ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা অভিমুখে মানবিক ত্রাণ নিয়ে যাত্রা করা নৌবহরের বেশ কয়েকটি নৌযান ইসরাইলি বাহিনী আটক করার পর ইউরোপজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বুধবার (১ অক্টোবর) রাতেই ইতালি, স্পেন, জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও বেলজিয়ামের ফিলিস্তিনিপন্থী আন্দোলনকারীরা রাস্তায় নেমেছেন।
৪৪টি নৌযান ও প্রায় ৫০০ মানবাধিকারকর্মী নিয়ে যাত্রা করা গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার কমপক্ষে ১৩টি নৌযান গাজা উপকূল থেকে প্রায় ৭০ নটিক্যাল মাইল (১৩০ কিলোমিটার) দূরে আটক করা হয়। সেখান থেকে সুইডিশ মানবাধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গসহ বেশ কয়েকজন মানবাধিকারকর্মীকে আটক করেছে ইসরাইলি নৌবাহিনী।
এদিকে ইসরাইলি বাহিনীর ফ্লোটিলার নৌযান আটকে দেয়ার প্রতিবাদে ইতালির রাজধানী রোমে ছাত্র ও তৃণমূল ইউনিয়নের সদস্যসহ শত শত বিক্ষোভকারী টার্মিনি স্টেশনের সামনে পিয়াজা দেই সিনকুয়েসেন্টোতে জড়ো হয়। ‘ফ্লোটিলা ও ফিলিস্তিনের জন্য সব বন্ধ থাকবে’- এমন স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভকারীরা স্কোয়ার ও আশপাশের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করে দেয়।
ইতালির ট্রেড ইউনিয়ন জোট সিন্দাকেল দি বাসে (ইউসিবি) ও কনফেডারেজিওনে জেনারেলে ইতালিয়ানা দেল লাভোরো (সিআইজিএল) আগামীকাল শুক্রবার দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।
অপরদিকে, স্পেনের বার্সেলোনায় শত শত মানুষ ইসরাইলি কনস্যুলেটের বাইরে জড়ো হয়ে সুমুদ ফ্লোটিলার নৌবহর আটকের নিন্দা জানায় এবং গাজার প্রতি সংহতি প্রকাশ করে।
জার্মানির বার্লিনেও একই রকম বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে। নৌবহর আটকের প্রতিবাদে সেন্ট্রাল স্টেশনে কয়েক ডজন মানুষ জড়ো হয়।
বেলজিয়ামের ব্রাসেলসেও বিক্ষোভকারীরা প্লেস দে লা বোর্স থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দিকে মিছিল করে। লন্ডনেও আজ বৃহস্পতিবার শত শত মানুষ বিক্ষোভ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্র : আনাদোলু অ্যাজেন্সি