ব্যারিস্টার কাজী এম এ আনোয়ার
সাংবাদিকতার মূল প্রতিজ্ঞা সত্যের অনুসন্ধান। কিন্তু কখনো কখনো সে সত্যের মুখোমুখি হওয়াই হয়ে ওঠে জীবনের বাঁকবদলের সূচনা। ব্রিটিশ সাংবাদিক, লেখক ও রাজনীতিবিদ ইভোন রিডলির জীবন যেন সে প্রতিজ্ঞার জীবন্ত প্রতিচ্ছবি। তালেবানের হাতে বন্দি হওয়ার এক নাটকীয় ঘটনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় তার আত্মঅনুসন্ধানের নতুন যাত্রা, যা শেষ পর্যন্ত তাকে পৌঁছে দেয় ইসলামের শান্তি ও ন্যায়ের বাণীর গভীরে। একসময় যে নারী ইসলামকে দেখতেন সন্দেহের চোখে, তিনি-ই পরবর্তীতে হয়ে ওঠেন তার অন্যতম সার্থক প্রচারক। একটি প্রতিজ্ঞা তাকে স্বর্গীয় সত্যের সন্ধানে পরিচালিত করেছিল, যা শেষে তাকে পৌঁছে দেয় বিশুদ্ধতার চূড়ান্ত শিখরে। ইভোন রিডলির এ রূপান্তরের কাহিনি কেবল একজন মানুষের আত্মজাগরণের গল্প নয়, বরং এটি পশ্চিমা বিশ্বে ইসলাম সম্পর্কে গড়ে ওঠা প্রচলিত ভ্রান্ত ধারণাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার এক অনন্য দলিল।
সাংবাদিক থেকে বন্দি : এক অপ্রত্যাশিত সম্মুখসমাবেশ :
২০০১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আফগানিস্তানের জলবায়ুগত অবস্থা শুষ্ক ছিল, যেখানে নিম্নাঞ্চলে গ্রীষ্মকালীন অবস্থা বিরাজ করছিল অন্যদিকে উচ্চভূমি অঞ্চলে শীতল আবহাওয়া অনুভূত হচ্ছিল। এ প্রাকৃতিক পটভূমিতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা মিত্রদেশগুলোর সমন্বয়ে গঠিত সামরিক জোট আফগানিস্তানে যুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করছিল, যা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে একটি যুদ্ধের সম্ভাবনা হিসেবে দেখা দিয়েছিল। নাইন-এলেভেনের পরবর্তী উত্তাল সময়। ইভোন রিডলি, এক তুখোড় ব্রিটিশ সাংবাদিক, স্নায়ুযুদ্ধের মতো পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানে প্রবেশ করেন তালেবানের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকার ভেতরের চিত্র তুলে ধরতে। ছদ্মবেশে আফগানিস্তানের অলিগলিতে ঘুরে ঘুরে তিনি দু’দিন কাটান। কিন্তু ফেরার পথে একটি ঘটনায় তার বোরকা খুলে যায়— তার সাওয়ারির গাধাটি ছোটাছুটি করলে তার ক্যামেরা তালেবান এক সৈন্যের নজরে পড়ে যায়। তাকে স্পাই সন্দেহে আটক করা হয়, যার সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল মৃত্যুদণ্ড। এটি ছিল একটি ভয়াবহ ও মর্মস্পর্শী সময়।
বন্দিদশায় অপ্রত্যাশিত সম্মান ও এক প্রতিশ্রুতি :
তালেবান সম্পর্কে পশ্চিমা মিডিয়ার চিত্র ছিল হুমকি ও ভীতির। তালেবানকে পশ্চিমা গণমাধ্যমে প্রায়শই একটি কট্টর ইসলামী মৌলবাদী গোষ্ঠী হিসেবে উপস্থাপন করা হয়, যারা ধর্মের এক সংকীর্ণ ও কঠোর ব্যাখ্যায় বিশ্বাসী এবং তাদের নিজস্ব শরিয়া আইন জোরপূর্বক প্রয়োগ করে। বিশেষ করে নারী অধিকার নিয়ে তাদের অবস্থান পশ্চিমা বিশ্বে সবচেয়ে বিতর্কিত। পশ্চিমা মিডিয়ার মতে, তালেবানদের শাসনামলে নারী শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও সামাজিক স্বাধীনতা সম্পূর্ণভাবে রুদ্ধ করা হয়, যা তালেবান পরিচয়ের অন্যতম প্রতীক হিসেবে চিত্রিত হয়েছে। পাশাপাশি, তাদেরকে আল-কায়েদার মতো আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠনের মিত্র হিসেবে দেখানো হয় এবং ৯।১১— পরবর্তী সময়ে ‘সন্ত্রাসবাদের আশ্রয়স্থল’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। জনসম্মুখে শাস্তি প্রদান, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর, নারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমনের মতো কর্মকাণ্ডকে তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘন ও বর্বরতার প্রমাণ হিসেবে তুলে ধরা হয়। সবশেষে, তালেবানকে একটি মধ্যযুগীয়, প্রগতিবিরোধী ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বিপরীতে অবস্থানকারী শক্তি হিসেবে দেখানো হয়। এভাবেই পশ্চিমা মিডিয়া ও পশ্চিমা শক্তি আফগানিস্তানকে আধুনিক বিশ্বের অগ্রযাত্রা থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখতে চায়।
মার্কিন নেতৃত্বাধীন আফগানিস্তান আক্রমণ শুরুর আগে এ তালেবানদের হাতে ইভোন রিডলি ১১ দিন বন্দি ছিলেন। কিন্তু বন্দিদশায় ইভোন যে আচরণের সম্মুখীন হন, তা তাকে হতবাক করে দেয়। তার বর্ণনা মতে, তালেবানের পুরুষরা তার সাথে অত্যন্ত সম্মান ও শালীনতার সাথে আচরণ করেন। তারা তার দিকে তাকাতেন না, দৃষ্টি নত রাখতেন। প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন, তার মৃত্যুদণ্ডের সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে বলেই তারা তার চোখের দিকে তাকাতে পারছেন না। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি বুঝতে পারেন, এটি ছিল নারীকে সম্মান দেয়ার একটি ইসলামিক রীতি। তিনি জানতেন না মুসলিমদের পবিত্র কোরআনে নারীদের কিভাবে সন্মান দিতে বলা হয়েছে। ইসলাম নারী-পুরুষ উভয়কেই পবিত্রতা রক্ষার জন্য দৃষ্টি সংযত রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
‘মুমিন পুরুষদেরকে বলো, তারা যেন তাদের দৃষ্টি সংযত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাজত করে... এবং মুমিন নারীদেরকে বলো, তারাও যেন তাদের দৃষ্টি সংযত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাজত করে...’ (সূরা আন-নূর, আয়াত ৩০-৩১)
ইসলামিক রীতিতে নারীর দিকে না তাকিয়েই নারীদেরকে সম্মান করা হয়। এ আচরণই মুসলিম পুরুষের ব্যক্তিত্ব ও মানবিক মর্যাদাকে শ্রদ্ধার চোখে দেখারই প্রকাশ। অনেক পুরুষ দেখেছেন এবং অনেকে পুরুষের সাথে সাংবাদিকতা করেছেন, ইভোন, কিন্তু এর আগে এ অভিজ্ঞতা তার পূর্বকল্পিত ধারণাকে ভিত্তিহীন করে দেয়। পশ্চিমা মিডিয়া এবং ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রচারিত নির্দিষ্ট ন্যারেটিভগুলো ইভোনের কাছে ক্রমশ সন্দেহের উৎস হয়ে দাঁড়াতে লাগল। সংবাদমাধ্যমে যে তথ্য পরিবেশন করা হচ্ছিল এবং মোসাদ-উৎসর্গীত খবরগুলো যে বাস্তবতাকে পূর্ণরূপে বা সত্যিকারভাবে উপস্থাপন করছে না, সেটি তার উপলব্ধিতে আসতে শুরু করে। এ ‘সত্যকাহিনি’ বলে চালানো গল্পগুলোর মধ্যে বিরাজিত অসঙ্গতি তার কাছে তিক্ত ও অগ্রহণযোগ্য বলে প্রতিভাত হয়।
এ অচেনা আচরণের পেছনের দর্শন বুঝতে, তিনি মুক্তির শর্ত হিসেবে একটি প্রতিশ্রুতি দেন— তালেবানরা তাকে ছেড়ে দিলে তিনি পবিত্র কুরআন পড়বেন ও ইসলাম সম্পর্কে গভীরভাবে অধ্যয়ন করবেন।
কুরআন অধ্যয়ন : এক আধ্যাত্মিক বিপ্লব :
মুক্তি পেয়ে ইভোন তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন এবং একে ‘একটি অ্যাকাডেমিক অনুশীলন’ বলে মনে করেন। কিন্তু কুরআন অধ্যয়ন তার জীবনে এক চূড়ান্ত পরিবর্তন নিয়ে আসে। তিনি আবিষ্কার করেন, ইসলাম নারীকে আধ্যাত্মিক মর্যাদা, শিক্ষা ও মূল্যের দিক থেকে পুরুষের সমতুল্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তার নিজের ভাষায়, ‘সবাই ভুলে যায় যে, ইসলাম পরিপূর্ণ; মানুষ পরিপূর্ণ নয়।’ তিনি উপলব্ধি করেন, বিভিন্ন সমাজ ও সংস্কৃতিতে নারীদের ওপর যে নির্যাতন হয়, তার জন্য ইসলামকে দায়ী করা হচ্ছে, অথচ ইসলামই নারীর অধিকারের সর্বপ্রথম ঘোষক। পবিত্র কুরআন স্পষ্টভাবে ঘোষণা করে যে, নারী ও পুরুষ উভয়েই সমান মানবিক মর্যাদা, আধ্যাত্মিক সম্ভাবনা এবং আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতার অধিকারী।
‘হে মানুষ! তোমাদের রবকে ভয় কর, যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি (আদম) থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং তার থেকে তার সঙ্গীনীকে (হাওয়া) সৃষ্টি করেছেন এবং তাদের দুজন থেকে অগণিত নর-নারী বিস্তার করেছেন।’ (সূরা আন-নিসা, ৪:১) এ আয়াত প্রমাণ করে যে নারী ও পুরুষ একই সত্তা থেকে সৃষ্টি, তাই নারী কোনো নিকৃষ্ট বস্তু থেকে সৃষ্টি— এ ধারণা ভ্রান্ত। অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘যে কেউ সৎকাজ করবে, সে হোক নর অথবা নারী, বরং সে মুমিন, তবে আমরা তাকে পবিত্র জীবন দান করব এবং তাদেরকে তাদের কর্মের শ্রেষ্ঠ প্রতিদান অবশ্যই দেবো।’ (সূরা আন-নাহল, ১৬:৯৭)।
ইভোন গভীরভাবে উপলব্ধি করেন, যে কুরআন নারীকে স্বাধীন আর্থিক সত্ত্বা দিয়েছে, একটি অধিকার যা অনেক পশ্চিমা সমাজেও ১৯ শতাব্দী পর্যন্ত নারীদের দেয়া হয়নি। অবশেষে, ২০০৩ সালের মাঝামাঝি তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
ইসলাম গ্রহণ-পরবর্তী জীবন : এক সক্রিয় কণ্ঠস্বর :
ইসলাম গ্রহণ ইভোন রিডলির জীবনের জন্য ছিল একটি নতুন সূচনা। তিনি বলেন, এ নতুন বিশ্বাস তাকে চূর্ণিত বৈবাহিক জীবন পেছনে ফেলে ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও সেরা পরিবার’ (অর্থাৎ বিশ্ব মুসলিম পরিবার) -এর সদস্য হতে সাহায্য করে। তিনি একজন সোচ্চার ও সাহসী কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠেন। তিনি ফিলিস্তিনি আন্দোলনের প্রতি তার অকুণ্ঠ সমর্থন জানান, জায়নিবাদ ও পশ্চিমা বৈদেশিক নীতির কঠোর সমালোচনা করেন। বিশ্বজুড়ে তিনি বক্তৃতা দেন ইরাক, আফগানিস্তান, নারী অধিকার ও সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ সম্পর্কে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, সম্মান হত্যা ও নারী খতনা -এর মতো বর্বর প্রথার সাথে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই, যা পশ্চিমা মিডিয়া প্রায়ই ইসলামের সাথে জড়িয়ে ফেলে।
ইভোন রিডলির ‘ইন দ্য হ্যান্ডস অব দ্য তালেবান’
তালেবানদের হাত থেকে মুক্তির অব্যবহিত পরেই, ২০০১ সালের ডিসেম্বরে রবসন বুকস লিমিটেড কর্তৃক ইভোন রিডলির স্মৃতিকথা ‘ইন দ্য হ্যান্ডস অব দ্য তালেবান’ প্রকাশিত হয়। ইভোন রিডলির এ বইটি মূলত তার ব্যক্তিগত বন্দীজীবনের অভিজ্ঞতার একটি আত্মজীবনীমূলক বিবরণ।
বইটিতে ইসলাম ও সংস্কৃতির পার্থক্য একটা লাইফ লাইন চিত্রায়িত হয়েছে। রিডলি দেখান যে, তালেবানের নারী-বিরোধী কর্মকাণ্ড (যেমন মেয়েদের শিক্ষা নিষিদ্ধ করা, বোরকা পরতে বাধ্য করা) স্থানীয় পশতুনওয়ালি নামক উপজাতীয় সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক মতাদর্শের প্রভাব, যা কুরআন ও হাদীসের সার্বজনীন শিক্ষা নয়। তিনি তার গবেষণায় দেখতে পান যে ইসলাম নারীকে শ্রদ্ধা ও মর্যাদা দেয়, নারীর আধ্যাত্মিক সমতা, শিক্ষার অধিকার, এবং সম্পত্তির অধিকারের বিষয়টি কুরআনে স্পষ্টভাবে উল্লেখিত আছে। তালেবানের চরমপন্থী ব্যাখ্যা এ শিক্ষাগুলোর সম্পূর্ণ বিপরীত।
সর্বোপরি, বইটির মূল বার্তা হলো, কোনো একটি চরমপন্থী দলের কর্মকাণ্ড দিয়ে সমগ্র ইসলাম ধর্ম বা বিশ্বের সকল মুসলিম নারীর অবস্থাকে বিচার করা উচিত নয়। বরং ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা হলো ন্যায়বিচার, জ্ঞানার্জন ও নারীর মর্যাদা সংরক্ষণ। তাই ইভোন রিডলির দৃষ্টিতে, পশ্চিমা মিডিয়ায় তালেবান সম্পর্কে যে নেতিবাচক ও একপাক্ষিক ধারণা প্রচলিত, তা তার নিজের অভিজ্ঞতার সাথে পুরোপুরি মেলে না। তালিবানের হাতে বন্দি থাকা অবস্থায় তিনি দেখেছিলেন, তাকে একজন নারী হিসেবে কখনো অসম্মান করা হয়নি বা শারীরিক কিংবা মানসিকভাবে হেনস্থা করার কোনো চেষ্টা করা হয়নি। বরং, তার প্রতি আচরণে ছিল একধরনের সংযম, শিষ্টাচার ও ধর্মীয় মর্যাদা। ইভোন রিডলির মতে, পশ্চিমা প্রচারযন্ত্র যেখানে তালেবানকে নারী-বিদ্বেষী ও বর্বর হিসেবে তুলে ধরে, বাস্তবে তাদের মধ্যে এমন একধরনের ধর্মীয় নৈতিকতা ছিল যা নারীর প্রতি অসম্মানকে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করত। তাই তার চোখে, তালেবান শাসনে নারীদের প্রতি আচরণ নিয়ে প্রচলিত পশ্চিমা বর্ণনা পুরোপুরি সঠিক নয় বা অন্তত একপাক্ষিক।
ইভোন রিডলির গল্প শুধু একটি ধর্মান্তরের গল্প নয়; এটি হলো পক্ষপাত বা অজ্ঞতার দেয়াল ভেঙে সত্যের সন্ধান লাভের গল্প। তালেবানের হাতে বন্দী হওয়া যে কোনো মানুষের জন্যই একটি ভয়াবহ ট্রাজেডি হয়ে থাকতে পারত। কিন্তু ইভোন তার বন্দীদশাকে কাজে লাগিয়েছেন জ্ঞানের আলোয় নিজেকে আলোকিত করার জন্য। একটি প্রতিশ্রুতি থেকে শুরু হওয়া তার এ যাত্রা তাকে এমন এক পথে নিয়ে গেছে, যেখানে তিনি হয়ে উঠেছেন পশ্চিমা বিশ্ব ও মুসলিম বিশ্বের মধ্যে সেতুবন্ধ। তার নিঃসঙ্গ ও অনাড়ম্বর জীবনাচরণ থেকে আমাদের জন্য নিহিত রয়েছে জীবনবোধের গভীরতম শিক্ষা— শর্ত কেবল আমাদেরকে উন্মুক্ত চিত্তে ও সত্যানুসন্ধিৎসু হয়ে তা গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত হতে হবে।



