জুলাই আন্দোলনকারীদের মারা মব নয়!

র‌্যাব পুলিশসহ আরো কত গুপ্ত বাহিনী ছিল তার। তাদের হাতের মুঠোয় নিয়ে ব্যবহার করেছেন। এখন তিনি সব ক্ষমতা হারিয়েছেন। ওই সব বাহিনী তার আর নেই। তার নিজেকেও অন্যের দয়ায় নির্ভর করতে হচ্ছে। ভারতের পররাষ্ট্রনীতিও বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। তাকে আশ্রয় দিয়ে রাখা সামনে ভারতের জন্য বড় দায় হয়ে দাঁড়াতে পারে। এ অবস্থায়ও তিনি প্রতিশোধ গ্রহণের নেশায় পাগল হয়ে আছেন। শত্রুতা জাহির করতে হাসিনার হাতে বিকল্প কোনো সুযোগ নেই। তার জন্য এখন একমাত্র অস্ত্র যুবলীগের মিজানের মতো সন্ত্রাসীরা।

‘মব’ শব্দটি সামনে আনা হয়েছে ঠাণ্ডা মাথায়। মিডিয়া সিন্ডিকেট একে আমদানি করেছে। শব্দটি অত্যন্ত চাতুর্যের সাথে ব্যবহার করা হচ্ছে। এমন একসময় একে হাজির করা হয়েছে, যখন দেড় দশকের নিষ্ঠুর শাসনে মানুষের মনে হিমালয়সম ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হয়েছে। শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার পরও তার গুম খুন ভোটাধিকার হরণকারী লুটপাটকারী চক্রের লোকেরা স্ব স্ব অবস্থানে রয়ে গেছেন। এ দুষ্টুচক্রের সাথে নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে দেশে দ্রুত গজিয়ে ওঠা মিডিয়ার একটি অংশ। এক দিকে বিচার ও পুলিশি ব্যবস্থা, এখনো শক্ত পাটাতন পায়নি। অন্য দিকে মানুষ তাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত ভয়াবহ সব অপরাধের প্রতিকার চাইছেন। মাফিয়া চক্রের হাজার হাজার সদস্য মিডিয়া সম্পর্কিত ব্যক্তিত্বসহ জনরোষে যেকোনো সময় পড়তে পারেন। এ শঙ্কা থেকে মিডিয়া বড় অংশ মব শব্দটি চাউর করেছে। নেতিবাচক শব্দচয়ন দিয়ে জনতার ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশকে কালিমালিপ্ত করতে চাইছে।

রাজনৈতিকভাবে সচেতন ঐক্যবদ্ধ জনতা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে। নড়বড়ে পুলিশি ব্যবস্থার মধ্যে অপরাধীদের পাকড়াও করে আইনের হাতে তুলে দিচ্ছে। যারা হয়তো সরকারের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বিচারপ্রক্রিয়া এড়িয়ে যেত পারত। আবার সুযোগ বুঝে সময়মতো ফ্যাসিবাদের পক্ষে নেমে পড়ত। এই জনতা প্রকৃতপক্ষে আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে না। সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদার পাকড়াওয়ের ঘটনাটি এর বড় উদাহরণ। জনতা তাকে পলাতক অবস্থা থেকে ধরেছে। ওই সময় তাকে হেনস্তার বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা হতে পারে। কিন্তু এ দিকটিও খেয়াল রাখতে হবে যে, তিনি পুরো জাতির ভোটাধিকার নিয়ে তামাশা করেছেন। জাতিকে ভোটাধিকার বঞ্চিত করেছেন। বিনিময়ে শেখ হাসিনার কাছ থেকে বাড়ি-গাড়ি পেয়েছেন, বিপুল অবৈধ সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। তার এই ভয়াবহ অপরাধ বিবেচনায় না নিয়ে তাকে সে সময় যারা গালমন্দ করেছেন, তাদের দোষ দেয়া যায় না। জনগণের পুঞ্জীভূত ক্ষোভ প্রশমনের সুযোগ দিতে হবে। জনতা যদি দেখতে পায় বিপ্লবের পরও অপরাধীরা শাস্তি পাচ্ছে না; তাদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। তাহলে আবারো জনবিস্ফোরণ ঘটতে পারে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার হুদাকে ধরে পুলিশে দেয়া জনগণের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেখতে হবে। সেই জনতা একজন অপরাধীকে ধরিয়ে দিয়েছে, যেই জনতা দেড় দশক ধরে বঞ্চিত হয়েছে। তারা শুধু চায় যারা জাতির ভাগ্য নষ্ট করেছে তাদের বিচার হোক। হুদার উচ্চ শিক্ষা, পারিবারিক পরিচিতি এসব নিয়ে অনেকে মায়াকান্না করেছেন। এগুলো সামনে এনে এখন কোনো লাভ নেই। সেগুলোর প্রতি তিনি সুবিচার করতে পারেননি। শেখ হাসিনার চারপাশে এ ধরনের কয়েক হাজার কথিত শিক্ষিত ছিলেন, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ হতে হবে। এ জন্য জনগণ সরকারকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসতে পারে। একাজ কোনোভাবে অসৎ উদ্দেশ্য সৃষ্ট মব নয়।

উচ্ছৃঙ্খল বা উত্তাল জনতা বোঝাতে মব শব্দটি ব্যবহৃত হয়। চোর ডাকাত ছিনতাইকারীদের ধরে মারধরে এ জনতার আবির্ভাব হয়। তাদের হামলায় মারা যাওয়ার ঘটনা নিয়মিত ঘটে। বাংলাদেশে প্রতি বছর ৮০ জন মানুষ গণপিটুনির শিকার হয়ে মারা যান। মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস সোসাইটির তথ্যে এমনটি দেখা যাচ্ছে। দাগী অপরাধী পাকড়াও ছাড়াও অনেক সময় অসৎ উদ্দেশ্যে মব তৈরি করা হয়। বিশেষ আদর্শ ও ধর্মের অবমাননা এবং আরো নানা ছুতায় তা তৈরি করা হয়। একটি শ্রেণী রয়েছে এর মাধ্যমে তারা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করে নেয়। উচ্ছৃঙ্খলতা তৈরি করে অসৎ উপায়ে লক্ষ্য অর্জনের কাজটি সুদূর অতীত থেকে আমাদের সমাজে চালু থাকলেও সেটাকে বড়জোর গণপিটুনি বলা হতো। মব বলে এটিকে চিহ্নিত করে দমন করার সৎ উদ্দেশ্যে এ দেশের মিডিয়া মাঠে নামেনি। যখন আমাদের সামজে আজকের মতো লুটপাটকারী, গুমকারী, ফ্যাসিবাদের দোসর যারা ১৭ কোটি মানুষের অধিকার হরণ করেছিল; এমন ভূরি ভূরি দুষ্টু লোক ছিল না। এখন আমাদের মিডিয়া আগের সেই উচ্ছৃঙ্খল জনতার আচরণকে মব বলছে।

নির্যাতিত অধিকারহারা ও বঞ্চিতরা যখন তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করছে সেটাকে মব বলে কালিমালিপ্ত করে উল্টো তাদের বিচারযোগ্য করে তুলছে। এ দিকে দাগী অপরাধীদের বিচার এড়িয়ে যাওয়ার পথ সহজ করে দিচ্ছে মিডিয়া মব শব্দটির প্রতারণাপূর্ণ ব্যবহারের মাধ্যমে। এর সারমর্ম হচ্ছে ফ্যাসিবাদ তৈরিতে সহযোগী মিডিয়া এখন তাদের বাঁচানোর মিশনে নেমেছে। সে কারণে জুলাই বিপ্লবীদের ওপর উচ্ছৃঙ্খল আওয়ামী সন্ত্রাসীরা যখন চড়াও হচ্ছে সেটাকে মিডিয়া মব বলতে রাজি নয়। অন্য দিকে খুনি লুটেরা ভোটাধিকার হরণকারী হাসিনার সহযোগীকে জনতা ধরিয়ে দিতে চাইলে তারা মিডিয়ার ভাষায় মব হয়ে যাচ্ছে। তাদের বিচারের আওতায় আনতে মিডিয়া উঠেপড়ে লেগেছে।

প্রকৃত অর্থে মব সংঘটিত হলে মিডিয়া সেটাকে মব বলে না; বরং অপচেষ্টা চালায় পুরো ঘটনা আড়াল করতে। আড়াল করতে না পারলে প্রচারণা চালিয়ে মব সন্ত্রাসকে তারা লঘু করে। নাগরিক পার্টি-এনসিপির নেতা আখতার হোসেনের বিরুদ্ধে হামলার ঘটনাটায় আমরা যেমনটা দেখলাম। এ খবর বাংলাদেশের মিডিয়ায় গুরুত্ব পায়নি। সামনে আনেনি। সামাজিক মাধ্যমে এ ঘটনা নিয়ে নেটিজেনরা তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। প্রথম সারির পত্রিকার প্রথম পাতায় খবরটি গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ হতে দেখা যায়নি। অথচ শেখ হাসিনার নির্দেশনায় কয়েক দিন ধরে এ দুর্বৃত্তরা যুক্তরাষ্ট্রে সংগঠিত হয়েছে। যুবলীগ কর্মী মিজানুর রহমানকে ডিম নিক্ষেপের জন্য শেখ হাসিনা সাব্বাসি দিয়েছেন। ওই ঘটনায় পুলিশ তাকে আটকের পরে ছেড়ে দিলে হাসিনা সরাসরি তার সাথে কথা বলেন। হাসিনার সাথে তার আলাপের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি হাসিনাকে অভয় দেন যে, তার জন্য লড়াই (পড়তে হবে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড) চালিয়ে যাবেন। হাসিনা একে সর্বোচ্চ বীরোচিত কাজ বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন। আখতারকে ডিম মারতে পারায় হাসিনাসহ আওয়ামী মহলে ঈদের খুশি নেমে আসে। আওয়ামী লীগের এমন নারকীয় আচরণ নিয়ে বাংলাদেশের মিডিয়ায় কোনো আলাপ পাওয়া যায় না। দলটি যখন ক্ষমতায় থাকে পুরো মিডিয়া এ দলের অপরাধ অপকর্মকে সবসময় আড়াল করে। দলটিকে ভালোবেসে এটা করে। শেষ পর্যন্ত মিডিয়ার এ আচরণ দলটিকে দানবে পরিণত করে। যার খেসারত শুধু দলটি নয় পুরো জাতিকে পরিশোধ করতে হয়।

জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আওয়ামী লীগেরে একদল সন্ত্রাসী আখতারকে ঘিরে ফেলে। এ সময় তাকে লক্ষ্য করে ডিম নিক্ষেপ করা হয়। সেটা তার পিঠে আঘাত করে ফেটে গিয়ে পুরো কাপড়ে লেপ্টে যায়। আক্রমণকারীরা তাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ চিৎকার চেচামেচি করে হেনস্তা করে। তার সাথে থাকা এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসলিম জারাকে নোংরা ও অশ্লীল ভাষায় কটূক্তি করে। একজন নারীকে অনেকটা অরক্ষিত পেয়ে এভাবে অশ্লীল নোংরা বাক্যবাণে জর্জরিত করা নজিরবিহীন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকেও তারা ছাড়েনি। এনসিপি ও বিএনপি নেতাদের নিরাপত্তায় দূতাবাস প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়নি।

আখতার হোসেন জুলাই বিপ্লবের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের অন্যতম একজন। আখতার হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অসংখ্যবার ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের দ্বারা প্রহৃত হয়েছেন। সরকারি বাহিনীর নিষ্ঠুর নির্যাতনে গুরুতর শারীরিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। গুমের শিকার হয়েছেন, বিনা বিচারে আটক ছিলেন। বেশ কয়েকবার জেলে গেছেন। বুয়েটে আবরার হত্যার পর খুব কম সংখ্যক যারা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন তাদের একজন আখতার হোসেন। তার নেতৃত্বে আবরারের স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা হয় বারবার। আধিপত্যবাদীদের দোষররা বারবার তা ভেঙে দিয়েছে। জুলাই বিপ্লবের শুরুও হয়েছে ক্যাম্পাসে আখতারের রক্তের উপরে। সেই কারণে সবাইকে ছাড়িয়ে ফ্যাসিবাদের নিশানায় পরিণত হয়েছেন আখতার। শুধু আখতার নন, আন্দোলনে থাকা ছাত্র নেতৃত্বের সবাই হাসিনার নিশানা। এর আগে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো: মাহফুজ আলম নিয়ইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেটে এক মতবিনিয় সভায় অংশ নিলে সেখানে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ভবনের কাচের দরজা ভেঙে ফেলে। তার পর লন্ডনে সোয়াস ইউনিভার্সিটিতে এক সভায় আমন্ত্রিত হয়ে গেলে সেখানেও উপর্যুপরি মব সন্ত্রাসের শিকার হন মাহফুজ আলম। তার আগে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের ওপর মব সন্ত্রাস হয় সুইজারল্যান্ডের জেনেভায়।

যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসঙ্ঘে সাধারণ পরিষদের সম্মেলনে হামলা ও হেনস্তার শিকারের ঘটনাগুলো ছিল পারফেক্ট মব। কারণ এতে আক্রান্ত হয়েছে বিপ্লবের পক্ষের শক্তি, যারা পরাস্ত করেছেন হাসিনার নিষ্ঠুর ফ্যাসিবাদী শাসন। হাসিনা ১৭ কোটি মানুষকে বিভিন্ন দলে বিভক্ত মাধ্যমে দেশকে দুর্বল করে রাখছিলেন। বিদেশী শক্তির সহায়তায় নিজ দেশের মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা ও মানবাধিকার কেড়ে নিয়েছিলেন। বর্ষা বিপ্লবে হাসিনার পতন না হলে আখতাররা তার রোষানলে পড়তেন। তাদের হয় বিচারিক হত্যাকাণ্ড চালানো হতো অথবা এনকাউন্টার কিংবা গাড়ির নিচে পিষে মারতেন হাসিনা। এর আগে যাকে তিনি শত্রু গণ্য করেছেন তাকে নিষ্ঠুরভাকে হত্যা করেছেন। আখতারেরা এনে দিয়েছেন জাতির নতুন স্বাধীনতা। আওয়ামী লীগ এ বিপ্লব মানে না। কারণ এতে তাদের দুর্নীতি ও লুটপাটের সুযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। তাই তাদের যত ক্ষোভ আখতারদের ওপর। তাই দেশের মাটি থেকে উচ্ছেদ হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে তাদের ওপর চড়াও হচ্ছে। বাংলাদেশের বিশাল মিডিয়া একে দেখেছে আওয়ামী লীগের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে। তারা ভুলেও একে আওয়ামী ফ্যাসিবাদীদের মব সন্ত্রাস হিসেবে শনাক্ত করেনি। কোনো কোনো মিডিয়া একে চিত্রিত করে প্রবাসে আওয়ামী লীগ বিএনপির মারপিট হিসেবে। বাংলাদেশী মিডিয়ার কাছে এটা খুব সাধারণ একটা ঘটনা। খবর না করলেও অসুবিধা নেই। অথচ যারা এ সন্ত্রাস চালাচ্ছে তারা যদি কখনো বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে উত্তম মাধ্যমের শিকার হয় তাকে আবার বাংলাদেশের মিডিয়া মব হিসেবে উচ্চ প্রচারণা চালাবে।

বিদেশের মাটিতে মব চালানো ছাড়া হাসিনার হাতে আর কোনো অস্ত্র নেই। হাসিনা অত্যন্ত প্রতিহিংসাপরায়ণ এক নারী। কাউকে শত্রু গণ্য করলে তার রেহাই নেই। ক্ষমতায় থাকার সময় তার নিষ্ঠুরতার শিকার হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। বিবিসির সাথে এক সাক্ষাৎকারে প্রকাশ্যে বলেছিলেন তিনি ক্ষমতা চান প্রতিশোধ গ্রহণের জন্য। মূলত বাবার হত্যাকারীদের হত্যা করতে চেয়েছিলেন। সেটা তিনি করেছেন। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা তিনি শত্রুতাচরিতার্থ করতে শতভাগ ব্যবহার করেছেন।

র‌্যাব পুলিশসহ আরো কত গুপ্ত বাহিনী ছিল তার। তাদের হাতের মুঠোয় নিয়ে ব্যবহার করেছেন। এখন তিনি সব ক্ষমতা হারিয়েছেন। ওই সব বাহিনী তার আর নেই। তার নিজেকেও অন্যের দয়ায় নির্ভর করতে হচ্ছে। ভারতের পররাষ্ট্রনীতিও বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। তাকে আশ্রয় দিয়ে রাখা সামনে ভারতের জন্য বড় দায় হয়ে দাঁড়াতে পারে। এ অবস্থায়ও তিনি প্রতিশোধ গ্রহণের নেশায় পাগল হয়ে আছেন। শত্রুতা জাহির করতে হাসিনার হাতে বিকল্প কোনো সুযোগ নেই। তার জন্য এখন একমাত্র অস্ত্র যুবলীগের মিজানের মতো সন্ত্রাসীরা।