ইসলামী ব্যাংকের চার দশক

ইসলামী ব্যাংক ১৯৮৩ সালে শুরু হয় ২৪ শতাংশ স্থানীয় শেয়ার ও ৭৬ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগের মিশ্রণে। দেশের প্রচলিত সব ব্যাংকিং ব্যবস্থার মধ্যে ইসলামী ব্যাংককে নতুন করে করপোরেট কাঠামো তৈরি করতে হয়, কর্মী নিয়োগ এবং শরিয়াহ বোর্ড গঠন করতে হয়। ব্যাংকটি ইসলামী শরিয়াহর বিধিমতো অর্থায়নের নানা মডেল অনুসরণ করে দ্রুত জনপ্রিয়তা পায়।

ড. মো: মিজানুর রহমান
ড. মো: মিজানুর রহমান |নয়া দিগন্ত

১৯৮৩ সালে ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মূল প্রেরণা ছিল ইসলামী অর্থনীতির আলোকে ব্যাংক পরিচালনা করা। দীর্ঘ তিন দশক ধরে ব্যাংকটি দেশের সবচেয়ে বড় বেসরকারি এবং লাভজনক প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি একটি আর্থ-সামাজিক মডেল হিসেবেও পরিচিতি লাভ করে। আত্মবিশ্বাসী গ্রোথ দেখিয়ে ২০১৬ সালের দিকে ব্যাংকটির ১০ মিলিয়নেরও বেশি আমানতকারী এবং ব্যাপক আকারের রেমিট্যান্স-সেবায় অংশীদারত্ব ছিল। তবে ২০১৬ সালে মালিকানা কাঠামোর পরিবর্তন এবং রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের ফলে ব্যাংকের গতি বদলে যায়। ২০২৪ সালে ব্যাংকটি আবার তার ঐতিহ্যের পথে ফেরার সুযোগ পায়। আজ, ২০২৫ সালের আগস্টে দাঁড়িয়ে পেছনে তাকালে আমরা এক দীর্ঘ পথের গল্প দেখি- যেখানে আছে উজ্জ্বল সাফল্য, বিতর্কিত পরিবর্তন, সঙ্কট এবং পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা। ইসলামী ব্যাংকের চার দশকের পথ চলায় উত্থান, সঙ্কট ও উত্তরণের প্রচেষ্টা নিয়েই আজকের নিবন্ধ।

প্রতিষ্ঠা থেকে সুনামের শীর্ষে

ইসলামী ব্যাংক ১৯৮৩ সালে শুরু হয় ২৪ শতাংশ স্থানীয় শেয়ার ও ৭৬ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগের মিশ্রণে। দেশের প্রচলিত সব ব্যাংকিং ব্যবস্থার মধ্যে ইসলামী ব্যাংককে নতুন করে করপোরেট কাঠামো তৈরি করতে হয়, কর্মী নিয়োগ এবং শরিয়াহ বোর্ড গঠন করতে হয়। ব্যাংকটি ইসলামী শরিয়াহর বিধিমতো অর্থায়নের নানা মডেল অনুসরণ করে দ্রুত জনপ্রিয়তা পায়।

২০০০ দশকের শুরুর দিকে ব্যাংকটি দেশের আমানত বাজারে অন্যতম শীর্ষ অবস্থানে পৌঁছায়। ২০১৫ সালের মধ্যে এ ব্যাংকের মোট শাখা তিন শতাধিক, কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজার এবং গ্রাহক সংখ্যা প্রায় এক কোটি চার লাখে দাঁড়ায়। এই বছরের শেষে ব্যাংকের আমানতের পরিমাণ ছিল প্রায় ৭৫ হাজার কোটি টাকা এবং ঋণ বিনিয়োগ প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকা। খেলাপি ঋণের হার ছিল মাত্র ২ শতাংশ, যা দেশের গড় ১০ শতাংশের তুলনায় অনেক কম। প্রবাসী আয়ের ২৬ শতাংশ একাই সংগ্রহ করে ব্যাংকটি। সামাজিক দায়বদ্ধতায় (সিএসআর) যেমন- হাসপাতাল, স্কুল, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও দুর্যোগ সহায়তা কর্মসূচিতে অবদানও প্রশংসনীয়। এভাবে ১৯৮৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে ‘মডেল প্রতিষ্ঠান’ হিসেবে পরিচিতি পায়। একই সময়ে ব্যাংকের বৈদেশিক রেমিট্যান্স আহরণ বছরে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা ছুঁয়ে যায়, যা বাংলাদেশের মোট রেমিট্যান্স প্রবাহের বড় অংশ। সবচেয়ে বড় সাফল্য ছিল গ্রাহকের আস্থা অর্জন। ব্যাংকের পরিচালনা কাঠামো, স্বাধীন শরিয়াহ বোর্ড, পেশাদার ব্যবস্থাপনা ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত পরিচালনার কারণে এটি হয়ে ওঠে দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী বেসরকারি ব্যাংক।

২০১৬-২০২৪ : মালিকানা বদল, বিতর্কের সূচনা

২০১৬ সালের শেষের দিকে ব্যাংকের মালিকানা কাঠামোয় বড় পরিবর্তন আসে। নতুন একটি গ্রুপ এই ব্যাংক থেকে এক হাজার ৭৫০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে তাদের সাতটি কোম্পানির নামে শেয়ার কিনে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে বলপূর্বক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে। বিদেশী বিনিয়োগকারীদের বড় অংশ শেয়ার বিক্রি করে চলে যান এবং ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি ব্যাংকটির পূর্ণ মালিকানা এস আলম গ্রুপের হাতে চলে যায়। এ পরিবর্তনের ফলে পরিচালনা পর্ষদে রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের আধিপত্য বাড়ে এবং অভিজ্ঞ পেশাদার ব্যাংকাররা ক্রমে বিদায় নেন। পরিচালনা পর্ষদে অভিজ্ঞ ও দীর্ঘদিনের পরিচালকদের সরিয়ে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

এ পরিবর্তনের পর ব্যাংকের নীতি ও কার্যক্রমে নাটকীয় পরিবর্তন আসে। ব্যবসায়িক যোগ্যতাহীন প্রতিষ্ঠানকে, সন্দেহজনক জামানতের বিপরীতে এবং অনেক ক্ষেত্রে ঝুঁকি বিশ্লেষণ না করেই বড় অঙ্কের ঋণ বিতরণ করা হয়, যার প্রায় ৫০ শতাংশ পুনরুদ্ধারের ঝুঁকিতে। ২০১৭ সালের পর ব্যাংকের তারল্য সঙ্কটের কারণে ঋণ বিতরণে সীমাবদ্ধতা দেখা দেয়। ন্যূনতম মূলধন সংরক্ষণে সমস্যা ও জরুরি তহবিলের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে হাত পাততে হয়। ডিপোজিট মোবিলাইজেশন ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে স্থবিরতা দেখা দেয়, ঝুঁকি বেড়ে যায়। অনেক কর্মকর্তা ব্যক্তিগত লেনদেনের মাধ্যমে লাভবান হয়েছেন। এ সময় সিদ্ধান্ত গ্রহণে শরিয়াহ বোর্ডের পরামর্শ উপেক্ষা করা হয়। ২০২২ সালের শেষ দিকে ব্যাংকের কিছু শাখায় আমানত উত্তোলনের হিড়িক পড়ে। খেলাপি ঋণের পরিমাণ ২০২৩ সালের শেষে দাঁড়ায় ১৫ শতাংশের ওপরে। গ্রাহক আস্থা দ্রুত হ্রাস পায়। আইএমএফ এবং বিশ্বব্যাংকও ব্যাংকের পরিচালন ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। ফলে প্রবাসী আমানতের প্রবাহ কমতে শুরু করে। ২০২৩ সালের শেষে ব্যাংকের মোট আমানত ২০১৬ সালের তুলনায় প্রায় ১৫ শতাংশ কমে যায়। আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাংকের সুনাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এস আলম গ্রুপের অধীনে ইসলামী ব্যাংকে ২০১৬ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রায় ১০ হাজার কর্মী নিয়োগ দেয়া হয়, যাদের অধিকাংশই পটিয়া উপজেলার বাসিন্দা। এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনো নিয়মকানুন মানা হয়নি। এসব পরিবর্তন ব্যাংকের কার্যক্রম ও দেশের অর্থনীতিতে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলে।

২০২৪-২০২৫ : প্রত্যাশা, সাফল্য ও অপূর্ণতা

২০২৪ সালের আগস্ট মাসে রাজনৈতিক পরিবর্তনের ফলে ইসলামী ব্যাংক একটি কঠিন কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সময়ের মুখোমুখি হয়। আগের আট বছরের বিতর্ক, মালিকানা বদল, অস্বচ্ছ ঋণ বিতরণ, নিয়োগ-বিতর্ক এবং সম্ভাব্য তহবিল লোপাটের ঘটনায় গ্রাহক আস্থা টালমাটাল হয়ে পড়েছিল। শুরু হয় ঘুরে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টা। ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ব্যাংক ব্যবস্থাপনা মূলত ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’ পর্যায়ে চলে যায়। গ্রাহকের আস্থা ফেরানো, আমানতের সুরক্ষা এবং ব্যাংকের আর্থিক স্বাস্থ্য পুনর্গঠন অগ্রাধিকার পায়। তবু ব্যাংকের ক্যাপিটাল-টু-রিস্ক-ওয়েটেড-অ্যাসেট রেশিও (ঈজঅজ) আন্তর্জাতিক মানের তুলনায় কিছুটা কমই রয়ে যায়।

খেলাপি ঋণের কিছু অংশ পুনঃতফসিল বা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়। ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় সামান্য বৃদ্ধি পায়, যদিও নিট প্রফিটে খেলাপি ঋণের প্রভিশন রাখার কারণে তেমন উন্নতি হয়নি। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য লেনদেনে ব্যাংকের অংশগ্রহণ কিছুটা বাড়ে, বিশেষত হালাল পণ্যের আমদানি-রফতানিতে। তবে এই সময়ে ঋণ বিতরণ নীতিতে বড় কোনো কাঠামোগত সংস্কার হয়নি। ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার মানোন্নয়ন পরিকল্পনা ধীর গতিতে এগোয়। ২০২৫ সালের মার্চ থেকে জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের চাপে সন্দেহজনক ঋণ বিতরণ কিছুটা বন্ধ হয় এবং বড় অঙ্কের কয়েকটি খেলাপি ঋণ আইনি প্রক্রিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। কিছু বড় গ্রাহকের কারণে নতুন করে অনাদায়ী ঋণ বাড়তে থাকে।

সব মিলিয়ে ২০২৫ সালের আগস্টে এসে মোট ৩৬৫ দিনে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ প্রায় ৫ শতাংশ বেড়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নেয়া লিকুইডিটির মোট দুই হাজার ৩০৮ কোটি টাকার মধ্যে ইতোমধ্যেই দেড় হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। বাকিটা শিগগির শোধ হবে।

খেলাপি ঋণের ক্ষতি মোকাবেলায় যথাযথ প্রভিশন গঠন করে ব্যাংক তার আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের চেষ্টা করেছে। খেলাপি ঋণ আদায়ে ব্যাংক আইনগত পদক্ষেপের পাশাপাশি ঋণগ্রহীতাদের সাথে সমঝোতার মাধ্যমে অর্থ আদায়ে সফলতা পেয়েছে। এতে ব্যাংকের নেট ক্রেডিট কোয়ালিটি ক্রমে উন্নত হয়েছে। ব্যাংক তার তরল সম্পদের মাধ্যমে সময়মতো ঋণ পরিশোধ এবং নতুন ঋণদান করছে। মোট আমানতের ভিত্তি এক বছরে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। রেমিট্যান্স আহরণও বেড়েছে।

তবে সফলতার পাশাপাশি ব্যর্থতাও স্পষ্ট। অন্যতম ব্যর্থতা ছিল বিতাড়িত এস আলম গ্রুপের অনুসারী ব্যাংকের শীর্ষ ব্যবস্থাপক এবং শীর্ষ নীতিনির্ধারকদের ব্যাপারে দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবস্থা নিতে না পারা। এরা ক্ষমতা আঁকড়ে রেখে পরিবর্তনে অন্তরায় সৃষ্টি করে। বড় করপোরেট ঋণগ্রহীতাদের থেকে খেলাপি ঋণ উদ্ধার এখনও কার্যত স্থবির। ব্যাংকের সামনে এখন অনেক বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেমন- এস আলম গ্রুপ ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণের পরিমাণ প্রায় ৩২ হাজার ১৭২ কোটি টাকা, যা ব্যাংকের ঋণ পোর্টফোলিওর উল্লেখযোগ্য অংশ। বেনামে এই গ্রুপটির ঋণের পরিমাণ আরো অনেক বেশি। এই ঋণ আদায়ে কার্যকর পদক্ষেপের অভাব এবং ঋণ পুনঃতফসিলের কারণে ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা সঙ্কটাপন্ন।

এ ছাড়াও ২০১৭ সালে ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এস আলম গ্রুপ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডিং কাঠামোতে ব্যাপক পরিবর্তন আনে। ফলে, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের শেয়ারহোল্ডিং ৫২ শতাংশ থেকে কমে ১৩ শতাংশে নেমে আসে। এস আলম গ্রুপের হাতে থাকা ৮২ শতাংশ শেয়ার ব্যাংকের পরিচালন ও নীতিনির্ধারণী ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করে, যা ব্যাংকের স্বাধীনতা ও সুশাসনের জন্য হুমকি। এই শেয়ার এখন প্রকৃত মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দেয়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। মূল মালিকদেরও এ বিষয়ে উদ্যোগ নিতে হবে।

আন্তর্জাতিক সংস্থার মতে, ইসলামী ব্যাংক পুনর্গঠনের প্রস্তাবিত রোডম্যাপ হতে পারে, বোর্ড অব ডিরেক্টরসে রাজনৈতিক প্রভাব কমিয়ে পেশাদার ব্যাংকার, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ও আন্তর্জাতিক ইসলামী ব্যাংকিং বিশেষজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত করা। শরিয়াহ বোর্ডকে সম্পূর্ণ স্বায়ত্তশাসিত করা এবং তাদের সিদ্ধান্ত কার্যকর করা বাধ্যতামূলক করা। খেলাপি ঋণ ১২ মাসে কমিয়ে মোট ঋণের ৫ শতাংশের নিচে নিয়ে আসা। ঝুঁকিপূর্ণ ঋণ বিতরণ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে উচ্চমানের করপোরেট ক্লায়েন্ট এবং ছোট-মাঝারি উদ্যোগ খাতে মনোযোগ বাড়ানো। এখন ব্যাংকের প্রয়োজন, সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে স্বাধীন ফরেনসিক অডিট, খেলাপি ঋণ পুনরুদ্ধারে দৃঢ় ও প্রকাশ্য পদক্ষেপ। ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ শাসন কাঠামো ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় দুর্বলতা রয়ে গেছে, যা সঙ্কট সৃষ্টির কারণ হতে পারে।

ইসলামী ব্যাংক বাঁচাতে হলে পরিচালনা পর্ষদ ও নির্বাহী পদে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত, পেশাদার ও অভিজ্ঞ ব্যাংকার নিয়োগ নিশ্চিত করা; বড় ঋণের স্বচ্ছতা ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা; প্রবাসী বাজারে আস্থা ফিরিয়ে আনতে প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য প্রতিযোগিতামূলক রিটার্ন ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু করা এবং শরিয়াহ বোর্ডের পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে যাতে ব্যাংকের মূল দর্শন পুনঃপ্রতিষ্ঠা হয়।

ব্যাংকটিকে বাঁচানো শুধু একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ নয়, বরং এটি গোটা ব্যাংকিং খাতের স্থিতিশীলতা, আন্তর্জাতিক আর্থিক মহলে দেশের ভাবমর্যাদা এবং লাখো আমানতকারীর জীবনের সাথে সরাসরি জড়িত। আশার কথা, এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রত্যক্ষ সমর্থন রয়েছে।

লেখক : অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও কলামিস্ট