যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠকের পর ইউক্রেনে শান্তি চুক্তিতে পৌঁছানোর গতি অনেকটাই কমে গেছে বলে বুধবার (৯ অক্টোবর) জানিয়েছে রাশিয়া। ফলে সাড়ে তিন বছর ধরে চলমান যুদ্ধের দ্রুত অবসানের আশা ক্ষীণ হয়ে আসছে।
গত আগস্ট মাসে দুই দেশের নেতা আলাস্কার অ্যাঙ্কোরেজ শহরের একটি বিমান ঘাঁটিতে বৈঠক করেন। কিন্তু সে সময় ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে কোনো ধরনের শান্তি চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হন তারা। সংঘাতের অবসানের জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টাও তখন থেকে স্থবির হয়ে যায়। এদিকে মস্কো ও কিয়েভ উভয়ই একে অপরের ভূখণ্ডে ব্যাপক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
রুশ বার্তাসংস্থাগুলো রাশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভের একটি বক্তব্য প্রকাশ করেছে। তিনি বলেছেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত, আমাদের স্বীকার করতে হবে যে চুক্তির পক্ষে অ্যাঙ্কোরেজে যে শক্তিশালী গতির সৃষ্টি হয়েছিল, তা হারিয়ে গেছে।’
এই অচলাবস্থার জন্য তিনি ইউরোপকে দায়ী করে অভিযোগ করেন, তারা শেষ পর্যন্ত ইউক্রেন যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চায়।
হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই পুতিনের সাথে যোগাযোগ করেন ট্রাম্প। তিনি নিজেকে একজন নিরপেক্ষ মধ্যস্থতাকারী হিসেবে উপস্থাপন করলেও ক্রেমলিনের কাছ থেকে তিনি কোনো বড় ছাড় পেতে ব্যর্থ হন। এরপর থেকেই ট্রাম্প মস্কোর প্রতি ক্রমেই বিরক্ত হয়ে উঠেছেন।
সেপ্টেম্বরে তিনি নিজ মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক বার্তায় বলেন, কিয়েভের উচিত ইউরোপ ও ন্যাটোর সহায়তায় তার সব দখল করা অঞ্চল পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করা। গত মাসেই মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ফক্স নিউজকে বলেন, ইউক্রেনে দূরপাল্লার টমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর কথা বিবেচনা করছে ওয়াশিংটন।
পুতিন আগেই সতর্ক করে বলেছিলেন, এই ধরনের পদক্ষেপ ‘নতুন করে উত্তেজনা’ বাড়াবে। বুধবার রিয়াবকভ বলেন, ইউক্রেনে টমাহকস ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর পরিণতি ‘ভয়াবহ’ হবে। তিনি ওয়াশিংটনকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানান।
সূত্র : এএফপি