রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সই হওয়া পরমাণু অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তির মেয়াদ আরো এক বছর বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন। অস্ত্রের সংখ্যা সীমিত রাখতে ২০১০ সালে ‘নিউ স্টার্ট চুক্তি’ স্বাক্ষর করে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। সেই চুক্তির মেয়াদ আগামী ফেব্রুয়ারিতে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট বলেছেন, পুতিনের প্রস্তাবটি ‘বেশ ভালো’ শোনাচ্ছে। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই এই প্রস্তাবের বিষয়ে আলোচনা করবেন।
চুক্তিটি যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার শেষ কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি। এতে কেবল একবার পাঁচ বছরের মেয়াদ বৃদ্ধির সুযোগ ছিল, যা পুতিন ও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ২০২১ সালে কার্যকর করেছিলেন।
পুতিন বলেন, ‘নিউ স্টার্ট চুক্তির অধীনে নির্ধারিত প্রধান সংখ্যাগত সীমাবদ্ধতাগুলো ২০২৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারির পর আরও এক বছরের জন্য মেনে চলতে প্রস্তুত রয়েছে রাশিয়া। পরে পরিস্থিতি বিশ্লেষণের ভিত্তিতে আমরা স্বেচ্ছায় আরোপিত বিধিনিষেধগুলো বজায় রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’
এর আগে, ট্রাম্প জুলাই মাসে বলেছিলেন, তিনি ২০১০ সালের নিউ স্টার্ট চুক্তিতে নির্ধারিত কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের সীমা ৫ ফেব্রুয়ারি মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও বজায় রাখতে চান।
রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক অস্ত্রাগার রয়েছে। অনেক বিশেষজ্ঞ আশঙ্কা করছেন, সীমাবদ্ধতাগুলো শেষ হলে উভয়পক্ষ কৌশলগত অস্ত্র মোতায়েন বাড়াতে পারে। এতে অস্ত্র প্রতিযোগিতা আরো তীব্র হতে পারে।
চুক্তি অনুযায়ী, উভয় পক্ষের জন্য মোতায়েন করা কৌশলগত পারমাণবিক ওয়ারহেডের সংখ্যা ১৫৫০ এবং ক্ষেপণাস্ত্র, সাবমেরিন ও বোমারু বিমানের সংখ্যা ৭০০-এর মধ্যে সীমিত থাকবে।
সূত্র : রয়টার্স