বাংলাদেশী পর্বতারোহীদের আফ্রিকার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কিলিমাঞ্জারো জয়

১১ সদস্যের এই দলে ছিলেন সাতজন নারী ও চারজন পুরুষ। তাদের এই সাফল্যকে দেশের ক্রমবর্ধমান অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমের জন্য একটি বড় অর্জন হিসেবে দেখা হচ্ছে।

আহমেদ ফয়সাল
বাংলাদেশী পর্বতারোহীদের আফ্রিকার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কিলিমাঞ্জারো জয়
বাংলাদেশী পর্বতারোহীদের আফ্রিকার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কিলিমাঞ্জারো জয় |নয়া দিগন্ত

আফ্রিকার সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ কিলিমাঞ্জারো জয় করেছেন একদল বাংলাদেশী পর্বতারোহী। ১১ সদস্যের এই দলে ছিলেন সাতজন নারী ও চারজন পুরুষ। তাদের এই সাফল্যকে দেশের ক্রমবর্ধমান অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমের জন্য একটি বড় অর্জন হিসেবে দেখা হচ্ছে।

টানা ছয় দিনের পর্বতারোহণ শেষে দলটি পৌঁছায় সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৯ হাজার ৩৪১ ফুট (৫ হাজার ৮৯৫ মিটার) উচু কিলিমাঞ্জারোর চূড়ায়। এটি বিশ্বের সর্বোচ্চ স্বতন্ত্র (ফ্রি-স্ট্যান্ডিং) পর্বতশৃঙ্গ হিসেবে পরিচিত।

দলের সাতজন সদস্য কিলিমাঞ্জারোর সর্বোচ্চ চূড়া ‘উহুরু পিক’ জয় করেন। তারা হলেন মিসকাতুল ফাতিমা, মনিরা সেতু, সারজানা সরওয়াত সানা, মো: রফসানজানী (রাহি), মো: মামুনুর রশিদ, নওশাদ মুসাব্বির হোসেন ও ফয়সাল মাহমুদ।

এছাড়া, দলের সদস্য তাশমিম আলম পৌঁছান স্টেলা পয়েন্টে (৫,৭৫৬ মিটার)। আর আয়েশা সুলতানা ও মমতাজ বেগম পৌঁছান গিলম্যানস পয়েন্টে (৫,৬৮১ মিটার)। এই দুই স্থানকেই চূড়ার পথে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

অভিযান চলাকালীন অপর এক নারী সদস্য কিবোহাট থেকে চূড়ার উদ্দেশে যাত্রা করেননি।

পর্বতারোহী দলের সদস্য মো: রফসানজানী (রাহি) বলেন, ২৯ জুলাই রাত সাড়ে ১১টায় আমরা আমাদের জার্নি শুরু করি। ৩০ জুলাই আমরা বাংলাদেশ থেকে একসাথে ১০ জন আফ্রিকার হায়েস্ট পয়েন্ট কিলিমাঞ্জেরো সামিটে সক্ষম হই এবং সবাই সুস্থ শরীরে নেমে আসি।

১১ সদস্যের এই দলে ছিলেন সাতজন নারী ও চারজন পুরুষ

১২ থেকে ১৬ ঘণ্টাব্যাপী টানা আরোহনের পর সবাই নিরাপদে ক্যাম্পে ফিরে আসেন। অভিযানের পুরো আয়োজন করেছে দেশের অ্যাডভেঞ্চারভিত্তিক ভ্রমণ সংস্থা ‘ট্যুর গ্রুপ বিডি’। প্রতিষ্ঠানটি টেকসই অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে।

বাংলাদেশী দলের এই কৃতিত্ব অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের মাঝে নতুন উদ্দীপনা ছড়াবে বলে মনে করছে ভ্রমণবিষয়ক সংশ্লিষ্ট মহল।