ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করতে পারে ইউরোপ : ম্যাক্রোঁ

ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতির তিন দেশ প্রথমে ২০১৫ সালের চুক্তি বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু এখন তারা অভিযোগ করছে, ইরান ওই চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করেছে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ |সংগৃহীত

ইউরোপের প্রধান দেশগুলো এই মাসের শেষ নাগাদ ইরানের ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করতে পারে বলে জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ইসরাইলি সম্প্রচারমাধ্যম চ্যানেল ১২–কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ইরানের ওপর ‘স্ন্যাপব্যাক’ নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করা হবে কি-না জিজ্ঞেস করা হলে তিনি ইতিবাচক উত্তর দেন। তার ভাষায়, ইরান এসব নিষেধাজ্ঞা এড়ানোর জন্য তেমন প্রচেষ্টা চালাচ্ছে না।

ই৩ নামে পরিচিত ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য আগস্টের শেষের দিকে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় কোনো চুক্তি না হলে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের জন্য ৩০ দিনের একটি প্রক্রিয়া শুরু করেন। ইরান ই৩-এর সিদ্ধান্তকে ‘অযৌক্তিক, অবৈধ ও আইনিভাবে ভিত্তিহীন’ বলে অভিহিত করেছে।

২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি বা যৌথ সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা (জেসিপিওএ) অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে ইরানও সম্মত হয়েছিল তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করবে এবং বিনিময়ে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হবে। তবে ২০১৮ সালে তার প্রথম মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একতরফাভাবে চুক্তি থেকে প্রত্যাহার করে নেন এবং ইরানের ওপর পুনরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।

ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতির তিন দেশ প্রথমে ২০১৫ সালের চুক্তি বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু এখন তারা অভিযোগ করছে, ইরান ওই চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করেছে। তাদের দাবি, তেহরান ২০১৫ সালের নির্ধারিত সীমার তুলনায় ৪০ গুণ বেশি ইউরেনিয়াম মজুত করেছে।

বুধবার ই৩ দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি প্রধান ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে টেলিফোনে আলোচনা হয়। তবে উভয়পক্ষই স্বীকার করেছে, কোনো অগ্রগতি হয়নি।

যদি ই৩ তাদের সিদ্ধান্তে এগিয়ে যায়, তাহলে এর অর্থ হবে ২০১৫ সালের চুক্তির আগে বিদ্যমান জাতিসঙ্ঘের বিস্তৃত নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করা। এর মধ্যে রয়েছে প্রচলিত অস্ত্রের ওপর নিষেধাজ্ঞা, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর সীমাবদ্ধতা এবং ইরানের সম্পদ জব্দ করা।

সূত্র : আল জাজিরা