ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজি ২০০৭ সালের নির্বাচনী প্রচারণায় লিবিয়ায় অর্থায়নের মামলায় ‘অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের’ অভিযোগে পাঁচ বছরের কারাভোগ শুরু করেছেন। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকালে তিনি কারাগারে পৌঁছেছেন।
সম্প্রচারকমাধ্যম বিএফএম টিভি অনুসারে, সারকোজি প্যারিসের লা সান্তে কারাগারে পৌঁছেছেন। তিনিই প্রথম সাবেক ফরাসি প্রেসিডেন্ট যাকে আনুষ্ঠানিকভাবে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
সারকোজির আইনজীবী ক্রিস্টোফ ইনগ্রেন বিএফএম টিভিকে বলেছেন, তার মুক্তির জন্য ‘খুব দ্রুত’ অনুরোধ করা হবে। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, আপিল আদালতের রায়ের আগে তাকে ‘তিন সপ্তাহ থেকে এক মাস’ কারাগারে থাকতে হবে। এদিকে সারকোজির বাড়ির কাছে তাকে সমর্থন জানাতে ১০০ জনেরও বেশি মানুষ জড়ো হয়েছিল।
বাড়ি ছাড়ার আগে সারকোজি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক বার্তা শেয়ার করেন। তিনি বলেন, ‘আমি এই বিচারিক কেলেঙ্কারির নিন্দা জানিয়ে যাব, এই অগ্নিপরীক্ষা আমি দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে সহ্য করে আসছি। সামান্যতম অর্থায়ন ছাড়াই অবৈধ অর্থায়নের একটি মামলা! দীর্ঘমেয়াদী বিচারিক তদন্ত শুরু হয়েছে একটি নথির ভিত্তিতে যার মিথ্যাচার এখন প্রমাণিত হয়েছে।’
সারকোজি জোর দিয়ে বলেন, তিনি কোনো সুবিধা বা অনুগ্রহ চান না।
২০০৭ সালের নির্বাচনী প্রচারণায় লিবিয়ায় অর্থায়নের মামলায় ষড়যন্ত্রের দায়ে গত মাসে সাবেক এই ফরাসি প্রেসিডেন্টকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
আদালত সারকোজিকে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের জন্য দোষী সাব্যস্ত করলেও তাকে নিষ্ক্রিয় দুর্নীতি ও অন্যান্য অবৈধ অর্থায়নের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। তবে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
সারকোজি ২০০৭ সালে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এবং ২০১২ সাল পর্যন্ত এই পদে দায়িত্ব পালন করেন।
সূত্র : আনাদোলু অ্যাজেন্সি



