দেশ ও জনগণের এখন সর্বোচ্চ আকাক্সক্ষা কোনটি? প্রায়োরিটি লিস্টে কোনটা প্রাধান্য পাবে? এই মুহূর্তে দেশে অনেক ‘ঝুট ঝামেলা’ এবং রাজনৈতিক অঙ্গনেও নানা বিতর্ক চলমান। তা সত্তে¡ও রাষ্ট্র এবং নাগরিকদের ভাবনায় অগ্রাধিকার পাচ্ছে কোন বিষয়টি? যে কেউ দু-চারজন মানুষের সাথে পথে-ঘাটে আলোচনা করলে, সঠিক উত্তরটা পেয়ে যাবেন। সেই উত্তরটা নিশ্চয়ই এমন হবে যে, একটা শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করে, ঘোষিত সময়ের মধ্যে অর্থপূর্ণ, প্রশ্নমুক্ত, জনসম্পৃক্ত নির্বাচন হতে হবে। এমন জনআকাক্সক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার, নির্বাচন কমিশন, সিভিল প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সবাইকে এখনই দ্রুত শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের প্রস্তুতি সারতে হবে। সরকারপ্রধান একটি চমৎকার নির্বাচন জাতিকে উপহার দেবেন বলে অঙ্গীকার করেছেন। রাজনৈতিক মহলসহ অন্যান্য সব মহল এবং আমজনতা তার আশ্বাসে আশ্বস্ত। যদি কোনো কারণে এই আশ্বাসের কোনো ব্যত্যয় ঘটে? তাহলে এর জন্য যার যতটুকু ত্রুটি লক্ষ্য করা যাবে তাকে ঠিক ততটুকু শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এ দিকে পতিত লীগের যত অলিগার্ক নির্বাচন কলঙ্কিত করতে তৎপর আছে। ইতোমধ্যে তাদের কাছে একটি বার্তাও পৌঁছে গেছে। সে বার্তা এসেছে পতিত লীগ সরকারের সাবেক প্রধানের ‘সুপত্র’র কাছ থেকে। সে বার্তায় স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করে দিতে হবে। অবশ্যই এই চ্যালেঞ্জ শুধু সরকারের প্রতি নয়। সব অংশীজনের জন্য অর্থাৎ বড় ছোট দল যারা আসন্ন নির্বাচনী দৌড়ে এখন শরিক আছেন তাদের জন্যও। তাদেরও বুঝতে হবে এই বার্তার মর্মার্থ। দেশের গণতন্ত্র প্রেমিক সব নাগরিকের প্রতিও ওই বার্তায় একটা কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়া হয়েছে। সবার প্রতি ছুড়ে দেয়া হয় এই চ্যালেঞ্জ। সম্মিলিতভাবে এর উপযুক্ত জবাব দেয়ার জন্য এখন থেকেই সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিতে তৈরি থাকতে হবে। অলিগার্কদের দম্ভ চূর্ণ করতে হবে। বর্তমান সরকারের দেয়া প্রতিশ্রুতি মতো নির্বাচন হলে, তখন নির্বাচিত সরকারের ঘাড়ে পরবর্তী সব দায়-দায়িত্ব বর্তাবে। আপাতত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সবার সহযোগিতায় পথ চলতে হবে। এ আলোচনা আপাতত এখানেই শেষ করছি।
এ লেখার সূচনায় বলা হয়েছে, রাষ্ট্র ও জনগণ একটি ভালো নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে। ভালো নির্বাচন হলে, আশা করা যায় অবশ্যই একটি দক্ষ সক্ষম সরকার দায়িত্বে আসবে, তাতে জনগণ উপকৃত হবে। ভালো দিনের আশায় তখন সবাই একসাথে বুক বেঁধে দাঁড়াবে। তবে একটা কথা, যারা ভোটাররা যদি ভুল করে অপাত্রে ভোট দেন তাহলে অতীতের মতো এক ভুয়া সরকারের সৃষ্টি হবে এবং ভোগান্তি আবারো ফিরে আসবে। সবাইকে এখন তার ভোটের মূল্য বুঝতে হবে। ভালো নির্বাচনের মাধ্যমে যদি সৎ যোগ্য প্রার্থীদের বিজয়ী করা হয়, তবে জনগণের পাশাপাশি রাষ্ট্রও উপকৃত হবে। সত্যিকার অর্থে যদি সৎ ও দক্ষ প্রার্থীরা বিজয়ী হন, তখন স্বয়ংক্রিয়ভাবেই জনপ্রতিনিধিমূলক একটি অভূতপূর্ব সংসদ গঠিত হবে। তখন জনআকাক্সক্ষা পূরণের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, নিষ্ঠাবান ব্যক্তিদের সমন্বয়ে একটি যোগ্য এবং দক্ষ সরকার গঠিত হওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে উঠবে, দেশে এক নতুন ইতিহাস রচিত হবে। একটি সৎ ও দক্ষ, যোগ্য সরকার হলে জনগণের পাশাপাশি রাষ্ট্রও উপকৃত হবে। কেননা, পতিত লীগ সরকার রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তম্ভ প্রশাসন, বিচার, আইনসহ সব বিভাগের ভিত্তিমূলে আঘাত করে সেগুলো ধ্বংস করে গেছে। এ ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের স্বার্থে যে তত্ত¡াবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংবিধানে সংযুক্ত ছিল, সেই কর্তৃত্ববাদী সরকার তাও বাতিল করে যায়। যা অতি স¤প্রতি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ পুনর্বহাল করেছে। আশা করা যায়, এর ফলে আগামীতে গণতন্ত্রের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিচার ও প্রশাসন বিভাগের কিছু সংস্কার করেছেন বটে, কিন্তু তাদের পক্ষে অন্য স্তম্ভগুলো সংস্কার করার কোনো পথ নেই। সে কারণে বলতে গেলে রাষ্ট্র এখনো খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। কাক্সিক্ষত নির্বাচনের পর, যারাই সরকারে আসুক না কেন জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার মূল্য দেবে, এটা সবাই কামনা করে। তেমন একটা সরকার দায়িত্ব পেলেই কেবল তাদের পক্ষে রাষ্ট্রের সব স্তম্ভকে প্রয়োজন মতো মেরামত করা সম্ভব হবে। তখন স্বাভাবিকভাবেই একটা দক্ষ প্রশাসন গড়ে উঠবে। রাষ্ট্রকে তখন আর খুঁড়িয়ে চলতে হবে না। ভালো নির্বাচন নিয়ে জনগণের এতটুকুই কামনা।
সংবাদমাধ্যমকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ বলা হয়। সবার নিশ্চয়ই স্মরণ আছে, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর পরই রাষ্ট্রক্ষমতা হস্তগত করেছিল তৎকালীন লীগ। তারা একটি সরকার গঠন করেছিল। সেই লিগ সরকার তাদের কার্যক্রমের কারণে চরমভাবে নিন্দিত হয়। জনগণ সেই সময়টাকে আজও ‘কৃষ্ণকাল’ বলে মনে করে। তারাও রাষ্ট্রের সবগুলো স্তম্ভ ডলে মুচড়ে আজকের মতোই একটা মণ্ড বানিয়েছিল। একই সাথে সংবাদপত্রের বিকাশ রুদ্ধ করে দিয়েছিল। তেমনি স¤প্রতি পতিত লীগ সরকার যে সব সংবাদপত্র তাদের কুর্নিশ করে চলতে চায়নি, সেগুলোর অস্তিত্ব বিনাশের সব কার্যক্রম চালিয়েছে। পক্ষান্তরে কিছু পদলেহি উচ্ছি¡ষ্টভোগী অনুগত সংবাদপত্রকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে।
এবার আসন্ন নির্বাচন সম্পর্কে কিছু জরুরি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। সৎ হলেই মানুষ যোগ্য হবেন এমন নয়। আবার যোগ্য হলেই মানুষ সৎ হবেন, এমনটাও সঠিক নয়। সৎ ও যোগ্য মানুষের সংমিশ্রণ হলেই রাষ্ট্র ও জনগণ উপকৃত হয়, তাতে সন্দেহ নেই। কেউ যদি এমন ভাবেন, এ পর্যন্ত কেউ কখনো রাষ্ট্র ক্ষমতায় সৎ যোগ্য ছিলেন না, অভিজ্ঞতা সেটা সমর্থন করে না। তবে সে সরকারের স্থায়িত্ব ছিল খুবই সংক্ষিপ্ত। এক দুর্ঘটনায় তার সমাপ্তি ঘটে। তবে এটা সত্য যে, গত ২০-২৫ বছর দেশে সুষ্ঠু রাজনীতি ও নির্বাচনব্যবস্থার অনুপস্থিতির ফলে অন্য কারো পক্ষে সেই দক্ষতা দেখানোর মতো সুযোগ হয়নি। এখন যদি তেমন ইতিবাচক রাজনীতি এবং সুষ্ঠু নির্বাচনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা পায় তবে হতাশ হওয়ার কোনো কারণ হয়তো থাকবে না। দেশে তখন তেমন ব্যক্তিদেরকে অবশ্যই খুঁজে পাবে, ইনশাহ আল্লাহ।
এটাই প্রচলিত নিয়ম নির্বাচনের পর একটি সংসদ গঠিত হয়। অধিকাংশ সংসদ সদস্যের আস্থাভাজন একজন সংসদ নেতা হবেন। তিনিই সরকার গঠন করবেন। কিন্তু সেই সংসদটা কেমন হবে? সেটা বোঝা এখন জরুরি প্রশ্ন। পতিত লীগের আমলে তথাকথিত যে তিনটি সংসদ ছিল, সেগুলো ছিল সত্যিকার অর্থে রঙ্গমঞ্চ। সেখানে রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে কোনো আলোচনা ছিল না। আরো ছিল না সরকারের জবাবদিহির কোনো চিহ্ন। বস্তুত ওই তিন সংসদে ছিল না কোনো প্রয়োজন। পঙ্গু ও অকর্মা ছিল ওই তিন সংসদ। সেখানে গীত গাওয়া হতো। তথাকথিত সংসদের কথিত সংসদ নেত্রীর প্রশংসা ও প্রশস্তি গাওয়া এবং কিছু কালো আইন সেখানে গৃহীত হওয়া ভিন্ন আর কোনো কাজ ছিল না, এ কথা সবাই জানেন। সংসদ অধিবেশন চলাকালে, প্রতি মিনিটের জন্য রাষ্ট্রকে ব্যয় করতে হয় ২ লাখ থেকে ২ লাখ ৭২ হাজার টাকা। এই হিসাবটি মূলত কোরাম সঙ্কট বা অধিবেশন শুরু হতে দেরি হওয়ার কারণে নষ্ট হওয়া সময়ের ব্যয়ের উপর ভিত্তি করে করা হয়েছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) তাদের প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করেছে। কোরাম সঙ্কটের কারণে সংসদ কার্যক্রম শুরু হতে দেরি হওয়ার একটি উদাহরণ: একাদশ জাতীয় সংসদের একটি নির্দিষ্ট সময়ে কোরাম সঙ্কটে মোট ৫৪ ঘণ্টা ৩৮ মিনিট সময় নষ্ট হয়েছে, যার আর্থিক মূল্য প্রায় ৮৯ কোটি ২৮ লাখ ৮ হাজার ৭৭৯ টাকা। এই তথ্য প্রমাণ করে তৎকালীন লীগ সরকারের সদস্যরা জাতীয় সংসদকে কতটা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করেছে।
তিন সংসদে তথাকথিত সংসদ নেত্রীর প্রশস্তি গাইতে গিয়ে শুধু রাষ্ট্রকে ১০০ কোটি টাকা গচ্ছা দিতে হয়েছে। এটা কোনো গল্প নয়। সংসদ সচিবালয় সূত্রে এমন তথ্য দিয়ে একটি জাতীয় দৈনিক প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছিল। তখন কেউ তার প্রতিবাদ করেনি। এখন ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের তিন সংসদের বৈধতা নিয়ে হাজারো প্রশ্ন আছে। বৈধতা নিয়ে যদি প্রশ্নই থাকে, তাহলে ওই তিন অবৈধ সংসদের জন্য রাষ্ট্রের যে বিপুল অর্থ ব্যয় হয়েছে সেই ব্যয়ভার কে বহন করবে! এ নিয়ে কারো কোনো মাথা ব্যথা ছিল না। কী আজব এই বাংলাদেশ!
আগামী ১৩তম সংসদ গঠিত হলে, সেটা কোন প্রক্রিয়ায় চলবে? সংসদীয় ব্যবস্থায় প্রকৃত অর্থে প্রতিটি সংসদকে কর্মমুখর প্রাণবন্ত ও রাষ্ট্রীয় অর্থ সাশ্রয়ের ক্ষেত্রে প্রধানত, ভূমিকা রাখেন সংসদ নেতা, স্পিকার ও বিরোধীদলীয় নেতা। দূর অতীতে যখন দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ গঠিত হয়েছিল সেটি ছিল প্রেসিডেন্ট শাসিত সরকারব্যবস্থার অধীন। আপন অভিজ্ঞতার আলোকে বলতে পারি, ওই সংসদ ছিল ‘এভারেস্ট পার্লামেন্ট।’ সেই সংসদ সংবিধান, সংসদের কার্য প্রণালীকে যথাবিহিত সম্মান করে পরিচালিত হয়েছে। সংসদের প্রতিটি মুহূর্ত কর্মমুখর ছিল। ফলে সে সংসদে সরকারের জবাবদিহিমূলক কার্যক্রম নিষ্ঠার সাথে পরিচালিত হয়েছে। উল্লেখ্য, সেই সংসদের সংসদ নেতা ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শাহ আজিজুর রহমান। স্পিকার ছিলেন মির্জা গোলাম হাফিজ, ডেপুটি স্পিকার ছিলেন ব্যারিস্টার সুলতান আহমদ চোধুরী এবং বিরোধী দলের নেতা ছিলেন অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান খান। চারজনই দক্ষ আইনজীবী। উল্লেখ্য, দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ যে গুণেমানে অপূর্ব ছিল ইতিহাস তার সাক্ষ্য দেবে। আসন্ন নির্বাচনের পর জনগণ এখন অন্তত দ্বিতীয় জাতীয় সংসদের অনুরূপ অর্থাৎ কার্যক্রমের দিক থেকে সমমানের একটি সংসদ উপহার পেতে চাইবেন। তবে এমন সংসদ উপহার দেয়া বাস্তব কারণেই এখন খুব সহজ হওয়ার কথা নয়। তার অন্যতম কারণ হচ্ছে, এবার যারা সংসদে আসবেন তাদের অধিকাংশের সংসদীয় ব্যবস্থা সম্পর্কে তেমন অভিজ্ঞতা থাকবে না বলেই ধারণা করা যায়। এমনকি প্রধান দলগুলো থেকে বড় জোর দুই-দশজন সংসদীয় অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তি হয়তো সংসদে আসতে পারেন। সে ক্ষেত্রে সার্বিক ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতার ঘাটতির কারণে ১৩তম সংসদের প্রাণবন্ত ও কার্যকর হয়ে উঠতে কিছু সময় লাগবে। তবে নবীন সদস্যরা যদি আন্তরিকভাবে উদ্যোগী হন তবে এ সঙ্কট দ্রুত কেটে যাওয়া অসম্ভব হওয়ার কথা নয়।
তাদের পক্ষে সংসদের রীতিনীতি, সংসদের কার্যপ্রণালী বিধি ও সংবিধান এই দুই গুরুত্বপূর্ণ পুস্তকের সংশ্লিষ্ট বিধিগুলো নখদর্পণে রাখতে হবে। এই দুই পুস্তক অনুসরণ করেই সংসদ পরিচালিত হয়। সব বড় দলের তো বটেই, ছোট দলে যারা সম্ভাব্য পোটেনশিয়াল প্রার্থী, তাদেরও এখন থেকে নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার যাবতীয় কার্যক্রমের পাশাপাশি উল্লিখিত দুই কিতাব নাড়াচাড়া করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। জাতীয় সংসদের সদস্য হিসাবে নির্বাচিতরা জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী রাষ্ট্রের পরিচর্যা করতে চাইলে ওই কিতাবের ওপর ব্যুৎপত্তি অর্জন করতে হবে। অন্যথায় সেটা একেবারেই সম্ভব নয়। আগামী সংসদে অবশ্যই সংবিধানের অনেক বড় ধরনের সংশোধনী আসতে পারে। তবে সংসদ কার্যপ্রণালীবিধির হয়তো টুকটাক কিছু পরিবর্তন হতে পারে।
সংসদকে প্রাণবন্ত, বিধিসম্মত, জবাবদিহিমূলক ও রাষ্ট্রীয় অর্থ সাশ্রয়ী করার জন্য সংসদ নেতা, স্পিকার ও বিরোধী দলের নেতার ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য অভিজ্ঞতার কোনো বিকল্প নেই। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ভাবতে হবে। দ্বিতীয় বিষয়টি হচ্ছে, সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, যারা সংসদ চলাকালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তখন তাদের বলতে গেলে দিবা রাত্রি কাজ করতে হয়। আর সংসদের অধিবেশন চলাকালে, সংসদ সচিবালয়ের সচিব এবং যুগ্মসচিব বা উপসচিবদেরকে সার্বক্ষণিকভাবে স্পিকারকে সাহায্য করতে হয়। বিগত ১৫ বছর সত্যিকার অর্থে কোনো সংসদ ছিল না বললেই চলে। তাই আগামীতে যিনি স্পিকার বা ডেপুটি স্পিকার হবেন, তাদের সাহায্যকারী দক্ষ কর্মকর্তার অভাব হতে পারে।


