রাশিয়ার ওপর ‘অর্থনৈতিক চাপ’ বৃদ্ধি নিয়ে ইইউ প্রধান ও ট্রাম্পের মধ্যে আলোচনা

ট্রাম্প মস্কোকে শাস্তি দেয়ার আগে মিত্রদের রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করার দাবি জানান। এর পাশাপাশি তিনি চীনের ওপর শুল্ক আরোপের কথাও বলেন।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রধান উরসুলা ভন দার লিয়েন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রধান উরসুলা ভন দার লিয়েন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প |সংগৃহীত

ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার ওপর আরো শক্ত চাপ প্রয়োগের অতিরিক্ত পদক্ষেপ নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রধান উরসুলা ভন দার লিয়েন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আলোচনা করেছেন।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ইইউ প্রধানের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে।

লিয়েন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক বার্তায় বলেছেন, ‘অতিরিক্ত পদক্ষেপের মাধ্যমে রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক চাপ বৃদ্ধির জন্য যৌথ প্রচেষ্টা জোরদার করার বিষয়ে ট্রাম্পের সাথে আমার ভালো আলোচনা হয়েছে।’

ইইউ নির্বাহী শিগগির ২০২২ সালে ইউক্রেন হামলার পর থেকে রাশিয়ার ওপর ইইউ নিষেধাজ্ঞার ১৯তম প্যাকেজের জন্য তার প্রস্তাব উপস্থাপন করবেন। এতে ক্রিপ্টো, ব্যাংক ও জ্বালানি লক্ষ্য করে ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত থাকবে বলে জানান তিনি।

ট্রাম্প মস্কোকে শাস্তি দেয়ার আগে মিত্রদের রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করার দাবি জানান। এর পাশাপাশি তিনি চীনের ওপর শুল্ক আরোপের কথাও বলেন।

২৭টি দেশের সমন্বয়ে গঠিত ইইউ ইতোমধ্যেই ২০২২ সালে ইউক্রেনে হামলার পর রাশিয়ার বেশিভাগ তেল আমদানি নিষিদ্ধ করে দিয়েছে এবং ২০২৭ সালের শেষ নাগাদ রাশিয়ার সব তেল ও গ্যাস পর্যায়ক্রমে বন্ধ করার পরিকল্পনা করছে।

ভন দার লিয়েন ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, ব্রাসেলস দ্রুত পদক্ষেপ নিতে চাইছে। তিনি বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে আয়ের ওপর নির্ভর করে রাশিয়ার যুদ্ধ অর্থনীতি ইউক্রেনে রক্তপাতের জন্য অর্থায়ন করছে। এর অবসান ঘটাতে, ইউরোপীয় কমিশন রাশিয়ার জীবাশ্ম আমদানি দ্রুত বন্ধ করার প্রস্তাব করবে।

সূত্র : বাসস