ইসরাইলি বসতিতে কার্যক্রম চালানো ১৫৮ কোম্পানির তালিকা প্রকাশ জাতিসঙ্ঘের

২০২০ সালে জাতিসঙ্ঘ মানবাধিকার কার্যালয় প্রথমবার এ ধরনের তালিকা প্রকাশ করে। যেসব কোম্পানি ইসরাইলি বসতিতে নির্মাণকাজ, নজরদারি, উচ্ছেদ, কৃষিজমি ধ্বংসসহ ১০টি নির্দিষ্ট কার্যক্রমে জড়িত, তাদের তালিকাভুক্ত করতে বলা হয়।

নয়া দিগন্ত অনলাইন

জাতিসঙ্ঘ শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ইসরাইলি বসতিতে কার্যক্রম চালানো ১১টি দেশের ১৫৮টি কোম্পানির তালিকা প্রকাশ করেছে।

এয়ারবিএনবি, বুকিং ডটকম, মটোরোলা সলিউশন্স ও ট্রিপ অ্যাডভাইজরের মতো বড় প্রতিষ্ঠানগুলো তালিকায় রয়েছে। তবে এ তালিকা পূর্ণাঙ্গ নয়। এর বাইরেও আরো কোম্পানি থাকতে পারে।

জেনেভা থেকে এএফপি জানিয়েছে, তালিকায় থাকা বেশিভাগ প্রতিষ্ঠান ইসরাইলভিত্তিক। বাকিগুলো কানাডা, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, লুক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ডস, পর্তুগাল, স্পেন, ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক।

প্রতিবেদনে কোম্পানিগুলোকে আহ্বান জানানো হয়েছে, তারা যেন তাদের কার্যক্রমে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায় যথাযথ পদক্ষেপ নেয়।

জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক ইসরাইলের পশ্চিমতীরে ‘ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে বসতি স্থাপনের নীতিকে যুদ্ধাপরাধ’ বলে নিন্দা করে বলেন, এই প্রতিবেদন সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে ব্যবসা কার্যক্রম চালানো প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্ববোধকে তুলে ধরে, যাতে তাদের কার্যক্রমে মানবাধিকার লঙ্ঘিত না হয়।

২০২০ সালে জাতিসঙ্ঘ মানবাধিকার কার্যালয় প্রথমবার এ ধরনের তালিকা প্রকাশ করে। তখন ইসরাইল এর কঠোর সমালোচনা করে। ২০১৬ সালে মানবাধিকার পরিষদের একটি প্রস্তাবে দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে মুনাফাভিত্তিক ব্যবসায় জড়িত প্রতিষ্ঠানের এ তালিকা তৈরির দাবি জানানো হয়।

যেসব কোম্পানি বসতিতে নির্মাণকাজ, নজরদারি, উচ্ছেদ, কৃষিজমি ধ্বংসসহ ১০টি নির্দিষ্ট কার্যক্রমে জড়িত, তাদের তালিকাভুক্ত করতে বলা হয়। তবে জাতিসঙ্ঘ বারবার জোর দিয়ে বলেছে, ‘এই তালিকা তৈরি কোনো বিচারিক বা আধা-বিচারিক প্রক্রিয়া নয়।’

নিয়ম অনুযায়ী প্রতি বছর হালনাগাদ হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত ২০২৩ সালে মাত্র একবার তালিকা সংশোধন করা হয়। তখন মূল তালিকার ১১২টি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পর্যালোচনা করা হয়। এর মধ্যে ১৫টি বাদ পড়ে এবং বাকি থাকে ৯৭টি।

শুক্রবার প্রকাশিত তালিকায় নতুন নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। মানবাধিকার কার্যালয় জানায়, ২০২৩ সালে প্রকাশিত তালিকায় ৬৮টি নতুন প্রতিষ্ঠান যোগ করা হয়েছে। তবে এর মধ্যে সাতটি বাদ পড়েছে। কারণ তারা ওই কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছে না।

ইসরাইল ও এর প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র ২০২০ সালে কঠোরভাবে এই তালিকা তৈরির নিন্দা জানায়। সাবেক ইসরাইলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইল কাটজ এটিকে ‘একটি লজ্জাজনক আত্মসমর্পণ’ বলে আখ্যায়িত করেন।

সূত্র : বাসস