বাংলাদেশ ব্যাংক খেলাপি ঋণ কমানোর নীতি হিসেবে খেলাপি গ্রাহকদের ঋণ পরিশোধের শিথিলতার সুযোগ সমস্যাকে আরো দীর্ঘায়িত করবে কি না তা কিছু দিন পরে বোঝা যাবে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে ও ডিসেম্বরে খেলাপি ঋণ কমানোর পলিসি হিসেবে অন্যান্য সময়ের মতো খেলাপি গ্রাহকদের নানা রকম সুযোগ দিতে বাংলাদেশ ব্যাংক কয়েকটি সার্কুলার ইস্যু করেছে। প্রায় প্রতি বছর ডিসেম্বর এলে ব্যবসায়ী স¤প্রদায় বিশেষ করে বড় বড় খেলাপি গ্রাহক সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে থাকে। এর অংশ হিসেবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা যেসব ঋণ আদায় হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ, তা অবলোপনে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগে মন্দমানের শ্রেণীকৃত খেলাপি ঋণ অবলোপনে গ্রাহককে ৩০ দিনের নোটিশ দেয়া হতো। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, ৩০ দিনের পরিবর্তে ন্যূনতম ১০ কর্মদিবস আগে নোটিশ দিতে পারবে ব্যাংক। এ মর্মে প্রজ্ঞাপন জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
অবলোপন করা ঋণের বিপরীতে শতভাগ প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে।
ঋণ অবলোপন বা রাইট অফ হলো এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে কোনো খেলাপি বা মন্দ ঋণকে ব্যাংকের ব্যালান্সশিট (ঋণ স্থিতিপত্র) থেকে বাদ দিয়ে একটি পৃথক হিসাবে রাখা হয়। যার উদ্দেশ্য হলো- ব্যালান্সশিটে খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমানো। ঋণ অবলোপনে নোটিশের সময় কমিয়ে আনার বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, অবলোপন করা ঋণের হিসাব নিষ্পত্তি করতে বেশ সময় লেগে যায়, যার কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ব্যাংকগুলো নিজস্ব নীতিমালা অনুযায়ী, অবলোপন করা ঋণ আদায়ের বিপরীতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নগদ প্রণোদনা দিতে পারবে। তবে কোনো ব্যাংকের এ-সংক্রান্ত নীতিমালা না থাকলে তা পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনক্রমে প্রণয়ন করতে হবে।
নির্দেশনায় আরো জানানো হয়, ভবিষ্যতে আদায়ের সম্ভাবনা ক্ষীণ- এমন সব মন্দ ও ক্ষতিজনক ঋণ অবলোপন করা যাবে। এ ক্ষেত্রে পুরনো শ্রেণীকৃত ঋণগুলো অগ্রাধিকার পাবে। এছাড়া খেলাপি গ্রাহকদের সুবিধা প্রদান ও খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনার লক্ষ্যে গত ১৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করে, যেখান বলা হয়েছে- ব্যাংকার ও গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বিদ্যমান খেলাপি ঋণের স্থিতির ওপর কমপক্ষে ২ শতাংশ নগদে অর্থ জমা দিতে হবে। তাতে ঋণ নিয়মিত হলে দুই বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ (ঋণ পরিশোধে বিরতি) তা পরিশোধে ১০ বছর সময় পাওয়া যাবে। তবে এর আগে ঋণ তিন বা তার চেয়ে বেশিবার পুনঃতফসিল করা হলে অতিরিক্ত ১ শতাংশ অর্থ জমা দিতে হবে। তবে পরবর্তী সময়ে ব্যাংকের নির্ধারিত ঋণ পরিশোধের সূচি অনুযায়ী, তিনটি মাসিক কিস্তি বা একটি ত্রৈমাসিক কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত করা হবে।
প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়েছে- আগে যেসব অর্থ জমা দেয়া হয়েছে, তা ২ শতাংশ হিসেবে গণ্য হবে না। নতুন করে ২ শতাংশ অর্থ জমা দেয়ার পর তা নগদায়ন হলে ছয় মাসের মধ্যে আবেদনটি নিষ্পত্তি করতে হবে।
প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত ঋণগ্রহীতার ক্ষতির পরিমাণ ও প্রতিষ্ঠানের ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা যথাযথভাবে বিবেচনায় নিয়ে ঋণ পুনঃতফসিল করতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নির্দেশনায় আরো বলা হয়েছে- এ সুবিধা দেয়ার পর ৯০ দিনের মধ্যে ব্যাংক ও গ্রাহকের সোলেনামার মাধ্যমে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে চলমান মামলার কার্যক্রম স্থগিতের ব্যবস্থা নিতে হবে। সার্কুলারে বলা হয়েছে- চলতি বছরের ৩০ জুন বিরূপ মানে শ্রেণীকৃত ঋণের পরিমাণ বিবেচনায় ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে পুনঃতফসিল করা যাবে। এ জন্য আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে আবেদন করতে হবে। ব্যাংক থেকে তা নিষ্পত্তি করতে হবে আবেদনের ছয় মাসের মধ্যে। নীতিসহায়তায় প্রয়োজনীয় ডাউন পেমেন্ট চেক বা অন্য কোনো ইনস্ট্রুমেন্টের মাধ্যমে দিলে তা নগদায়নের পর থেকে ছয় মাস গণনা করতে হবে। ডাউন পেমেন্টের অর্থ ব্যাংকের অনুকূলে নগদায়নের আগে নীতিসহায়তার আবেদন কার্যকর করা যাবে না। এর আগে তিন বা তার বেশি পুনঃতফসিল করা ঋণে অতিরিক্ত ১ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট আদায় করতে হবে।
নীতিসহায়তা দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনাপত্তি নিতে হবে না জানিয়ে নির্দেশনায় আরো বলা হয়েছে- এ বিষয়ে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন নিতে হবে। একাধিক ব্যাংক থেকে ঋণের বিপরীতে নীতিসহায়তার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ঋণ প্রদানকারী ব্যাংক বা সবার সম্মতিতে নীতিসহায়তার উদ্যোগ ও সভা আয়োজন করে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে- প্রকৃত আদায় ছাড়া ব্যাংকের আয় খাতে স্থানান্তর করা যাবে না। তবে সাধারণ প্রভিশন সংরক্ষণে স্থানান্তর করা যাবে। এ ধরনের সুবিধাপ্রাপ্ত ঋণে নতুন সুবিধা দেয়া যাবে। এক্ষেত্রে অতীত লেনদেনসহ সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা করতে হবে। আর ২০২২ সালে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কাঁচামাল আমদানির জন্য বাকিতে খোলা এলসির ক্ষেত্রে বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে টাকার অপ্রত্যাশিত বিনিময় হারজনিত ক্ষতির মোট পরিমাণ হিসাবায়ন করতে হবে গত বছর জারি করা সার্কুলারের নির্দেশনা অনুযায়ী। কোনো গ্রাহক চাইলে পুনর্গঠন বা এককালীন এক্সিট সুবিধা নিতে পারবে। ঋণখেলাপিদের এমন সুবিধা সম্পর্কে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সাবেক চেয়ারম্যান আনিস এক পত্রিকায় বলেন, দেশের ভালো ব্যবসায়ীদের অনেকে ভুগছেন। তাদের অনেকে ঋণখেলাপি হয়ে পড়েছেন। কখন নির্বাচন হবে, এ জন্য অপেক্ষা করছেন। কেউ কেউ পালিয়েছেন, আবার কেউ জেলে আছেন। দেশের জিডিপি ও কর্মসংস্থানে ভূমিকা রাখতে পারেন, এমন ব্যবসায়ীদের জন্য এ সুবিধা প্রয়োজন।
পতিত স্বৈরাচারী সরকারের সময়ে বিশেষ বিবেচনায় ঋণ পুনঃতফসিল, পুনর্গঠনসহ নানা সুবিধা দিয়ে খেলাপি ঋণ কম দেখানো হতো। সরকার পতনের পর তা হুহু করে বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক কোনো তথ্য গোপন রাখেনি, ফলে প্রকৃত খেলাপি ঋণ অনেক বেড়ে যায়। যা গত জুন শেষে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৩০ হাজার ৪২৮ কোটি টাকায়। বাংলাদেশ ব্যাংক সর্বশেষ তথ্য মতে, খেলাপি ঋণ ছয় লাখ ৩৩ কোটি টাকা। এটি ব্যাংক খাতে মোট বিতরণ করা ঋণের ৩৪ দশমিক ৬০ শতাংশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ খেলাপি ঋণ শুধু অর্থনীতির জন্য নয়; বরং ব্যাংকব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থার জন্যও এক মারাত্মক হুমকি। ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে, তা না হলে ব্যাংক খাতে আরো ধস নামবে। মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে কঠোর মুদ্রানীতির কবলে নিত্যপণ্যের বাজারে স্বস্তি না মিললেও বেড়ে গেছে ব্যাংকঋণের বিপরীতে সুদের হার। এতে কমছে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত বছরের জুলাইয়ে যেখানে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ছিল ১০ দশমিক ১৩ শতাংশ; এক বছর পর নেমেছে ৬.৫২ শতাংশে। তা আরো কমে আগস্ট শেষে হয়েছে ৬.৩৫ শতাংশ। যা গত ২২ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ব্যাংক খাতে লুকানো খেলাপি ঋণ সামনে আসছে। পাশাপাশি সরকার পরিবর্তনের পর খেলাপি ঋণ কাগজে-কলমে কম দেখানোর নীতি থেকেও সরে আসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে অস্বাভাবিক গতিতে বাড়ছে খেলাপি ঋণ, যা নিয়ে সর্বমহলে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। খেলাপি ঋণের বৃদ্ধি নিয়ে চিহ্নিত খোদ কেন্দ্রীয় ব্যাংকও। এর মধ্যে খেলাপি ঋণের (এনপিএল) লাগামহীন বৃদ্ধি নিয়ে গত সপ্তাহে উদ্বেগ প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফ। সেই সাথে খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে জোর তাগিদ দেয় সংস্থাটি। ইতোমধ্যে দেশের ৪৭টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের সাথে বৈঠক করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, যেখানে প্রতিটি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ আদায় পরিস্থিতি, পুনঃতফসিল ও অবলোপন পরিকল্পনা জানতে চাওয়া হয়েছে। মূলত ব্যাংক ও আর্থিক খাতে স্থিতিশীলতার স্বার্থে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে চাইছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিশ্লেষকরা বলছেন, বছরের পর বছর অব্যবস্থাপনা, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ, দায়মুক্তি ও ঋণ পুনর্গঠনের নামে ঋণগ্রহীতাদের অবাধ ছাড় দেয়ায় ব্যাংক খাত আজ গভীর সঙ্কটে পড়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতা ও বিনিয়োগ পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
বর্তমানে ব্যাংক খাতের নাজুক পরিস্থিতি আস্তে আস্তে স্বস্তির দিকে আসছে। তবে ব্যাংকগুলোর চলমান খেলাপি ঋণের বোঝা থেকে বের হতে হবে। সে জন্য ভালো বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ইতোমধ্যে সুদের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল না থেকে করপোরেট পরামর্শ, বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়, কাঠামোবদ্ধ অর্থায়ন বা স্ট্রাকচার্ড ফাইন্যান্স ও সিন্ডিকেশন ফান্ডিংয়ের মাধ্যমে ফি আয় বৃদ্ধির দিকে মনোযোগ দিচ্ছে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোয় কার্যকর ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাজারের সুদহারের অস্থিরতার প্রভাব এড়াতে ব্যাংকগুলো দীর্ঘমেয়াদি আমানতের পরিবর্তে স্বল্পমেয়াদি ও স্বল্প ব্যয়ের আমানত সংগ্রহে মনোযোগ দিতে পারে। ব্যাংকগুলোর জন্য মানসম্মত ঋণনীতি নির্ধারণ করা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। ব্যাংকগুলো যেন কারো চাপে, প্রভাবিত হয়ে যেন বিনিয়োগ না করে; সেদিকে নজর বাড়াতে হবে। ব্যাংক খাতের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে প্রযুক্তির ব্যবহার। খেলাপি হলে গ্রাহকদের বিদেশযাত্রা, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ভূমি হস্তান্তরসহ নানা সুবিধা অটোমেটিক বন্ধ হয়ে যাবে। এ ধরনের ব্যবস্থা থাকা চাই। বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থঋণ আদালতকে খেলাপি আদায়ে আরো কঠোর না হলে ব্যাংক খাতে আস্থা ও নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ পরিসংখ্যান বলছে, এনবিএফসি খাতে আমানত ও ঋণের মধ্যে ব্যবধান ক্রমে বাড়ছে, একই সাথে বেড়েছে খেলাপি ঋণের ঝুঁকিও। এ খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ইতোমধ্যে রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছেছে। একাধিক আর্থিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, কিছু প্রতিষ্ঠান কার্যত টিকে থাকার সক্ষমতা হারাচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে কয়েকটি দুর্বল এনবিএফসি বন্ধ অথবা একীভূত করার পরিকল্পনা নিয়েছে। নয়টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান লিকুইডেশনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। তারল্য সঙ্কট কমানো ও ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক পাঁচটি ইসলামী ব্যাংককে একীভূত করে একটি সমন্বিত ইসলামী ব্যাংক করার প্রক্রিয়া নিয়েছে, যা সম্পন্ন হওয়ার পথে থাকলেও তাতে গ্রাহকদের মধ্যে কতটুকু আস্থা ফিরিয়ে আনবে, তা দেখার বিষয়।
বাংলাদেশ ব্যাংককে খেলাপি ঋণ আদায় ও এ খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে প্রথম প্রথম যেভাবে তৎপরতা দেখা গিয়েছিল, বর্তমানে তাতে শিথিলতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। ঋণখেলাপিদের ছাড় দেয়ার মানসিকতা দূর করতে হবে। নচেৎ ব্যাংক খাতে যে ডাকাত ঢুকেছে, তাদের দৌরাত্ম্য বেড়ে যেতে পারে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, খেলাপি ঋণ কমাতে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসিসহ অন্যান্য ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার যেগুলো এস আলম দখল করেছিল, তা দ্রুত বিক্রি করে খেলাপি ঋণ আদায়ের ব্যবস্থা করা উচিত।
লেখক : অর্থনীতি বিশ্লেষক



