দুর্নীতির মামলায় বিচারকরা ‘রাজনীতি করছেন’ বলে অভিযোগ স্পেনের প্রধানমন্ত্রীর

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী কয়েকটি দুর্নীতির মামলার জন্য ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যে রয়েছেন। মামলাগুলোতে স্ত্রী ও ভাইসহ তার ঘনিষ্ঠজনদের বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তার, ক্ষমতার অপব্যবহার, কর জাতিয়াতি, অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত চলছে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ |সংগৃহীত

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) কয়েকজন বিচারকের বিরুদ্ধে ‘রাজনীতি’ করার অভিযোগ এনেছেন। তিনি কয়েকটি দুর্নীতির মামলার জন্য ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যে রয়েছেন। মামলাগুলোতে স্ত্রী ও ভাইসহ তার ঘনিষ্ঠজনদের বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তার, ক্ষমতার অপব্যবহার, কর জাতিয়াতি, অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত চলছে।

মাদ্রিদ থেকে বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, তার মামলাগুলো সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি পাবলিক টেলিভিশন স্টেশন টিভিই-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘এমন বিচারক আছেন, যারা রাজনীতি করেন।’

এই বিচারকদের সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘সৌভাগ্যবশত এদের সংখ্যা কম। কিন্তু এটি বিদ্যমান এবং এটি ন্যায়বিচার ও বিচার বিভাগের জন্য অপরিসীম ক্ষতি করে।’

সানচেজের কথাতে তার ঘনিষ্ঠজনদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ আমলে নেয়া বিচারকদের প্রতি তার ক্ষোভ স্পষ্ট। ২০১৮ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা এই সমাজতান্ত্রিক নেতা বলেন, তার আত্মীয়দের বিরুদ্ধে মামলাগুলো ভিত্তিহীন এবং এগুলো অতি-ডানপন্থী গোষ্ঠীগুলোর অভিযোগের ভিত্তিতে পরিচালিত।

তিনি বলেন, ‘আমি কখনো ভাবিনি যে রাজনৈতিক দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির সাথে এমনটা ঘটতে পারে। বিশেষ করে যখন এই মিথ্যা অভিযোগ, অতি-ডানপন্থী সংগঠনের প্রেস ক্লিপিং থেকে আসে, যারা মামলা করার জন্য কিছু আদালতে তাদের উপস্থাপন করেন।’

সানচেজের স্ত্রী বেগোনা গোমেজ গত বছরের এপ্রিল থেকে মাদ্রিদের কমপ্লুটেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে তার অতীতের শিক্ষাগত চাকরির সাথে সম্পর্কিত দুর্নীতি ও প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে তদন্তাধীন রয়েছেন। তার ছোট ভাই ডেভিড সানচেজ আত্মসাৎ, প্রভাব বিস্তার ও কর জালিয়াতির অভিযোগে তদন্তাধীন রয়েছেন।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক ঘনিষ্ঠ সহযোগী সান্তোস সেরদানকে জুন মাসে সরকারি চুক্তিতে ঘুষ নেয়ার তদন্তে আটক করা হয়। সাবেক পরিবহন মন্ত্রী হোসে লুইস আবালোস ও তার উপদেষ্টা কোলডো গার্সিয়াও একই মামলায় তদন্তাধীন রয়েছেন।

সানচেজ তার সমাজতান্ত্রিক দলের মধ্যে পদ্ধতিগত দুর্নীতির দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেন, ‘আমার কাছে এমন কোনো তথ্য ছিল না, যা ইঙ্গিত করে যে তারা দুর্নীতির সাথে জড়িত থাকতে পারে।’

দুর্নীতির মামলার কারণে সানচেজের সংখ্যালঘুরা জনমত জরিপে সমর্থন হারিয়ে ফেলেছে এবং বিরোধীরা তার পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে।

সূত্র : বাসস