কুয়েটে অচলাবস্থার অবিলম্বে নিরসন হোক

আমরা চাই, এ বিষয়ে সব পক্ষই সহনশীলতা প্রদর্শনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরানোর ব্যবস্থা করবেন।

পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) পাঠদান শুরুর সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। রাজনীতির বলি সাধারণ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অসহায় হয়ে পড়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের বাকি পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে না, চলছে না পরবর্তী সেমিস্টারের পাঠদান। এ বিষয়ে যেন কারো কোনো দায়দায়িত্ব নেই।

মূলত গত বছরের ৫ জুলাই আওয়ামী সরকারের পতনের পর কুয়েটে রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি চালু থাকার অংশ হিসেবে চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি একটি রাজনৈতিক দলের লিফলেট বিতরণকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। পরের দিন ১৮ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসে তাদের সাথে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠনের ব্যানারে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষ পরে রেলগেট এবং তেলিগাতি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। সন্ধ্যার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অবস্থান নেয়।

সংঘর্ষে একজন শিক্ষকসহ অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম এবং আবাসিক হল বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়। ৪ মে ক্লাস শুরুর ঘোষণা এলেও শিক্ষকরা ক্লাস বর্জন করে কর্মবিরতিতে যান। একদিকে শিক্ষকরা যেমন তাদের মর্যাদা ক্ষুণ্নের দাবি তুলে কর্মবিরতি ব্যাপারে অনড়, অন্য দিকে সাধারণ ছাত্রদের একাংশ ক্লাসে ফিরতে চান। কিন্তু কোনো সমাধান হচ্ছে না। বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্বমহিমায় উজ্জ্বল। আমরা চাই, এ বিষয়ে সব পক্ষই সহনশীলতা প্রদর্শনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরানোর ব্যবস্থা করবেন।

মো: আব্দুল মজিদ (অভিভাবক)

কালাই, জয়পুরহাট