ইউক্রেনজুড়ে রাশিয়ার ড্রোন ও ক্ষেপনাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো কয়েক ডজন মানুষ। ইউক্রেনের দেশটির জাতীয় পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) রাতভর হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির আজ বুধবার তুরস্কে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। সেখানে তিনি দুই বছর আগে রাশিয়ার পূর্ণ মাত্রার আগ্রাসনের ফলে সৃষ্ট যুদ্ধের অবসান নিয়ে আলোচনা পুনরুজ্জীবিত করার আশা করছেন।
তিনি বুধবার একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দেয়া বার্তায় মিত্রদের কাছ থেকে বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র সহায়তার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘সাধারণ জীবনের বিরুদ্ধে প্রতিটি নির্লজ্জ আক্রমণ দেখায় যে রাশিয়ার ওপর পর্যাপ্ত চাপ দেয়া হচ্ছে না। কার্যকর নিষেধাজ্ঞা ও ইউক্রেনের প্রতি সহায়তা এই পরিস্থিতি পরিবর্তন করতে পারে।’
তিনি আরো বলেন, ইউক্রেনের ওপর হামলায় রাশিয়া ৪৭০টির বেশি ড্রোন ও ৪৮টি ক্ষেপনাস্ত্র ব্যবহার করেছে। হামলায় টেরনোপিলে কমপক্ষে নয়জন নিহত এবং আরো কয়েক ডজন আহত হয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচে কিছু মানুষ আটকা থাকতে পারে।
ইউক্রেনের জ্বালানি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাশিয়ার হামলার ফলে বেশ কয়েকটি অঞ্চলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির সম্পূর্ণ পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, টেরনোপিলে একটি বহুতল আবাসিক ভবন হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যদিকে একজন প্রত্যক্ষদর্শী রয়টার্স সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, হামলার সময় লভিভে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছিল।
এদিকে আঞ্চলিক গভর্নর ম্যাকসিম কোজিটস্কি টেলিগ্রামে বলেন, হামলায় লভিভ অঞ্চলের একটি জ্বালানি কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং একটি শিল্প কেন্দ্রে আঘাত হেনেছে। কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও এ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দেয়া হয়নি।
সূত্র : আল জাজিরা



