রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বুধবার (৫ নভেম্বর) তার শীর্ষ কর্মকর্তাদের পারমাণবিক অস্ত্রের সম্ভাব্য পরীক্ষার জন্য প্রস্তাবনা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর থেকে রাশিয়া কোনো পারমাণবিক বিস্ফোরণ পরীক্ষা চালায়নি।
এর আগে, গত সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা চালানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন। তার প্রতিক্রিয়ায় পুতিন এই আদেশ দিয়েছেন। যা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী দুটি দেশ এমন একটি পরিস্থিতিতে পৌঁছেছে যা ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা তীব্রভাবে বাড়িয়ে তুলতে পারে।
টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে পুতিন বলেন, ‘আমি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, বিশেষ পরিষেবা ও প্রাসঙ্গিক বেসামরিক সংস্থাগুলোকে এই বিষয়ে অতিরিক্ত তথ্য সংগ্রহ, নিরাপত্তা পরিষদে বিশ্লেষণ ও পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতির সম্ভাব্য কাজ শুরু করার বিষয়ে প্রস্তাব তৈরির নির্দেশ দিচ্ছি।’
পুতিন তার নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকে এই নির্দেশনা জারি করেছেন। সেখানে সংসদীয় স্পিকার ভিয়াচেস্লাভ ভোলোডিন পরিবহন নিরাপত্তার আনুষ্ঠানিক অ্যাজেন্ডা থেকে সরে এসে জিজ্ঞাসা করেন, ৩৩ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোয় ট্রাম্পের পরিকল্পনার প্রতি মস্কো কিভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে। এরপরই পুতিন এই নির্দেশনা দেন।
গত কয়েক সপ্তাহে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের তীব্র অবনতি ঘটেছে। ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে অগ্রগতির অভাবে কারণে ক্রমশ হতাশ হয়ে পড়েছেন ট্রাম্প। তিনি সম্প্রতি পুতিনের সাথে একটি পরিকল্পিত শীর্ষ সম্মেলন বাতিল করেন। একইসাথে জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর প্রথমবারের মতো রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।
সূত্র : রয়টার্স



