ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সাথে একটি ‘মৈত্রী চুক্তি’ স্বাক্ষর করতে বৃহস্পতিবার লন্ডন সফরে যাবেন জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জ। এই উদ্যোগ ব্রিটেনের পক্ষ থেকে ইউরোপীয় প্রতিবেশীদের সাথে ব্রেক্সিট-পরবর্তী সম্পর্ক উন্নয়নের অংশ।
বার্লিন থেকে এএফপি জানায়, তারা ইউক্রেনের প্রতি চলমান সমর্থন নিয়েও আলোচনা করবেন। আশা করা হচ্ছে অন্যান্য ন্যাটো দেশের অর্থায়নে কিয়েভে অস্ত্র পাঠানোর বিষয়ে লন্ডন ও বার্লিন উভয়েই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনায় ভূমিকা রাখবেন।
এটি চ্যান্সেলর মার্জের প্রথম যুক্তরাজ্য সফর। যদিও তিনি এর আগেও স্টারমারের সাথে একাধিকবার সাক্ষাৎ করেছেন। যার মধ্যে একটি ছিল মে মাসের শুরুর দিকে ইউক্রেনে তাদের যৌথ সফর।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর যুক্তরাজ্যে রাষ্ট্রীয় সফরের এক সপ্তাহ পরে মার্জের এই সফর হচ্ছে। পাঁচ বছর আগে যুক্তরাজ্য ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) ছেড়ে যাওয়ার পর থেকে কোনো ইইউ রাষ্ট্রপ্রধানের এটিই প্রথম সফর।
জার্মানি ও ব্রিটেনের মধ্যে স্বাক্ষরিত নতুন চুক্তিতে বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতিসহ পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি অন্তর্ভুক্ত থাকবে। চুক্তির খসড়ায় বলা হয়েছে, একটি দেশের জন্য কৌশলগত হুমকি অপর দেশের জন্যও সমান কৌশলগত হুমকি। এছাড়াও সশস্ত্র আক্রমণের ক্ষেত্রে একে অপরকে সামরিক সহায়তাসহ সাহায্যের প্রতিশ্রুতি থাকবে।
দুই দেশ ইতোমধ্যে গতবছরের অক্টোবরে প্রতিরক্ষা চুক্তি করেছে। গত মে মাসে ঘোষণা দিয়েছে, তারা দীর্ঘপাল্লার স্ট্রাইক ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়নে একসাথে কাজ করবে।
এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা আগামী এক দশকের মধ্যে প্রস্তুত হবে বলে বৃহস্পতিবার ঘোষণা দেবেন মার্জ ও স্টারমার। যুক্তরাজ্য থেকে জার্মানিতে প্রতিরক্ষা রপ্তানি বৃদ্ধির বিষয়ে নতুন চুক্তিও ঘোষণা করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে বোক্সার সাঁজোয়া যান ও টাইফুন যুদ্ধবিমান।
সূত্র : বাসস