কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া থেকে অবশেষে সরে এলো অন্তর্বর্তী সরকার। বাংলাদেশে গত ৫৪ বছরে ২৩ বার কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া হয়। এর মধ্যে বিগত দুর্নীতিবাজ সরকার তাদের পূর্ণ মেয়াদে টানা ১৫ বার এই সুযোগ দিয়েছে। যার ফলে দেশ দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে। দেশের মানুষ যখন দুর্নীতির প্রভাবে অতিষ্ঠ সে সময় অন্তর্বর্তী সরকার এ সুযোগ বাতিল করবে বলে আশা করেছিল সবাই। অথচ সবাইকে হতাশ করে অন্তর্বর্তী সরকারও এই সুযোগ দেয়ার ঘোষণা দেয়। শুরু হয় ব্যাপক সমালোচনা। ফলে সরকার বাধ্য হয়ে তাদের ঘোষণা থেকে সরে আসে। জনগণ আশা করে, এই বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা থেকে কেবল অন্তর্বর্তী সরকারই সরে আসবে না; বরং বাংলাদেশের কোনো সরকার কালো টাকা সাদা করার সুযোগ আর কোনো দিন দেবে না। এই সুযোগ অব্যাহত রাখার ঘোষণার বাস্তবতা, নৈতিকতা ও বিকল্প নিয়েই আজকের লেখা।
বাংলাদেশের রাজস্ব নীতিতে ‘কালোটাকা সাদা করার সুযোগ’ শুধু অর্থনৈতিক সমস্যাই নয়; বরং একটি গভীর রাজনৈতিক, সামাজিক ও নৈতিক সঙ্কটও বটে। বাংলাদেশসহ বহু দেশ মাঝে মধ্যে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়ে থাকে ‘অ্যামনেস্টি স্কিম’ নামে। অথচ জনগণের অনেকেই একে দেখেন দুর্নীতিবাজদের জন্য বৈধতার ফাঁকফোকর হিসেবে। প্রতি বছর বাজেটের সময় এই ইস্যু সামনে এলেই শুরু হয় তীব্র বিতর্ক। তবে শুধু অর্থনৈতিক বাস্তবতা দিয়ে একে বিচার করলেই হয় না, এর সাথে জড়িত রয়েছে গভীর নৈতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধও।
আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে ‘কালো টাকা’ বলতে বোঝানো হয়, যে অর্থ করফাঁকি, ঘুষ, চাঁদাবাজি, মাদক, মানবপাচার কিংবা অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে অর্জিত এবং সরকারি রেকর্ডে অন্তর্ভুক্ত নয়, অর্থাৎ এই টাকার ওপর কোনো কর পরিশোধ করা হয়নি। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, কালো টাকা বলতে মূলত এমন অর্থকে বোঝানো হয়, যা আয়কর রিটার্নে ঘোষণা করা হয়নি বা অবৈধ বা অনৈতিক পন্থায় অর্জিত হয়েছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ নানা সময় কালো টাকা বৈধ করার বা অ্যামনেস্টি স্কিম দিয়েছে। ভারত ২০১৬ সালে ‘ইনকাম ডিক্লারেশন স্কিম’ চালু করে, যেখানে ৪৫ শতাংশ কর ও জরিমানা দিয়ে ৬৫ হাজার কোটি রুপি সাদা করা হয় (India Ministry of Finance, 2017)। ইন্দোনেশিয়া ২০১৬-১৭ সালে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ট্যাক্স অ্যামনেস্টি প্রোগ্রাম চালায়। এতে ৩৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের সম্পদ বৈধ করা হয়, যা জিডিপির প্রায় ৪০ শতাংশ (আইএমএফ-২০১৮)। আর্জেন্টিনায় ২০১৬ সালে একটি স্কিমের মাধ্যমে প্রায় ১১৭ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ বৈধ করা হয়। তুরস্ক, ব্রাজিল, ফিলিপাইন, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ বহু দেশ বিভিন্ন সময়ে এমন স্কিম গ্রহণ করেছে। অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, আর্জেন্টিনা এমন সুযোগ দিয়ে সাময়িক রাজস্ব পেয়েছে; কিন্তু এর ধারাবাহিকতা টিকিয়ে রাখতে পারেনি।
বাংলাদেশে ১৯৭৬ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত অন্তত ২৩ বার কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া হয়। কেউ মাত্র ১০ শতাংশ কর দিয়ে শত কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছেন, কেউ মাত্র ৫ শতাংশ দিয়ে বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট বৈধ করে নিয়েছেন। অথচ একই সময়ে একজন সাধারণ চাকরিজীবী হয়তো প্রতি মাসেই ১০-১৫ শতাংশ হারে আয়কর কেটে দিয়েছেন। ২০২০-২১ অর্থবছরে কোনো প্রশ্ন ছাড়াই মাত্র ১০ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা বৈধ করার সুযোগ দেয়া হয়, যাতে ওই বছর প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা সাদা হয়, যার মধ্যে সরকার পায় দুই হাজার ৬০ কোটি টাকার রাজস্ব (এনবিআর-২০২২)। ২০২২-২৩ অর্থবছরে একই ঘোষণায় মাত্র ৩২৭ জন এই সুবিধা নেন, যা আয়কর বিভাগের প্রত্যাশার তুলনায় ৯৮ শতাংশ কম। ২০২৪ সালে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতি বছর জিডিপির প্রায় ২৫-৩০ শতাংশ সমপরিমাণ অর্থ কালো টাকায় রূপান্তরিত হয়, যা প্রায় ১৫-২০ লাখ কোটি টাকার সমান। এর পরেও বাজেটের সময় এলেই একদল বিত্তশালী ‘অঘোষিত অর্থ’ বৈধ করার সুযোগ চায়, সরকার রাজস্বের লোভে দরজা খুলে দেয়, আর প্রান্তিক মানুষটি দেখে, তার কর-কাটা বেতনই যেন শাস্তি হয়ে দাঁড়ায়।
কালো টাকা সাদা করার পক্ষে অর্থনীতিবিদদের যুক্তি হলো, এতে অন্তত কিছু অর্থ সরকারি ব্যবস্থায় প্রবেশ করে, বিনিয়োগ বাড়ে, রাজস্ব আসে। তবে এর বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ হলো- এতে একজন সৎ করদাতা নিয়মিত কর দিয়ে রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালন করে, আর কালো টাকার মালিক মাত্র ১০-১৫ শতাংশ কর দিয়ে বৈধতা পেয়ে যায়। অর্থনীতিবিদ ড. জমির হোসেন বলেন, ‘This is institutionalized injustice; it penalizes honesty and rewards corruption’ (দ্য ডেইলি স্টার, জুলাই-২০২১)। এই প্রক্রিয়া কার্যত সততার শাস্তি আর অসততার পুরস্কার, যা সমাজে কর নৈতিকতাকে দুর্বল করে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এমন বৈষম্যমূলক নীতি দীর্ঘমেয়াদে সুশাসনকে আঘাত করে। সরকার অনেকসময় বলে, ‘কালো টাকা তো বিনিয়োগ হচ্ছে, কাজেই তাতে প্রবৃদ্ধি বাড়ছে।’ বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, কালো টাকা বৈধকরণ প্রকৃত উৎপাদন খাতে যায় না; বরং রিয়েল এস্টেট, আমদানি ব্যবসায় বা ব্যাংক সঞ্চয়ে আটকে থাকে, যেখানে কর্মসংস্থান তৈরি হয় না। বিশ্বব্যাপী গবেষণা (আইএমএফ-২০১৯) দেখিয়েছে, অধিকাংশ অ্যামনেস্টি স্কিম স্বল্প মেয়াদে রাজস্ব আনলেও দীর্ঘ মেয়াদে করফাঁকির প্রবণতা বেড়ে যায়। আইএমএফের ২০১৯ সালের গবেষণায় বলা হয়েছে- Repeated amnesties reduce tax morale and encourage future non-compliance. অর্থাৎ একাধিক সুযোগ দিলে মানুষ ভবিষ্যতেও করফাঁকির সাহস পায়। কালো টাকার বৈধতা দেয়ার রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে সমাজে ন্যায়ের ভিত্তি ভেঙে পড়ে।
ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে কালো টাকা ও বৈধকরণ প্রসঙ্গে বলতে হয়, আল্লাহ বলেন- ‘তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভক্ষণ করো না।’ (সূরা বাকারাহ, আয়াত-১৮৮) কালো টাকা তা যেভাবেই অর্জিত হোক, শরিয়তের দৃষ্টিতে হারাম। রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি হারাম সম্পদ উপার্জন করে, পরে তা সদকা করে, হজ করে কিংবা আল্লাহর পথে ব্যয় করে, তার কিছুই আল্লাহর কাছে গৃহীত হয় না।’ (মুসলিম শরিফ)
কালো টাকা সাদা করার বিকল্প
প্রশ্ন হলো, কালো টাকা সাদা করার বিকল্প কি নেই? অবশ্যই আছে এবং সেগুলো আরো টেকসই ও নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য। এই ব্যাধি নিরাময় করতে প্রয়োজন গভীর কাঠামোগত সংস্কার এবং রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি। এ জন্য অনেক বিকল্প রয়েছে। যেমন- আয়কর ব্যবস্থার স্বয়ংক্রিয়করণ ও ডিজিটালাইজেশন হতে পারে একটি বিকল্প। এই পদ্ধতিতে দেশব্যাপী আয় ও ব্যয়ের সব উৎসকে একটি কেন্দ্রীয় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সংযুক্ত করে করফাঁকি প্রতিরোধ করা সম্ভব। যেমন- ব্যাংক লেনদেন, প্রপার্টি রেজিস্ট্রেশন, গাড়ি ক্রয়, বিদ্যুৎ-পানি বিল, শিক্ষা খরচ, পাসপোর্ট ফি ইত্যাদি যদি করদাতার এনআইডি বা TIN-এর সাথে সংযুক্ত করা হয়, তাহলে ব্যক্তির প্রকৃত আয় অনুমান করা সহজ হবে। এর ফলে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি সৃষ্টি হয়, কর সংগ্রহ বেড়ে যায় এবং দুর্নীতির সুযোগ কমে। ভারতের GST ও PAN সংযুক্তকরণ পদ্ধতিতে ২০১৬-২১ সালের মধ্যে করদাতার সংখ্যা দ্বিগুণ হয়। এ ব্যবস্থায় কালো টাকা লুকানো কঠিন হয়ে পড়ে।
বেনামী সম্পদ শনাক্ত ও বাজেয়াপ্ত করার আইন প্রয়োগ করা যেতে পারে। এই আইন বাংলাদেশেও রয়েছে (২০০২ সালের বেনামী সম্পত্তি আইন)। এই আইন অনুযায়ী, যেসব সম্পদ প্রকৃত মালিকের নামে নয়, সেগুলো জব্দ করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে নেয়ার ব্যবস্থা করা যায়। প্রায়ই রাজনৈতিক প্রভাব বা প্রশাসনিক দুর্বলতার কারণে এই আইনের প্রয়োগ হয় না। সঠিক প্রয়োগ ও দ্রুত বিচারের মাধ্যমে কালো টাকার উৎস চেপে ধরা সম্ভব। ভারতে বেনামী সম্পত্তি আইনে ২০২০-২১ সালে চার হাজার ৩০০ কোটি রুপির সম্পদ বাজেয়াপ্ত হয়।
হুইসেল ব্লোয়ার পদ্ধতি চালু ও পুরস্কার ঘোষণাও হতে পারে কালো টাকা সাদাকরণের বিকল্প হিসেবে। এই পদ্ধতিতে যেসব নাগরিক বা কর্মচারী কালো টাকার তথ্য দিতে পারবেন, তাদের জন্য গোপনীয়তা রক্ষা ও আর্থিক পুরস্কারের ব্যবস্থা রাখা হয়। এর ফলে জনসচেতনতা বাড়ে, ভেতর থেকে তথ্যফাঁস সহজ হয় এবং প্রশাসনে জবাবদিহি জোরদার হয়। আমেরিকার IRS (Internal Revenue Service) কালো টাকা বা করফাঁকির তথ্য প্রদানকারীদের জন্য পুরস্কার হিসেবে ১৫-৩০ শতাংশ অর্থ দেয়, যা বছরে হাজার কোটি ডলার রাজস্ব আদায়ে সহায়তা করে।
অডিট ও তদন্তব্যবস্থার জোরদারকরণ একটি উপায় হতে পারে। এই পদ্ধতিতে আয়কর রিটার্ন যাচাইয়ে অধিক অডিট ও সুনির্দিষ্ট সন্দেহভাজনদের ওপর বৃহত্তর নজরদারি চালানো হয়। আরটিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স (AI) ব্যবহার করে অঘোষিত আয় শনাক্ত করা সম্ভব। শুধু ফাঁকিবাজদের ওপর চাপ পড়ে, সৎ করদাতারা হন উপকৃত এবং করনীতি শক্তিশালী হয়। যুক্তরাজ্যের HMRC আধুনিক ডেটা অ্যানালিটিক্স ব্যবহার করে করফাঁকির অনুসন্ধানে এক বছরে ৪০ হাজার সন্দেহভাজন শনাক্ত করেছে।
রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠাও হতে পারে কালো টাকা সাদা করার বিকল্প। এই পদ্ধতিতে প্রশাসন ও রাজনীতির মধ্যে যদি অসততার যোগসূত্র থাকে, তবে কোনো আইনই কার্যকর হয় না। কালো টাকার বড় অংশই আসে রাজনৈতিক অর্থায়ন, কমিশন-বাণিজ্য, সরকারি প্রকল্পে লুটপাট থেকে। এর ফলে রাজনৈতিক দলগুলোকে স্বচ্ছ আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রকাশে বাধ্য করা, নির্বাচনে বিদেশী বা কালো অর্থ ব্যবহার বন্ধে কঠোর বিধান এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে অবস্থান নেয়া। দক্ষিণ কোরিয়ায় সাবেক প্রেসিডেন্ট পার্ক গিউন-হে ঘুষ কেলেঙ্কারিতে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হন। এটি প্রমাণ করে, রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে শীর্ষ পর্যায়ের অপরাধীকেও বিচারের মুখোমুখি করা সম্ভব।
কর সচেতনতা ও নাগরিক করনীতির শিক্ষাও হতে পারে একটি বিকল্প। এই পদ্ধতিতে স্কুল-কলেজে আয়কর ও নাগরিক দায়িত্ব সম্পর্কে শিক্ষা চালু করা, গণমাধ্যমে নিয়মিত প্রচার, করদাতার জন্য সেবা সহজীকরণের উদ্যোগ নেয়া যায়, যা মানুষকে উৎসাহিত করে সৎভাবে আয় দেখাতে। এর ফলে কর নিয়ে ভীতির পরিবর্তে একে দায়িত্ব হিসেবে দেখবেন করদাতারা। নতুন করদাতা তৈরি হবে এবং দীর্ঘ মেয়াদে অর্থনীতির ভিত্তি শক্তিশালী হবে। বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার কূটনৈতিক উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে। যেমন বিভিন্ন দেশে গোপন অ্যাকাউন্টে বা অফশোর কর-স্বর্গে রাখা কালো টাকা চিহ্নিত করে তা ফিরিয়ে আনার জন্য দ্বিপক্ষীয় ও আন্তর্জাতিক সমঝোতা করা যেতে পারে।
প্রশ্ন হলো, রাষ্ট্র কি কেবল রাজস্ব আদায়ের যন্ত্র, নাকি ন্যায়ের রক্ষাকর্তা? রাষ্ট্র যদি বারবার অপরাধীর জন্য সুবিধা দেয়, তাহলে সৎ করদাতা নিরুৎসাহিত হন, সমাজে দায়িত্ব পালনের প্রবণতা হ্রাস পায়।
ইসলাম এমন সমাজ গড়ার নির্দেশ দেয়, যেখানে অন্যায়ের পুরস্কার নয়; বরং সততার মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হয়। কালো টাকা সাদা করার সুযোগ এক দিকে রাষ্ট্রীয় রাজস্ব বৃদ্ধির কৌশল হতে পারে; কিন্তু এটি ন্যায়, নৈতিকতা ও ইসলামী মূল্যবোধের দিক থেকে প্রশ্নবিদ্ধ। আমরা কি কেবল রাজস্ব বাড়াতে চাই, নাকি সমাজে সুবিচার প্রতিষ্ঠা করতে চাই? একটি রাষ্ট্র যখন নিয়মভঙ্গকারীদের জন্য বারবার ‘মওকা’ সৃষ্টি করে, তখন আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার ধ্বংস হয়ে যায়। বাজেটে কালো টাকা বৈধ করার সুযোগ বস্তুত অর্থনৈতিক নয়; বরং নৈতিক ও রাজনৈতিক দুর্বলতা। সরকার যদি সত্যিই অর্থনীতিকে গতিশীল করতে চায়, তাহলে কালো টাকার উৎস ধ্বংস করাই একমাত্র পথ। নতুবা কালো টাকা সাদা নয়; বরং সমাজ ও রাষ্ট্রই ধীরে ধীরে ধূসর হতে থাকবে।
লেখক : অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও কলামিস্ট
[email protected]