শান্তি প্রতিষ্ঠা ও বাণিজ্য ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে চীনের প্রতি ম্যাক্রোঁর আহ্বান

ম্যাক্রোঁ বলেন, ফ্রান্স ও চীনকে নিজেদের ‘পার্থক্য কাটিয়ে উঠতে’ হবে। শি-ও একই সুরে বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক ‘আরো স্থিতিশীল’ হওয়া উচিত।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ |সংগৃহীত

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ইউক্রেনের যুদ্ধ বন্ধ করতে এবং বাণিজ্য ঘাটতি মোকাবেলায় সহায়তা করার জন্য চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বেইজিংয়ের গ্রেট হলে দুই নেতার সাক্ষাতের সময় তিনি এ কথা বলেছেন।

ক্ষমতায় থাকাকালীন ম্যাক্রোঁ এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো চীন সফর করছেন। তিন দিনের এই সফর ইউক্রেনের যুদ্ধবিরতির জন্য সমর্থন জোগাড় করার পাশাপাশি ফ্রান্সে আরো চীনা বিনিয়োগ বাড়ানোর একটি সুযোগ। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির সাথে ফ্রান্সের বাণিজ্য ঘাটতি ২০২৪ সালে ৫৪ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বেইজিংয়ে শি ও ফার্স্ট লেডি পেং লিয়ুয়ান, ম্যাক্রোঁ ও তার স্ত্রী ব্রিজিতকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেন। সম্মানরক্ষী বাহিনী ও পতাকা নেড়েছে এমন শিশুদের সারিও ছিল অনুষ্ঠানে।

সংবর্ধনার পর ম্যাক্রোঁ বলেন, ফ্রান্স ও চীনকে নিজেদের ‘পার্থক্য কাটিয়ে উঠতে’ হবে। শি-ও একই সুরে বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক ‘আরো স্থিতিশীল’ হওয়া উচিত।

ইউক্রেনে প্রায় চার বছর ধরে চলা যুদ্ধের অবসান ঘটাতে যুক্তরাষ্ট্রর নতুন প্রচেষ্টার মধ্যে এ বৈঠক হলো। ম্যাক্রোঁ যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত পরিকল্পনার পাল্টা উদ্যোগে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ম্যাক্রোঁ। সমালোচকরা বলছেন, ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনা মূলত রাশিয়ার দাবিগুলোর প্রতিধ্বনি।

ম্যাক্রোঁ শিকে বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই বিশ্বে, ইউক্রেনে এবং যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত অন্যান্য অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য কাজ চালিয়ে যেতে হবে। আমাদের সহযোগিতার সক্ষমতাই এখানে মুখ্য।’

তিনি আরো বলেন, এই সংঘাত ইউরোপীয় নিরাপত্তার পাশাপাশি আইনের শাসনের ওপর ভিত্তি করে আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলার জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ হুমকি।

শি যুদ্ধবিরতির প্রতি বেইজিংয়ের সমর্থনের ওপর জোর দিয়ে বলেন, ‘চীন শান্তির জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সব প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে এবং আশা করে যে সব পক্ষ সংলাপ ও আলোচনার মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য একটি ন্যায্য ও স্থায়ী শান্তি চুক্তিতে পৌঁছাবে।’

আগামী বছর জি-৭ শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করবেন ম্যাক্রোঁ। তিনি বেইজিংকে আরো ‘সামঞ্জস্যপূর্ণ ও ন্যায্য’ বৈশ্বিক অর্থনৈতিক শাসনব্যবস্থার জন্য জি-৭ এর সাথে কাজ করতে আহ্বান জানান।

সূত্র : এএফপি