ভারতীয় কংগ্রেস নেতা শশী থারুর ডাকসুতে শিবিরের জয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে নিজ দেশের জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। ১১ সেপ্টেম্বর দেয়া টুইটে তিনি হাহাকার প্রকাশ করেন, ভারতবাসী কেন এ ব্যাপারে গুরুত্ব দিচ্ছে না। এ সময়ে দেশের ভেতরে-বাইরে যে বড় বিপদে পড়েছে ভারত তাতে নিজ দেশ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে কূলকিনারা পাওয়ার কথা নয় থারুরের। অনিয়ম-দুর্নীতি ও ভোট জালিয়াতি নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে এমন কিছু খবর ফাঁস হয়েছে, রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের ভিত নাড়িয়ে দিয়েছে। অন্যদিকে অদূরদর্শী ও খুচরা পররাষ্ট্রনীতি অবলম্বন করায় বহির্বিশ্বে দেশটির বিশ^াসযোগ্যতা সর্বকালের তলানিতে ঠেকেছে। থারুর নিজে সংসদের বিদেশবিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান। বিদেশ-নীতির ব্যর্থতা নিয়ে গলদঘর্ম হওয়ার বদলে বাংলাদেশের ৪০ হাজার ছাত্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে উদ্বিগ্ন তিনি। জনসংখ্যা ও আয়তনে বিশাল দেশ ভারত নিজের দেহের তুলনায় উপযুক্ত নেতৃত্ব পায়নি। ফলে যেমন নিজ দেশের জনগণের জীবন-মানের উন্নয়ন ঘটাতে পারেনি, সঙ্কীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি ও হিংসা-বিদ্বেষ পোষণে প্রতিবেশী দেশগুলোরও সর্বদা সর্বনাশ করে চলেছে।
টুইটে দেয়া থারুরের বক্তব্য সাংঘর্ষিক। একদিকে তিনি বলছেন, জামায়াত একটি পরিচ্ছন্ন শক্তি। দুর্নীতি-অব্যবস্থাপনা দলটিকে খুব কম কলুষিত করেছে। আবার আশঙ্কা করছেন, ২০২৬ সালে জামায়াত বিজয়ী হলে ভারতকে তার মুখোমুখি হতে হবে। একটি পরিচ্ছন্ন দুর্নীতিমুক্ত রাজনৈতিক দলের সাথে ভারতের ডিল করতে শঙ্কিত হতে হবে কেন? প্রতিবেশী দেশে এমন শক্তির উত্থান সবসময় কাক্সিক্ষত হওয়ার কথা। প্রতিবেশীদের প্রতি ভারতীয় নেতৃত্বের অসৎ নীতি ও প্রতারণাপূর্ণ আচরণ তার অসংলগ্ন টুইটের বার্তায় প্রতিফলিত হয়। বাংলাদেশের শুভাকাক্সক্ষী হলে এমনকি, নিজ দেশের প্রতি থারুর সত্যিকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হলে বহু আগে আরো গুরুতর ইস্যু নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করার কথা ছিল তার। সেটি হতে পারত হাসিনা যখন প্রথমবার বিনাভোটের নির্বাচন করে পুনরায় ক্ষমতা কুক্ষিগত করেন ২০১৪ সালে। আমরা বরং তখন দেখলাম শশী থারুরের নিজ দল কংগ্রেস যখন দিল্লির ক্ষমতায় তখন হাসিনার পক্ষে ভারতের নগ্ন হস্তক্ষেপ। রীতিমতো পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রসচিব পাঠিয়ে হাসিনার পক্ষে একতরফা নির্বাচন আয়োজনে ভারত সর্বশক্তি নিয়োগ করে। এরশাদকে চাপ দিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে বাধ্য করা হয়। তারপর থেকে বাংলাদেশের ভোটাধিকার হারিয়ে যায়। সাথে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব হতে শুরু করে। আরম্ভ হয় গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন। ওই সময় থারুর প্রথমবার ভারতের বিদেশ-বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতি হন। কিন্তু তিনি ভারতের অপরিণামদর্শী আগ্রাসী অশোভন পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে কোনো কথা তখন বলেননি। দুই মেয়াদে তিনি এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আছেন, কখনো বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদী শাসন নিয়ে উদ্বেগ জানাননি।
আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের কয়েক হাজার সদস্য যারা দুর্নীতি-অনিয়ম, মুদ্রাপাচার ও সন্ত্রাস সৃষ্টি করে এখন ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। তারা ভারতে অবাধে শুধু বসবাস নয়, অফিস ভাড়া করে দলীয় কার্যক্রম চালাচ্ছেন। এদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগে মামলা রয়েছে। গুম, খুন, আয়নাঘর সৃষ্টি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনে হাসিনার সহযোগী পুলিশ এবং সামরিক বাহিনীর কয়েক শ’ দাগি অপরাধীকেও ভারত আশ্রয় দিয়েছে। সেখান থেকে তারা গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনা ও জনপরিসরে হামলার ষড়যন্ত্র করছেন। যারা বাংলাদেশের নিরাপত্তায় প্রতিনিয়ত ভয়াবহ হুমকি সৃষ্টি করছেন। প্রতিনিয়ত বাংলাভাষী নাগরিকদের ধরে বাংলাদেশে পুশইন করা হলেও বাংলাদেশের জন্য হুমকি সৃষ্টিকারী অভিযুক্তদের ভারত জামাই আদরে রেখেছে। দিল্লির সবচেয়ে নিরাপদ আবাসিক এলাকায় থেকে হাসিনাকে হুমকি দেয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে ভারত। এতে বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা তৈরির অবকাশ পাচ্ছেন হাসিনা। এসব ব্যাপারে থারুরের কোনো উদ্বেগ নেই। যারা একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জয় পেয়েছেন; এখনো কোনো অপরাধ করার সুযোগ পাননি, তারা ভবিষ্যতে ভারতের জন্য ক্ষতি করবেন- সে জন্য থারুর উদ্বিগ্ন। বিশাল বড় দেশ ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতার এই হচ্ছে চিন্তাভাবনার দৌড়।
থারুর একজন খ্যাতিমান কূটনীতিক। ভারত তাকে জাতিসঙ্ঘ মহসচিব প্রার্থী করেছিল। বান কি মুনের কাছে পরাস্ত হয়ে পরে বিশ্ব সংস্থাটির আন্ডার সেক্রেটারি নিযুক্ত হন। এরপর তিনি কংগ্রেসের রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে লোকসভার সদস্য হন, মন্ত্রীও হন। নিউ ইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্ট ও গার্ডিয়ানে নিয়মিত কলাম লিখেন তিনি। ক্যারিয়ারে বিভিন্ন পর্যায়ে তার বিরুদ্ধে নৈতিক স্খলনের প্রশ্ন ওঠে। কংগ্রেস সভাপতির পদে লড়ে হেরে যাওয়ার পর সেই স্খলন প্রকটভাবে প্রকাশিত হয়।
কংগ্রেসে তার সুযোগ যখন কমছে, দিনে দিনে মোদির একজন চাটুকার বনে যান তিনি। মোদির পররাষ্ট্রনীতি যখন পথ হারিয়ে খাদে পড়ে গেছে, তখন তিনি ভারতীয় পত্রিকায় মোদির পররাষ্ট্রনীতির প্রশংসায় পঞ্চমুখ। যখন তার দল এসবের কঠোর সমালোচনা করছেন, তিনি দল থেকে পদত্যাগ না করে মোদির পক্ষে যুক্তিতর্ক দিয়ে লিখেছেন। পহেলগাম হামলার পর মোদির সাথে তার বাড়তি খাতিরের বিষয়টি প্রকাশ হয়ে পড়ে। মোদি সরকার বিদেশে প্রচারণা চালানোয় টিম গঠনে কংগ্রেসের কাছে নাম চায়। তাতে কংগ্রেস থারুর নাম প্রস্তাব করেনি। দেখা গেল, নাম প্রস্তাব না করলেও মোদি থারুরকে ওই টিমের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে নেন। তবে মোদির অবস্থা খারাপ হয়ে যাওয়ায় এখন তিনি আবার কংগ্রেস শিবিরের দিকে ছুটতে শুরু করেছেন।
থারুরের থুথুতে চিঁড়া ভেজাতে চান মেঘমল্লার
বাংলাদেশের রাজনীতিতে কিভাবে ভারত অশুভ প্রভাব বিস্তার করে, সেটি অপ্রকাশ্য নয়। আগ্রাসনের প্রবেশমুখ হচ্ছে বাম রাজনীতিবিদ যারা মিডিয়ায় উচ্চ প্রচারণা পান। থারুর থুথু ছিটানোর পরপর ছাত্র ইউনিয়নের মেঘমল্লার বসু সেই থুথু দিয়ে নিজের চিঁড়া ভিজিয়ে নেয়ার অসৎ কাজটি করেছেন। কাজটি আরো সহজ করে দিলো বাংলাদেশের মিডিয়া বিশাল প্রচারণা দিয়ে। গত দেড় দশকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতীয় নাক গলানো নিয়ে মেঘমল্লারকে কখনো প্রতিবাদ করতে দেখা যায়নি। এবারো তিনি থারুরের টুইটের জবাব এমনভাবে দিলেন, আগে পরিষ্কার করে নিলেন- বাংলাদেশ ইসলামী ফ্যাসিস্টের কবলে পড়ে গেছে। থারুরের সমালোচনার আড়ালে তার নিশানা বাংলাদেশের ইসলামপন্থী রাজনীতি। থারুরকে কিছু বলার আগে তার ফেসবুক পোস্টে আগে বলে নিলেন- বাংলাদেশের রাষ্ট্রযন্ত্র নব্য (ইসলামী) ফ্যাসিস্টের হাতে চলে গেছে। সেখানে তিনি ও তার সহযোদ্ধরা সাহসী এক লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। যদিও হাসিনার শাপলা গণহত্যার পক্ষে তার অবস্থান পাওয়া যায়। তাকে হাসিনার বিচারিক হত্যার পক্ষেও সাফাই গাইতে দেখা গেছে। কার্যত তিনি ফ্যাসিবাদের পক্ষে সমর্থন উৎপাদন করে এখনো যে ফ্যাসিবাদ তৈরি হয়নি; তার বিরুদ্ধে আগাম লড়াইয়ের বোগাস কৃতিত্ব নিলেন।
থারুরের টুইটের জবাবে আগেই বলে নিলেন, ছাত্ররা ডাকসু নির্বাচনে তাকে বিপুলভাবে সমর্থন করেছেন। যদিও বাস্তবতা ভিন্ন। ডাকসুতে তিনি সম্ভবত সবচেয়ে বুড়ো প্রার্থীদের একজন। ২০১৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। তার ক্লাসমেটরা কর্মজীবনে প্রবেশ করে ক্যারিয়ারের প্রাথমিক ধাপ পার করেছেন। আয় উপার্জন করে সংসার চালাচ্ছেন। অন্যদিকে, তিনি রাষ্ট্র্রীয় কোষাগারের অর্থে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বছরের পর বছর ড্রপ দিয়ে যাচ্ছেন। এর মাধ্যমে অনেক ছাত্রকে বঞ্চিত করছেন। হাসিনা-পরবর্তী রাজনীতিতে প্রথম সরাসরি ছাত্রদের পাকিস্তানি ট্যাগ দিয়েছেন। ঘৃণার রাজনীতি আবারো ক্যাম্পাসে টেনে আনার অপচেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন। তার সাথে যারা ডাকসুতে লড়েছেন, কেউ তার থেকে আট বছর-কেউ পাঁচ বছরের ছোট। তিনি থারুরকে লক্ষ্য করে লিখেছেন, আমি প্রতিরোধ পর্ষদের পক্ষ থেকে জেনারেল সেক্রেটারি পদপ্রার্থী ছিলাম। এরপর ইংরেজিতে বিশাল এক লাইন লিখেছেন। যার সরল অর্থ হচ্ছে- ইসলামোফ্যাসিস্ট প্রবণতার উত্থানের মধ্যে যেখানে অঢেল অর্থ ঢালা পেশিশক্তির ব্যবহারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে, রাষ্ট্রযন্ত্রের হস্তক্ষেপের মধ্যে আমি প্রায় পাঁচ হাজার ভোট পেয়েছি। মেঘমল্লারের প্যানেলের ভিপি প্রার্থী ইমি পেয়েছেন সাকুল্যে ৬৮ ভোট। ভোটের সার্বিক চিত্র বিশ্লেষণ করলে পাওয়া যাবে আঁতাতের গন্ধ। জগন্নাথ হলে মেঘমল্লার এক হাজার ১৭০টি ভোট পেয়েছেন, যেখানে ইমির প্রাপ্তি শূন্য ভোট। এ রহস্যের জট খুলবে ছাত্রদলের ভিপি-জিএসের ওই হলে প্রাপ্ত ভোট দেখলে।
ছাত্রদলের ভিপিপ্রার্থী পান এক হাজার ২৭৬। কিন্তু জিএস প্রার্থী পান ৩৯৮ ভোট। এটি কিভাবে সম্ভব ছাত্রদলের জিএস তার ভিপির চেয়ে তিন ভাগের এক ভাগ কম ভোট পাবেন জগন্নাথ হলে। যেখানে জিএস প্রার্থী তানভীর বারী হামিমের ইমেজ তার ভিপিপ্রার্থীর চেয়ে ভালো। এ প্রবণতা অন্যান্য হলেও দেখা গেছে। অর্থাৎ ছাত্রদলের জিএস পদের ভোট ভাগ হয়ে মেঘমল্লারের বাক্সে চলে গেছে। অন্যথায় কোনোভাবে এ আদু ভাইয়ের পাঁচ হাজারের কাছাকাছি ভোট পাওয়ার কথা নয়। ভোট নিয়ে এমন আঁতাত করেছেন মেঘমল্লার। যাতে দলের অন্য সদস্যরাও বঞ্চিত হয়েছেন।
পোস্টে মেঘমল্লার থারুরকে লক্ষ্য করে লিখেছেন, আপনি যদি প্রতিবেশীদের জ্ঞান দিতে চান, আগে জাতীয় নির্বাচনে হিন্দুত্ববাদীদের পরাস্ত করুন। মোদি, অমিত শাহ জুটিকে তিনটি নির্বাচনে পরাস্ত করতে না পারায় থারুরকে তিরস্কার করেন তিনি। এ অবস্থায় অন্য দেশের ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়া শৌখিনতা বলে মন্তব্য করেন। থারুরকে নাক গলাতে নিরুৎসাহিত করে আরো লিখেছেন, এখন আমাদের নিজের চরকায় তেল দিতে দিন। তিনি আশা করেন, শেষ পর্যন্ত ভারতের মানুষ হিন্দুত্ববাদী ফ্যাসিস্টদের নির্বাচনের মাধ্যমে পরাস্ত করবেন। আর আমরা সানন্দে আমাদের দেশের ইসলামোফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধে জীবন বিলিয়ে দেবো। প্রয়োজনে আমরা একে অপরের পাশে দাঁড়াব সংহতি রক্ষায়। কিন্তু দয়া করে লেকচার দেয়া বন্ধ করুন। আপনারা আমাদের চেয়ে ভালো নন।’
থারুরের প্রতারণামূলক টুইটের জবাব দিতে ডাকসুর নবনির্বাচিত সদস্যরা সবচেয়ে বেশি উপযুক্ত। সময়মতো ডাকসুর আন্তর্জাতিক-বিষয়ক সম্পাদক জসীম উদ্দিন খান তার উপযুক্ত জবাব দিয়েছেনও। কিন্তু মেঘমল্লারের বিষ উগরে দেয়া জবাব প্রচারে যতটা আগ্রহী, এক্ষেত্রে মিডিয়ার আগ্রহ তার সম্পূর্ণ বিপরীত। পত্রিকা ও টিভিতে জসিম উদ্দিনের জবাবটি আসেনি। উদ্বেগ জানিয়ে দেয়া থারুরের টুইটের জবাবে জসিম উদ্দিন লিখেছেন, ডাকসু নির্বাচন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্বাধীন ইচ্ছা ও গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণের প্রতিফলন। নির্বাচনের ফলকে ‘উদ্বেগের বিষয়’ হিসেবে উল্লেখ করা কেবল অযৌক্তিক নয়; এটি বাংলাদেশের ছাত্রদের গণতান্ত্রিক ইচ্ছাকে অবজ্ঞা করার শামিল। জসিম উদ্দিন তার জবাবে ভারতের নিজ গণতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্যে চলমান সমস্যাগুলো সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করতে থারুরকে অনুরোধ করেন।
তিলি উল্লেখ করেন, ভারতে সংখ্যালঘু স¤প্রদায় মুসলিম, খ্রিষ্টান, দলিত এবং আদিবাসী ক্রমাগত বৈষম্য ও সহিংসতার শিকার হচ্ছেন। প্রতিবেশী দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াগুলোর সমালোচনার আগে তারা যেন নিজেদের দেশে ন্যায়বিচার ও সমতার প্রতি অগ্রাধিকার দেন- থারুরকে তিনি এ পরামর্শ দেন। ডাকসুর নবনির্বাচিত পরিষদ কতটা উদার অংশগ্রহণমূলক, তিনি তারও ইঙ্গিত দেন। তিনি বলেন, আমরা সারা বিশ্বের ছাত্রদের সাথে সংলাপ, বন্ধুত্ব ও একাডেমিক সহযোগিতা বাড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একই সময়ে ডাকসুর কার্যনির্বাহী সদস্যপদে জয়ী সর্বমিত্র চাকমা থারুরের টুইটের জবাবে তার ফেসবুকে বিস্তারিত এক স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি চমৎকার করে থারুরের অসংলগ্ন টুইটের জবাব দিয়েছেন। সর্বমিত্রের জবাব নিয়েও বাংলাদেশের মিডিয়া কোনো আগ্রহ দেখায়নি। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী নিয়ে বাংলাদেশের মিডিয়ার আদিখ্যেতার শেষ নেই। কিন্তু শিবিরের প্যানেল থেকে জেতার পর সর্বমিত্র চাকমার প্রতিও বাংলাদেশের মিডিয়া আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।