বাংলাদেশের সীমান্তের সর্বনাশটা করে গেছে ব্রিটেনের বাংলা বাউন্ডারি কমিশনের চেয়ারম্যান সিরিল রেডক্লিফ (Cyrill Radcliffe)। পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট বেঙ্গল-আসাম বাউন্ডারি কমিশনে অন্য যে চারজন ছিলেন (সিসি বিশ্বাস, বি কে মুখার্জি, আবু সালেহ মোহাম্মদ আকরম এবং এস এ রহমান), এদেরকে রেডক্লিফ গোনায় ধরতেন না। তিনি ছিলেন কংগ্রেস নেতা কৃষ্ণ মেনন, বাল গঙ্গাধর তিলক, বল্লভভাই প্যাটেল এবং লালা লাজপত ও নেহরুর আশীর্বাদপুষ্ট, ব্রিটিশ-ঔপনিবেশিক ‘দালাল!’ রেডক্লিফ না জানতেন বাংলাকে, না জানতেন আসাম-কাছাড় উপত্যকাকে, আর না জানতেন ১৯০৫-এর বঙ্গবিভাগের সীমানা এবং এর ঐতিহাসিক পটভূমি। তার প্রভু ছিলেন ভাইসরয় লর্ড মাউন্টব্যাটেন, আর্ল অব বার্মা। মাউন্টব্যাটেনের সুন্দরী স্ত্রী পামেলার সাথে রাজনৈতিক স্বার্থেই বিশেষ রোমান্টিক সম্পর্ক গড়েছিলেন কংগ্রেস নেতা নেহরু। পামেলা ছিল মাউন্টব্যাটেনের প্রভাব কংগ্রেসের অনুকূলে রাখার চাবিকাঠি। এ জন্যই ব্রিটিশ লেবার পার্টি মাত্র এক বছরের মধ্যে বড় লাট ওয়াভেলকে বিদায় করে মাউন্টব্যাটেনের মতো অনভিজ্ঞ দালাল রাজ-পুরুষকে ভারতে বড় লাট করে এনেছিল।
রামমনোহর লোহিয়ার এক বিখ্যাত বই আছে, Guilty Men of India’s Partition. তিনি ছিলেন একজন ভারতীয় কমিউনিস্ট। তার বিবেকে দংশন ঘটে যেভাবে কুখ্যাত রেডক্লিফ বাউন্ডারি কমিশন এই বাংলা বিভাগের সীমানা আঁকে তা দেখে। পূর্ববাংলার সব এলাকাকে ভাটিতে রেখে উজানে ভারতকে দিয়ে কুখ্যাত রেডক্লিফ বাউন্ডারি সাব্যস্ত করে, যার কাছে ভূপ্রকৃতি, স্বাভাবিক ভৌগোলিক বা টপোগ্রাফিক বাস্তবতা, উজান-ভাটি ও লোকালয়ের অবিভাজ্যতা সামান্যতম বিবেচনা পায়নি।
এলাহাবাদ-ভিত্তিক কিতাবিস্তান লোহিয়ার এই বইটি ছাপে এবং আজ অবধি ভারত-বাংলাদেশের সীমান্ত সাব্যস্ত করার এই কুখ্যাত ‘রেডক্লি¬ফ অ্যাওয়ার্ড’ নিয়ে প্রকাশিত যেকোনো প্রামাণ্য মোহাফেজে লোহিয়ার এই বইটিকে অগ্রগণ্য দস্তাবেজ হিসেবে গণ্য করা হয়।
তবে ১৯৪৭ সালে বাংলা ও পাঞ্জাব এই দুই প্রদেশ ভাগ করা সাপেক্ষে ভারতের স্বাধীনতা প্রদানে বাধ্য করা হয় ঔপনিবেশিক দখলদারির প্রতীক ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদকে। ফলে ১৪ আগস্ট, ১৯৪৭ আমাদের ২০০ বছরের গোলামি এবং এ দেশের হিন্দু জমিদার ও মাড়োয়ারি সুদখোর মহাজনি নিষ্পেষণের অবসান ঘটে। আমরা সরাসরি ব্রিটিশের গোলামি করিনি। কারণ ব্রিটেন কোম্পানি শাসন ও চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের মাধ্যমে আমাদেরকে গোলাম করে রেখেছিল। এই নিষ্ঠুর করদ প্রথার প্রত্যক্ষ নিয়ন্তা ছিল প্রথমে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও পরে ‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত’ পাওয়া কলকাতাকেন্দ্রিক ও স্থানীয় হিন্দু জমিদার বাবু শ্রেণী। মোগল আমলে রাজকর দেয়ার বিধান ছিল ফসল দিয়ে। ব্রিটিশরা মুদ্রায় কর লুটত। নগদ টাকা তখন বাংলার রায়ত গৃহস্থ, এমনকি সচ্ছল প্রজাদের কাছেও ছিল না। এই মুদ্রা-রাজস্বের গ্যাঁড়াকলে ফেঁসে গিয়ে বাংলার-বিশেষ করে পূর্ববাংলার মুসলমান গৃহস্থ মুসলিম কৃষিসমাজ একেবারে দীনহীন নিঃস্ব হয়ে পড়ে। ব্রিটিশ-জমিদারদের চালু করা ‘সূর্যাস্ত আইনে’ তথা দিন শেষ হওয়ার আগেই বকেয়া কর উসুল না হলে জমি ক্রোক করা হতো। সেই পানির দামে রাজকর্মচারী-কালেক্টরদের কাছ থেকে কিনে নিত ওই নব্য ব্যবসায়ী সুদখোর হিন্দু ধনিক-বণিক চক্র। এই নিষ্ঠুর রাজস্ব নিষ্পেষণ সম্পর্কে উইলিয়াম হান্টার তার বিখ্যাত (Our Muslim Subjects) বইতে লিখে যান : ‘আজ থেকে ১০০ বছর আগে বাংলার কোনো মুসলমান দরিদ্র হতে পারে, এটি ভাবাই যেত না। আর আজ কোনো মুসলমান সচ্ছল এটিই ভাবা যায় না।’
অর্থাৎ আমাদের মুসলমানদের অবস্থা হয়ে পড়েছিল ঠিক মামলুক শাসনাধীন মিসরীয়দের মতোই। প্রকৃতপক্ষে আমাদের ওপর ২০০ বছরের শোষণ-লুণ্ঠন-ভূমিদস্যুতা চালিছে ব্রিটিশ অনুগত জমিদারশ্রেণী ও রাজকর আদায়ী গোমস্তা ও তাদের চামুণ্ডারা। কলকাতার বাবুরা পানির দামে জমিদারি কিনে ভূমি অধিপতি সেজে বসে এবং তাদের সন্তানরা ইংরেজি ভাষা ও শিক্ষা একচ্ছত্রভাবে ভোগের ফলে ব্রিটিশ কেতাদুরস্ত তথাকথিত ‘রেনেসাঁর’ ভাব-তরঙ্গের অনুঘটক সেজে বসে। এই বাবুশ্রেণীটি ছিল মূলত ব্রিটিশরাজ অনুগত ও সাংস্কৃতিক লম্পট। তা না হলে ঔপনিবেশিক শক্তির দালালিকে কোনো বিবেকবান মানুষ ‘রেনেসাঁ’ বলতে পারে? তারা বিবেকের কণ্ঠস্বর বানিয়ে তোলে ঈশ্বরচন্দ্রকে। তিনি নাকি সতীদাহ প্রথা বন্ধ এবং বিধবাবিয়ে প্রবর্তন করেন। ইতিহাস সাক্ষী- এ দেশে সতীদাহ কুপ্রথা বন্ধ করেন মহামতি বাদশাহ আওরঙ্গজেব। তিনি নির্দেশ দেন দেশের কোথায় স্বামীর মৃত্যুর পর তার বিধবা স্ত্রীকে চিতায় তুলে সহমরণে ঝাঁপ দেয়ার আগে কোতোয়াল যেন সেখানে উপস্থিত থেকে কেবল তিনটি জিনিস নিশ্চিত হতে যে : ১. বিধবা স্বেচ্ছায় সহমরণে উদ্যত; ২. নাকি শ্বশুরবাড়ির জমি থেকে তাকে বঞ্চিত করার জন্য জীবন্ত দাহ করতে পাঠানো হচ্ছে কি না; কিংবা ৩. তাকে কোনো মাদকদ্রব্য প্রয়োগে নেশাসক্ত করা হয়েছে কি না? বাদশাহ বললেন, তোমরা কেবল এই তিনটি জিনিস নিশ্চিত হবে; প্রথার বিরুদ্ধে যাবে না। কারণ, এটি হিন্দুদের ধর্মীয় বিধান। ব্যস, কোতোয়ালের স্র্রেফ উপস্থিতির কারণেই ভারতবর্ষে ৭০ শতাংশ সতীদাহ বন্ধ হয়ে গেল!
কোম্পানির শাসন যুগের শুরু থেকেই পূর্ববঙ্গের শোষণ-নির্যাতনের প্রত্যক্ষ দায়িত্ব দেয়া হয় জমিদার বাবুদের কাছে। কাজেই কলকাতাকেন্দ্রিক হিন্দু জমিদার বাবুরাই হয়ে দাঁড়ায় আমাদের ‘জনগণ মন অধিনায়ক জয় হে, জয় ভারত ভাগ্য বিধাতা। (দুঃখজনক যে, রাজা পঞ্চম অ্যাডওয়ার্ডকে প্রশান্তি স্তুতিতে লেখা এই গানটিই ভারতের জাতীয় সঙ্গীত। এটিও লেখা রবীন্দ্রনাথেরই)। কলকাতায় কোনো পলাশীর ভাস্কর্য নেই; নারিকেল বাড়িয়ার স্মৃতি নেই; আছে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল আর ব্রিটিশ লুটেরা বড় লাটদের নামে উৎসর্গিত বড় বড় রাজপথ। ঔপনিবেশিক অভিশপ্ত নগরী এই কলকাতা। ব্রিটিশ দুঃশাসনের নির্মমতা যেখানে ঢাকা দিয়ে রাখা হয়েছে তাদের ব্রিটিশ রাজানুগত্য এবং লেজুড়বৃত্তির প্রশস্তিকাব্যে। অথচ যেখানে লর্ড ক্ল¬াইভের মূর্তি গড়া হয়েছে, ইংল্যান্ডের সেই কলঙ্কিত কাউন্টির জনগণ নিজেরাই আজ বিবেকের দংশন থেকে প্রস্তাব করছেন ওই মূর্তিটি তাদের কাউন্টি থেকে সরিয়ে অন্য কোথাও নিয়ে গিয়ে পুনঃস্থাপন কিংবা মূর্তিটি ভেঙে দিতে।
১৯৪৭ সালের দেশ বিভাগ করে ব্রিটেন ভারতবাসীর শাসনতান্ত্রিক সঙ্কটের ঔপনিবেশিক সমাধানের পথ অনুসরণ করে। অথচ ভারতীয় তথ্যসন্ত্রাসী এবং তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা কংগ্রেসের পাঞ্জাব ও বাংলা ভাগ নিয়ে একটি কথাও বলে না। নিখিল ভারত মুসলিম লিগ কিংবা ভারতীয় মুসলমানদের অবিসংবাদিত নেতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ছিলেন ভারত বিভক্তির ঘোরবিরোধী। বাংলা বিভক্তির বিরুদ্ধে বঙ্গীয় মুসলিম লিগ এবং কংগ্রেসও ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নেয়। এ ব্যাপারে আবুল হাশিম ও শরৎ বসুর (নেতাজি সুভাষের বড় ভাই) মধ্যে চুক্তিও হয়। তারা কলকাতা থেকে গিয়ে একবার নেহরুকে বোঝানোর চেষ্টা করেন; একবার গান্ধীকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ভারতীয় বর্ণ হিন্দুরা বাংলাকে শেষ পর্যন্ত এক থাকতেই দেয়নি। জিন্নাহ বড় লাট মাউন্টব্যাটেনকে বলেন, কেউ যদি বলে তোমায় গোটা ফ্রান্স দিয়ে দেবো; কিন্তু প্যারিস আমরা রাখব। সে রকমই হাস্যকর বিনিময় ছিল পূর্ববাংলাকে আসাম বাদ দিয়ে পাকিস্তানে নেয়া। কিন্তু কলকাতা হবে পশ্চিম বাংলা বা ভারতের।
১৭৫৭ সালে পলাশী যুদ্ধে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদদৌলাকে হারিয়ে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলা হাতিয়ে নেয় অর্থাৎ গোটা ভারতে মোগল সাম্র্রাজ্যকে ধ্বংস করতে উঠেপড়ে লাগে। ১০০ বছর ধরে একটি কোম্পানি এত বড় রাজ্য শাসন করে। ১৮৫৭ সালের প্রথম ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের পর কোম্পানি থেকে ভারত শাসনের দায়িত্ব নেয় স্বয়ং ব্রিটিশ রাজ। ১৮৫৭ সালে ইংরেজ এবং উচ্চ বর্ণ হিন্দু জোট মিলে তৈরি করে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস (সংক্ষেপে কংগ্রেস)। ১৯০৫ সালে প্রশাসনিক সুবিধা বিবেচনা করে পূর্ববাংলা ও আসাম নিয়ে প্রথম বঙ্গভঙ্গ ঘোষণা করেন বড় লাট কার্জন। ১৯০৬ সালে জন্ম নেয় সর্বভারতীয় মুসলিম এবং সেটি হয় এই ঢাকার নবাবদের বাড়ি এই বুড়িগঙ্গাবিধৌত নবাববাড়ী আহসানউল্লাহ মঞ্জিলে। বঙ্গভঙ্গের ফলে কলকাতা কেন্দ্রীয় হিন্দু জমিদারদের স্বর্গরাজ্য এই পূর্ববাংলা হাতছাড়া হওয়ার বার্তা দেয়। ওমনি শুরু হয়ে যায় হিন্দু বাবুদের দেশপ্রেম এবং বাংলাকে আবার এক করার চক্রান্ত। রাজা পঞ্চম অ্যাডওয়ার্ড আসেন ভারতে। তিনিই ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গকে ১৯১১ সালে রদ করেন এবং একই ফরমানে কেন্দ্রীয় রাজধানী কলকাতা থেকে নয়াদিল্লিতে সরিয়ে নেয়ার ঘোষণা আসে। ১৯১৪ থেকে ১৯১৮ সাল পর্যন্ত সংঘটিত হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধ। এই যুদ্ধে বঙ্গীয় মুসলমান জাতি ব্রিটেনকে সমর্থন দেন এই শর্তে যে, ব্রিটেন কোনো অবস্থাতেই তুর্কি অটোমান সাম্র্রাজ্য ভেঙে দেবে না। দেখুন আমাদের পূর্বপুরুষরা কতখানি জ্ঞানী এবং বিশ্বদৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন ছিলেন। ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহেরও নেতৃত্ব দেন ভারতের মুসলমানরা। তখনকার দিনে ব্রিটিশ এনফিল্ড রাইফেলে যে কার্তুজ ব্যবহার করা হতো, তা মুখ দিয়ে ছিঁড়ে বন্দুকে ভরতে হতো। ওই কার্তুজে মুখ লাগানো হতো শূকরের চর্বি দিয়ে। মুসলমান ও শিখদের জন্য শূকরের মাংস হারাম। তাই তারা বিদ্রোহ করে।
পূর্ববাংলার অধিকাংশ মানুষ (তখনো এবং এখনো) মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ। এখানকার বীর যুবকরা যুগে যুগে বিদেশী হার্মাদ, বর্গি, মারাঠি, পর্তুগিজ, ডাচ, ফরাসি, ইংরেজ, এমনকি মোগল বাহিনীর বিরুদ্ধেও বুকের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই করে দেশের আজাদি সুনিশ্চিত করেছে। অথচ ১৯৪৭ সালে ব্রিটেন দেশ ভাগ করার কালে সেই পূর্ববাংলা থেকে আসাম ও উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় সাত পাহাড়ি রাজ্যকে (সেভেন সিস্টার্স) কেড়ে নিয়ে এমনকি পাহাড়গুলোকে ভারতে রেখে ভাটির জলাভূমিকে পূর্ববাংলায় দিয়ে রাখে। উদ্দেশ্যটা ছিল এই খণ্ডিত ‘পোকায় খাওয়া’ ভাটি অঞ্চল কিছু দিনের মধ্যেই যাতে ভারতে ফিরে আসতে বাধ্য হয়। ১৯৩৫ সালে ব্রিটিশ সংসদে ভারত শাসন আইন পাস হয়। ১৯৩৯ সালে শুরু হয় দুনিয়া কাঁপানো এবং দুনিয়া বদলানো দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ। ১৯৪০ সালে গৃহীত হয় লিগের লাহোর প্রস্তাব। এই প্রস্তাবে পশ্চিমে ও পূর্বে দু’টি স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র গঠনের প্রস্তাব রাখা হয়। ১৯৪৪ সালে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ শেষে ১৯৪৫ সালে রক্ষণশীলদের হটিয়ে ব্রিটেনে শ্রমিক দল ভোটে জিতে সরকার গঠন করে। এই লেবার দলের হাতেই সূচিত হয় মুসলমানদের বিরুদ্ধে ২০০ বছরের ব্রিটিশ বিপর্যয় এবং প্রতিরোধযুদ্ধের যাবতীয় প্রতিশোধ। অথচ একটি রাষ্ট্রের কথা ব্রিটিশ ক্যাবিনেট মিশনের প্রস্তাব ছিল না। তারা মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলগুলোকে নিয়ে একটি কনফেডারেসি গঠনের কথা বলেছিল, যাতে জিন্নাহ সাহেব ও লিগের চিন্তারই প্রতিফলন ছিল। সেটি হতে দেয়নি ব্রিটেন বা ভারতে ব্রিটিশদের কংগ্রেস।