জুলাই সনদের বৈধতা ও প্রাসঙ্গিক কথা

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সাংবিধানিক সংস্কার প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে কার্যকরভাবে সক্ষম হয়নি, যা ভবিষ্যতের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও বৈধতার প্রশ্নকে আরো জটিল করে তুলতে পারে।

২০২৫ সালের ১৬ অক্টোবর দেশের প্রধান প্রধান দৈনিকের শিরোনাম ছিল- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি পরের দিনই ‘জুলাই সনদে’ স্বাক্ষর করতে যাচ্ছে। প্রতিবেদনে জানানো হয়, জামায়াতে ইসলামী এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছায়নি, আর মাত্র এক বছরের নবীন রাজনৈতিক সংগঠন ন্যাশনাল সিটিজেন্স পার্টি-এনসিপি, যাদের এখনো কোনো নির্বাচনী প্রতীক নেই, ঘোষণা করেছে- সনদের বাস্তবায়নের একটি স্পষ্ট রূপরেখা না থাকলে তারা তাতে সম্মতি দেবে না। এতকিছুর মধ্যে একটি অনুপস্থিতি অনেকের নজর এড়িয়ে গেছে; তা হলো- আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতি। যদিও দলটির জনপ্রিয়তা হ্রাস পেয়েছে, তথাপি তারা এখনো দেশের প্রায় এক-চতুর্থাংশ ভোটারের প্রতিনিধিত্ব করে। দেশের একটি বৃহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে যে বিস্তৃত সাংবিধানিক সংস্কার প্রক্রিয়া এগিয়ে নেয়া হচ্ছে, তার সাংবিধানিক পরিণতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলগুলো কিংবা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দৃশ্যত কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করেনি। এ নিবন্ধে ওই প্রশ্নটি আলোচিত হয়েছে- বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক শক্তিকে বাইরে রেখে ‘জুলাই সনদ’-এর প্রস্তাবিত সাংবিধানিক সংস্কার চালু করলে তার বৈধতা ও বৈধতাবোধ কিভাবে প্রভাবিত হতে পারে।

আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়নি। যদিও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর দলটিকে নিষিদ্ধ করার জন্য যথেষ্ট চাপ ছিল, তথাপি সরকার শেষ পর্যন্ত সেই চূড়ান্ত ও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণে বিরত থাকে। নিষিদ্ধ করার পরিবর্তে ২০২৫ সালের ১২ মে সরকার দলটির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত ছিল একটি সুপরিকল্পিত ও সতর্ক পদক্ষেপ, যা দলটির সামাজিক ভিত্তি ও জাতীয় পরিসরে প্রভাব বিবেচনায় নিয়েই নেয়া হয়েছে। সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে তা আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র সমালোচনার জন্ম দিত। প্রকৃতপক্ষে, জাতিসঙ্ঘসহ একাধিক বিদেশী সরকার ইতোমধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে। ২০২৪ সালের ১১ আগস্ট জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় প্রত্যাবর্তনের সময়ে কর্তৃপক্ষকে ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক অবস্থান বজায় রাখার’ বিশেষ আহ্বান জানান।

জুলাই সনদের সাংবিধানিক বৈধতা ও দীর্ঘস্থায়ী গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করতে সব প্রধান রাজনৈতিক দলের সক্রিয় অংশগ্রহণ অপরিহার্য। সনদটি বেশ কয়েকটি সুদূরপ্রসারী সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বিকেন্দ্রীকরণ এবং দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট আইনসভা প্রতিষ্ঠার বিষয়টি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য- যা প্রচলিত সংবিধানের ‘মূল কাঠামো’ ধারণার সাথে সরাসরি সঙ্ঘাত সৃষ্টি করে। মজার বিষয় হলো- সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলগুলো সিদ্ধান্ত নিয়েছে, প্রস্তাবিত সংস্কার একটি নতুন সংবিধান প্রণয়নের মাধ্যমে না করে; বরং বিদ্যমান সংবিধানে সংশোধন আকারে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এই প্রক্রিয়াকে আইনগত ও নৈতিকভাবে বৈধ করতে হলে সংস্কারগুলোকে ‘গণ-সংবিধানিক ক্ষমতা’র ভিত্তিতে সম্পাদন করতে হবে, যা একটি বিপ্লব বা মৌলিক রাজনৈতিক রূপান্তরের পর জনগণের হাতে সংবিধান পুনর্গঠনের বিশেষ অধিকার হিসেবে স্বীকৃত। সত্তরের দশকের ভারতীয় সাংবিধানিক চিন্তাধারায় উল্লেখ করা হয়- একবার সংবিধান প্রণয়ন হয়ে গেলে জনগণ তাদের ‘গণ-সংবিধানিক ক্ষমতা’ স্থায়ীভাবে হারায়, আর এই মতবাদ বাংলাদেশী বিচারব্যবস্থায় প্রায় সমালোচনাহীনভাবে অনুসৃত হয়েছে। তবে আধুনিক সাংবিধানিক তত্ত¡ এই ধারণাকে অপ্রাসঙ্গিক ও অগ্রহণযোগ্য বলে বিবেচনা করে। আধুনিক সাংবিধানিক তত্ত¡ অনুসারে, ‘গণ-সংবিধানিক ক্ষমতা’ কখনোই বিলুপ্ত হয় না; বরং তা জনগণের মধ্যে সুপ্ত অবস্থায় থাকে এবং বিপ্লব বা মৌলিক রাজনৈতিক রূপান্তরের সময় পুনরায় সক্রিয় হয়ে ওঠে। বাংলাদেশ নিজেই এ ধারণার একটি জীবন্ত উদাহরণ। ১৯৭২ সাল থেকে একটি সংবিধান বিদ্যমান থাকা সত্তে¡ও জনগণ ২০২৪ সালে তাদের গঠনমূলক ক্ষমতা প্রয়োগ করে সংবিধানের বাইরের কাঠামোয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা করেছে। আধুনিক সাংবিধানিক চিন্তাধারার আলোকে এবং জার্মান ফেডারেল সাংবিধানিক আদালতের বিচারপতি আর্নস্ট-ভলফগ্যাং বোকেনফোর্ডের মতো বিশিষ্ট বিচারবিদদের মতামতের ভিত্তিতে বলা যায়- বাংলাদেশের জনগণ এখনো তাদের ‘গণ-সাংবিধানিক ক্ষমতা’ ধারণ করে এবং সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করে বর্তমান সংবিধানের ‘মূল কাঠামো’ পর্যন্ত সংস্কার সম্ভব।

তবে সংবিধান সংস্কার প্রক্রিয়া থেকে আওয়ামী লীগ ও তার সমর্থকদের অনুপস্থিতি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্থাপন করে- জুলাই সনদ কি সত্যিই দেশের সব প্রধান রাজনৈতিক শক্তির সমর্থন দাবি করতে পারে? স্পষ্টতই, তা পারে না। কিন্তু কঠোর আইনি দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে, এই সর্বজনীন ঐকমত্যের অভাব সংবিধানের মৌলিক কাঠামো সংস্কারের জন্য ‘গঠনমূলক ক্ষমতা’ প্রয়োগকে অবৈধ করে না। গঠনমূলক ক্ষমতা প্রকৃতিগতভাবে উদ্ভূত হয় কোনো বিপ্লব বা গণ-আন্দোলনের পরবর্তী সময়ে, যখন পুরনো শাসনব্যবস্থা ভেঙে পড়ে এবং জনগণ রাষ্ট্র পুনর্গঠনের ক্ষমতা নিজের হাতে নেয়। এমন পরিস্থিতিতে, পতিত শাসনব্যবস্থার সমর্থকরা নতুন সাংবিধানিক কাঠামো তৈরিতে অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানানোই স্বাভাবিক। সুতরাং, সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে ঐকমত্য অর্জন গঠনমূলক ক্ষমতা প্রয়োগের পূর্বশর্ত হতে পারে না। তদুপরি, সাংবিধানিক তত্তে¡ দীর্ঘ দিন ধরে স্বীকৃত যে ‘গণ-সাংবিধানিক ক্ষমতা’ প্রয়োগের জন্য সর্বজনীন ঐকমত্য অপরিহার্য নয়; বরং একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীও এই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে, যদি তারা জনগণের প্রকৃত ও বৈধ ইচ্ছার প্রতিনিধিত্ব করে। উদাহরণস্বরূপ, ফরাসি বিপ্লবের সময় ‘থার্ড এস্টেট’ বা সাধারণ জনগণই এ ক্ষমতার দাবি করে এবং তা প্রয়োগ করেছিল। মার্কসবাদ-লেনিনবাদী চিন্তায় এই ভূমিকা পালন করেছিল শ্রমিকশ্রেণী বা প্রলেতারিয়েত। বাংলাদেশে ২০২৪ সালের জুলাই ও আগস্টের ঘটনাবলি স্পষ্ট করে দিয়েছে, পরিবর্তনের মূল চালিকাশক্তি ছিল ছাত্র আন্দোলন। তারাই শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়, জনগণের ক্ষোভকে সংগঠিত করে এবং রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটায়। সেই প্রেক্ষাপটে, ছাত্ররাই জনগণের পক্ষ থেকে ‘গণ-সাংবিধানিক ক্ষমতা’র প্রকৃত ধারক হয়ে ওঠে। সেই বিবেচনায়, আওয়ামী লীগ যদি সাংবিধানিক সংস্কার প্রক্রিয়ার বাইরে থেকেই যায়, তাহলেও জুলাই সনদের প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলোর সাংবিধানিক বৈধতা প্রশ্নবিদ্ধ হয় না। তবে ‘গণ-সাংবিধানিক ক্ষমতা’র প্রকৃত ধারক হিসেবে ছাত্রসমাজের ওপর নৈতিক ও রাজনৈতিক দায়িত্ব বর্তায়- আওয়ামী লীগের সমর্থকদের রাজনৈতিক অধিকার ও স্বার্থ যেন কোনোভাবে উপেক্ষিত বা বৈষম্যমূলক আচরণের শিকার না হয়, তা নিশ্চিত করা।

তবুও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার স্বার্থে এবং ভবিষ্যতে সম্ভাব্য আইনগত ও রাজনৈতিক জটিলতা এড়াতে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষে এটি দূরদর্শিতার পরিচায়ক হতো যদি তারা সাংবিধানিক সংস্কার চূড়ান্ত করার আগে আওয়ামী লীগ বা অন্তত তাদের মধ্যপন্থী নেতাদের সাথে পরামর্শ করত। কারণ কোনো দল বিতর্কিত বা অজনপ্রিয় হলেও একটি নতুন সাংবিধানিক ব্যবস্থার বৈধতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করতে তাদের অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ। এ ধরনের অন্তর্ভুক্তিমূলক দৃষ্টান্তের একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ পাওয়া যায় দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে। নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিকে, যখন দেশটি বর্ণবৈষম্য থেকে গণতন্ত্রে রূপান্তর ঘটায়, তখন নেলসন ম্যান্ডেলার নেতৃত্বাধীন আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস-এএনসি দীর্ঘ দিন ধরে বর্ণবিভাজন আরোপকারী ন্যাশনাল পার্টিকে বাদ দেয়নি; বরং নতুন সংবিধান প্রণয়নের প্রক্রিয়ায় তাদের অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হয়েছিল। এই সহযোগিতামূলক পদক্ষেপই দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন সংবিধানকে শুধু বৈধ নয়; বরং নৈতিকভাবেও শক্তিশালী ভিত্তি দিয়েছে, যা বাংলাদেশও অনুসরণ করতে পারত।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দক্ষিণ আফ্রিকার অন্তর্ভুক্তিমূলক রূপান্তরের অনুরূপ কোনো রাজনৈতিক সদিচ্ছা দৃশ্যমান নয়। আওয়ামী লীগ এখন ব্যাপকভাবে অজনপ্রিয় এবং ক্ষমতায় থাকার ১৬ বছর ধরে সংঘটিত সহিংসতা ও ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য দলের নেতারা কোনো অনুশোচনা প্রকাশ করেননি। ফলে অন্তর্বর্তী সরকার কিংবা অন্যান্য রাজনৈতিক শক্তির পক্ষে তাদের সংবিধান সংস্কার প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করার যৌক্তিকতা দেখানো কঠিন হয়ে পড়েছে। এর বিপরীতে দেখা যায়, দক্ষিণ আফ্রিকার ন্যাশনাল পার্টির বহু নেতা বর্ণবৈষম্যের অন্যায় ইতিহাসে নিজেদের ভূমিকা নিয়ে অনুশোচনা প্রকাশ করেছিলেন। এই অনুশোচনাই শান্তিপূর্ণ সাংবিধানিক রূপান্তরের পথ সুগম করে দেয়।

১৭ অক্টোবরের ঘটনাবলি সাংবিধানিক সংস্কার প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে নতুন প্রশ্ন উত্থাপন করেছে। পূর্ববর্তী বিশ্লেষণের আলোকে, যদি ছাত্রসমাজকে জনগণের ‘গণ-সাংবিধানিক ক্ষমতা’র প্রকৃত বাহক হিসেবে বিবেচনা করা হয়, তাহলে সেই ক্ষমতা প্রয়োগের নৈতিক ও রাজনৈতিক দায়িত্বও তাদের ওপর বর্তায়, আর এটি হতে পারে একটি নতুন সাংবিধানিক কাঠামো প্রণয়নের মাধ্যমে, অথবা বিদ্যমান সংবিধানের মৌলিক সংস্কারের মাধ্যমে। কিন্তু সমস্যা হলো- এই শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক দল- ন্যাশনাল সিটিজেন্স পার্টি-এনসিপি জুলাই চার্টারে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এতে একধরনের বিব্রতকর বৈপরীত্য সৃষ্টি হয়েছে। সনদটি প্রণীত হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে গঠিত কমিশনগুলোর মাধ্যমে- যে সরকার নিজেই জনগণের গণ-সাংবিধানিক ক্ষমতার ভিত্তিতে পরিচালিত হচ্ছে। যদি শিক্ষার্থীদের নিজস্ব রাজনৈতিক দলই চার্টারকে অনুমোদন না দেয়, তবে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে- এই কমিশনগুলো এবং তার সম্প্রসারণ হিসেবে পুরো সংস্কার প্রক্রিয়াটি আদৌ কি জনগণের মৌলিক ক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে? যদি সংবিধান-গঠনের প্রকৃত অধিকারীরা চার্টার থেকে নিজেদের আলাদা রাখেন, তবে সমালোচকরা যুক্তি দিতে পারেন, এভাবে প্রস্তাবিত সংস্কারগুলো তাদের সাংবিধানিক ভিত্তি হারিয়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে বলা যায়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সাংবিধানিক সংস্কার প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে কার্যকরভাবে সক্ষম হয়নি, যা ভবিষ্যতের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও বৈধতার প্রশ্নকে আরো জটিল করে তুলতে পারে। সরকার এক দিকে আওয়ামী লীগকে এই প্রক্রিয়া থেকে বাদ দিয়েছে, অন্য দিকে জনগণের বিপ্লবী ইচ্ছার প্রতীক ন্যাশনাল সিটিজেন্স পার্টির আস্থা অর্জনেও ব্যর্থ হয়েছে। এর ফলে জুলাই চার্টারের বৈধতা ও গ্রহণযোগ্যতা উভয়ই দুর্বল হয়ে পড়েছে।

লেখক : বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এবং হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের নিবন্ধিত কৌঁসুলি