বুদ্ধি কী : বুদ্ধি হচ্ছে মানুষ ও প্রাণীর এক সহজাত অদৃশ্য ক্ষমতা, যেখানে ঘটে চিন্তা ও সমাধানমূলক নানা ক্ষমতার সমাবেশ। এর প্রয়োগের মাধ্যমে সমস্যা ও সঙ্কটময় পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ নিশ্চিত হয় এবং জীবনকে এগিয়ে নেয়ার জরুরি শিক্ষার ধারাবাহিকতা জারি থাকে। যার ফলে জীবনের নানা জটিলতা ও বিরূপ পরিস্থিতির সাথে অভিযোজনের দক্ষতা তৈরি হয়। বুদ্ধি মানুষের আত্মপরিচয়ের গভীরতম স্তরগুলোর সাথে যুক্ত এক সত্তাগত শক্তি।
কথাটা খোলাসা করা যাক। বুদ্ধি একধরনের প্রতিফলন শক্তি। সে যেমন বাহ্যিক জগতকে উপলব্ধি করে, তেমনি উপলব্ধিটাকেও উপলব্ধি করে। এই প্রতিফলনের ফলে সে নিজেকে প্রশ্ন করে, জগতকে প্রশ্ন করে। সত্য ও মিথ্যা, ন্যায় ও অন্যায়কে পৃথক করার চেষ্টা করে।
বুদ্ধি সরবরাহ করে অভিযোজনক্ষমতা। প্রাণীদের জগতে দৃষ্টি দিন। বুদ্ধি তাদের মধ্যে প্রধানত টিকে থাকার কৌশল তৈরি করে। কিন্তু মানুষের বুদ্ধি আরো বিকশিত। সে শুধু বেঁচে থাকার উপায় খুঁজে বের করে না, বরং একটি অর্থপূর্ণ জীবন গঠনের প্রশ্ন তোলে; অর্থাৎ মানুষের বুদ্ধি অস্তিত্বকে কেবল টিকিয়ে রাখে না, তাকে ঊর্ধ্বারোহণের পথও দেখায়। বুদ্ধি প্রস্তাব করে সমস্যার সমাধান। সমাধানের মূল্যবোধও সে নির্ধারণ করে। সে হাজির করতে পারে একই সমস্যার একাধিক সমাধান। কোন সমাধানটি নৈতিক, কোনটি ন্যায্য, তা নির্ধারণে ভ‚মিকা রাখে পরিশীলিত বুদ্ধি।
মানুষ যখন বুদ্ধির প্রয়োগ করে, তখন সে কেবল বর্তমান পরিস্থিতির সমাধান খোঁজে না, বরং চূড়ান্ত সত্যের দিকেও যাত্রা করে। এ কারণেই বুদ্ধি দার্শনিকভাবে একটি অন্তহীন অনুসন্ধানের নাম। বুদ্ধি জীবনের অর্থ ও সত্যকে খুঁজে পেতে উদগ্রীব।
বুদ্ধি কি দক্ষতা : বুদ্ধি মূলত অদৃশ্য দক্ষতা। দক্ষতা মূলত দৃশ্যমান বুদ্ধি। কথাটার মানে হলো বুদ্ধি মানুষের সেই অন্তর্নিহিত, অদৃশ্য ও বিমূর্ত ক্ষমতা, যার মাধ্যমে ঘটে চিন্তাকর্ম, বিশ্লেষণ, সিদ্ধান্ত, কল্পনা, সমস্যা সমাধান ইত্যাদি। বুদ্ধি অদৃশ্য, কিন্তু তার ফলাফল প্রকাশিত হয় আচরণে, বক্তব্যে বা কর্মে। দক্ষতা হলো বুদ্ধির দৃশ্যমান ও ব্যবহারিক রূপ। কোনো কাজকে সঠিকভাবে, সুন্দরভাবে ও কার্যকরভাবে করার সামর্থ্যকে আমরা বলি দক্ষতা। দক্ষতা বুদ্ধিকে কাজে লাগানোর ফলশ্রুতি হিসেবে প্রকাশিত হয়। কেউ সুন্দরভাবে গণিতের সমাধান করল, কেউ যন্ত্র চালাতে পারদর্শী, এগুলো তার দক্ষতা।
বুদ্ধি যেহেতু ভেতরের শক্তি, কিন্তু দক্ষতার ভিত তৈরি করে, অতএব সে অদৃশ্য দক্ষতা। দক্ষতা হলো সেই ভেতরের বুদ্ধির প্রকাশিত রূপ, যা আমরা কাজ বা কর্মের মাধ্যমে দেখতে পাই।
বুদ্ধি ও দক্ষতা, কে কতটা জরুরি : বুদ্ধি আমাদের লক্ষ্য চেনায়, দক্ষতা তা অর্জনের মাধ্যম। বুদ্ধি ছাড়া দক্ষতা অন্ধ, দক্ষতা ছাড়া বুদ্ধি পঙ্গু। যে কেবল দক্ষ কিন্তু বুদ্ধিহীন, সে ভাগ্যের খেলনা। বুদ্ধি ও দক্ষতা আমাদের বেঁচে থাকার মৌলিক শর্তের সাথে যুক্ত।
তা কিভাবে? মানুষের বেঁচে থাকা শুধু খাদ্য বা আশ্রয় নির্ভর নয়। মানুষকে মানবসুলভ জীবনযাপন করতে হয়, সেখানে বুদ্ধির ভ‚মিকা আছে, সঠিকতার প্রয়োগ করতে হয় কর্মে, সেখানে দক্ষতার বিকল্প নেই। কেউ হয়তো ভাবে খাবার, আশ্রয় ও টিকে থাকাটাই জীবনের জন্য যথেষ্ট। কিন্তু খাবার সংগ্রহ করতে হয়, আগুনের ব্যবহার করতে হয়, আশ্রয়ের জন্য বাসস্থান বানাতে হয়, বেঁচে থাকার জন্য বিপদ এড়াতে হয়, মানুষের সাথে সম্পর্ক তৈরি করতে হয়- এসবই একই সাথে বুদ্ধি ও দক্ষতার কাজ।
দক্ষতা জন্মায় বুদ্ধি থেকে। বুদ্ধি দিয়ে মানুষ সমস্যার সমাধান খোঁজে, নতুন কিছু শেখে এবং আগের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে কৌশল তৈরি করে। সাপ বা সিংহ বিপজ্জনক- এটি বোঝে বুদ্ধির আশ্রয়ে। সাপ বা সিংহ থেকে রক্ষা পাওয়ার কৌশল বের করে দক্ষতার মাধ্যমে। তাই বুদ্ধি আসলে জীবনধারণের জন্য অপরিহার্য। বুদ্ধি না থাকলে দক্ষতা জন্ম নিত না; আর দক্ষতা না থাকলে মানুষ টিকে থাকতে পারত না।
বুদ্ধিকে কিভাবে ব্যাখ্যা করা যায় : বুদ্ধি মানসিক বিষয়, যাকে অনুভব করা যায় সহজেই, ব্যাখ্যা করতে গেলে ব্যাপারটা জটিল হয়ে যায়! কারণ বুদ্ধির ব্যাখ্যা করে মানুষ ও প্রাণীর জীবনাচরণ।
বুদ্ধি হচ্ছে মানুষের মানসিক ক্ষমতা। একজন মানুষ বুদ্ধিমান কি না তা আমরা সহজেই বুঝতে পারি। কথা, আচরণ, প্রতিক্রিয়ায় বুদ্ধি প্রতিফলিত হয়। কিন্তু যখন দর্শন বা বিজ্ঞানের ভাষায় এর সঠিক সংজ্ঞা দিতে চাই, তখন ব্যাপারটা জটিল হয়ে যায়। কারণ বুদ্ধি একই সাথে অন্তর্নিহিত শক্তি আবার বাহ্যিক আচরণের উৎস।
বুদ্ধি আসলে জীবনাচরণ (conduct of life) দ্বারা প্রকাশিত হয়। প্রাণীর বেঁচে থাকার সংগ্রাম, শিকার করা, আত্মরক্ষা- এগুলো তাদের সহজাত বুদ্ধির প্রকাশ। মানুষের ক্ষেত্রে তা আরো বিস্তৃত- শিক্ষা গ্রহণ, প্রযুক্তি সৃষ্টি, আইন প্রণয়ন, শিল্পকলা, নৈতিক সিদ্ধান্ত- সবই বুদ্ধির প্রকাশ।
অতএব, বুদ্ধিকে ব্যাখ্যা করতে চাইলে সেটিকে আচরণ ও কার্যকলাপের জাহিরির মধ্যে দেখতে হয়। সভ্যতা ও সংস্কৃতির বিকাশধারায় তাকে বুঝতে হয়। বুদ্ধিবৃত্তি যেখানে অপরিণত, সভ্যতা-সংস্কৃতি সেখানে বাল্যকাল অতিক্রম করতে পারে না।
চালাকি ও বুদ্ধিমত্তার সম্পর্ক কেমন : লোকেরা ব্যক্তির চালাকিকে বুদ্ধিমত্তা মনে করে। কিন্তু জ্ঞান ও প্রজ্ঞারহিত চালাকি বুদ্ধিমত্তার জন্য ক্ষতিকর। সত্যিকার বুদ্ধিবৃত্তি জ্ঞান ও প্রজ্ঞার মাধ্যমে জন্ম নেয়া উদ্ভাবনী শক্তির ফসল।
চালাকি (Cunning) মূলত ব্যক্তিগত স্বার্থ ও তাৎক্ষণিক সুবিধার প্রতি নির্দেশিত। এটি সাধারণত কৌশলগত ও বাহ্যিক ফলাফলের ওপর নির্ভর করে। কিন্তু বুদ্ধিবৃত্তি কেবল ফলাফলের জন্য নয়। সে নৈতিক ও জ্ঞানভিত্তিক বিবেচনার সাথে জড়িত। বুদ্ধি হলো নৈতিক জ্ঞান ও কার্যকর প্রজ্ঞার সমন্বয়, যা শুধু স্বার্থসিদ্ধি নয়, বরং মানবিক কল্যাণ নিশ্চিত করে। চালাকি মূলত বাহ্যিক প্রতিভা বা ক্ষণস্থায়ী উদ্ভাবনী ক্ষমতা। এটি ফলপ্রসূ হতে পারে, কিন্তু এতে কারণ ও উদ্দেশ্যের গভীরতা কম। বুদ্ধিমত্তা অনেক গভীর, অনেক অগ্রসর। সে সমস্যার সমাধান হাজির করে, সমাধানটির নৈতিক ও দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব বিবেচনা করে। ‘কারণ ও ফলাফলের সত্য’ বোঝার ক্ষমতা বিস্তার করে। সে জন্ম দেয় সত্যিকার সৃজনশীলতা। যেকোনো জটিল সমস্যার বিশ্লেষণ করে, নতুন ধারণা ও কার্যকর সমাধান উদ্ভাবনের পথ দেখায়। চালাকি সাধারণত কৌশল বা প্রতারণার মতো কাজ করে। এটি সৃজনশীলতা নয়, বরং সীমিত ও স্বার্থকেন্দ্রিক।
বুদ্ধি শুধু ব্যক্তিগত ক্ষমতা নয়, এটি মানবজীবনের সার্বিক অর্থ ও উদ্দেশ্য উপলব্ধিতে সাহায্য করে। চালাকি মানুষের অভ্যন্তরীণ প্রজ্ঞার অভাব আড়াল করতে পারে, কিন্তু সত্যিকারের বুদ্ধিবৃত্তি জীবনের চূড়ান্ত উদ্দেশ্য ও নৈতিক দিককে বিকশিত করে।
বুদ্ধি কিভাবে কাজ শুরু করে : বুদ্ধি হচ্ছে মানুষ ও প্রাণীর নানা অভ্যন্তরীণ ক্ষমতার সমাহার, যা তৈরি করে এক মানসিক শক্তি, যা দিয়ে মানুষ ও প্রাণী চিন্তা করে। সূক্ষ্ম ও জটিল বিষয়, মূর্ত ও বিমূর্ত বিষয়, জ্ঞাত ও অজ্ঞাত বিষয় সেই চিন্তার আওতায় থাকে।
বুদ্ধি হচ্ছে মানুষের ও প্রাণীর অভ্যন্তরীণ ক্ষমতার সমন্বয়; অর্থাৎ অনুভ‚তি, স্মৃতি, মনোযোগ, যুক্তি ও মননের সম্মিলনে সে মানসিক শক্তি গঠন করে। এ শক্তিই আমাদের চিন্তার প্রক্রিয়া চালু করে। চিন্তা শুরু হওয়ার প্রক্রিয়া নানা স্তরে কাজ করে। প্রথমে মানুষ বা প্রাণী বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ তথ্য গ্রহণ করে। এ তথ্য আসে সরাসরি অথবা পরোক্ষভাবে আমাদের সংবেদনের সহায়তায়। বুদ্ধি এ তথ্যকে পর্যবেক্ষণ করে। বিষয়টি মূর্ত (ভগ্নাংশ, বস্তু, চিত্র) কিংবা বিমূর্ত (ধারণা, নীতি, সম্ভাবনা) যাই হোক, তাকে চিন্তার আওতায় নিয়ে আসে। বুদ্ধি কেবল পূর্বজ্ঞান ব্যবহার করে না, বরং অজানা বা অজ্ঞাত বিষয়কে বিশ্লেষণ করে নতুন ধারণা উদ্ভাবন করে। এখানে সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী ক্ষমতা জন্ম নেয়।
চিন্তার মাধ্যমে বুদ্ধি বিভিন্ন বিকল্প হাজির করে, সেগুলোর মূল্যায়ন করে এবং ফলস্বরূপ কার্যকর সিদ্ধান্ত বা সমাধান নির্ধারণ করে।
বুদ্ধি সব সময়ই একটি প্রক্রিয়া, যা সূক্ষ্ম থেকে জটিল, মূর্ত থেকে বিমূর্ত, জ্ঞাত থেকে অজ্ঞাত সব বিষয়কে চিন্তার আলোয় হাজির করে এবং জীবনের প্রয়োগযোগ্য সমাধান তৈরি করে।
চিন্তার কাজ কী : চিন্তা কাজ করে সমস্যার সমাধানে; যাতে মানুষ নিজের প্রবৃত্তি ও সীমাবদ্ধতার ক্ষতি থেকে যথাসম্ভব বেঁচে থেকে লক্ষ্য পূরণের জন্য নিজের দক্ষতাকে প্রয়োগ করতে পারে।
চিন্তা কাজ করে, যাতে মানুষ ও প্রাণী জীবনের নানামুখী প্রতিক‚লতা মোকাবেলা করতে পারে, নানা বিষয়ের সাথে সম্পর্ক নিরূপণ করতে এবং পরিবর্তনশীল বাস্তবতার সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে। এই যে সঙ্কট মোকাবেলা, সম্পর্ক নিরূপণ ও পরিবর্তনে মানিয়ে নেয়া, তা সম্পন্ন হয় বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান, দক্ষতা ও কৌশল আয়ত্তকরণের মাধ্যমে।
বুদ্ধির প্রশ্নে সবার মধ্যে কি সমতা থাকে : থাকে না। কারণ বুদ্ধি হলো মনের সেই কেন্দ্রীয় শক্তি, যার পরিচালনায় মনের অন্যান্য শক্তি বিভিন্ন কাজ করে। ফলে যে কেন্দ্রীয় মানসিক শক্তি কাজকে নিয়ন্ত্রণ করে, তা সব কাজে সমানভাবে প্রতিফলিত হয় না। ফলে এক বিষয়ে বুদ্ধির পরিচয় ঘটার মধ্য দিয়ে একজনের তরফে সব বিষয়ে বুদ্ধির প্রয়োগ ঘটবে, এমন দাবি করা যায় না। আর বুদ্ধির উপাদানগুলো এমন, যা সব মানুষের মধ্যে সমানভাবে বণ্টিত হয় না। ফলে কারো বুদ্ধিবৃত্তির মাত্রা অধিক হবে, কারো হবে কম।
বুদ্ধির মাত্রা কিভাবে বুঝব : বুদ্ধির মাত্রা কাদের কেমন, তা বোঝা কঠিন নয়। যাদের বুদ্ধির মাত্রা বেশি, তাদের মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের গঠন এমন হয়, যার ফলে তারা যে কোনো উদ্দীপকের সামনে এলেই দ্রæততার সাথে সাড়া দিতে পারে।
দক্ষতা উৎপাদক বুদ্ধি না থাকলে কী হয় : সঙ্কট বাড়ে, জমতে থাকে, সমাধান আসে না। পরিবর্তনশীল বাস্তবতার চ্যালেঞ্জগুলো গর্জন করে, সমাধান ও অভিযোজন থাকে না। চিন্তা ও তৎপরতা থাকে নামমাত্র, জ্ঞান, দক্ষতা ও কৌশলের বহিঃপ্রকাশ ঘটে না। মন থাকে বটে, কিন্তু সে ডোবাপুকুর হয়ে থাকে, মানসিক দক্ষতাগুলোর সমাবেশ ঘটে না, আচরণে এর প্রতিফলন ঘটে না।
শিক্ষা থাকলেই কি বুদ্ধির কাজ হয় না : না, হয় না। বুদ্ধিবৃত্তির অনুপস্থিতিতে শিক্ষা প্রথা হিসেবে থাকে বটে। জীবন ও জগতের সঙ্কট উত্তরণে সেই শিখনের ধারাবাহিকতা থাকে না, যা উৎপাদনশীলতা ও মানব উন্নয়নের প্রাণশক্তি।
বুদ্ধির কী দরকার? হেদায়েত থাকলেই কি যথেষ্ট নয় : প্রাণী ও মানুষের বুদ্ধিবৃত্তিও আসমানি হেদায়েতের অংশ। ওহির কিতাব হচ্ছে বাইরের আসমানি হেদায়েত, ফিতরাত ও সহজাত বুদ্ধিমত্তা হচ্ছে অভ্যন্তরীণ আসমানি হেদায়েত। মানুষের উদ্দেশে ওহির কিতাব এসেছে দ্বিতীয়টাকে আলোকদানের জন্য, পথপ্রদর্শনের জন্য, যাতে নিত্যনতুন জটিলতা ও সমস্যার উত্তরণে মানুষ দ্বিতীয় শক্তিকে প্রথমটির আলো দিয়ে পরিচালনা করতে পারে।
ফলে উসুল নির্দেশিত বুদ্ধিমত্তাকে কাজে না লাগালে আসমানি কিতাব আপনার নিশ্চল মস্তিষ্কে শক্তি ও কর্মের দক্ষতা সরবরাহ করবে না!
লেখক : কবি, সাহিত্যিক