তুরস্কের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বড়দিন ও নববর্ষের অনুষ্ঠানকে লক্ষ্য করে পরিকল্পিত হামলা নস্যাৎ করা হয়েছে। এ সময় তথাকথিত ইসলামিক স্টেট (আইএস) গোষ্ঠীর সন্দেহভাজন ১০০ জনের বেশি সদস্যকে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দেশটির প্রধান কৌঁসুলি জানান, ইস্তাম্বুলজুড়ে ১২৪টি ঠিকানায় একযোগে অভিযান চালানো হয়। এ সময় আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ ও নথিপত্র জব্দ করা হয়।
কর্তৃপক্ষ বলছে, আইএস সমর্থকরা চলতি সপ্তাহে তুরস্কজুড়ে হামলার সক্রিয় পরিকল্পনা করছিল, বিশেষ করে অমুসলিমদের লক্ষ্য করে।
এ ঘটনায় এক সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়, পুলিশ ১১৫ জন সন্দেহভাজনকে আটক করেছে, তবে আরো ২২ জনকে খুঁজে বের করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
কৌঁসুলির দফতর জানিয়েছে, সন্দেহভাজনরা তুরস্কের বাইরে থাকা আইএসের কার্যক্রমে জড়িতদের সাথে যোগাযোগ করছিল। এই ঘোষণা আসে এমন এক অভিযানের দু’ দিন পর, যখন তুরস্কের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তে গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে অভিযান চালায়।
ওই অভিযানে এক তুর্কি নাগরিককে আটক করা হয়, যিনি ওই অঞ্চলে পরিচালিত আইএস শাখায় জ্যেষ্ঠ ভূমিকা পালন করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলার পরিকল্পনার অভিযোগ আনা হয়েছে।
তুরস্কের নিরাপত্তা বাহিনী নিয়মিতভাবে আইএসের সাথে সন্দেহভাজন সংযোগ থাকা ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে অভিযান চালায়। দেশটির সাথে সিরিয়ার প্রায় ৯০০ কিলোমিটার (৫৬০ মাইল) দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে, যেখানে গোষ্ঠীটি এখনো দেশের কিছু অংশে সক্রিয়।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা আইএসের অবশিষ্ট উপাদান নির্মূলে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের সাথে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন।
এর আগে, তিনজন মার্কিন নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়াজুড়ে গোষ্ঠীটির অবস্থান লক্ষ্য করে এক দফা বিমান হামলা চালায়। চলতি মাসের শুরুতে এক হামলায় আইএসের বন্দুকধারীদের অতর্কিত আক্রমণে দুই মার্কিন সেনা ও এক বেসামরিক দোভাষী নিহত হন।
সূত্র : বিবিসি


