আকাশসীমা পেরিয়ে আক্রমণাত্মক ড্রোন পাঠানোর জন্য পোল্যান্ড মস্কোকে অভিযুক্ত করার কয়েকদিন পরই রাশিয়া ও বেলারুশ বৃহৎ আকারের সামরিক মহড়া শুরু করেছে। যা ন্যাটোর পূর্বাঞ্চলে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই মহড়া ইউরোপে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।
‘জাপাদ ২০২৫’ নামের এই সামরিক মহড়া শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) শুরু হয়ে মঙ্গলবার পর্যন্ত চলবে। এর মধ্যেই রুশ বাহিনী ইউক্রেনে ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছে এবং ইউক্রেনীয় শহরগুলোর ওপর বিমান হামলা আরো তীব্র করছে। ক্রেমলিন জোর দিয়ে বলছে, ড্রোন পাঠানোর অনেক আগেই সামরিক মহড়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে জানিয়েছে, ‘এই মহড়ার উদ্দেশ্য হলো কমান্ডার ও কর্মীদের দক্ষতা উন্নত করা, আঞ্চলিক ও জোট বাহিনীর সহযোগিতা এবং মাঠ পর্যায়ে প্রশিক্ষণের স্তর বৃদ্ধি করা।’
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জোর দিয়ে বলেছেন, সীমান্তের কাছে এই মহড়া কোনো নির্দিষ্ট দেশের বিরুদ্ধে নয়।
কিন্তু এর পরও ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। পোল্যান্ড বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বেলারুশের সাথে থাকা তাদের শেষ উন্মুক্ত সীমান্ত পারাপার পয়েন্টগুলো বন্ধ করে দেয়। বেলারুশের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে ফুটেজে দেখা যায়, সীমান্তে কাঁটাতার বসানো হচ্ছে।
পোলিশ প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক আসন্ন সময়কে ‘সঙ্কটময় দিন’ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে তার দেশ ‘উন্মুক্ত সংঘাতের’ কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।
প্রতিবেশী দেশ ও ন্যাটো সদস্য লিথুয়ানিয়া ও লাতভিয়া তাদের নিরাপত্তা আরো জোরদার করেছে এবং আংশিক আকাশসীমা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে।
বেলারুশ জানিয়েছে, মিনস্কের পূর্বে বোরিসোভের কাছে মহড়া অনুষ্ঠিত হবে।
সাধারণত প্রতি চার বছর অন্তর জাপাদ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ ২০২১ সালে ইউক্রেনে মস্কোর পূর্ণাঙ্গ আক্রমণের আগে প্রায় দুই লাখ রাশিয়ান সৈন্যকে একত্রিত করা হয়েছিল।
তবে এবার রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর সদস্য ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নেয়ায় এই বছরের মহড়াটি ছোট হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বেলারুশ প্রথমে ১৩ হাজার সৈন্য যোগ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিল, পরে সেই সংখ্যা অর্ধেক করে।
সূত্র : আল জাজিরা