সঠিক সময় জেনেই খেতে হবে আম!

আমে রয়েছে ভিটামিন সি, এ, জিংক, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, প্রচুর পরিমাণে মিনারেল, শর্করা ও ক্যালোরি।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
আম
আম |সংগৃহীত

গ্রীষ্ম মানেই ফলের সুবাস। সর্বত্রই দেখা মেলে নানারকম ফল। তবে চাহিদায় অধিকাংশ মানুষের মনে জায়গা দখল করে রাখে আম। রসালো, গন্ধ ও স্বাদে ভরপুর এ ফলটি প্রায় সবারই প্রিয়। জনপ্রিয়তার কারণে আমকে বলা হয়ে থাকে ফলের রাজা।

এদিকে স্বাদ, গন্ধের পাশাপাশি আম একটি পুষ্টিকর ফলও। এতে রয়েছে ভিটামিন সি, এ, জিংক, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, প্রচুর পরিমাণে মিনারেল, শর্করা ও ক্যালোরি।

তবে রসালো এ আম খাওয়ার সঠিক সময় জানেন না অনেকেই। কিংবা অবাক হয়ে উঠেন আম খাওয়ার সঠিক সময়ের কথা শুনেও। ভুল সময়ে আম খেলে অনেক সমস্যাই হতে পারে। শুধু তাই নয়, আম খাওয়ার আগে কিছু ছোট ছোট বিষয়ও মাথায় রাখা উচিত বলে জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদরা।

জেনে নেয়া যাক আম খাওয়ার সঠিক নিয়মগুলো-

বাজার থেকে আনার পর অথবা রেফ্রিজারেটর থেকে বের করার পর সরাসরি আম খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। সর্বদা এটি খাওয়ার প্রায় দু’ ঘণ্টা আগে পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। খাওয়ার আগে আবারো পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে আমের মধ্যে উপস্থিত থার্মোজেনিক বৈশিষ্ট্য হালকা হয়ে যায়। যা যেকোনো সমস্যার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।

ফলের সম্পূর্ণ পুষ্টিগুণ পেতে এবং শরীরের ওপর ভালো প্রভাব ফেলতে সন্ধ্যার পর আম খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। একইসাথে সকালের নাস্তায় আম খাওয়ার ভুল করা যাবে না। এদিকে খালি পেটে আম খাওয়া একদমই অনুচিত।

এদিকে মানুষ প্রায়ই ভারী খাবার খাওয়ার পর আম খেতে পছন্দ করে। এটি প্রতিদিনের খাবারের পর খাওয়া উচিত নয়।

সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে আম খাওয়া সবচেয়ে ভালো সময় বলে জানিয়েছেন পুষ্টিবিদরা।

তবে আম খাওয়া নিয়ে সবচেয়ে বেশি ভয়ে থাকেন ডায়াবেটিস রোগীরা। আমে প্রচুর পরিমাণে শর্করা মানে চিনি থাকার ফলেই ডায়াবেটিসের রোগীরা পাকা আম খাওয়া থেকে দূরে থাকেন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু নিয়ম মেনে আম খেলে কোনো বিপদ হবে না।

পুষ্টিবিদরা বলছেন, একটা বড় আম একবারে পুরোটা না খেয়ে কয়েকবারে খেতে হবে তাদের। সম্ভব হলে তা সকাল ও বিকেলে ভাগ করে খেতে হবে। এতে সুগার লেভেল বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে না। শুধু ডায়াবেটিসের রোগীরাই নন প্রত্যেকেই এভাবে আম খাওয়ার অভ্যাস করলে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি ও ওজন বৃদ্ধির মতো বিষয়গুলো এড়িয়ে চলা যাবে।

এদিকে আম ফল হিসেবেই খেলে শরীরের উপকার হয় বেশি। তবে তা রূপান্তরিত করে যেমন জুস, পুডিং, আচার ইত্যাদি বানিয়ে খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে বলছেন চিকিৎসকরা।

তবে শশার সাথে আম খেলে তাতে গ্লুকোজ নিঃসরণ হয় ধীরগতিতে। আর এভাবে আম খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা চট করে বাড়বে না।

এসব নিয়ম মেনে চলার পাশাপাশি শরীরের সমস্যা অনুযায়ী চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদের পরামর্শ মেনে চলতে হবে। অবশ্যই রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ম করে মেপে দেখতে হবে।