রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ পশ্চিমা বিশ্বকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, মস্কোর বিরুদ্ধে কোনো ধরনের আগ্রাসন চালালে কঠোর জবাব দেয়া হবে। এ সময় তিনি রাশিয়ার আকাশসীমায় বিমান ভূপাতিত করার প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক করেন এবং জার্মানিকে সামরিকবাদী বক্তব্যের জন্য অভিযুক্ত করেন।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেয়া ভাষণে তিনি এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন।
ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের তীব্রতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ন্যাটোর পূর্ব সীমান্তেও উত্তেজনা বেড়েছে। এস্তোনিয়া জানিয়েছে, মস্কো তার আকাশসীমায় তিনটি যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে। অপরদিকে ন্যাটোর যুদ্ধবিমানগুলো পোল্যান্ডের ওপর দিয়ে রুশ ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে।
ল্যাভরভ বলেন, ‘আমার দেশের বিরুদ্ধে যেকোনো আগ্রাসনের জবাব হবে কঠোর। ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের এ নিয়ে সন্দেহ থাকার কথা নয়, যারা তাদের ভোটারদের বলছেন যে রাশিয়ার সাথে যুদ্ধ অনিবার্য।’
নিজেদের আকাশসীমায় রুশ ড্রোন বা যুদ্ধবিমানের উপস্থিতির ঘটনায় পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোতে রাশিয়াকে নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে শীতল যুদ্ধের পর রাশিয়াকে সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে দেখা হয়। এদিকে ইউক্রেনে মস্কোর যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধের আশাও অনেকটাই ম্লান হয়ে গেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চলতি সপ্তাহে বলেন, তিনি ন্যাটোর আকাশসীমা লঙ্ঘনকারী রুশ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার বিষয়টিকে সমর্থন করেন। তিনি ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক সক্ষমতাকে উপহাস করে একে ‘কাগুজে বাঘ’ বলে মন্তব্য করেন।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেয়ার পর সংবাদ সম্মেলন তিনি বলেন, ‘যদি আমাদের আকাশসীমায় কোনো উড়ন্ত বস্তু ভূপাতিত করার চেষ্টা করা হয়, তাহলে আমার মনে হয় আমাদের আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের এই গুরুতর লঙ্ঘনের জন্য তারা খুবই অনুতপ্ত হবে।’
এর আগে, তিনি জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদে বলেন, রাশিয়া কখনো ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ন্যাটো দেশগুলোতে ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়নি এবং ভবিষ্যতেও এমনটা করার কোনো পরিকল্পনা নেই।
সূত্র : রয়টার্স