ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা সতর্ক করে বলেছেন, ইউক্রেনের সীমানা জোর করে পরিবর্তন করা যাবে না। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে ইউক্রেন ইস্যুতে আলাস্কায় শীর্ষ বৈঠকের তিন দিন আগে ইইউ’র পক্ষ থেকে এই সতর্কবার্তা এসেছে।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বিবিসি এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।
এক বিবৃতিতে ইউরোপীয় নেতারা বলেছেন, ইউক্রেনের জনগণের তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের স্বাধীনতা থাকা উচিত। বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, আঞ্চলিক অখণ্ডতার নীতিগুলোকে অবশ্যই সম্মান করতে হবে এবং আন্তর্জাতিক সীমানা জোর করে পরিবর্তন করা উচিত নয়।
বিবৃতিতে ২৭ জন নেতার মধ্যে ২৬ জন স্বাক্ষর করেছেন। স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে হাঙ্গেরির নেতা ভিক্টর অরবানের নাম নেই। রাশিয়ার সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখা অরবান বারবার ইউক্রেনের প্রতি ইইউয়ের সহায়তা আটকে দেয়ার চেষ্টা করেছেন।
এই বিবৃতিতে ইউক্রেনে মস্কোর কর্মকাণ্ড নিয়ে ইউরোপের উদ্বেগের কথা তুলে ধরা হয়েছে। বিশেষ করে রাশিয়ার সীমান্তবর্তী দেশগুলো এবং সোভিয়েত দখলদারিত্বের স্মৃতি এখনো যেসব দেশে রয়ে গেছে, তারা সম্ভাব্য হুমকিকে খুবই গুরুত্বের সাথে দেখছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সুইডেন ও ফিনল্যান্ড ন্যাটোতে যোগ দিয়েছে, বাল্টিক দেশগুলো বাধ্যতামূলক সামরিক সেবা ফিরিয়ে এনেছে এবং পোল্যান্ড রাশিয়ার সীমানায় নিরাপত্তা জোরদারে বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছে।
ইউরোপের ইতিহাসে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে দেশগুলোর সীমান্ত পরিবর্তনের ঘটনা বহুবার ঘটেছে। তাই ইউক্রেনের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র এমন কিছু মেনে নিতে পারে, এই আশঙ্কা ইইউয়ের কাছে অত্যন্ত উদ্বেগজনক। যেসব এলাকা রাশিয়া বলপ্রয়োগের মাধ্যমে দখল করেছে, সেগুলোর ওপর আইনি স্বীকৃতি দেয়া ইইউয়ের কাছে একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।
ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেন, যেকোনো শান্তি চুক্তিতে ‘কিছু ভূখণ্ড বিনিময়’ অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। এতে রাশিয়া পূর্ব ইউক্রেনের পুরো দনবাস অঞ্চল এবং ক্রিমিয়া ধরে রাখবে। এর বিনিময়ে তারা আংশিকভাবে দখল করা খেরসন ও জাপোরিঝিয়া অঞ্চল ছেড়ে দেবে।