বাংলাদেশের পর্বতারোহণের ইতিহাসে এক ব্যতিক্রমী অধ্যায়ের সূচনা করেছেন বিকাশ বর্মণ। নেপালের তিন বিখ্যাত শৃঙ্গ- মেরা পিক (৬,৪৭৬ মিটার), আইল্যান্ড পিক (৬,১৬০ মিটার) ও লবুচে ইস্টে (৬,১১৯ মিটার) লাল-সবুজ পতাকা উত্তোলন করেন তিনি।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) স্থানীয় সময় ৬টা ৫১ মিনিটে মেরাপিক সামিট করেন বিকাশ। এর আগে, গত ৪ নভেম্বর ভোরে লবুচে ইস্ট ও ৭ নভেম্বর ভোরে আইল্যান্ড পিক আহরণ করেন তিনি।
বিকাশের এ অভিযান পরিচালনার দায়িত্বে থাকা অল্টিচিউড হান্টার বিডি মাউন্টেইনিয়ারিং ক্লাব এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিকাশ যে তিনটি শৃঙ্গ আরোহণ করেছেন, তার প্রতিটিরই আছে স্বতন্ত্র কিছু বৈশিষ্ট্য। মেরা পিক নেপালের সর্বোচ্চ ট্র্যাকিং পিক। এই শৃঙ্গ থেকে এক নজরে দেখা যায় পৃথিবীর পাঁচটি ৮ হাজার মিটারের পর্বত- এভারেস্ট, লোৎসে, চো-ওইউ, মাকালু ও কানচনজঙ্ঘা। আইল্যান্ড পিক এভারেস্ট অঞ্চলের অন্যতম জনপ্রিয় প্রশিক্ষণমূলক শৃঙ্গ। এই পর্বতে আরোহণ করে এভারেস্টে আরোহণ করার অনুভূতি পাওয়া সম্ভব, যাকে এভারেস্ট আরোহণের প্রশিক্ষণ বলা যায়। আর লবুচে ইস্ট এভারেস্ট বেসক্যাম্প-সংলগ্ন একটি শৃঙ্গ, যেখান থেকে খুম্বু হিমবাহ ও এভারেস্টের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য একেবারে কাছ থেকে দেখা যায়।
অভিযানের শুরুতে পাহাড়ের পাদদেশ থেকে বিকাশ বর্মণ জানিয়েছেন, ‘এই মুহূর্তে এখানকার আবহাওয়ার খুব একটা ভালো নয়। তবে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমার লক্ষ্য ১ নভেম্বর বেসক্যাম্পে থাকার। এরপর বেসক্যাম্প ঘুরে আবার নিচে নেমে আসব। বেসক্যাম্প থেকে ফিরে প্রথমে লবুচে ইস্ট ক্লাইম্ব করব। তারপর আইল্যান্ড পিক এবং এর ৭ দিন পর মেরা পিক।’



