ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের একটি গ্রামে বিমান হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে ২৪ জন নিহত এবং আরো ১৯ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের অধিকাংশই প্রবীণ বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। হামলা হওয়া অঞ্চলটি মূলত যুদ্ধের ফ্রন্টলাইনের কাছেই অবস্থিত।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে পেনশন বিতরণের সময় হামলাটি ঘটেছে। নিকটবর্তী শহর লাইম্যানের স্থানীয় প্রশাসনের প্রধান ওলেকসান্ডার ঝুরাভলিওভ ইউক্রেনের পাবলিক ব্রডকাস্টার সাসপিলনেকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, হতাহতরা ‘সাধারণ বেসামরিক নাগরিক’। তারা দোনেৎস্ক অঞ্চলের ইয়ারোভা থেকে পেনশন সংগ্রহ করছিলেন। এদিকে আঞ্চলিক প্রধান ভাদিম ফিলাশকিন বলেছেন, জরুরি পরিষেবাগুলো ঘটনাস্থলে উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছে। তারা বাসিন্দাদের ‘নিরাপদ অঞ্চলে সরে যাওয়ার’ আহ্বান জানিয়েছে।
স্লোভিয়ানস্কের উত্তরে ফ্রন্টলাইনের মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে ইয়ারোভা অবস্থিত। রুশ বাহিনী পূর্বাঞ্চলে ধীরে ধীরে অগ্রসর হওয়ায় এ অঞ্চল বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ।
বিবিসি বলছে, নিহতের সংখ্যা যদি নিশ্চিত হওয়া যায়, তাহলে রাশিয়ার পূর্ণাঙ্গ আগ্রাসনের ৪২ মাস পর সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইউক্রেনে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর এটিই হবে সবচেয়ে বড় হামলার মধ্যে একটি। এর আগে, আগস্টের শেষের দিকে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে রাশিয়ার রাতভর বিমান হামলায় ২৩ জন নিহত হন।
গত সপ্তাহান্তে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে যুদ্ধ শুরুর পর আকাশপথে সবচেয়ে বড় হামলা চালায় রাশিয়া। হামলায় কিয়েভে অবস্থিত প্রধান সরকারি ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জেলেনস্কির ভাষায়, এটি ছিল যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করার লক্ষ্যে ‘নির্মম আক্রমণ’। ওই হামলার ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে জেলেনস্কি বলেন, এই হামলার বর্ণনা দেয়ার মতো কোনো শব্দ নেই।
রুশ সেনাদের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য আসেনি।
সূত্র : বিবিসি