নেপালের হিমলুং হিমাল পর্বত জয়ের অভিযানে যাচ্ছেন বাংলাদেশের পর্বতারোহী। এদের একজন শাহ্ আলম সিদ্দিকী, যিনি লালন সিদ্দিকী নামেও পরিচিত। তিনি পেশায় একজন চিকিৎসক। আরেকজন সালাউদ্দীন আহামেদ, পেশায় কম্পিউটারের প্রকৌশলী।
শনিবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে এ অভিযান নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে লালন সিদ্দিকী ও সালাউদ্দীন আহামেদের ক্লাব গ্রুপ ডি ম্যাডোভেঞ্চারার্স। এ সময় তাদের হাতে তুলে দেয়া হয় জাতীয় পতাকা।
৭ হাজার ১২৬ মিটার উচ্চতার হিমলুং হিমাল নেপালের গান্ধকী প্রদেশে অবস্থিত। এটি অন্নপূর্ণা রেঞ্জের উত্তর-পূর্বে মানাসলু অঞ্চলে, তিব্বত সীমান্তের কোল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে। ১৯৯২ সালে জাপানি একটি দল প্রথম এই পর্বতে আরোহণে সফল হয়। পরে বিশ্বের নানা দেশের অভিযাত্রীরা এটি আরোহণ করেছেন। বাংলাদেশ থেকে এভারেস্টজয়ী ইকরামুল হাসান শাকিল ২০১৯ সালে প্রথম হিমলুং শীর্ষে পৌঁছান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অসংক্রামক রোগ সম্পর্কে দেশের মানুষকে সচেতন করারা লক্ষ্য নিয়ে অভিযান পরিচালনা করবেন দুই অভিযাত্রী। অভিযানের উদ্দেশে তারা যাত্রা শুরু করবেন আগামী ১০ অক্টোবর।
লালন সিদ্দিকী বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা পর্যায়ে সরকারি স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় কাজ করছেন। চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি তিনি দৌড়বিদ ও ট্রায়াথলেট। গত বছর থাইল্যান্ডে ‘আয়রনম্যান ৭০.৩ ’-এ অংশ নিয়ে সফল হয়েছেন। তিনি চলতি বছরের এপ্রিলে নেপালের ৬ হাজার ৪৬১ মিটার উচ্চতার মেরা পিক আরোহন করেন। ইতোপূর্বে তিনি ২০২৩ সালে ৫ হাজার ৩৬৪ মিটার উচ্চতায় এভারেস্ট বেইজক্যাম্প ও থ্রি পাস ট্রেক করেন।
আরেক সদস্য সালাউদ্দীন আহামেদ দেশ-বিদেশের অসংখ্য পাহাড়ি ট্রেইলে অভিযান পরিচালনা করেছেন। ২০২১ সালে অন্নপূর্ণা সার্কিট ট্রেকের মাধ্যমে হিমালয়ে পদচারণা শুরু করেন তিনি। ২০২২ সালে তিনি ভারতের অত্যন্ত জনপ্রিয় মাউন্ট ইউনাম (৬ হাজা ১১৪ মিটার) আরোহণ করেন। তিনিও গত বছর অক্টোবরে সফলভাবে মেরা পিক পর্বতে আরোহণ করেন।

তাদের হিমলুং হিমাল অভিযানে কারিগরি ও লজিস্টিক সাপোর্ট দেবে নেপালের স্বনামধন্য এক্সপেডিশন এজেন্সি ‘৮কে এক্সপেডিশনস’।