সংশোধনী এনে ১৯৭৫ সালে দেশে রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকারব্যবস্থার প্রবর্তন করা হয়। পরে পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী দল বিএনপি ও তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগ আনীত সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংসদীয় পদ্ধতির সরকারব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন করা হয়। দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানকালীন রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকারব্যবস্থা বহাল ছিল। দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ সংসদ নির্বাচনের সময় দেখা গেছে, রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বাধীন দল নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছে। পঞ্চম সংসদ নির্বাচনটি আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দু’টি দলের নেতৃত্বাধীন জোটের সমঝোতায় কর্মরত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন অস্থায়ী সরকারের অধীন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এ নির্বাচনে দেখা গেল, বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ক্ষমতাসীন বহিভর্ূত দলের অধীন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নির্বাচনের অব্যবহিত আগের ক্ষমতাসীনরা বিজয়ী হতে ব্যর্থ হয়েছে।
পঞ্চম সংসদে দেশের বড় দু’টি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমঝোতায় সংসদীয় পদ্ধতির শাসনব্যবস্থার প্রবর্তন ঘটলেও এ সংসদ বহাল থাকাবস্থায় তৎকালীন প্রধান বিরোধী দল আওয়ামী লীগের নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার দাবির প্রতি একাত্ম হয়ে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের সাথে একযোগে সংসদ থেকে পদত্যাগ করে।
পঞ্চম সংসদ বহাল থাকাকালীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি উত্থাপিত হলেও দলটি এ বিষয়ে সংসদে কোনো বিল উত্থাপন করেনি। পঞ্চম সংসদের শেষপর্যায়ে আওয়ামী লীগসহ অন্য দু’টি দল জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় পার্টি সংসদ থেকে পদত্যাগ করলে ওই সংসদের মাধ্যমে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা-সংক্রান্ত সংশোধনী আনার পথ রুদ্ধ হয়ে যায়।
ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচন আওয়ামী লীগ, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় পার্টির বর্জনে একতরফাভাবে অনুষ্ঠিত হয়। সে সংসদে বিএনপির এককভাবে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় আওয়ামী লীগ, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় পার্টির সম্মিলিত দাবি ও জনদাবির প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে বিএনপি সে সংসদে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা সমুন্নত রাখার স্বার্থে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার বিলের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করে এ সরকারব্যবস্থার অধীন পরবর্তী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ সুগম করে সংসদের অবলুপ্তি ঘটায়।
সপ্তম সংসদ নির্বাচন সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংশোধিত নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে আগের ক্ষমতাসীন দল বিজয় অর্জনে ব্যর্থ হয়। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন অনুষ্ঠিত সপ্তম ও অষ্টম সংসদ নির্বাচনের প্রথমোক্তটিতে আওয়ামী লীগ ও শেষোক্তটিতে বিএনপি বিজয়ী হয়। উভয় নির্বাচনে দেখা গেছে, নির্বাচনের অব্যবহিত আগের ক্ষমতাসীন দল বিজয়ী হতে পারেনি।
অষ্টম সংসদ নির্বাচনটি অসাংবিধানিকভাবে গঠিত সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন অনুষ্ঠিত হয়। সে নির্বাচনেও দেখা গেছে, নির্বাচন অনুষ্ঠানের অব্যবহিত আগের ক্ষমতাসীন দল বিজয়ী হতে ব্যর্থ হয়েছে। নবম সংসদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল। এ সংসদে দলটি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার বলে বলীয়ান হয়ে তৎকালীন বিরোধী দল বিএনপির বিরোধিতা এবং জনদাবির প্রতি অবজ্ঞা ও উপেক্ষায় নিজেদের উদ্যোগে প্রবর্তিত নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার বিলোপ করে ক্ষমতাসীন দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা প্রবর্তন করে।
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার বাতিলপরবর্তী দলীয় সরকারের অধীনে দশম, একাদশ ও দ্বাদশ যে তিনটি সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল, সে নির্বাচনগুলো গণতান্ত্রিক মাপকাঠিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ বলার অবকাশ নেই। তা ছাড়া এগুলোর প্রথমটিতে জনগণের পত্যক্ষ ভোটে নির্বাচনের জন্য উন্মুক্ত ৩০০টি আসনের অর্ধেকেরও বেশি আসনে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় এটি যে আদৌ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ছিল না, সে বিষয়ে কারো মধ্যে কোনো সংশয় নেই। অবশিষ্ট অর্ধেকের কম আসনে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে তাতে ভোটার উপস্থিতির তুলনায় যে ভোটের হার দেখানো হয়েছে, তা দেশের সচেতন জনগোষ্ঠীর কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে দিনের ভোট আনুষ্ঠানিক ভোট গ্রহণের নির্ধারিত তারিখের আগের রাতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলাবাহিনী ও দলীয় নেতাকর্মীদের সহায়তায় সম্পন্ন করায় যেকোনো মানদণ্ডে এটিকে কোনোভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন বলার অবকাশ নেই। সর্বশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ঠিক করে দেন দলীয় ও বিরোধী দলীয় প্রার্থী কে হবেন এবং কাকে নির্বাচনে বিজয়ী করা হবে। বস্তুত তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এমন তিনটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন ও প্রহসনমূলক নির্বচনের আয়োজন করে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির দাবি- দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না, এটি প্রতিষ্ঠিত করেছে।
ক্ষমতাসীন দলীয় সরকারের অধীন অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচন যে সুষ্ঠু হয় না, এ বিষয়ে বিরোধী দলে থাকাবস্থায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অবস্থান অভিন্ন। এ দেশের সাধারণ জনমানুষের একটি বড় অংশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান বিষয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বিরোধী দলে অবস্থানকালীন অভিমতের সাথে সহমত পোষণ করেন। বিগত দিনে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের বাইরে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া, যুক্তফ্রন্ট ও বামপন্থী কয়েকটি দল সমন্বয়ে গঠিত জোট বিএনপি ও জনদাবির সাথে একাত্ম হয়ে নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দিয়ে সরকারের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার অধীন নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবির প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছে। উল্লিখিত তিনটি জোটের প্রতি সম্মিলিত জনসমর্থন আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর তুলনায় নগণ্য হলেও জোটভুক্ত এসব দলের নেতৃত্বে যারা ছিলেন, তারা জাতীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে সম্মানিত। কথাটি অনস্বীকার্য যে, উল্লিখিত জোটের নেতৃস্থানীয় কেউ স্বীয় অবস্থান থেকে অপর কোনো দু’টি বৃহৎ জোটের সমর্থন ছাড়া নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হলে তাদের বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা খুব ক্ষীণ।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখ অত্যাসন্ন এমনটি প্রতিভাত। এ নির্বাচন ক্ষমতাসীন অন্তর্বর্তী সরকারের অধীন অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় উপনীত হতে সচেষ্ট হলেও তা আদৌ সম্ভব হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন রাজনৈতিক সমঝোতা ছাড়া অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনগুলোতে আওয়ামী লীগের তথাকথিত বিজয় হলেও তা যে গৌরবের ছিল না, সেটি দেশের সবাই উপলব্ধি করতে পেরেছেন। এ নির্বাচন তিনটির মাধ্যমে আওয়ামী লীগের কপালে যে কলঙ্কের তিলক লেগেছে তা সহজে মুছবার নয়।
প্রতিটি রাজনৈতিক দলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য- দেশ ও জনগণের কল্যাণের মধ্য দিয়ে সার্বিকভাবে রাষ্ট্রের আর্থসামাজিক উন্নয়ন। সাধারণ জনমানুষও দেশের স্থিতিশীলতার বিষয়টি মাথায় রেখে প্রত্যাশা করেন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনসমর্থনের প্রতিফলনে নির্বাচিত দল সরকার দেশ পরিচালনা করুক। আগামী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করতে হলে অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত হবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে যে মতানৈক্য রয়েছে তা শিগগির দূর করা। এ মুহূর্তে আমাদের প্রত্যাশা- দেশের রাজনৈতিক দলগুলো দেশ ও জনগণের স্বার্থের বিষয়টি সর্বাগ্রে স্থান দিয়ে সমঝোতায় উপনীত হয়ে স্থায়ীভাবে নির্বাচনকালীন এমন একটি সরকারব্যবস্থার উদ্ভাবন করুক, যা আসন্ন ত্রয়োদশ নির্বাচনসহ অনাগত প্রতিটি সংসদ নির্বাচনের অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ অনুষ্ঠান নিশ্চিত করবে।
লেখক : সাবেক জজ, সংবিধান, রাজনীতি ও অর্থনীতি বিশ্লেষক