২০২৬ সালে জাতিসঙ্ঘের বাজেট ১৫ শতাংশ কমানোর প্রস্তাব করেছেন সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতির কারণে সৃষ্ট দীর্ঘস্থায়ী তারল্য সংকটের কারণে তিনি এই প্রস্তাব দিয়েছেন।
নিউইয়র্কে জাতিসঙ্ঘের সদর দফতর থেকে বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, জাতিসঙ্ঘের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, সংশোধিত বাজেট ৩.২৩৮ বিলিয়ন ডলার। এর ফলে দুই হাজার ৬৮১ জনকে চাকরি হারাতে হবে।
গুতেরেস এর আগে ২০২৬ সালের বাজেট ২০২৫ সালের সমান স্তরে রাখার প্রস্তাব করেছিলেন, যা প্রায় ৩.৭ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু পরে তিনি সংস্থাকে আরো দক্ষ ও গতিশীল একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ইউএন-৮০ উদ্যোগের অংশ হিসেবে এই পরিমাণ কমানোর জন্য কাজ করেন।
মঙ্গলবার সদস্যরাষ্ট্র ও জাতিসঙ্ঘ কর্মীদের কাছে পাঠানো চিঠিতে মহাসচিব ঘোষণা করেন, নিয়মিত বাজেটের ১৫ শতাংশ এবং কর্মীসংখ্যার ১৯ শতাংশ কমানো হবে। তিনি বলেন, কর্তনের প্রভাব জাতিসঙ্ঘের তিনটি স্তম্ভ- শান্তি ও নিরাপত্তা, মানবাধিকার ও টেকসই উন্নয়নে প্রভাব পড়বে।
এদিকে জাতিসঙ্ঘের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, জেনেভা ও নিউইয়র্ক থেকে কমপক্ষে ২০০ জনকে নাইরোবির মতো কম ব্যয়বহুল শহরে স্থানান্তর করা হতে পারে। প্রস্তাবিত বাজেটটি বছরের শেষের আগে সাধারণ পরিষদে ভোটাভুটির জন্য উপস্থাপন করা হবে।
কিছু সদস্য রাষ্ট্র তাদের বাধ্যতামূলক অবদান সম্পূর্ণরূপে পরিশোধ না করায় এবং অন্যরা সময়মতো পরিশোধ না করায় জাতিসঙ্ঘ বছরের পর বছর ধরে দীর্ঘস্থায়ী তারল্য সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র সাধারণত জাতিসঙ্ঘের নিয়মিত বাজেটের ২২ শতাংশ বহন করে। এটি মূল সাংগঠনিক কার্যক্রমের জন্য অর্থ প্রদান করে এবং শান্তিরক্ষা বাজেট থেকে আলাদা।
জাতিসঙ্ঘের মতে, জানুয়ারির শেষে ওয়াশিংটনের কাছে ১.৫ বিলিয়ন ডলার বকেয়া ছিল। কিন্তু ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর থেকে কিছুই পরিশোধ করেনি।
ভবিষ্যতে সংস্থাটিতে মার্কিন অনুদান অনিশ্চিত। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই জাতিসঙ্ঘের বেশ কয়েকটি সংস্থা ত্যাগ করেছে এবং কংগ্রেস জুলাই মাসে পূর্বে অনুমোদিত তহবিল বাতিল করার পক্ষে ভোট দিয়েছে।
সূত্র : বাসস



