গুজবের কারখানা ‘মিনি পার্লামেন্ট’

পরিবেশ বিজ্ঞানের কড়া হুঁশিয়ারি- ‘বিশ্বজুড়ে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ক্রমাগত বাড়ছে। বৈজ্ঞানিক মডেল অনুসারে, যদি এ ধারা অব্যাহত থাকে, তবে এ শতাব্দীর শেষ নাগাদ বিশ্বের নিম্নভূমি স্থায়ীভাবে পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।’

মিনি পার্লামেন্ট প্রকৃত অর্থে সংসদীয় কমিটি বুঝালেও আমরা বুঝি চা-দোকানের আড্ডা। চা-দোকানের আড্ডা বাংলাদেশ ও ভারতের কিছু অংশে বেশ জনপ্রিয়। ‘চায়ের কাপে ঝড় তোলা’ বাক্যটির জন্মও এই আড্ডাকেন্দ্রিক হয়ে থাকবে। এই মিনি পার্লামেন্টে রয়েছে দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, সরকারের নীতি, বিরোধী দলের ভূমিকা, আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা, বিশ্লেষণ, কোন প্রার্থী আসল, কে নকল, কে ভাইরাল, কে ভাইরাস- সব তথ্য। রাজনৈতিক আলোচনা জাতীয় পর্যায় অতিক্রম করে চলে যায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। গণতন্ত্রের প্যাথলজি রিপোর্টও এই মিনি পার্লামেন্টে তৈরি হয়। এই মিনি পার্লামেন্ট শহর-উপশহর থেকে ছড়িয়ে পড়েছে গাঁয়ে। গাঁয়ের কৃষক এখন আর লাঙল কাঁধে গরুর পাল নিয়ে মাঠে যান না। গাছের ছায়ায় বসে রাখালও বাজায় না বাঁশি। গোধূলি শব্দটি গ্রন্থ থেকে মুছে যেতে বসেছে। গাঁয়ের মেঠোপথে আজ ইট বিছানো। গ্রামের নিম্নবিত্ত সন্তান জ্ঞানার্জনের চেয়ে অর্থ উপার্জনের ফল নগদে পাচ্ছে। শৈশব পার হলে বিদেশ পাঠায় সন্তানকে। মাস শেষে টাকা গুনে। সময় কাটে চা-দোকানের আড্ডায়। রাস্তার মোড়ে মোড়ে চায়ের দোকান। সামনে বেঞ্চ পাতা। দিন বাড়ে, বাড়ে আড্ডা। চলে গভীর রাত পর্যন্ত।

অবস্থা এমন যে, যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক পলিসি ধরা খেয়েছে মিমি পার্লামেন্টে। বিষয়বস্তু সেন্টমার্টিন দ্বীপ। কয়েক মাস আগে বাড়ি গিয়ে মিনি পার্লামেন্টের ঝড়ের কবলে পড়ে যাই। আমাকে দেখে পার্লামেন্টারিয়ানদের কণ্ঠ ও যুক্তি আরো বলিষ্ঠ হয়ে ওঠে। ‘পর্যটকশূন্য সেন্টমার্টিন’ সংবাদটি চোখে পড়তে সেদিনের ঝড়ের কথা মনে পড়ে গেল। সেদিনের ঝড়টা শুরু হয়েছিল সেন্টমার্টিন দ্বীপ ও হাসিনা সরকারের পতন ঘিরে। আমেরিকার শর্ত হলো- সেন্টমার্টিনসহ পার্বত্য চট্টগ্রাম মানবিক করিডোর দিতে হবে। এ কারণে ফেব্রুয়ারি থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

একজনের কথা শেষ না হতেই অন্যজন বলতে শুরু করেন। মিনি পার্লামেন্টের যুক্তির কাছে আমার যুক্তি ধোপে টিকবে না। তাদের সম্মিলিত মতের বাইরে গিয়ে কিছু বলতে গেলে নিজেই আউট হয়ে যাব। তাই প্রস্তুতি নিয়ে বলতে শুরু করি।

‘এখানে যারা আছেন তাদের কেউ সেন্টমার্টিন গেছেন?’ এ প্রশ্নে সবাই নিরুত্তর। ‘আমার ১৯৭৮ সাল থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়া শুরু। যখন পর্যটক দূরের কথা, দেশের মূল ভূখণ্ডের লোকজনও সেন্টমার্টিন যাওয়া শুরু করেনি। সেই যাওয়া ছিল ঘটনাক্রমে, ভুল করে।’ এতক্ষণ ব্যাটে-বলে মিলিয়ে যে বিষয়টির সিদ্ধান্ত নিলে, এর সব গুজব।

১৯৭৮ সালে ঢাকা থেকে বাসে চড়ে সোজা চট্টগ্রাম। শুকতারা নামের হোটেলে গিয়ে পাঁচ টাকা দিয়ে পেটপুরে ভাত-মাছ খেয়ে ১০ টাকা দিয়ে সিঙ্গেল সিটে ঘুমিয়ে পড়ি। পরদিন সকালে কক্সবাজার হয়ে টেকনাফ। টেকনাফে হোটেল ছিল না। বাঁশের মাচার উপর ডাকবাংলো। সেখানে গিয়ে জানতে পারি, আশপাশে কোনো খাবারের ব্যবস্থা নেই। পরদিন সকালে চট্টগ্রাম ফিরে আসব বলে মনস্থির করি। এ উদ্দেশে ভোরে চট্টগ্রামগামী বাসের সন্ধানে বের হই। স্টেশনে গিয়ে জানতে পারি, ঘণ্টায় ঘণ্টায় বাস পাওয়া যায়। দিনের যেকোনো সময় চট্টগ্রাম যাওয়া যাবে শুনে স্বস্তি বোধ করলাম। বাস স্টেশন থেকে ফেরার পথে দেখি মাছের বাজার। বাজারের ঘাটে বেশ কয়েকটি সাম্পান। জেলেরা তা থেকে মাছ নামাচ্ছেন। মাছের প্রতি আকর্ষণ শৈশব থেকে। আস্তে আস্তে সাম্পানের কাছে গিয়ে দাঁড়াই। নদী থেকে মাছ ধরার বিষয়ে তাদের কাছে নানা প্রশ্ন করি। আমার কথা শুনে তারা বুঝতে পারে, আমি ঢাকাইয়া। পাঁচমিশালি ভাষায় বলতে চেয়েছি- তারা কোথায় মাছ ধরেন? কিভাবে ধরেন? মাছ ধরা দেখাতে সাথে রাখতে পারবেন কি না? ইত্যাদি। তারা আমার সব কথা রাখতে সম্মত আছেন। আর পায় কে? সাম্পানে চড়ে বসি।

সাম্পান চলাকালে আমাকে তারা জানান, আমাদের বাম দিকে বার্মাদেশ, ডান দিকে বাংলাদেশ। নদের নাম নাফ। থইথই পানিতে নামার সাথে সাথে ঢেউও বাড়তে থাকে।

ভেবেছিলাম, তারা কাছাকাছি কোথাও মাছ ধরে পাড়ে চলে আসবেন। তাতে দু-চার ঘণ্টা খরচ হলেও মাছ ধরার আনন্দ পুষিয়ে দেবে। বাস্তব অবস্থা দেখে আনন্দ ধপ করে নিভে যায়। ভয় আর শঙ্কা বাড়তে থাকে। একেকটি বড় ঢেউ আমাদের সাম্পানকে আট-দশ ফুট উপরে তুলে আছাড় মেরে নিচে ফেলে দেয়। তাতে দাঁড়াতে না পেরে বারবার হোঁচট খেয়ে পাটাতনে গড়াগড়ি যাচ্ছিলাম। তা দেখে ছেলেরা খিলখিল করে হেসে উঠছিল। তাদের মধ্যে একজন আমাকে নোঙরের কাছি পেঁচানোর খুঁটি ধরে শক্ত হয়ে বসে থাকতে সাহায্য করে। আমি বুকের সাথে খুঁটি শক্তভাবে চেপে ধরে আল্লাহ আল্লাহ জপতে থাকি।

ঘণ্টাখানেক চলার পর দক্ষিণে কালোমতো কিছু একটা দেখা যেতে শুরু করে। কাছে গিয়ে দেখি- নারিকেলের বাগান আর বাগান। জানতে পারি, এ দ্বীপের নামও ‘নারিকেল জিনজিরা’। নারিকেল জিনজিরা দ্বীপের উত্তর-পশ্চিম কোণে সাগরের ভেতরে কালোমতো কিসের ওপর যেন ঢেউ আছড়ে পড়ছে। আছড়ে পড়া ঢেউয়ের পানি ছিটকে ২০-৩০ ফুট উপরে ওঠে তুষারের মতো সাদা হয়ে নিচে নামছিল। সাম্পান থেকে ছোট ডিঙিতে করে ভূমিতে নেমে দেখি- পায়ের নিচে শুধু বালি আর বালি। বালির উপর নারিকেলের গাছ-পাতা দিয়ে ছোট ছোট ঘর। ঘরের ভেতরেও বালি। কোনো কোনো ঘরের মেঝেতে কালো রঙের (পরে জেনেছি, ওগুলো ছিল প্রবাল খণ্ড) পাথর ও আঠালো মাটির প্রলেপ। আমি দ্বীপে অবতরণের ঘণ্টাখানেকের মধ্যে আর্মির লোকজন আসে। তারা কিভাবে যেন আমার আসার খবর পেয়ে যান। এ দ্বীপে নতুন কেউ এলে সাথে সাথে আর্মির লোকজন ছুটে আসেন। বার্মার স্পাই কি না, জেরা করতে শুরু করে দেন। ঘণ্টাখানেক জেরার পর তাদের বিশ্বাস করাতে সক্ষম হই, আমি বার্মিজ নই। দ্বীপে ভুল করে এক ঢাকাইয়া এসেছেন, এ সংবাদ প্রচারের পর দফায় দফায় লোকজন আমাকে দেখতে আসেন। ঢাকার বড় বড় দালান-কোঠায় মানুষ কিভাবে ওঠানামা করে? বিজলি বাতি থেকে বাড়িঘরে আগুন লাগে না কেন? দালানের উপরের মানুষ পানি পায় কোথায়? ইত্যাদি নানা প্রশ্নের উত্তর শুনতে দ্বীপের অর্ধেক পুরুষ জড়ো হন। ঢাকা শহর সম্পর্কে তাদের কৌতূহল দেখে মজা পাচ্ছিলাম। রাতে মাছ ধরার সময় তাদের সাথে ছিলাম। পরদিন টেকনাফ নামিয়ে দেয়।

১৯৯৫ সালে ছেলে হাসানসহ আবার যাই। নাফ সীমান্ত হোটেলে লাগেজপত্র রেখে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়ি। সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে যাত্রী নিয়ে দুই ইঞ্জিনচালিত সাম্পান ছাড়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপের উদ্দেশে। আসা-যাওয়া বাবদ ভাড়া জনপ্রতি ৫০ টাকা। প্রতি সাম্পান এক সাথে ২০-২৫ যাত্রী বহন করতে পারে। আমরা যখন সাম্পানে উঠি তখন জোয়ার ছিল। আমাদের সাম্পান খালের ভেতর দিয়ে কিছু দূর গিয়ে নাফ নদের মাঝামাঝি স্থান দিয়ে দক্ষিণ দিকে এগোতে থাকে। যখন দ্বীপে অবতরণ করি তখন বেলা সাড়ে ১১টা। আড়াইটার মধ্যে ছেড়ে দেবে সাম্পান। দ্বীপে থাকার ব্যবস্থা নেই; নেই খানাপিনার সুব্যবস্থা। আড়াই-তিন ঘণ্টার মধ্যে দ্বীপ দেখা শেষ করে সাম্পানে ফিরে আসতে বারবার সতর্ক করে দেয়া হয়। সামনে ডান দিকে ‘মুলি বাঁশের’ হোটেল। প্রতি প্লেট ভাত তিন টাকা আর প্রতি টুকরা মাছের দাম ছিল ১০ টাকা। ১০ টাকা দরের মাছের বাইরে ছিল কোরাল ও রূপচাঁদা। দ্বীপের উত্তর দিকে বালির উপর কাঁকড়া আর কাঁকড়া। দূর থেকে মনে হয়চ্ছিল কেউ শুকানোর জন্য ওঠানে লাল মরিচ বিছিয়ে রেখেছেন। কাছে যেতে না যেতে পালিয়ে যায় গর্তে।

২০০১ সালের ডিসেম্বরে আমার কাছে লাল কাঁকড়ার গল্প শুনে একদল ট্যুরিস্টসহ আবারো সেন্টমার্টিন। হোটেল বুক করে গেছি নাফ সীমান্তে। দ্বীপ দেখা শেষে দিনে দিনে ফিরে আসতে হবে। বন্ধুদের সাথে করে দ্বীপের উত্তর দিকের লাল কাঁকড়ার ঝাঁক দেখাতে নিয়ে যাই। গিয়ে হোঁচট খাই। লাল কাঁকড়ার ঝাঁক কোথায়? দু’-চার মিনিট হাঁটার পর দু’-চার পাঁচটি অসহায় লাল কাঁকড়া চোখে পড়ে। বিপন্ন লাল কাঁকড়ারা ভয়ে পালাচ্ছিল।

২০০৯ সালের ডিসেম্বরে ছেলের বিয়েতে সপরিবারে দেশে আসে লন্ডন প্রবাসী বড় মেয়ে। নতুন বর-কনেও যাবে দ্বীপে। নাফ সীমান্তের কয়েক কিলোমিটার উত্তরে স্টিমার ঘাট। গোটা চারেক লাক্সারিয়াস জাহাজ দ্বীপে আসা-যাওয়া করে। সহজ যাতায়াত। শাহপরীর দ্বীপ পেছনে ফেলে একই সময়ে ছাড়ে চারটি জাহাজ। জাহাজ ইচ্ছে করে ধীরে চলছে। নাফ নদের মাঝখান দিয়ে আসা-যাওয়া সময় যা দেখার দেখে নিন। ভালো করে তাকালে মিয়ানমার বৌদ্ধবিহারের প্যাগোডা, মঠ-মন্দিরসহ পাহাড়ের উপরের বাড়িঘর-রাস্তাঘাটও চোখে পড়বে। নাফ নদে জেলেদের মাছ ধরা, জাহাজের পেছনে গাঙচিলের ঠোঁটে মাছ নিয়ে কাড়াকাড়িসহ পশ্চিম পাড়ের প্যারাবন দেখার সুযোগ দিতে জাহাজের ধীরে চলা।

এক সময় পশ্চিম দিকের প্যারাবন ফুরিয়ে গেলেও পূর্বের মিয়ানমার ফুরায়নি। দূর থেকে ধবধবে সাদা ব্লু মেরিন রিসোর্ট চোখে পড়ে। এখন আর পানিতে পা রাখতে হয় না। জাহাজ থেকে জেটি। জেটির শেষ প্রান্তে তোরণ। ‘দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে আপনাকে স্বাগতম’ তোরণের তলা দিয়ে সামনে পা বাড়ালে সেন্টমার্টিনের মাটি। শুরু হয় রিকশাওয়ালাদের হাঁকডাক। এখন আর জনবিরল নয়, ঢাকার সদরঘাটের মতো লোকে-লোকারণ্য। কয়েক রাত ছিলাম। দ্বীপে শতবর্ষী মোহাম্মদ সালেহ জানান, দুই-আড়াই শ’ বছর আগে ১৩ ব্যক্তি সর্বপ্রথম এখানে বসতি গড়েন। তখন এই দ্বীপের নাম ছিল নারিকেল জিনজিরা। আমি যখন এ দ্বীপে আসি তখন এখানে ৪০টি ঘর ছিল। লোক সংখ্যা ছিল এক শ’-সোয়া শ’র মতো। জমি চাষ করতেন। মাছ ধরে শুঁটকি বানিয়ে সাম্পানে করে চিটাগাং নিয়ে বিক্রি করতেন। যেদিন থেকে ঢাকাইয়ারা আসতে শুরু করেন, সেদিন থেকে বদলে যেতে শুরু করে দ্বীপের চিত্র। আধুনিক প্রযুক্তিসহ ঢাকাইয়াদের আচার-আচরণে হাঁপিয়ে উঠেছে দ্বীপবাসী।

দ্বীপের ভবিষ্যৎ কী?

এক সময় এ দ্বীপে ৬৮ প্রজাতির প্রবাল, ১৫১ প্রজাতির শৈবাল, ১৯১ প্রজাতির কড়ি জাতীয় প্রাণী, ৪০ প্রজাতির কাঁকড়া, ২৩৪ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ, পাঁচ প্রজাতির ডলফিন, চার প্রজাতির উভচর প্রাণী, ২৮ প্রজাতির সরীসৃপ, ১২০ প্রজাতির পাখি, ২০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, ১৭৫ প্রজাতির উদ্ভিদ, দুই প্রজাতির বাদুড়সহ নানা প্রজাতির প্রাণীর বসবাস ছিল। এককালে দলে দলে কাছিম উঠে ডিম দিত। ছিল হাজারো প্রকারের শামুক-ঝিনুক, পানিতে ছিল রঙবেরঙের মাছ। যেখানে এক সময় লাল কাঁকড়া বিছিয়ে থাকত; এখন সেখানে বিছিয়ে থাকে প্লাস্টিকের পরিত্যক্ত সামগ্রী, পলিথিনের ছেঁড়া কাগজ, খাবারের বর্জ্য, মানুষের মলমূত্র ইত্যাদি। জিনজিরা হারিয়ে গেছে, এখন যা আছে তা আসলে ঢাকাইয়াদের দ্বীপ। ভবিষ্যতে এ দ্বীপের অস্তিত্ব থাকে তা হলে দ্বীপের আদিবাসীরা হবে পরবাসী, অভিবাসীরা হবে দ্বীপের মালিক। দ্বীপের আদি জীব-জন্তু ও শামুক-ঝিনুকের পরিবর্তে পাওয়া যাবে শুধু ইঁদুর বিড়াল আর কুকুর’।

সেন্টমার্টিন দ্বীপের দৈর্ঘ্য ৫ দশমিক ৬৩ কিলোমিটার, প্রস্ত ২০০-৭০০ মিটার। এর মতো এরকম ছোট দ্বীপ আমেরিকার কয়েক হাজার রয়েছে। দ্বীপটা এত ছোট যে, ওখানে একটি বিমানের রানওয়েও তৈরি করা সম্ভব হবে না।

পরিবেশ বিজ্ঞানের কড়া হুঁশিয়ারি- ‘বিশ্বজুড়ে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ক্রমাগত বাড়ছে। বৈজ্ঞানিক মডেল অনুসারে, যদি এ ধারা অব্যাহত থাকে, তবে এ শতাব্দীর শেষ নাগাদ বিশ্বের নিম্নভূমি স্থায়ীভাবে পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।’

সবদিক বিবেচনা করে দ্বীপটি সাধারণত ফেব্রুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বন্ধ থাকে। খোলা হয় নভেম্বর থেকে। মিনি পার্লামেন্টে বসে এতক্ষণ যা প্রচার করলেন সবই গুজব।

লেখক : আইনজীবী ও কথাসাহিত্যিক