ম্যাক্রোঁর বিরুদ্ধে অভিশংসনের প্রস্তাব ফ্রান্সের বিরোধী দলের

ফ্রান্সের অতি-বামপন্থী বিরোধী দলের নেতা সংসদে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর বিরুদ্ধে অভিশংসনের প্রস্তাব দিয়েছেন।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ |সংগৃহীত

ফ্রান্সের অতি-বামপন্থী দল ফ্রান্স আনবাউড (এলএফআই)-এর নেতা জঁ-ল্যুক মেলশোঁ শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) জানিয়েছেন, সংসদে বিরোধী দলগুলো প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব উত্থাপন করেছে। তিনি উত্তরাঞ্চলীয় শহর লিলেতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘তাকে যেতেই হবে।’

গাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে মেলশোঁ বলেন, তার দল যদি ক্ষমতায় থাকত, তবে ফরাসি নৌবাহিনী মানবিক সহায়তা বহনকারী গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জাহাজগুলোকে গাজা উপকূলে পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব নিত।

তিনি আরো বলেন, সোমবার প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া বেইরোর সরকারের অনাস্থা ভোটে পতন ঘটবে। তিনি এ সম্ভাবনাকে ‘জনগণের বিজয়’ হিসেবে আখ্যা দেন ।

এদিকে জাতীয় পরিষদে অনাস্থা ভোটকে সামনে রেখে ফ্রান্সে রাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। জুলাই মাসে ২০২৬ সালের বাজেট কাঠামো প্রকাশ করেছিলেন বেইরো। ফ্রান্সের ক্রমবর্ধমান সরকারি ঋণ কমানোর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এতে প্রায় ৪৪ বিলিয়ন ইউরো (৫১ বিলিয়ন ডলার) সাশ্রয়ের পরিকল্পনা রয়েছে। বর্তমানে দেশটির ঋণ জিডিপির ১১৩ শতাংশ ছাড়িয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য দেশের তুলনায় ফ্রান্সের বাজেট ঘাটতি অন্যতম সর্বোচ্চ, যা বর্তমানে ৫.৮ শতাংশ। দেশটি এখন ‘অতিরিক্ত ঋণের দ্বারপ্রান্তে’ রয়েছে বলে সতর্ক করে দিয়ে বেইরো সংসদ সদস্যদের ‘অরাজকতার পরিবর্তে দায়িত্বশীলতা’ বেছে নেয়ার আহ্বান জানান

বামপন্থী এলএফআই থেকে শুরু করে ডানপন্থী ন্যাশনাল র‍্যালি (আরএন) পর্যন্ত ফ্রান্সের বিরোধী দলগুলোসহ সমাজতন্ত্রীরাও সরকারের বিরুদ্ধে ভোট দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

ফরাসি রাজনীতিতে বাজেট নিয়ে মতবিরোধ দীর্ঘদিনের অস্থিরতার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত বছর ২০২৫ সালের বাজেট নিয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হলে ডিসেম্বরে মিশেল বার্নিয়ার সরকারের পতন ঘটে। সে সময়ও অনাস্থা ভোটে বামপন্থী ও অতি-ডানপন্থী দলগুলো একত্রিত হয়।

সূত্র : আনাদোলু অ্যাজেন্সি