সীমান্তে পুশইন

ঢাকাকে ভারতের পুশইনের বিষয়ে কঠোর অবস্থানে যেতে হবে।

তাউসিব হাসান শাহরিয়ার

৫ আগস্ট হাসিনার শাসনামলের অবসানের পর থেকে বাংলাদেশের ওপর প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ চাপ সৃষ্টি করছে ভারত। দিল্লি বিভিন্নভাবে ঢাকাকে উত্ত্যক্তের প্রাণপণ অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশের সাথে ভারতের চার হাজার ৯৬ কিলোমিটারের সীমান্ত। এত বড় সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষাবাহিনী বিএসএফ অনেক আগে থেকে বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে আসছে, যেমন : বাংলাদেশী নাগরিকদের ধরে নিয়ে হত্যা করা ও দূর থেকে গুলি করে হত্যা করা, বাংলাদেশের ভূখণ্ডে এসে বাংলাদেশীদের চাষাবাদে বাধা দেয়া এবং তুলে নিয়ে মারধর করা প্রভৃতি।

ইদানীং বিএসএফের উৎপাত বেড়েছে। এর মধ্যে উদ্বেগজনক হলো- বিএসএফ বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে পুশইন শুরু করছে। শিশু, নারী, পুরুষ, বৃদ্ধ নির্বিশেষে পুশইন করা হচ্ছে।

রাতের আঁধারে সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় নাগরিক বাংলাভাষী মুসলমানদের পুশইন করা সম্পূর্ণভাবে একটি বেআইনি কাজ। মানবাধিকার লঙ্ঘন। বিএসএফের পুশইনের শিকার অনেকের পরিচয় সঠিকভাবে জানা যাচ্ছে না। মূলত বাংলাদেশকে যেনতেনভাবে অস্থির করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এই পুশইন কার্যক্রম চালাচ্ছে ভারত।

আমরা মনে করি, ভারতীয় পুশইন ঠেকাতে এ মুহূর্তে আমাদের সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবির সর্বদা চোখ-কান খোলা রেখে টহল বাড়াতে হবে। সেই সাথে ঢাকাকে ভারতের পুশইনের বিষয়ে কঠোর অবস্থানে যেতে হবে।

লেখক : শিক্ষার্থী, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, ময়মনসিংহ