বিশ্বের অষ্টম উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ মানাসলু বিজয়ী তৌফিক আহমেদ তমাল এবার আরো বড় স্বপ্ন দেখছেন।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি তার পরবর্তী লক্ষ্য হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট এবং তার পার্শ্ববর্তী দু’টি আট-হাজারী শৃঙ্গ লোতসে ও মাকালু একসাথে আরোহণের এক দুঃসাহসিক পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন। এই ‘থ্রি-ইন-ওয়ান’ অভিযানের জন্য প্রায় এক লাখ মার্কিন ডলার প্রয়োজন উল্লেখ করে তমাল দেশের করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে পৃষ্ঠপোষকতায় এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানান।
এদিন বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের মিলনায়তনে তৌফিক আহমেদ তমাল তার সফল মানাসলু অভিযানের ‘পতাকা প্রত্যাবর্তন ও সংবাদ সম্মেলন’ অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেন। অনুষ্ঠানে তিনি তার শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন এবং অভিযানে ব্যবহৃত বাংলাদেশের পতাকাটি অতিথিদের হাতে তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পর্বত আরোহণ প্রশিক্ষক ও চলচ্চিত্র গবেষক মীর সামসুল আলম বাবু। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিজাম উদ্দিন, প্রতিষ্ঠাতা, বাংলার ট্রেকার; মুজিবুর রহমান স্কুবা ডাইভিং প্রশিক্ষক ও পর্বতারোহী; এবং ফিউল চৌধুরী রাসেল, ডেপুটি ম্যানেজার, আবুল খায়ের গ্রুপ।
সভাপতির বক্তব্যে মীর সামসুল আলম বাবু বলেন, ‘সারাবিশ্বে পর্বতারোহণ একটি স্বীকৃত খেলা হলেও আমাদের দেশে কিছু প্রতিবন্ধকতার কারণে এটি এখনো ততটা এগোতে পারেনি। তমালের মতো বহু তরুণ রয়েছে যারা সঠিকভাবে সুযোগ পেলে এই খেলায় দেশের জন্য অনেক বড় অর্জন বয়ে আনতে পারবে।’
আবুল খায়ের গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজার শফিউল চৌধুরী রাসেল করপোরেট সমর্থনের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘দেশের বড় প্রতিষ্ঠানগুলো চাইলে তমালের মতো তরুণদের পাশে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের পর্বতারোহণকে এক নতুন দিগন্তে পৌঁছে দিতে পারে।’
উল্লেখ্য, তৌফিক আহমেদ তমাল গত ২৫ সেপ্টেম্বর সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে মানাসলুর ‘ট্রু সামিট’ সম্পন্ন করে বাংলাদেশের পর্বতারোহণের ইতিহাসে এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। তার এ অসামান্য সাফল্য দেশের তরুণদের জন্য এক বিশাল অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করছে।