পেশাদার পুলিশ : শুধু পোশাক নয় কর্তৃত্ব বদলাতে হবে

রাষ্ট্রকে টিকিয়ে রাখার জন্য পুলিশ অত্যন্ত অপরিহার্য প্রতিষ্ঠান। তবে এই বাহিনী সঠিকভাবে পরিচালিত না করতে পারলে হয়ে উঠতে পারে দানব, যা আমরা গত ১৬ বছর দেখেছি। শুধু পোশাক পরিবর্তনই পেশাদার পুলিশ তৈরির জন্য যথেষ্ট নয়।

কয়েক দিন যাবত রাজধানীতে পুলিশকে নতুন পোশাকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যাচ্ছে। পত্রিকান্তরে জানা যায়, জনমনে এবং এমনকি খোদ পুলিশ সদস্যদের মাঝেও এই পোশাক পরিবর্তনের মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। প্রতিক্রিয়া যাই হোক নাগরিকের কনসার্ন হলো এতে বাহিনীর পেশাদারত্বে কি ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে? এতে কি আমরা নতুন এক পুলিশ বাহিনী দেখব? যারা হবে জনবান্ধব, জনগণের সেবক, যাদের দেখে বিপদোন্মুখ কোনো নাগরিক আশার আলো দেখতে পাবে? আসলে পোশাকের চেয়ে পোশাকের ভেতরের মানুষটিই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

বাংলাদেশ পুলিশ ও পোশাক : বাংলাদেশ পুলিশের জন্ম হয়েছে ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চের কালো রাতে রাজারবাগে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলার মধ্যদিয়ে। সেই পুলিশের পোশাক ছিল খাকি। স্বাধীন বাংলাদেশেও দীর্ঘদিন খাকি পোশাক ছিল। ২০০৪ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার জেলা ও মহানগর পুলিশের পোশাক পরিবর্তন করে সবুজে এনেছিল। স¤প্রতি অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারের অংশ হিসেবে এই পোশাক পরিবর্তন করে ‘আপ্রণ গ্রে’ বা লোহা রঙ দিলো।

পোশাক পরিবর্তনের প্রভাব : আমরা পুলিশের পোশাক প্রথম পরিবর্তন দেখেছি নব্বইয়ের দশকে। তখন খাকি থেকে নেভি-ব্লু করা হয়। পরে ২০০৪ সালে পুনরায় পরিবর্তন করে সবুজ করা হয়। পোশাক পরিবর্তনের কোনো প্রভাব কি আমরা পুলিশের আচরণ বা পেশাদারত্বের মধ্যে দেখতে পেয়েছিলাম? এমনকি সে সময় কিছু থানার নাম পরিবর্তন করে ‘মডেল থানা’ উপাধি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু আমরা পুলিশের মাঝে উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন দেখতে পাইনি। যেসব পুলিশ সদস্য সৎ এবং পেশাদার তারা পোশাক পরিবর্তন বা মডেল থানার সদস্য হওয়ায় পেশাদার হননি। তারা ব্যক্তিগত চারিত্রিকভাবেই পেশাদার ছিলেন এবং আছেন। কিছু কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া পোশাক বদলের কারণে অপেশাদার সদস্যদের কার্যক্রমে কোনো পরিবর্তন আসেনি। ফুটপাথে চাঁদা আদায় থেকে শুরু করে মহাসড়কে চাঁদাবাজি, গ্রেফতার বাণিজ্য, মামলা বাণিজ্য, সন্ত্রাসীদের সাথে নেক্সাস গড়ে তোলা, অসহায় ভিকটিমদের হয়রানি করা, রিমান্ড বাণিজ্য প্রভৃতি আগে যেমন ছিল পোশাক বা থানার নাম পরিবর্তনের পরেও সমানতালে সেগুলো চলেছে। কাজেই পোশাক পরিবর্তনে পুলিশের পেশাদারত্বে কতটুকু পরিবর্তন এবার আসবে তা সামনের দিনগুলোতে দেখা যাবে।

পুলিশের অপেশাদার হয়ে ওঠার মূল কারণ : আইনশৃঙ্খলা অবনতিসহ যেকোনো অঘটনের জন্য আমরা চোখ বন্ধ করে পুলিশকে দোষী সাব্যস্ত করে ফেলি। কিন্তু একবারও ভাবিনা ‘ছুরি নয়’ বরং ‘ছুরি যার হাতে থাকে’ সেই প্রকৃত অপরাধী। পুলিশ সত্যিকারার্থে একটি অস্ত্রের মতো। এই অস্ত্রের মালিক যে সেই মূলত ন্যায়-অন্যায়ের জন্য দায়ী। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগে আমাদের পুলিশ ফেরেশতা ছিল না। তাদের মধ্যে অসততা বা অপেশাদারত্ব ছিল। কিন্তু তা তৃতীয় বিশে^র অন্যান্য দেশসমূহের মতো কিছুটা হলেও সহনীয় পর্যায় ছিল। এই পুলিশকে আমরা ধীরে ধীরে পেশাদারত্বের খোলস পুরোপুরি ছুড়ে ফেলে দিয়ে দানব হয়ে উঠতে দেখেছি। কারণ পুলিশের ঘাড়ে ভর করেই শেখ হাসিনা ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠেছিল। বিভিন্নভাবে হাসিনা পুলিশকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে বের করে এনে ব্যক্তিগত এবং দলীয় পেটোয়া বাহিনীতে পরিণত করেছিল। প্রথমত, পেশাদারত্বের পরিবর্তে ব্যক্তিগত ও দলীয় আনুগত্যের মাপকাঠিতে পদোন্নতি ও পদায়ন করে এবং শুধু দলের অনুগত উচ্চাভিলাষী এবং অসৎ কর্মকর্তাকে পুলিশ প্রধানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে এবং ইউনিট প্রধান হিসেবে পদায়ন করে। এসব অসৎ কর্মকর্তাকে অবাধে দুর্নীতির সুযোগ করে দিয়ে তাদের হাসিনা ব্যক্তিগত ও দলীয় দাসে পরিণত করে ফেলে। পুলিশ অফিসার নিয়োগে ছাত্রলীগ এবং একটি অঞ্চলের তরুণদের বাছাই করে। তাদের মুক্তিযোদ্ধা কোটার অন্তরালে ব্যাপক অনিয়মের মাধ্যমে নিয়োগ দেয়। এভাবে পুলিশ বাহিনীকে পুরো আওয়ামীকরণ করে বিরোধী দলগুলোর ওপর লেলিয়ে দেয়। প্রথমেই এই দলীয় অনুগত পুলিশ ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষ্ক্রিয় করার পদক্ষেপ নেয়। শিবিরের নেতাকর্মীদের ওপর ব্যাপক নির্যাতন-নিপীড়ন চালায়। এর পর পুলিশ বাহিনীকে জামায়াতকে দমানোর কাজে নামানো হয়। জামায়াত-শিবিরের হাজারো নেতাকর্মীকে হত্যা, গুম, কারাবন্দী ও ঘরছাড়া করে এবং জামায়াতের শীর্ষ নেতাদেরকে অন্যায্য বিচারের মাধ্যমে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করে। জামায়াত-শিবির মাঠছাড়া হলে বিএনপি যখন একা হয়ে পড়ে তখন এই পুলিশ বাহিনীর লক্ষ্যবস্তু হয় বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদলের নেতাকর্মীরা। বিএনপি রাজপথে নামলেই হামলা, গ্রেফতার, হত্যা, গুম এবং নির্যাতনের মাধ্যমে বিএনপিকে কেন্দ্রীয় অফিস প্রাঙ্গণে অবরুদ্ধ করে ফেলে। অন্য দিকে এসপি-ওসিদের মন্ত্রী-এমপিরা প্রভাবিত করতে থাকে এবং অবাধ্য হলেই বদলি করে দেয়ার ক্ষমতা চর্চা করে। এমনকি মন্ত্রী-এমপিরা এসব পুলিশ কর্মকর্তার বদলি বাণিজ্যেও জড়িয়ে পড়েছিল। এরই মধ্যে আসে ২০১৮ সালের নির্বাচন। তৎকালীন অসাধু উচ্চাভিলাষী ‘আইজিপি’ জাবেদ পাটোয়ারীর পরিকল্পনা এবং তত্ত¡াবধানে পুলিশ রাতের বেলা সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভর্তির মাধ্যমে ৯৮ শতাংশ আসনে আওয়ামী লীগকে জিতিয়ে দেয়। এভাবে আওয়ামী লীগ টানা দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর পুলিশ পুরোপুরি দানবরূপে বিকশিত হয়। তারা এবার হাসিনাকে ‘ক্ষমতায় এনেছে’ বলে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে। ফলে বাংলাদেশ পুলিশ নাগরিকের কাছে মূর্তমান আতঙ্ক হয়ে ওঠে। আওয়ামী লীগের বশংবদ ছাড়া বাকিরা হয়ে উঠেছিল পুলিশের প্রতিপক্ষ। ফলে পুলিশের সদস্যরা কিছু ব্যতিক্রম ব্যতীত লাগাম ছাড়া হয়ে পড়েছিল। একেকজন থানার ওসি যার যার থানা এলাকায় অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিল। আগে যেখানে স্থানীয় এমপিদের হুকুমেই ওসিরা চলত সেখানে ২০১৮ সালের এমপিরা থানায় গিয়ে ওসিকে ধরনা দিতে বসে থাকত। এভাবে পুলিশ পেশাদারত্ব ভুলে গিয়ে দুর্নীতি, অন্যায়, অবিচার, লুট, ছিনতাই, নিরীহ মানুষ নির্যাতন থেকে শুরু করে সব ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়তে থাকে। অবশ্য কিছু ব্যতিক্রম সদস্যও ছিলেন।

পুলিশ সংস্কারের প্রচেষ্টা : প্রেসিডেন্ট এরশাদের সময় থেকেই পুলিশকে ক্ষমতাসীনদের নিজস্ব বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করা শুরু হয়েছিল। ১৯৮৩ সালের মধ্য ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ছাত্রদের ওপর পুলিশি হামলার মধ্য দিয়েই এ দেশে পুলিশকে অপেশাদার করে তোলার কার্যক্রম শুরু হয়। এর পরই ধীরে ধীরে পুলিশ সংস্কারের দাবিটি সামনে আসে। আমাদের পুলিশ এখনো ‘পুলিশ অ্যাক্ট ১৮৬১’ দিয়ে চলছে। এই আইনটি জনগণকে সেবাদানের জন্য নয় বরং নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্যেই প্রণীত হয়েছিল। তবে আধুনিকীকরণের নামে নব্বইয়ের দশক থেকে এ যাবত পুলিশের শুধুমাত্র সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ক্ষমতাসীনদের সহায়কমূলক পুনর্গঠনের কাজ হয়েছে। নব্বইয়ের দশকে এসবি, সিআইডি, এপিবিএন সৃষ্টি করা হয়। ২০০৪ সাল থেকে ২০১০ সাল নাগাদ র‌্যাব, সাইবার পুলিশ ইউনিট, সিটিটিসি ইত্যাদি নতুন নতুন ইউনিট গঠন করা হয়। কিন্তু সব সরকারই এই পুলিশ সংস্কারের কাজটি কৌশলে এড়িয়ে যায়। বিগত সব সরকারই এই পুলিশ বাহিনীকে নিজেদের ক্ষমতার মসনদ টিকিয়ে রাখার জন্য ব্যবহার করেছে। এসব কারণেই এই শতাব্দীর শুরু থেকেই পুলিশ সংস্কারের আওয়াজ জোরদার হতে থাকে। এর ফলে ২০০৭ সালে ‘১/১১’ এর সরকার ‘ইউএনডিপি’র সহযোগিতায় বাংলাদেশ পুলিশ সংস্কারের জন্য যুগোপযোগী প্রস্তাব তৈরি করেছিল। কিন্তু ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে পুলিশ সংস্কারের সেই প্রস্তাবনাকে ছুড়ে ফেলে দেয়। বরং পুলিশকে যথেচ্ছ ব্যবহার করে পুরোপুরি ফ্যাসিস্ট করে তোলে। অথচ সেই পুনর্গঠন প্রক্রিয়া অনুসরণ করলে দেশ, জাতি এবং আওয়ামী লীগের আজকের এই ধ্বংসাত্মক পরিণতি বরণ করতে হতো না। কারণ সেই পুনর্গঠন প্রস্তাবে রাজনৈতিকভাবে পুলিশকে ব্যবহারের সুযোগ রাখা হয়নি। অত্যন্ত আধুনিক সেই ‘পুলিশ রিফর্ম প্রোপোজাল ২০০৭’ এ স্বাধীন পুলিশ কমিশনের কথা বলা ছিল ও পুলিশ কমপ্লেইন্টস কমিশন গঠনের পাশাপাশি মন্ত্রী-এমপিদের দ্বারা পুলিশকে প্রভাবিত করা বেআইনি ঘোষণা করা হয়েছিল। সেখানে পুলিশের অপরাধের দ্রুত বিচারের ব্যবস্থার জন্য পুলিশ ট্রাইব্যুনাল প্রস্তাব করা হয়েছিল। আর পুলিশ প্রশাসনকে আমলাতান্ত্রিক প্রভাবমুক্ত করার কৌশল রাখা হয়েছিল। কিন্তু রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও আমলাতন্ত্রের প্রভাবে সেই সংস্কার আওয়ামী লীগ সরকার বর্জন করেছিল।

পুলিশের সংস্কারের গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদানের কথা বলা হয়েছিল ২০২০ সালে। কক্সবাজারে তৎকালীন ওসি প্রদীপ ও ইন্সপেক্টর লিয়াকত কর্তৃক মেজর (অব:) সিনহা নৃশংসভাবে নিহত হওয়ার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই তদন্ত কমিটির প্রস্তাবনা ছিল পুলিশের অপরাধসমূহ তদন্তের জন্য একটি পৃথক আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করা। এই গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবনাটিও ডিপ ফ্রিজে তুলে রাখা হয়েছিল।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বিপ্লবের পরে পুনরায় পুলিশ সংস্কারের জন্য কমিশন গঠন করা হয়। সেই কমিশনও ‘পুলিশ কমিশন অর্ডিন্যান্স ২০২৫’ এ পুলিশ বাহিনী পরিচালনার জন্য স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু এই অন্তর্বর্তী সরকার আজ পর্যন্ত সেই বিষয়ে কোনো অগ্রগতি করতে পারেনি। আর সামনে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের পরের সরকার এসব প্রস্তাবনা কতটুকুন বাস্তবায়ন করবে তা নিয়ে অনেকেই সন্দিহান। ফলে পুলিশ বাহিনীকে পুনরায় রাজনৈতিকভাবে ব্যবহারের সুযোগ থেকে যাবে। এবারের প্রস্তাবিত অর্ডিন্যান্সের খসড়ায় বলা হয়েছে স্বাধীন কমিশন পুলিশের রিক্রুটমেন্ট, পদোন্নতি, বদলি এবং আইজিপি নিয়োগের দায়িত্ব পালন করবে। পুলিশকে বাইরের রাজনৈতিক এবং আমলাতান্ত্রিক হস্তক্ষেপ থেকে দূরে রাখা, পুলিশের ভেতরে-বাইরে জবাবদিহি নিশ্চিতের জন্য স্বাধীন তদন্ত কমিশন এবং পুলিশের অপরাধপ্রবণতা দমনের জন্য অভ্যন্তরীণ কমপ্লেইন্টস কমিশন গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে। পুলিশের পোশাক বদলের কথাও এতে বলা হয়েছে, যা স¤প্রতি বাস্তবায়ন করা হলো।

আমাদের ন্যূনতম করণীয় : পুলিশকে পুনরায় ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে হলে পৃথক পুলিশ কমিশন গঠনের বিকল্প নেই। পুলিশের নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি, পদাবনতি, অপরাধ তদন্ত ও শাস্তি ইত্যাদি এই প্রস্তাবিত পুলিশ কমিশনের তত্ত¡াবধানে হতে হবে। এই কমিশনের মাধ্যমেই পুলিশকে রাজনৈতিক এবং আমলাতান্ত্রিক প্রভাব বলয় থেকে দূরে রাখতে হবে।

পুলিশের মৌলিক প্রশিক্ষণ মডিউলে প্রেষণামূলক বিষয় যুক্ত করতে হবে। মৌলিক মানবাধিকার, নাগরিকের সাথে আচরণ, অপরাধীর সাথে আচরণ, বলপ্রয়োগের নীতিমালা ও নৈতিকতা ইত্যাদি বিষয়ে তাত্তি¡ক ও প্রায়োগিক প্রশিক্ষণ পুলিশের সর্বপর্যায়ে জারি রাখতে হবে। এ ছাড়া পুলিশের বেতন-ভাতা যুগোপযোগী করাসহ তাদের যথাযথ লজিস্টিক সাপোর্ট সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।

দেশের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের গুরুত্ব এই জাতি খুব ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছে। গত ৫ আগস্ট অভ্যুত্থানের পর দানব হয়ে ওঠা পুলিশ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে যাওয়ায় দেশবাসীকে নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের পাড়া-মহল্লা পাহারা দিতে হয়েছে, রাস্তার ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে। কাজেই রাষ্ট্রকে টিকিয়ে রাখার জন্য পুলিশ অত্যন্ত অপরিহার্য প্রতিষ্ঠান। তবে এই বাহিনী সঠিকভাবে পরিচালিত না করতে পারলে হয়ে উঠতে পারে দানব, যা আমরা গত ১৬ বছর দেখেছি। শুধু পোশাক পরিবর্তনই পেশাদার পুলিশ তৈরির জন্য যথেষ্ট নয়।

লেখক : নিরাপত্তা বিশ্লেষক